এশিয়ার কিহু তথ্য জেনে নিই
আলোচিত অঞ্চল
এশিয়া মহাদেশের অঞ্চল ভিত্তিক ৪৪টি স্বাধীন দেশ
দক্ষিণ এশিয়ার ৮ টি দেশঃ
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১১ টি দেশঃ
উত্তর পশ্চিম এশিয়ার/ মধ্যপ্রাচ্যের ১৪ টি দেশঃ
দূর প্রাচ্যের ৫ টি দেশঃ
মধ্য এশিয়ার ৬ টি দেশঃ
দক্ষিণ এশিয়া হল এশিয়ার দক্ষিণাঞ্চল, বর্তমানে এই অঞ্চলটি আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং মালদ্বীপ নিয়ে গঠিত। ভৌগোলিকভাবে, এটি ভারতীয় প্লেটে অবস্থিত এবং এর দক্ষিণে ভারত মহাসাগর এবং উত্তরে হিমালয়, কারাকোরাম ও পামির পর্বত । দক্ষিণ এশিয়া নামটি মূলত ব্রিটিশ রাজ্যের প্রশাসনিক সীমানা থেকে উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত। ১৮৫৭ সাল থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের মূল অঞ্চল ছিল এই দক্ষিণ এশিয়া।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া প্রধানত দুইটি ভৌগোলিক অঞ্চলের সমষ্টি, এখানে বর্তমানে ১১টি রাষ্ট্র বিদ্যমান থাকলেও আঞ্চতি জোট আসিয়ান (১৯৯৭) এর সদস্য পূর্ব তিমুর বাদে বাকি ১০ দেশ। মূল ভূখণ্ড অংশটি ইন্দোচীন উপদ্বীপ নামে পরিচিত এবং এখানে কম্বোডিয়া, লাওস, ভিয়েতনাম অবস্থিত। সামুদ্রিক দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ব্রুনাই, পূর্ব তিমুর, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন দ্বীপপুঞ্জ এবং সিঙ্গাপুর নিয়ে গঠিত। এখানে মূলত অস্ট্রোনেশীয় জাতির লোকেরা বাস করে। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় মূলত তিন ধর্মের মানুষ বসবাস করে। তথা: (১) বৌদ্ধ ধর্ম: মায়ানমার, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, লাওস, ভিয়েতনাম (২) ইসলাম ধর্ম। মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ব্রুনাই (৩) খ্রিস্টান ধর্ম ফিলিপাইন এবং পূর্ব তিমুর। ব্যতিক্রম ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপে কিছু অঞ্চলে হিন্দু ধর্মের মানুষও বসবাস করে।
এশিয়া মহাদেশের বিশাল ভূ-বেষ্টিত (Land Locked) অঞ্চল মধ্য এশিয়া। ঐতিহাসিকভাবে অঞ্চলটি যাযাবর জাতি ও চীনের সিল্ক রোডের সাথে সম্পর্কিত। মধ্য এশিয়ার কাজাখস্তান ও আর্মেনিয়া সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ছিল । ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে গেলে কাজাখস্তান ও আর্মেনিয়া স্বাধীন দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়। মধ্য এশিয়া (০৬টি দেশ) এশিয়া মহাদেশের বিশাল ভূ-বেষ্টিত (Land Locked) অঞ্চল মধ্য এশিয়া। মধ্য এশিয়ার দেশগুলো এক সময় সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ছিল।
উপনিবেশ
মধ্য এশিয়ার সবদেশ ব্রিটেনের উপনিবেশ ছিল। স্বাধীনতা পায় সোভিয়েত ইউনিয়নের নিকট থেকে।
নাগার্নো-কারাবাখ
আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে বিবদমান ছিটমহল। আজারবাইজান মূলত ককেশীয় অঞ্চলের দেশ। এটিকে কেউ ইউরোপ আবার কেউ এশিয়ার দেশ মনে করে। এজন্য একত্রে ইউরেশিয়ান দেশ বলা হয়।
সমরখন্দ
উজবেকিস্তানের ঐতিহাসিক নগরী। সম্রাট বাবর এখানে জন্মগ্রহণ করেন।
টিউলিপ বিপ্লব
২০০৫ সালে কিরগিস্তানের সংসদ নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট অ্যাকায়েডের কর্তৃত্ববাদ ও দুর্নীতির ফলে এই বিপ্লব আরম্ভ হয়। এই বিপ্লবের ফলে প্রেসিডেন্ট এসকার অ্যাকায়েড পদত্যাগ করেন।
জেনে নিই
মৌলিক তথ্য
ভারত দক্ষিণ এশিয়ার একটি রাষ্ট্র। ভৌগোলিক আয়তনের বিচারে এটি দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম এবং বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম রাষ্ট্র। ভারতের সীমান্তবর্তী দেশের সংখ্যা ৭টি যথা: বাংলাদেশ, মিয়ানমার, নেপাল, ভুটান, পাকিস্তান, চীন ও আফগানিস্তান। ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ আগস্ট ভারত ডোমিনিয়ন রাষ্ট্র হিসেবে ব্রিটিশ শাসনজাল থেকে মুক্তিলাভ করে । একই সঙ্গে দেশের পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তের মুসলমান-অধ্যুষিত অঞ্চলগুলি লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে বিভক্ত হয়ে গঠ করে পাকিস্তান রাষ্ট্র। ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি নতুন সংবিধান প্রবর্তনের মধ্য দিয়ে ভারত বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে পরিণত হয়। বর্তমানে ভারত দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ ওয়েস্টমিনিস্টার-ধাঁচের 'আধা-যুক্তরাষ্ট্রীয় সংসদ সরকার ব্যবস্থা বিদ্যমান আছে।
জেনে নিই
আরও কিছু তথ্য
পাকিস্তান- ৪টি প্রদেশ
মৌলিক তথ্য
১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট পাকিস্তান ডোমিনিয়ন রাষ্ট্র হিসেবে স্বাধীনতা লাভ করে। ১৯৫৬ সালে ২৩শে মার্চ পাকিস্তানে সংবিধান জারির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয় ইসলামি প্রজাতন্ত্র। মুসলিম দেশ সমুহের মধ্যে ১৯৯৮ সালের প্রথম পরমাণ শক্তি অর্জন করে পাকিস্তান। ১৯৩১ সালে আল্লামা কবি ইকবাল পাকিস্তান রাষ্ট্র গঠনের মৌলিক রূপরেখা প্রদান করেন। র্যাডক্লিফ লাইন দ্বারা ভারত ও পাকিস্তান বিভক্ত।
পাকিস্তানের প্রথম
জেনে নিই
জেনে নিই
জেনে নিই
জেনে নিই
তৎকালীন বার্মা ভারতের স্বাধীনতার প্রায় এক বছর পর ১৯৪৮ | সালের ৪ঠা জানুয়ারি স্বাধীনতা লাভ করে। তৎকালীন বার্মার গণতান্ত্রিক সরকারের উৎখাতের পর ১৯৮৯ সালে সেখানক সামরিক সরকার বার্মার নতুন নামকরণ করে "মিয়ানমার" এবং প্রধান শহর ও তৎকালীন রাজধানী রেঙ্গুনের নতুন নামকরণ করে। "ইয়াঙ্গুন"। ১৯৮২ সালে সামরিক সরকার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর | নাগরিকত্ব বাতিল করে। ২১ অক্টোবর ২০১০ থেকে দেশটির | জাতীয় সঙ্গীত ও নতুন জাতীয় পতাকা প্রবর্তন করা হয়।
জেনে নিই
জেনে নিই
জেনে নিই
জেনে নিই
মালয়েশিয়া তেরোটি রাজ্য এবং তিনটি ঐক্যবদ্ধ প্রদেশ নিয়ে গঠিত দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার একটি দেশ। দেশটির রাজধানী শহর কুয়ালালামপুর এবং পুত্রজায়া হল ফেডারেল সরকারের রাজধানী। মালয়েশিয়ার রাজা সাংবিধানিক রাজতান্ত্রিক দেশ হিসেবে মালয়েশিয়ায় প্রাচীন ঐতিহ্যের ভিত্তিতে রাষ্ট্রীয় অভিভাবক হিসেবে রাজা থাকেন। বর্তমান রাজার নাম পঞ্চম মোহাম্মদ। আইনসভার দুই কক্ষের (দেওয়ান নেগারা ও দেওয়ান রাকিয়াত) উপর যুক্তরাষ্ট্রীয় আইন প্রণয়ন ক্ষমতা ন্যস্ত।
জেনে নিই
ডাঃ মাহাথির মোহাম্মদ মালয়েশিয়ার স্থপতি। তিনি ১৯৮১ সালে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তার নেতৃত্বে ক্ষমতাসীন দল পর পর পাঁচবার সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে। তিনি এশিয়ার সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে ২২ বছর টানা গণতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী। ২০০৩ সালে তিনি স্বেচ্ছায় প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেন। অবসর গ্রহণের দীর্ঘ পনের বছর পর ৯২ বছর বয়েসে প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের ব্যাপক দুর্নীতি সংশ্লিষ্টতার কারণে মাহাথির মোহাম্মদ আবারও আসেন রাজনীতিতে। ২০১৮ সালে নির্বাচনে পুনরায় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হন।
জেনে নিই
ফিলিস্তিন সমস্যার প্রেক্ষাপট
ভূমধ্যসাগরের পূর্বে ১০,৪২৯ বর্গমাইলব্যাপী ফিলিস্তিন দেশটি ছিল উসমানীয় খেলাফতের অধীন, প্রথম বিশ্বযুদ্ধে যারা ছিল ব্রিটেন-বিরোধী জোটে। তখন যুদ্ধ জয়ে ফিলিস্তিনদের সহযোগিতা পাওয়ার আশায় ১৯১৭ সালে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লর্ড বেলফোর যুদ্ধে জয়ী হলে এই ভূমিতে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হবে বলে আশ্বাস দেন। যা ইতিহাসে "বেলফোর ঘোষণা" হিসেবে পরিচিত। যেহেতু ফিলিস্তিন অঞ্চলে আরবীয়রা ছিল ইহুদিদের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি, সেহেতু ঘোষণাটি তাদের অনুকূল বলেই ধরে নেয় স্থানীয় আরবীয়রা।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটেনের প্রয়োজনে দূর্লভ বোমা তৈরির উপকরণ কৃত্রিম ফসফরাস তৈরি করতে সক্ষম হন ইহুদি বিজ্ঞানী ড. ওয়াইজম্যান। ফলে আনন্দিত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জানতে চাইলেন কী ধরনের পুরস্কার তিনি চান? উত্তর ছিল- "অর্থ নয়, আমার স্বজাতির জন্য এক টুকরো ভূমি আর তা হবে ফিলিস্তিন ফলে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডটি ইহুদিদের হাতে তুলে দেয়ার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি নেয় ব্রিটেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ জয়ের পর ব্রিটেন স্বাধীনতা দেয়ার অঙ্গীকারে ১৯১৮ সাল থেকে ৩০ বছর দেশটিকে নিজেদের অধীন রাখে। মূলত এই সময়টিই ফিলিস্তিনকে আরব-শূন্য (বিশেষত মুসলিম-শূন্য) করার জন্য কাজে লাগায় ইঙ্গ-মার্কিন শক্তি ।
জেনে নিই
মৌলিক তথ্য
ইসরাইল ইতিহাসে প্যালেস্টাইন নামে পরিচিত ভূ-ভাগের অংশ দখল করে রাষ্ট্র গঠন করে। মুসলমান, ইহুদি ও খ্রিস্টান এই তিন ধর্মাবলম্বীদের কাছে পবিত্রভূমি ফিলিস্তিনের জেরুজালেম। ব্যবিলনীয়দের দ্বারা আক্রান্ত হলে তারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে। অষ্টাদশ শতকে পৃথিবীতে ছড়িয়ে থাকা ইহুদিরা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন শুরু করেন এবং প্যালেস্টাইনে একত্রিত হন। ১৯৪৮ সালে ইহুদিরা আরব ভূমিতে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে ব্রিটিশ ও মার্কিনদের সহায়তায় ।
জেনে নিই
ইসরাইলকে স্বীকৃতি
মৌলিক তথ্য
ইরানের রাজনীতি একটি ইসলামী প্রজাতন্ত্র কাঠামোয় সংঘটিত হয়। ১৯৭৯ সালের ডিসেম্বরে গৃহীত সংবিধান এবং ১৯৮৯ সালের সংশোধনী ইরানের রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে সংজ্ঞায়িত করেছে। সংবিধানে ইসলাম ধর্মের শিয়া মতটিকে ইরানের রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণা করা হয়েছে। চেঙ্গিস খান (মোঙ্গল নেতা) ইরান দখল করে ১২২০ সালে। ১৯৩৫ সালে পারস্য নাম পরিবর্তন করে ইরান করা হয়।
জেনে নিই
২০ আগষ্ট ২০
১৯ সেপ্টেম্বর ২০
১৮ অক্টোবর ২০
১৫ জুলাই ২০
ইরাকেই গড়ে উঠেছিলো মেসোপটেমিয়া নামক বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন সভ্যতা। ‘ইউফ্রেটিস ও ‘টাইগ্রিস' এই দুই নদীর মধ্যবর্তী এলাকা 'মেসোপটেমিয়া' নামে পরিচিত। ইরাকে রয়েছে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান- আসুর ও সামারা। ইরাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহরের নাম মসুল। ১৯২০ সালে উসমানীয় সাম্রাজ্য বিভক্তর কারনে ইরাকের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় ব্রিটেনের হাতে। ১৯৩২ সালে ইরাক ব্রিটেন হতে স্বাধীনতা লাভ করে। ১৯৫৮ সালে রাজতন্ত্রের পতন ঘটে, প্রতিষ্ঠা হয় ইরাকি প্রজাতন্ত্র। ইউফ্রেটিস, টাইগ্রিস, সাত-ইল-আরব, লিটর জ্যাব, ডিয়ালা ইত্যাদি ইরাকের উল্লেখযোগ্য নদী । হস্তশিল্প, কার্পেট ইত্যাদি উৎপাদনে ইরাকের খ্যাতি রয়েছে বিশ্বব্যাপী।
জেনে নিই
আব্বাসীয় আমলে ইরাকের বাগদাদে প্রতিষ্ঠিত একটি গ্রন্থাগার ও অনুবাদ কেন্দ্র ছিল বাইতুল হিকমাহ । এটিকে ইসলামী স্বর্ণযুগের একটি প্রধান বুদ্ধিবৃত্তিক কেন্দ্র ও নিদর্শন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এর প্রতিষ্ঠাতা হারুনুর রশিদ এবং তার পুত্র খলিফা আল মামুনের সময়কালে চুড়ান্ত সমৃদ্ধ লাভ করে ।
জেনে নিই
মৌলিক তথ্য
মধ্যপ্রাচ্যের ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের সুন্নি মুসলিম প্রধান একটি দেশ। ১৯৬৩ সাল থেকে ক্ষমতায় রয়েছে শিয়া গোষ্ঠীর বাথ পার্টি। দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ ক্ষমতায় রয়েছেন ২০০০ সাল থেকে। দেশটিতে আরব বসন্ত শুরু হয়েছিল ১৫ই মার্চ ২০১১ সালে। দেশটির পার্লামেন্ট- পিপলস পার্লামেন্ট। বর্তমানে আলেপ্পো, বসরা, দারা, দামেস্ক, রাক্কা, ইদলিব, সারখেভ ইত্যাদি সিরিয়ার যুদ্ধাঞ্চল ।
জেনে নিই
পালমিরা
সিরিয়ার একটি প্রাচীন শহর । ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের স্থান। মরুভূমির মুক্তা' নামে পরিচিত । গোড়াপত্তন হয় ২০০০ বছর আগে। পালমিরা 'তাদমুর' নামেও পরিচিত । রোমান সভ্যতার নিদর্শন। এখানেই অবস্থিত ঐতিহাসিক বেল মন্দির ও আর্ক অব অর্কেস্ট্রা । এই শহরকে তালগাছের শহরও বলা হয়।
সিরিয়া-ইসরাইল বিরোধ
১৯৬৭ সালে আরব-ইসরাইলের তৃতীয় যুদ্ধের সময় ইসরাইল সিরিয়ার গোলান মালভূমি দখল করে। The Syrian Observatory for Human Rights যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি মানবাধিকার সংস্থা।
মৌলিক তথ্য
আব্দুল আজিজ ইবনে সউদ ১৯৩২ সালে সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন এবং সৌদি রাজতন্ত্রের সূচনা করেন। আরব উপদ্বীপের সবচেয়ে বড় দেশ এটি। ৭ম শতাব্দীতে মুহাম্মাদ (সঃ) এখানে ইসলামের প্রচার করেন এবং এটি খিলাফতের প্রথম কেন্দ্র। বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝিতে বিশাল তেলের মজুদ আবিষ্কার দেশটিকে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলে। ৭ম শতক থেকে মক্কা ও মদিনা শহরগুলো মুসলিম বিশ্বের জন্য সর্বোচ্চ আধ্যাত্মিক তাৎপর্যপূর্ণ অঞ্চল ।
জেনে নিই
আইনসভা
সৌদি আরবে কোন আইনসভা নেই। তবে কনসালটেটিভ কাউন্সিল আছে যার নাম- মজলিস আশ-শূরা। এর সদস্যদেরকে বাদশাহ নিয়োগদান করেন।
জাতীয় পতাকা
পতাকার রং সবুজ। 'লা ইলাহা ইল্লালাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ কালেমা থাকাতে এই পতাকা কখনও অর্ধনমিত হয় না। এর নিচে একটি তরবারি অঙ্কিত, যার দ্বারা ন্যায়বিচারকে বুঝান হয়েছে।
মৌলিক তথ্য
১৯১১ সালের ১০ অক্টোবর জিনহাই বিপ্লব (Xinhai Revolution) এর মাধ্যমে কিং রাজবংশ (King Dynasty) কে উৎখাত করে চীন প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। চীন প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন ড. সান ইয়াৎ সেন। তিনি চীনের প্রথম প্রেসিডেন্ট এবং আধুনিক চীনের জনক। তবে গণচীনের প্রতিষ্ঠাতা মাও সে তুং (১৯৪৯ সালে)। জনসংখ্যায় বিশ্বের বৃহত্তম এ দেশটি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য। বর্তমানে প্রযুক্তিতে সবচেয়ে এগিয়ে আছে টান। সামরিক ও অর্থনৈতিক বিচারে পৃথিবীতে দ্বিতীয় শক্তিশালী দেশ। ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড চীনের আলোচিত মেগাপ্রকল্প।
জেনে নিই
১৭ শতকে প্রথমবারের মতো তাইওয়ানের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ পায় চীন। তখন চীনে শাসন করছিল কুইং রাজপরিবার। পরে প্রথম চীনজাপান যুদ্ধে হেরে ১৮৯৫ সালে দ্বীপটি জাপানের কাছে ছেড়ে দেয় চীন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপান পরাজয় স্বীকারের পর আবার তাইওয়ানের নিয়ন্ত্রণ পায় এরপর চীনের মূল ভূখণ্ডে চিয়ান কাইশেক (যুক্তরাষ্ট্রপন্থী) নেতৃত্বাধীন দেশটির জাতীয়তাবাদী সরকার ও মাও সেতুংয়ের কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যে গৃহযুদ্ধ দেখা দেয়। ওই যুদ্ধে ১৯৪৯ সালে কমিউনিস্টদের জয় হয়। কমিউনিস্ট পার্টির কাছে পরাজিত হওয়ার পর চিয়াং কাইশেক ও তাঁর জাতীয়তাবাদী দল 'কুয়োমিনটাং এর অনেকে তাইওয়ানে পালিয়ে যান। এর পরের কয়েকটা দশক সেখানেই তাঁরা শাসন করেছিলেন। ওই সময় থেকেই কুয়োমিনটাং দ্বীপটির সবচেয়ে প্রভাবশালী রাজনৈতিক দল। মূলত ইতিহাসের দিকে ইঙ্গিত করেই চীন দাবি করে আসছে, তাইওয়ান তাদের একটি প্রদেশ। ইতিহাসের কথা টেনেই আবার উল্টো দাবি করছে তাইওয়ান। তাদের ভাষ্য, ১৯১১ সালের বিপ্লবের পর যে আধুনিক চীন গড়ে উঠেছিল, কোনোকালেই তার অংশ ছিল না তাইওয়ান। এমনকি ১৯৪৯ সালে মাও সেতুংয়ের হাত ধরে গড়ে ওঠা গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের অধীনেও ছিল না তারা। মাত্র ১৩টি দেশের কাছ থেকে তাইওয়ান স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। মজার বিষয় হল তাইওয়ান ১৯৭১ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘের স্থায়ী পরিষদের সদস্য ছিল । কিন্তু বর্তমানে তাইওয়ান জাতিসংঘের সদস্যও না।
জেনে নিই
কোরিয়া বিভক্তি (১৯৪৫-১৯৫০)
১৯০৫ সাল থেকে ২য় বিশ্বযুদ্ধ পর্যন্ত কোরিয়া জাপানের অধীনে ছিল। ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হেরে জাপানিরা সমাজতান্ত্রিক দেশ সোভিয়েত ইউনিয়নের কাছে আত্মসমর্পণ করে। তখন ১৯৫০ সালে ৩৮ ডিগ্রি অক্ষরেখায় মানচিত্র বিভক্ত করে উত্তর কোরিয়া সোভিয়েত ইউনিয়নের মতাদর্শে সমাজতান্ত্রিক ব্লকে, অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়া পুঁজিবাদী আমেরিকার মতাদর্শে এর পুঁজিবাদী ব্লকে যোগ দেয়। বিভক্ত কোরিয়াকে সংযুক্তিকরণের লক্ষে ১৯৫০ সালের ২৫ জুন উত্তর কোরিয়া, দক্ষিণ কোরিয়ায় আক্রমণ করে। অবশেষে | ১৯৫৩ সালে কোরীয় যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
জেনে নিই
জেনে নিই
ইন্দোনেশিয়া ৩৩টি প্রদেশ নিয়ে গঠিত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি দ্বীপ রাষ্ট্র। হাজার দ্বীপের দেশ খ্যাত ইন্দোনেশিয়ায় দ্বীপের সংখ্যা প্রায় ৫০০০টি। এই দেশটি পৃথিবীর বৃহত্তম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র। দেশটিতে মানুষ বসতির ইতিহাস বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো, যাদের বলা হয় জাভাম্যান। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪২ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত তিন বছর। জাপানিরা ইন্দোনেশিয়া দখল করে। ১৯৪৫ সালের ১৭ই আগস্ট নেদারল্যান্ডস থেকে সুকণের নেতৃত্বে ইন্দোনেশিয়া স্বাধীনতা লাভ করে এবং ইন্দোনেশিয়া প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে।
জেনে নিই
জাপান হল পূর্ব এশিয়ার দূরপ্রাচ্যের একটি দ্বীপ রাষ্ট্র। জাপান একটি যৌগিক আগ্নেয়গিরীয় দ্বীপমালা। এই দ্বীপমালাটি ৬.৮৫২টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত। জাপানের বৃহত্তম চারটি দ্বীপ হল হোনশু, হোক্কাইদো, ক্যুৎ ও শিকোকু। ১৯৪৫ সালেজাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণের পর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয়। ১৯৪৭ সালে। সংশোধিত সংবিধান (শান্তির সংবিধান) গ্রহণের পর জাপান একটি এককেন্দ্রিক সাংবিধানিক রাজতন্ত্রে পরিণত হয়। এর পার্লামেন্টের নাম ন্যাশনাল ডায়েট। জাপানকে প্রায়শই "উদীয়মান সূর্যের দেশ" বলে অভিহিত করা হয়। রাজধানী টোকিও হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মেগাসিটি।
জেনে নিই
জাপানের বর্তমান ১২৬ তম সম্রাট নারুহিতো হলেন জাপান রাষ্ট্রের প্রধান। ১৯৪৭ সালের সংবিধান অনুযায়ী, তিনি "রাষ্ট্র ও জনগণের ঐক্যের প্রতীক" এবং তার "সরকার সম্পর্কিত কোন ক্ষমতা" নেই। ঐতিহাসিকভাবে, তিনি শিন্তো ধর্মের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। জাপানি ভাষায় সম্রাটকে 'তেন্নো' বলা হয়, যার অর্থ "স্বর্গীয় সার্বভৌম"। ইংরাজিতে বলে মিকাদো বা মিকাডো।
জেনে নিই
জেনে নিই
জেনে নিই
ফরাসি উপনিবেশবাদীরা ব্রিটিশদের নিকট টিকতে না পেরে ভারত হতে ব্যবসা গুটিয়ে ১৮০৪ সালে এই অঞ্চলসমূহ দখল করে নাম দেয় Union of | Indochina (ইন্দোচীন)। বর্তমানে ইন্দোচীন বলতে ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া ও লাওসকে বোঝায়। এশিয়ায় ফরাসি শাসনের মূল ভিত্তি ছিল এই অঞ্চল । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপান এই অঞ্চল দখল করে। নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু এই অঞ্চল থেকেই আজাদ হিন্দ ফৌজ এর যাত্রা শুরু করেন।
জেনে নিই
জেনে নিই
আরও দেখুন...