উৎপাদক : যদি কোনো বীজগণিতীয় রাশি দুই বা ততোধিক রাশির গুণফল হয়, তাহলে শেষোক্ত রাশিগুলোর প্রত্যেকটিকে প্রথম রাশির উৎপাদক বা গুণনীয়ক (Factor) বলা হয়। যেমন, a2-b2=(a+b)(a–b), এখানে (a+b) ও (a–b) রাশি দুইটি (a2–b2) এর উৎপাদক।
উৎপাদকে বিশ্লেষণ : যখন কোনো বীজগণিতীয় রাশিকে সম্ভাব্য দুই বা ততোধিক রাশির গুণফলরূপে প্রকাশ করা হয়, তখন একে উৎপাদকে বিশ্লেষণ করা বলে এবং ঐ রাশিগুলোর প্রত্যেকটিকে প্রথমোক্ত রাশির উৎপাদক বলা হয়। যেমন, x2+2x=x(x+2) [ এখানে x ও (x+2) উৎপাদক] উৎপাদক নির্ণয়ের নিয়মগুলো নিচে দেওয়া হলো :
(ক) সুবিধামতো সাজিয়ে :
px-qy+qx-py কে সাজানো হলো, px+qx-py-qy রূপে।
এখন, px+qx–py-gy=x(p+q)-y(p+q)=(p+q)(x-y).
আবার, px-qy+qx-py কে সাজানো হলো, px-py+qx-qy
এখন, px–py+qx-y=p(x-y)+q(x-y)=(x-y)(p+q).
(খ) একটি রাশিকে পূর্ণ বর্গ আকারে প্রকাশ করে :
x2+4xy+4y2=(x)2+2×x×2y+(2y)2
=(x+2y)2=(x+2y)(x+2y)
(গ) একটি রাশিকে দুইটি রাশির বর্গের অন্তররূপে প্রকাশ করে এবং a2–b2 সূত্র প্রয়োগ করে :
a2+2ab-2b-1
=a+2ab+b2–b2-2b-1 [এখানে b2 একবার যোগ এবং একবার বিয়োগ করা হয়েছে। এতে রাশির মানের কোনো পরিবর্তন হয় না]
=(a2+2ab+b2)-(b2+2b+1)
=(a+b)2–(b+1)2
=(a+b+b+1)(a+b-b-1)
=(a+2b+1)(a-1)
বিকল্প নিয়ম :
a2+2ab-2b-1
=(a2-1)+(2ab-2b)
=(a+1)(a-1)+2b(a-1)
=
(ঘ) সূত্রটি ব্যবহার করে :
(ঙ) একটি রাশিকে ঘন আকারে প্রকাশ করে :
(চ) এবং
সূত্র দুইটি ব্যবহার করে :
উদাহরণ ১। কে উৎপাদকে বিশ্লেষণ কর।
সমাধান :
উদাহরণ ২। কে উৎপাদকে বিশ্লেষণ কর।
সমাধান :
কাজ : উৎপাদকে বিশ্লেষণ কর : ১। ২। ৩। ৪। ৫। |
Read more