কখনো কখনো বিভিন্ন বাণিজ্যিক সরঞ্জামাদি বা কমার্শিয়াল এ্যাপ্লারেন্সেস (Commercial Applainces) যেমন- ওয়াটারকুলার, ডি-হিউমিডিফায়ার, ডিসপ্লেকেইস ও বোতলকুলার ইত্যাদি পারফরমেন্স টেস্টের প্রয়োজন হয়। ভেবে দেখি তো, পারফরমেল টেস্ট বলতে কি বোঝায়? এ্যাপ্লায়েন্সেস গুলো ঠিকমত কাজ করছে কিনা তা পরীক্ষা করা। তাদের পারফরমেন্স বা কর্মক্ষমতা নির্ণয়ের উপারইবা কী? এই অধ্যায়ে আমा কমার্শিয়াল এ্যাপ্লায়েন্সেসের প্রয়োজনীয় পারফরমেল টেস্ট সম্পর্কে শিখৰ ।
এই অধ্যায় পাঠ শেষে আমরা-
উপর্যুক্ত শিখনফলগুলো অর্জনের লক্ষ্যে এই অধ্যায়ে আমরা একটি জব সম্পন্ন করব। এই জবের মাধ্যমে আমরা কমার্শিয়াল এ্যাপ্লায়েন্সেস এর ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল কম্পোনেন্ট সমূহের নাম, সার্কিটের সংযোগ স্থাপন ও টেস্ট দক্ষতা অর্জন করতে পারব। জবটি সম্পন্ন করার আগে প্রথমেই প্রয়োজনীয় তাত্ত্বিক বিষয়সমূহ জেনে নেই ।
এই শিখনফল অর্জনের মাধ্যমে আমরা ব্যক্তিগত নিরাপত্তার সরঞ্জাম, কর্মাশিয়াল এ্যাপ্লাইন্সেসের রেফ্রিজারেশন ইকুপমেন্ট, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স কম্পোনেন্ট সমুহ সম্পর্কে জানতে পারব ।
কাজ করার সময় যে সকল সরঞ্জাম বা ইকুইপমেন্ট ব্যবহার করলে নিজেকে মারাত্মক কোন দূর্ঘটনা থেকে রক্ষা করা যায় সেগুলিকে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জাম বা পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (সংক্ষেপে PPE বলে।
ব্যক্তিগত নিরাপত্তাসরঞ্জাম সমুহ-
কমার্শিয়াল এ্যাপ্লায়েন্সেস (ওয়াটার কুলার, ডি-হিউমিডিফায়ার ও বোতল কুলার) বাণিজ্যিক স্থানে বেশি ব্যবহৃত হয়। বিক্রয়কৃত দ্রব্যাদির গুনগত মান ঠিক রাখার জন্য তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ করা হয়। সাধারণত দ্রব্য সংরক্ষণে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে ডিসপ্লেকেইস ও আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণে ডি-হিউমিডিফায়ার ব্যবহৃত হয়। অপর দিকে পানি ঠান্ডা করার জন্য ওয়াটার কুলার ও পানিয় দ্রব্য ঠান্ডার জন্য বোতল কুলার ব্যবহার করা হয় ।
কমার্শিয়াল এ্যাপ্লায়েন্সেসের কম্পোনেন্টের পারফরমেন্স পরীক্ষা করার জন্য প্রয়োজন হবে-
রেফ্রিজারেশন সিষ্টেমে ব্যবহৃত কম্পোনেন্ট -
১ । কম্প্রেসর (Compressor)
২। ওয়েল লেভেল গেজ গ্লাস (Oil level gauge glass )
৩। ওয়েল সেপারেটর (Oil Separator)
৪। কন্ডেনসার (condenser)
৫। রিসিভার (Receiver)
৬। ফিল্টার বা ড্রায়ার ( Filter / drier )
৭। লিকুইড লাইন সলিনয়েড ভালভ (liquid line Solenoid Valve)
৮। সাইড গ্লাস ময়েশ্চার ইন্ডিকেটর (Side glass Moisture indicator)
৯ । এক্সপানশন ভালভ (Expeion valve)
১০। ইভাপোরেটর (Evaporator)
১১ । ফিলার বাল্ব (Feeler Blubs )
১২। ইভাপোরেটার প্রেসার রেগুলেটর (Evaporator Pressure Regulator)
১৩। সাকশন এ্যাকুমেলেটর (Suction Accumulator)
১৪। সাকশন লাইন ফিল্টার বা ড্রায়ার (Suction Line Filter / Drier)
১৫। সাটঅফ ভালভ (Shut off valae) এছারা হট গ্যাস ডি ফ্রস্টিং এর জন্য
১৬। সলিনয়েড ভালভ (Solenoid Valve)
১৭ । গ্যাস বাইপাস ভালভ (Hot gas Bypass Valve)
১। কম্প্রেসর (Compressor): এটি গ্যাসিয়াস রেফ্রিজারেন্টকে সংকুচিত করে। মূলত ইভাপোরেটর হতে যে কম চাপের বাষ্পায়িত রেফ্রিজারেন্ট আসে এটি উচ্চ চাপে তা সংকুচিত করে। এই ক্ষেত্রে রেফ্রিজারেন্টের ভাগ ও চাপ উভয় বৃদ্ধি পায় এবং ভাগ কমানোর জন্য সিস্টেমে কন্ডেনসার ও চাপ কমানোর এক্সপানসন ভালভ ব্যবহৃত হয়। | |
২। ওয়েল লেভেল গেজ গ্লাস (Oil Level Gauge Glass) কম্প্রেসরে অনেক ঘূর্ণায়মান যন্ত্রাংশ আছে। এদের পিচ্ছিল করার জন্য লুব্রিকেটিং তেল ব্যবহৃত হয়। তেল কমে গেলে কম্প্রেসর গরম হয়। তাই তেল দেখার জন্য ওয়েল লেভেল গেজ গ্লাস ব্যবহৃত হয়। | |
৩। ওয়েল সেপারেট (Oil Separator)। রেফ্রিজারেন্ট গ্যাসকে কম্প্রেসড করার সাে সাথে দুইিকেটিং তেল সিচার্জ গ্যাসের সাথে যায়। কম্প্রেসর ওরে ও রেফ্রিজারেন্ট গ্যাস কে পৃথক করার জন্য ওয়েল সেপারেটর ব্যবহার করা হয়। | |
৪। কন্ডেনসার (Condenser): চাপ ও তাপ যুক্ত গ্যাসিয়াস রেফ্রিজারেন্ট থেকে তা অপসারণের জন্য কন্ডেনসার ব্যবহৃত হয় । | |
৫। রিসিভার (Receiver) লিকুইড লাইন সলিনয়েড তালক্ষ চাপ যুক্ত করুণ রেফ্রিজারেন্ট সংরক্ষণ করে। | |
৬। লিকুইড লাইন সলেনত্বেও ভালভ (Liquid line Solenoid Valve): এটা বৈদ্যুতিক শক্তি চালিত একটি ভালভ । লিকুইড লাইনে থেকে একা ধক কুলিং কয়েন সংযুক্ত হলে সেক্ষেত্রে সপিনয়েড ডালত এর প্রয়োজন হয়। | |
৭। সাইড গ্লাস রেচার ইন্ডিকেটর (Side Glass Moisture Indicator): এক্সপানসন ভালভ এর আগে এটি সংযোগ করা হয়। এই গ্লাস দিয়ে দেখা যায় তরুণ গ্যাস এক্সপানসন জাল এ যাচ্ছে কিনা । | |
৮। এক্সপানশন ভালভ (Expeion valve): একে মূলত মিটারিং ডিভাইস বলে। ইভাপোরেটার চেম্বারে ভাগ অনুসারে তরুণ রেফ্রিজারেন্ট এর চাপ কমায় এবং ইভাপরেটারে প্রবেশ করায়। | |
৯। ইভাপোরেটর (Evaporator): এর মধ্যে নিম্ন চাপের তরুণ রেফ্রিজারেন্ট প্রবেশ করে। নিম্ন তাপ ও চাপের তরল রেফ্রিজারেন্ট পারিপার্শ্বিক নিম্ন তাপ শোষণ করে বাষ্পায়িত হয় এবং সাকশন পোর্ট দিয়ে কম্প্রেসারে প্রবেশ করে। | |
১০। ইভাপোরেটার প্রেসার রেখলেটর (Evaporator Pressure Regulator) একটি সিস্টেমে একাধিক কুলিং চেম্বার থাকলে ইভাপোরেটার প্রেসার রেগুলেটর ভালভ স্থাপন করতে হয়। প্রেসার রেডনেটর ভালভ এর আহ্বান কুলিং চেম্বারের পরে এবং এ্যাকুমেলের আগে থাকে । প্রতিটি কুলিং চেম্বারের জন্য একটি করে প্রেসার রেগুলেটর ভাল দরকার হয়। | |
১১। ফিলার বাল্ব (Feeler Blubs )ফিলার বাল্ব ( Feeler Blubs): এটা মুলত একটি সেলর । ইভাপোরেটার এ কম ঠান্ডা থাকলে এক্সপানসন ডাইল দিয়ে তরল রেফ্রিজারেন্টকে এক্সপানসন করার। | |
ওয়াটার কুলারের ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনির কম্পোনেন্ট
কম্প্রেসর
কম্প্রেসর যাহা ওয়াটার কুপারের রেফ্রিজারেশন সাইকেল পরিচলনা করে। এর কাজ মুলত রেফ্রিজারেন্টকে সংকুচিত করা। কম্প্রেসরের অভ্যন্তরে বৈদ্যুতিক মোটর থাকে। মোটরের দু'টি কয়েল থাকে একটি রানিং অপরটি স্টার্টিং। রানিং ও স্টার্টিং দু'টি কয়েল একত্রে কমন পয়েন্ট। কম্প্রেসরের ক্ষমতা ওয়াট দিয়ে প্রকাশ করা হয়। সিষ্টেমের সাকশন ও ডিসচার্জ টিউবের ডায়া এবং কম্প্রেসরের সাকশন ও ডিসচার্জ পোর্টের ডায়ার মাপ এক হওয়া উচিত। সাধারনত কম্প্রেসরের উপর কমন (C), ডান হাতে রানিং (R) এবং ৰাম হাতে স্টার্টিং (S) সংযোগ পয়েন্ট থাকে।
ওভারলোড প্রটেক্টর
• সিস্টেমে ব্যবহৃত কম্প্রেসরকে ওভার কারেন্টের হাত থেকে রক্ষা করে। এটা কম্প্রেসরের সিরিজে সংযুক্ত থাকে ।
• সিংগেল ফেজ মোটর চালনায় রিলে ব্যবহৃত হয়।
নিচের চার্ট থেকে আমরা ওভারলোড প্রটেক্টর নির্বাচন করতে পারব-
ওভারলোড প্রটেক্টর নির্বাচনের ছক। মুভমেন্ট ইলেকট্রিসিটি অর্থাৎ যে কারেন্টে সিষ্টেম পরিচালিত হয় এবং সিষ্টেম ত্রুটিযুক্ত হলে ওভারলোড কারেন্ট প্রবাহিত হয়।
কমার্শিয়াল এ্যাপ্লায়েন্সেস (রেফ্রিজারেশন) ইকুইপমেন্ট প্রায় সব একই তবে আকৃতিতে বড় এবং সুক্ষ্ম তাপমাত্রা পাওয়ার জন্য অতিরিক্ত কিছু ইকুইপমেন্ট যেমন- ওয়েল সেপারেটর, রিসিভার ( Receiver), সলিনয়েড ভালভ ইত্যাদি সংযুক্ত থাকে।
কমার্শিয়াল এ্যাপ্লায়েন্সেস (ওয়াটার কুলার, ডি-হিউমিডিফায়ার ও বোতল কুলার) বাণিজ্যিক স্থানে বেশি ব্যবহৃত হয়। বিক্রয়কৃত দ্রব্যাদির গুণগত মান ঠিক রাখার জন্য তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ করা হয়। সাধারণত দ্রব্য সংরক্ষণে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে ডিসপ্লেকেইস ও আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণে ডি-হিউমিডিফায়ার ব্যবহৃত হয়। অপর দিকে পানি ঠান্ডা করার জন্য ওয়াটার কুলার ও পানীয় দ্রব্য ঠান্ডার জন্য বোতল কুলার ব্যবহার করা হয় । কমার্শিয়াল এ্যাপ্লায়েন্সেস এর কম্পোনেন্টের পারফরমেন্স পরীক্ষা করার জন্য প্রয়োজন-
যে যন্ত্র শুধু রেফ্রিজারেশন সিস্টেমে ব্যবহৃত হয় তা রেফ্রিজারেশন টুলস। রেফ্রিজারেশন সিস্টেম সার্ভিসিং ও মেইন্টেনেন্স করার জন্য রেফ্রিজারেশন টুলস প্রয়োজন হয়।
1. Tube Cutter
2. Flaring Tools
3. Electric Cordless Flaring tools
4. Expander tools
5. Tube Bender
6. Other tools / grip pliers
7. Leak Detector
8. Charging Scale
9. Manifolds and Hose
10. Access Fitting s and Quick Couplers
11.Vacum pump and Charging station
12. Refrigerant Recovery Unit
13. Gas Torch
14. Manifolds gage
কমার্শিয়াল এ্যাপ্লায়েন্সেস (ওয়াটার কুলার, ডি-হিউমিডিফায়ার, ডিসপ্লেকেইস বোতল কুলার) পরীক্ষার জন্য ব্যবহৃত ইন্সট্রুমেন্ট
এই শিখনফল অর্জনের মাধ্যমে আমরা কমার্শিয়াল এ্যাপ্লায়েন্সেস সমূহের ইলকট্রিক্যাল কম্পোনেন্ট সমূহের নাম জানবে, পরীক্ষা করার জন্য মেজারিং ইন্সট্রুমেন্ট ক্যালিব্রেট করতে এবং এটি পারফর্ম করতে পারবে।
ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স সিমেট্রিক (Symmetric) ওয়্যারিং ডায়াগ্রাম ।
সার্কিট ফেজ লাইন (L) অর্থাৎ ফেজ এর সাথে এটি সংযুক্ত হয়। ফেজ সবসময় হাতের ডানে থাকে। এখান থেকে দু'টি লাইন বের হয়েছে, একটি ওয়াটার কুলিং লাইনের সাথে সংযুক্ত অপরটি ওয়াটার হিটিং লাইনের সাথে সংযুক্ত থাকে।
হিটিং লাইনে একটি সুইচ থাকে যেটা অন করলে বা সংযোগ দিলে লাল বাতি জ্বলবে। এই লাইন ৮৮°C সেলসিয়াস থার্মোস্ট্যাট এর সাথে সংযুক্ত থাকে এবং অপর অংশ হিটারের সাথে সংযুক্ত থাকে। হিটার অবশ্যই আর্থিং করা থাকে। হিটার থেকে পুনরায় ৯৫° সেলসিয়াস থার্মোস্ট্যাটে সংযুক্ত হয়ে নিউটাল (N) লাইনের সাথে সংযুক্ত হয়। হিটারের সাথে প্যারালালে দু'টি ডায়োড ও একটি রেজিস্টেন্স থাকে। পানি গরমের সময় ক্রিস্টাল ডায়োড লাল রং দেখায়।
কুলিং সুইচের লাইন সাথে সংযুক্ত হয় যা অন করলে ইন্ডিকেটর সবুজ রং ধারণ করে। সুইচের অপর মাথা থার্মোস্ট্যাটের সাথে সংযুক্ত হয়ে ওভার লোড রিলে কম্প্রেসার মোটরে সংযুক্ত হয়ে নিউটালে (N) যায়। ওয়াটার হিটারের মত এখানেও ইন্ডিকেটর সার্কিট আছে। এই সার্কিট কম্প্রেসর মটরের সাথে প্যারালালে সংযুক্ত থাকে অর্থাৎ থার্মোস্ট্যাটের এক প্রাপ্ত রেজিস্ট্যান্স ডায়োড হয়ে নিউটালে সংযুক্ত হয়।
সিস্টেমে E বা আর্থিং অংশ বিদ্যুতের আর্থিং লাইনের সাথে সংযুক্ত করা হয়। কারণ সিস্টেমে কোনো লিকেজ কারেন্ট থাকলে আর্থিং এর জন্য এর কোন কার্যকরী ক্ষমতা থাকেনা।
এটি নির্বাচন করে মেরামতের সাপেক্ষে পুনরার সংযোজন করতে হবে।
মানুষের আরামদায়ক এবং স্বাস্থ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি করতে বাতাসের আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন হয় । তাই শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের মূল কাজ হল কক্ষে বাতাসের আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ করা। কারণ বাতাসের আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ করলে তাপমাত্রা এমনিতে নিয়ন্ত্রণ হয়ে যায়। আরামদায়ক ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশের জন্য আর্দ্রতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ অপরিহার্য। গ্রীষ্মকালে বাতাসের আর্দ্রতা ৫০% হতে ৬৮% এবং শীতকালে ৪০% হতে ৫৫% রাখা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
আর্দ্রতা হ্রাস করণ ঃ বায়ুর তাপমাত্রার সাথে আর্দ্রতা যথেষ্ট সম্পর্ক যুক্ত। গ্রীষ্মকালে বায়ুতে আর্দ্রতা বেশি থাকে। তাই ঐ সময় বায়ুর আর্দ্রতা ও তাপমাত্রা উভয়ই কমানোর প্রয়োজন হয়। বায়ুর আর্দ্রতার কমানোর পদ্ধতিকে ডি-ডিউমিডিফিকেশন এবং যার সাহায্যে আর্দ্রতা কমানো হয়, তাকে ডি- হিউমিডিফায়ার বলে।
সাধারণত দু'টি উপারে আর্দ্রতা কমানো হয়-
১। রেফ্রিজারেশন পদ্ধতির মাধ্যমে
৩। রাসায়নিক পদ্ধতির মাধ্যমে
ডি-হিউমিডিফায়ার দুই প্রকার -
১। আবাসিক ডি-হিউমিডিফায়ার
৩। বাণিজ্যিক ডি-হিউমিডিকারার
আবাসিক ডি-হিউমিডিফারার
কোন আবদ্ধকক্ষে বাতাসে অবস্থিত শুধু জলীয়বাষ্প বা আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ বা কমানোর জন্য ব্যবহৃত হিমায়ন যন্ত্রকে ডি-হিউমিডিফায়ার বলা হয়। হিমায়ন যন্ত্রের মধ্যে এটাই সবচেয়ে ছোট যন্ত্র। যা ঘরের মেঝেতে সুবিধা মত জায়গায় বসানো বা স্থাপন করা হয়। এয়ার কুলারের মত এতেও কিল্টার ব্যবহৃত হয়। যার জন্য কুলিং কয়েল ও কন্ডেলার ফিলে ময়লা জমতে পারে না।
এ ধরনের ইউনিটের ক্ষমতা সাধারণত ১/৮ হতে ১/৩ Hp পর্যন্ত হয়। ডি-হিউমিডিফায়ারের কার্য পদ্ধতি, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ একটি আবাসিক রেফ্রিজারেটরের মতই। এতে কোন থার্মোস্ট্যাট ব্যবহারের প্রয়োজন হয় না।ডি-হিউমিডিফায়ার সাধারণত সিন্ড টাইপ বা হারমেটিক কম্প্রেসর-মোটর, এয়ার কুল্ড কন্ডেন্সার, ড্রায়ার, ক্যাপিলারি টিউব, কুলিং কয়েল এবং ফ্যানের সমন্বয়ে গঠিত। ডি- হিউমিডিফায়ারের সমস্ত অংশগুলো একটি আয়তাকার খাড়া কেসিং দিয়ে উপরের দিকে ও পার্শ্বের দুই দিকে ঢাকা থাকে এবং সামনের ও পেছনের দিকে বায়ু প্রবাহের ব্যবস্থা রাখা হয়। কুলিং কয়েলের সাথে একটি এয়ার ফিল্টার সংযুক্ত থাকে। এতে কুলিং কয়েল কন্ডেন্সার ধুলাবালি থেকে রক্ষা পায়। ইউনিট স্থানান্তর করার জন্য কেসিং-এর তলদেশ চারটি গোলাকার ছোট চাকা ব্যবহার করা হয়। কুলিং কয়েলের নিচে পানি জমার জন্য পাত্র থাকে যা থেকে মাঝে মাঝে পানি বের করে নিতে হয়।
ইউনিট চালু করলে কম্প্রেসর মোটর এবং ফ্যান মোটর উভয় এক সাথে চলতে থাকে, ফলে কুলিং কয়েল খুব ঠাণ্ডা হয়। কক্ষের বাতার ফ্যানের মাধ্যমে কুলিং কয়েল দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সময় অধিক ঠাণ্ডা হয় এতে বাতাসে অবস্থিত জলীয়বাষ্প ঠাণ্ডা হয়ে পানিতে পরিণত হয়ে থাকে। সেই পানি বের করে দেয়া হয়। অপরদিকে আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রিত বাতাস কক্ষে কন্ডেন্সারের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে বাতাসের তাপমাত্রা বেড়ে যায় ও RH কমে যায়। এভাবে হিমায়ন প্রক্রিয়ায় ডি-হিউমিডিফায়ার কক্ষে বাতাসের আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
ডি-হিউমিডিফায়ারের ব্যবহার :
ডি-হিউমিডিফায়ার সাধারণত মূল্যবান ঔষধপত্র, রাসায়নিক পদার্থ, ইলেকট্রনিক্স ও বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, কম্পিউটার ল্যাব, সেনসিটিভ ইকুইপমেন্ট এবং সার্জিক্যাল যন্ত্রপাতি সংরক্ষণাগারে ব্যবহার করা হয়। তদুপরি মূল্যবান মেশিনারী বা যন্ত্রপাতি ও শুষ্ক রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। বাসা বাড়ির আর্দ্রতা কমানোর জন্যও ব্যবহার করা যায় ।
বাণিজ্যিক ডি-হিউমিডিফায়ার
বাণিজ্যিক ডি-হিউমিডিফায়ার মিল কারখানা বা অফিস বিল্ডিং এর বাতাসে অবস্থিত জলীয়বাষ্প বা আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ বা কমানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। এই ডি-হিউমিডিফায়ার বেশি ক্ষমতার হয়ে থাকে। প্লান্টটি একটি কক্ষে স্থপন করে সাপ্লাই এবং ফেরত ডাক্টের মাধ্যমে বিভিন্ন কক্ষে বাতাস সঞ্চালন করা হয়। চিত্র ২.৫ এর মাধ্যমে বাণিজ্যিক ডি-হিউমিডিফায়ারের বাতাস সঞ্চালন ব্যবস্থা দেখানো হয়েছে। ডাক্টের মধ্যে প্রবাহিত বাতাস কুলিং কয়েল বা ইভাপোরেটরের সংস্পর্শে আসলে তা ঠাণ্ডা হয়, ফলে বাতাসে অবস্থিত জলীয়বাষ্প ঠাণ্ডা হয়ে পানিতে পরিণত হয় এবং পানির পাত্রে জমা হয়। এ প্রক্রিয়ায় বাতাসের আর্দ্রতা কমে যায় বা নিয়ন্ত্রণ হয়। অপরদিকে পাত্রে জমাকৃত পানি ফ্লোট ভাল্ভ দিয়ে নিয়ন্ত্রণ ও ড্রেন পাইপের মাধ্যমে অপসারণ হয় ।
বাণিজ্যিক ডি-হিউমিডিফায়ারের বিভিন্ন অংশগুলো নিম্নরূপ-
বাণিজ্যিক ডি-হিউমিডিফায়ার স্থাপন
মেজারিং ইন্সট্রুমেন্ট এর সাহায্যে ডিহিউমিডিফায়ার পরীক্ষা
ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স সিমেট্রিক ওয়্যারিং ডায়াগ্রাম সম্বন্ধে আলোচনা ।
ইলেকট্রিক কম্পোনেন্ট সমূহের পারফরমেন্স (Performance of Electric Components)
উক্ত সার্কিটের সংযোগে প্রধান ভূমিকায় আছে টাইমার, তাই মোটা লাইন দিয়ে সার্কিট দেখানো হয়েছে। এটা সরাসরি ফেজ থেকে টাইমার মোটর কয়েল হয়ে নিউট্রালে যায়। টাইমারের দু'টি আউট গোয়িং পয়েন্ট ৩ ও ৪। ৩ নং এ সংযুক্ত থাকে ডি-ফ্রষ্টিং হিটার এবং এর সিরিজে থাকে থারমার কুলিং ওভার লোড। কুলিং ওভার লোড কম তাপমাত্রায় কাজ করে। ডিফ্রষ্টিং হিটার চালু থাকলে ইভাপরেটর ফ্যান সহ সম্পূর্ণ সিষ্টেম বন্ধ থাকে। ৪ নং পয়েন্টের সংযোগ পুরো সিস্টেম পরিচালনা করে। এখানে থার্মোস্ট্যাট সুইচ, হাই প্রেশার সুইচ, লো প্রেশার সুইচ ও কন্টাক কয়েল সিরিজে সংযুক্ত থাকে। হাই প্রেশার সুইচ, লো প্রেশার সুইচ সেফটি ডিভাইস হিসেবে কাজ করে এবং থার্মোস্ট্যাট সুইচ সিষ্টেম অপারেটর হিসেবে কাজ করে। ম্যাগনেটিক কন্ট্রাকটর কম্প্রেসর পরিচালনায় সুইচ হিসেবে কাজ করে।
ইলেকট্রিক কম্পোনেন্ট সমূহের তালিকা
টাইমার
টাইমার একটি মটর, এটা সবসময় চলতে থাকে ১, ২, ৩, ৪ নং কানেকশন পয়েন্ট আছে। এখানে ৩ নং ডিফ্রষ্ট হিটারের সাথে সংযুক্ত আর ৪ নং কম্প্রেসর। কম্প্রেসরের সাথে সংযুক্ত থার্মোস্ট্যাট, লো প্রেশার, সুইচ হাইপ্রেসার সুইচ, ম্যাগনেটিং কন্ডাক্টরের কয়েল থাকে।
টাইমার স্পেসিফিকেসন-
ডি-ফ্রস্ট হিটার
এটা টাইমারের ৩ নং পয়েন্টে সংযুক্ত থাকে। এটি মূলত ইলেকট্রিক হিটার । ইভাপরেটারে অতিরিক্ত বরফ জমলে ডি-ফ্রষ্টিং করানোর কাজে ব্যবহৃত হয়। অতিরিক্ত বরফ বা ঠান্ডা নির্ধারণ করে কুলিং ওভারলোড প্রটেক্টর হিটারে সংযোগ দেয়।
ডিফ্রস্ট থার্মোস্ট্যাট
এর সাথে ইভাপোরেটর ফ্যান সিরিজের সংযুক্ত থাকে। ডি-ফ্রস্টিং এর সময় গরম বায়ু সর্বস্তরে যাতে না ছড়ায় এ জন্য ব্যবহৃত হয়।
কুলিং ওভারলোড
নির্দিষ্ট তাপমাত্রা বা সেটিং টেম্পারেচারের কম তাপমাত্রায় ডি- ফ্রস্টিং সিষ্টেম চালু করে।
ইভাপোরেটর
ঠান্ডা তাপমাত্রা সর্বত্র পৌছানোর জন্য ইভাপরেটরে ফ্যান ব্যবহৃত হয়। সাধারণত ইভাপোরেটরের নিকটে থাকে এক্সপানশন ভালভ, থার্মোস্ট্যাট, ডোর সুইচ, ও কেবিনেট ল্যাম্প।
কন্ডেনসার
কম্প্রেসারের তাপ ও চাপ যুক্ত রেফ্রিজারেন্ট থেকে তাপ অপসারণ করে কন্ডেন্সার। তাপ অপসারণ করার জন্য কন্ডেনসার ফ্যান ব্যবহৃত হয়। তবে বড় আকারের সিষ্টেমের জন্য কুলিং টাওয়ার ব্যবহার করা হয়।
থার্মোস্ট্যাট
বোতল কুলারের কাঙ্খিত তাপমাত্রা পাওয়ার জন্য থার্মোস্ট্যাটে নির্দিষ্ট তাপমাত্রা সেট করা হয়।
পটেনশিয়াল রিলে
সিঙ্গেল ফেজ ইন্ডাকসন মোটর চালুর জন্য পটেনশিয়াল রিলে প্রয়োজন হয়। সাধারণত পটেনশিয়াল চাপ বা বৈদ্যুতিক চাপে এটি কাজ করে। পটেনশিয়াল রিলেতে স্টার্টিং ও রানিং ক্যাপাসিটর সংযুক্ত করা যায়। গঠনের দিক থেকে এর সংযোগ পয়েন্ট ১,২,৫ নং হয়। ২ ও ৫ নং পয়েন্ট কয়েলের দু'টি মাথা ষ্টার্টিং ও কমনে সংযুক্ত হয় অর্থাৎ ২ নং পয়েন্ট স্টার্টিং কয়েলের মাথা, ৫ নং কমনের মাথায় যুক্ত হবে । ১ নং ষ্টার্টিং ও ২ নং রানিং ক্যাপাসিটর সংযুক্ত হয় এবং ক্যাপাসিটরের অপর দুই মাথা নিউট্রালে সংযুক্ত হয়। পটেনশিয়াল রিলে ক্রয় বা পরিবর্তনের (স্পেসিফিকেশনের) পিক আপ, ড্রপিং, এবং রেটিং ভোল্টেজ জানা দরকার ।
স্পেসিফিকেশন
এটা সাধারণত সাকশন লাইনের সাথে সংযুক্ত থাকে। লো প্রেসার সুইচে ডিফারেন্টয়িাল এ্যাডজাস্টমেন্ট ও রেঞ্জ এ্যাডজাস্টমেন্ট নামে দুইটি এ্যাডজাস্টমেন্ট নব থাকে ।
হাই প্রেসার সুইচ অপসারণ করতে না পারলে ডিসচার্জ প্রেসার বেশি হয় এটি কম্প্রেসরকে বন্ধ করে এবং দূর্ঘটনার হাত থেকে সিস্টেমকে রক্ষা করে। হাই প্রেসার সুইচ একবার বন্ধ হলে রিসেট করার দরকার হয়।
হাই প্রেসার সুইচের স্পেসিফিকেশন
এটি সাধারনত ডিসচার্জ লাইনে সংযুক্ত হয়।
রানিং ক্যাপাসিটর
এটা মটরকে চালাতে এবং কার্যকারি গতি ঠিক রাখার জন্য ব্যবহৃত হয়। এর মান ১.৫ থেকে ৬০ (MFD) পর্যন্ত হ।
স্পেসিফিকেসন
স্টাটিং ক্যাপাসিটর
এটি মটরকে শুধুমাত্র চালাতে সাহায্য করে । মোটর স্টার্ট হয়ে কার্যকারি গতি পাবার পর ৱিলে বা সেন্টিফিউগ্যাল সুইচ দিয়ে এর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। সাধারণত রেফ্রিজারেটরে ৪০ - ৭০ (MFD) এবং এয়ার কন্ডিশনারের জন্য ৮০-১০০ (MFD) হয়।
স্পেসিফিকেশন- ২০০ / ২৫০ MFD : 250 VAC + 550 HZ; TEMP -10"/85° C
এতে একটি মাত্র সিস্টেম থাকে কিন্তু অনেক গুলো কুলিং চেম্বার থাকে যেমন ডেইরি পন্য, আইস ক্রিম, সবজি কেবিন ইত্যাদি। এখানে ভিন্ন ভিন্ন চেম্বারে ভিন্ন ভিন্ন তাপমাত্রা রাখা হয়। কোন কোন চেম্বারে আবার আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ করা হয়। যদিও দ্রব্যাদি বিক্রয় করার জন্য FIFO (First in First out ) নীতি অনুসরন করা হয়। ডিসপ্লে কেসে দীর্ঘ সময় যাবত দ্রব্যাদির গুনগত মান অক্ষুণ্য থাকে। বিধায় ভেন্ডর (Vendor) বা বিক্রেতা যেমন লাভবান হয় ক্রেতারাও টাটকা জিনিস পেয়ে খুশি হয়।
মেজারিং ইন্সট্রুমেন্ট এর সাহায্যে ডিসপ্লে কেইস পরীক্ষা
পন্যের গুনগত মান ঠিক রাখার জন্য কমার্শিয়াল ডিসপ্লে কেইস এ বিভিন্ন ভাগ মাত্রা ভিন্ন ভিন্ন কেসে থাকে। এই ক্ষেত্রে লিকুইড লাইন থেকে একাধিক কেস এর জন্য একাধিক কুলিং করেন বা ইভাপোরেটর থাকে। নিচে কয়েকটি কেসের নাম দেয়া হল ।
১। মুদিখানা গ্রোসারি (Grocery) মিডিয়াম তাপমাত্রার রাখা হয় । গরমও না, ঠান্ডা না তবে আর্দ্রতা কম রাখা হয়।
চিত্রে উল্লেখিত, কেসের অভ্যন্তর রেফ্রিজারেশন ফ্লো লাল রং লিকুইড লাইন এবং নীল রং ভ্যাপার লাইন । কেসের তাপমাত্রা অনুসারে লিকুইড লাইনে (TXV) থার্মোস্টেটিক এক্সপানসন ভালভ সংযুক্ত থাকে। এখানে 0°F, °F ও 68°F তিনটি কেবিনেটের তাপমাত্রা সেট করা আছে। সিস্টেমের সাকশন লাইনে কম্পাউন্ড প্রেশার গেজ (হাই ও লো উভয় প্রেসার পরিমাপ করা যায়) সংযুক্ত কর। | |
এই ক্ষেত্রে পন্যের নাম অনুসারে ডিসপ্লে কেইস এর কেবিনের তাপমাত্রা ঠিক আছে কিনা তা থার্মোমিটারে দেখি, ঠিক না থাকলে পরীক্ষা করে ত্রুটি নির্বাচন করি। | |
থার্মোস্টেটিক এক্সপানসন ভালভ দেখি । প্রয়োজনে সিস্টেম লক করে থার্মোস্টেটিক এক্সপানসন ভালভ খুলে সার্ভিসিং করি । প্রথমে লিকুইড লাইনের ভালভ বন্ধ করি কিছুক্ষন পর দেখব কম্পাউন্ড গেজের কাঁটা ৩০o in Hg হয়, তখন সাকসন লাইনের ভালব বন্ধ করি, এইভাবে সিষ্টেম লক করা হয়। সিস্টেম লক করে থার্মোস্টেটিক এক্সপানসন ভালভ খুলে সার্ভিসিং করি। | |
ছাদের উপর কম্প্রেসর ও কন্ডেনসার রুম থাকে, একে মেশিন রুম বলে। মেশিন রুমে কম্প্রেসর, যাই, লো এবং ওয়েন প্রেশার কাট আউট থাকে । গ্যাসের চাপ দেখার জন্য হাই, লো প্রেসার গেজ সংযুক্ত থাকে। সাধারনত সাকসন প্রেসার ও ওয়েল প্রেসার একই থাকে। | |
কম্প্রেসর রুমে রেফ্রিজারেন্টের চাপ পরীক্ষা করার ক্ষেত্রে ডাবল গেল মেনিফোড সংযুক্ত করা হয়। কম্পাউন্ড গেজ সাকশন লাইনে এবং হাই প্রেসার গেজ লিকুইড লাইনে সংযুক্ত করে সাকশন ও ডিসচার্য প্রেসার দেয়া হয়। | |
ইভাপোরেটর ফ্যান ঠিক আছে কিনা অ্যাতো মিটার দিয়ে দেখি। ইভাপোরেটর ফ্যান ডিসপ্লে কেইস এর মধ্যে থাকে। | |
অ্যাভো মিটার দিয়ে সিস্টেমের কম্প্রেসর মোটর পরীক্ষা করি। সহজ ভাবে সুইচিং করার জন্য ম্যাগনেটিক কন্ডাক্টরের সাথে কম্প্রেসার মোটরের টার্মিনাল সংযোগ করা হয়। অ্যাভো মিটার দিয়ে কন্ডাক্টরে সংযোগ পরীক্ষা করি। | |
আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণে হিউমিডিটেট (Humidistat) কাট আউট ব্যবহৃত হয়। আমরা জানি বাতাসে তাপমাত্রা কম থাকলে আর্দ্রতা কম থাকে। আর্দ্রতা বৃদ্ধি করার বিভিন্ন পদ্ধতি আছে। আর্দ্রতা বাড়ানোর জন্য হিউমিডিফায়ার (Humidifier) ব্যবহার করা হয়। এটি একটি ইলেকট্রনিক্স এ্যাপায়েল । | |
কেসের তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা মনিটর দেখি। ঠিক থাকলে তাপমাত্রা, আর্দ্রতা এবং ডিফ্রষ্ট টেম্পারেচার (Defrost Temp ) সেট করি। বিভিন্ন কেলের তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা ভিন্ন থাকে। |
এই শিখনফল অর্জনের মাধ্যমে আমরা কমার্শিয়াল এ্যাপ্লায়েন্সেস এ ব্যবহৃত যন্ত্রাংশের অবস্থান চিহ্নিত ও পারফরমেন্স পরীক্ষা করতে পারবে।
এটি হিমায়ন যন্ত্র, যার সাহায্যে বিশুদ্ধ খাবার পানিকে ঠান্ডা করে পান উপযোগী তাপমাত্রায় আনা হয় । এখানে পানির তাপমাত্রা রাখা হয় ১০° সেলসিয়াস বা ৫০°F ফারেনহাইট। উৎপাদকের উৎপাদন কৌশল এবং ব্যবহার ক্ষেত্রের উপর নির্ভর করে পানির তাপমাত্রা ভিন্ন ভিন্ন রাখা হয়। অফিস বা ব্যাংক এ অবস্থানকারির জন্য পানির তাপমাত্রা ১০° সেলসিয়াস, শিল্পকারখানায় কর্মরত শ্রমিক ও স্কুল-কলেজের ছাত্রের জন্য ১০ থেকে ১৩° সে রাখা হয়। আবার হাসপাতাল, রেস্টুরেন্ট, ক্যাফেটেরিয়া ৭.৫° সে হতে ১০° সে পানির তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে ।
রেফ্রিজারেশন ডি-হিউমিডিফায়ার ( Refrigeration D - Humidifier) এ কন্ডেনসার, কম্প্রেসর, ইভাপোরেটর, এক্সপানশন ভাল ও বায়ু প্রবাহের জন্য একটি ব্রোয়ার ফ্যান থাকে। কন্ডেনসার এবং ইভাপোরেটর পাশাপাশি থাকে । ইভাপোরেটরের উপর দিয়ে বায়ু প্রবাহিত হয়। বাষ্পায়িত বায়ু (Air + H2O) কুলিং করেলের উপর দিয়ে প্রবাহিত করানো হয়। জলীয় বাষ্প কুলিং কয়েলের সংস্পর্শে এসে H2O বা আর্দ্রতা ঘনীভূত হয়ে ভরলে রুপান্তর হয় এবং পানি ওয়াটার বাকেটে জমা হয়। শুল্ক আর্দ্রতা যুক্ত বায়ু কন্ডেনসার এর উপর দিয়ে প্রবাহিত করানো হয়।
ডিসপ্লে কেইস বৃহৎ ও ছোট উভয় আকারের ব্যবহৃত হয়। সাধারণত বিক্রয়ের মালামালের গুনাগুন ঠিক রাখার জন্য এই সিস্টেম ব্যবহৃত হয়। বড় আকারের ডিসপ্লে কেলের ইনডোর বা ইভাপোরেটর ইউনিটে ভিন্ন ভিন্ন তাপমাত্রা রাখা হয়। তাপমাত্রা ঠিক রাখার জন্য হট গ্যাস ডি-ফ্লটিং করা হয়। এর জন্য সনিয়েড ভালভ ব্যবহৃত হয়।
চিত্রে নীল অংশ আউট সাইড অংশ। এটি সাধারণত ছাদের উপরে থাকে এবং অন্য অংশ কেসের অভ্যন্তরে থাকে। কেলের ভেতরে থাকে, সাইড গ্লাস, সলিনয়েড ভালভ, থার্মোস্টেটিক ভালভ, ইভাপোরেটর ও ফ্যান । কেসের সংখ্যা বেশী থাকলে প্রেসার রেগুলেটিং ভালভ সংযুক্ত থাকে।
সার্কিটে মেকানিক্যাল কম্পোনেন্ট
চিত্রে কেসের মধ্যে কুলিং সিস্টেম দেখানো হল। একাধিক ফেসের জন্য একাধিক থার্মোস্টেটিক এক্সপানসন ভালত থাকে এবং তাপমাত্রা মাগার জন্য প্রতিটি কেসে একটি থার্মোমিটার থাকে। তাপমাত্রা বেশী হলে সপিনয়েড ভালক ওপেন হয়ে ফ্লুইড সরবরাহ করে। তাপমাত্রা কম হলে সলিনয়েড ভালভ বন্ধ থাকে।
সাধারণত ডিসপ্লে কেইসে থাকে
এই শিখন ফলে আমরা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার করণীয় কাজ গুলো জানতে পারব এবং পরিক্ষাকারক উপাদানগুলোর নাম চিত্র সহ জানতে পারব ।
কাজ শুরু করার আগে এবং পরে কর্মক্ষেত্র পরিষ্কার করা একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার জন্য বিভিন্ন ধরণের ক্লিনিং ইকুইপমেন্ট পাওয়া যায়। ব্যয়বহুল হলেও কার্যকারী ইকুইপমেন্ট ব্যবহার করলে অতি অল্প সময়ে কাজটি সম্পন্ন করা সম্ভব।
পারদর্শিতার মানদণ্ড:
(ক) ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম:
(খ) প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি (টুলস, ইকুপমেন্ট ও মেশিন)
গ) মালামাল (Raw Materials ) :
(খ) কাজের ধারা-
ওয়াটার কুলার
১। নির্দিষ্ট স্পেসিফিকেশনের (Power Supply - V/Hz/ Ph - 220-240 /50 / 1; Operation Current 1.0 A; Ambient air temp 90°F Chilled drinking water 50°F) একটি ওয়াটার কুলার নিতে হবে
২। ওরাটার কুলারে বৈদ্যুতিক সংযোগ দেও এবং চালাও
৩। ইনফ্রারে ডিজিটাল থার্মোমিটার দিয়ে এর তাপমাত্রা পরীক্ষা করো
৪। ওয়াটার কুলারে বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন
৫। ওয়াটার কুলার এর পেছনে ওয়্যারিং ফারাগ্রাম দেখ
৬। কভার প্লেট খোলার জন্য টুলস নির্বাচন করো
৭। ওয়াটার কুলার এর ফ্রন্ট কভার প্লেট খোল
৮। যা দেখলে তার একটি তালিকা তৈরি করো
৯। পুনরায় সংযোগ করো
১০। বৈদ্যুতিক সংযোগ দেও এবং চালাও
১১। যথাস্থানে সংরক্ষণ করো
ডিসপ্লে কেইস
১। নির্দিষ্ট স্পেসিফিকেশনের (Case Temperature [ Evaporator ] °C, Multidisc meat 2.2; Single level open -12.2) একটি ডিসপ্লে কেইস এর নিকট যাও ।
২। বৈদ্যুতিক সংযোগ অবস্থায় ইনফ্রারে ডিজিটাল থার্মোমিটার দিয়ে এর তাপমাত্রা পরীক্ষা করো ।
৩। কেসের কভার প্লেট খোল ।
৪। যা দেখলে তার একটি তালিকা তৈরি করো।
৫। পুনরায় সংযোগ করো ।
৬। বৈদ্যুতিক সংযোগ দাও এবং চালাও।
৭। যথাস্থানে সংরক্ষণ করো।
ডি-হিউমিডিফায়ার
১। নির্দিষ্ট স্পেসিফিকেশনের (Power Supply -V/Hz / Ph - 220-240 / 50 / 1; Power Input 655W ; Operation Current 2.8 A ; Moisture removal at 27.2°C ~ 30°C) একটি ডিসপ্লেকেইস এর নিকট যাও
২। ডি-হিউমিডিফায়ারে বৈদ্যুতিক সংযোগ দেও এবং চালাও
৩। ইনফ্রারে ডিজিটাল থার্মোমিটার দিয়ে এর তাপমাত্রা পরীক্ষা করো ।
৪। ডি-হিউমিডিফায়ারের বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করো ।
৫। ডি-হিউমিডিফায়ারের পেছনে ওয়্যারিং ডায়াগ্রাম দেখ
৬। কভার প্লেট খোলার জন্য টুলস নির্বাচন করো ।
৭। ডি-হিউমিডিফায়ার এর ফ্রন্ট কভার প্লেট খোল
৮। যা দেখলে তার একটি তালিকা তৈরি করো ।
৯। পুনরায় সংযোগ
১০ । বৈদ্যুতিক সংযোগ দেও এবং চালাও
১১। যথাস্থানে সংরক্ষণ করো ।
বোতল কুলার
১। নির্দিষ্ট স্পেসিফিকেশনের (টেম্পারেচারে রেঞ্চ ৩° সে থেকে ১১° সে, পাওয়ার রেটিং ২৫০ ওয়াট ক্যাপাসিটি ৩৩০ ml বোতল ৮৪ টি) একটি বোতল কুলার নাও ।
২। বোতল কুলার পেছনে ইলেকট্রিক্যাল ওয়্যারিং ডায়াগ্রাম দেখ
৩। বোতল কুলার কিছুক্ষন চালাও, চালানোর পর
৪। সাপ্লাই কড বিচ্ছিন্ন করো ।
৫। স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে কভার প্লেট খোল
৬। সিস্টেম হতে কম্পোনেন্ট বিচ্ছিন্ন কর
৭। প্রতিটি কম্পোনেন্ট এর স্পেসিফিকেশন দেখ (ভোল্টেজ, কারেন্ট)
৮। স্পেসিফিকেশন অনুসারে কম্পেনেন্ট পরীক্ষা করার জন্য মেজারিং ইনস্ট্রুমেন্ট নির্বাচন করো ।
৯। কম্পোনেন্ট সমূহের তলিকা প্রস্তুত করে পুনরায় কম্পোনেন্ট সমূহ যথাযথ স্থাপন করো ।
১০। পুনরায় সাপ্লাই কড প্লাগে স্থাপন কিছুক্ষণ চালাও
১১। সিস্টেমকে যথাস্থানে রাখ
কাজের সতর্কতা:
আত্মপ্রতিফলন
কমার্শিয়াল এ্যাপ্লায়েন্সেসের কম্পোনেন্ট সমুহ পরীক্ষা করার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করার দক্ষতা অর্জিত হয়েছে /হয় নাই /আবার অনুশীলন করতে হবে।
পারদর্শিতার মানদন্ড
(ক) ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম:
(খ) প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি (টুলস, ইকুপমেন্ট ও মেশিন)
গ) মালামাল (Raw Materials ) :
ডায়াগ্রামঃ
(ঘ) কাজের ধারা-
১। নির্দিষ্ট স্পেসিফিকেশনের একটি বোতল কুলার সংগ্রহ করো ।
২। বোতল কুলারের পেছনে ইলেকট্রিক্যাল ওয়্যারিং ডায়াগ্রাম দেখ
৩ । বোতল কুলার কিছুক্ষণ চালাও, চালানোর পর
৪। সাপ্লাই কড বিচ্ছিন্ন করো ।
৫। স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে কভার প্লেট খোল
৬। সিস্টেম হতে কম্পোনেন্ট বিচ্ছিন্ন করো ।
৭। কম্পোনেন্ট পরীক্ষা করার জন্য মেজারিং ইন্সট্রুমেন্ট নির্বাচন করো ।
৮। প্রতিটি কম্পোনেন্ট মেজারিং ইন্সট্রুমেন্ট এর সাহায্যে পরীক্ষা (কয়েলের কোয়ানটিটি- ভোল্টেজ কারেন্ট)
৯। কম্পোনেন্ট সমূহের তালিকা প্রস্তুত করে পুনরায় কম্পোনেন্ট সমূহ যথাযথ স্থাপন করো ।
১০। পুনরায় সাপ্লাই কড প্লাগে স্থাপন কর এবং কিছুক্ষণ চালাও
১১। সিস্টেমকে যথাস্থানে রাখ
কাজের সতর্কতা:
আত্মপ্রতিফলন
কমার্শিয়াল এ্যাপ্লায়েন্সেস (বোতল কুলার) মেজারিং ইন্সট্রুমেন্ট এর সাহায্যে পরীক্ষা করার দক্ষতা অর্জিত হয়েছে /হয় নাই /আবার অনুশীলন করতে হবে।
আরও দেখুন...