এই শিখনফল অর্জনের মাধ্যমে আমরা কমার্শিয়াল এ্যাপ্লায়েন্সেস এর কম্পোনেন্ট সমূহ, যন্ত্রপাতি ও মালামালের নাম জানব এবং রিমোট কন্ট্রোল অপারেসন সব কমার্শিয়াল এ্যাপ্লায়েন্সেস চালু করতে পারব।
কমার্শিয়াল এ্যাপ্লায়েন্সেস (ওয়াটার কুলার, ডি-হিউমিডিফায়ার, ডিসপ্লে কেইস ও বোতল কুলার ) স্থাপনের জন্য দক্ষ কারিগরের ঐ বিষয়ে ভালো ধারণা থাকতে হবে। ব্যক্তি অবশ্যই দক্ষতার সাথে সুরক্ষা পোশাক, পাতি ও মালামাল নির্বাচন করবে। পরিখের সুরক্ষা পোশাক অ্যাপ্রন, পালস, হেলমেট/ সুরক্ষা টুপি, মাক্ষ ও হ্যান্ড গ্লাভস এবং মালামাল (সার্কিট ব্রেকার, কম্বাইন্ড সুইচ সকেট, তার, ম্যাগনেটিং কন্ডাক্টর, ইনসুলেশন টেপ) নির্বাচন করে সাথে নিতে হবে। টুলস বক্সে নিতে হবে হ্যান্ড পাওয়ার ছিল মেশিন, ওয়্যার স্ট্রিপার, এ্যালেন কি, নোজ প্লায়ার, কম্বিনেশন প্লায়ার কাটিং প্লায়ার, ফ্লাট স্ক্রু ড্রাইভার, স্টার স্ক্রু ড্রাইভার, নিয়ন টেস্টার, ভ্যাকুয়াম পাম্প, এ্যাডজাস্টেবল রেঞ্জ । এখানে বিবেচ্য বিষয় অপ্রয়োজনীয় টুল্স দিয়ে টুলস বক্স ভারি করা যাবেনা।
ভ্যাকুয়াম পাম্প (Vacuum Pamp)
সিস্টেমের বায়ু শুন্য করার জন্য ভ্যাকুয়াম পাম্প দরকার হয়। এই ক্ষেত্রে অবশ্যই বায়ুমণ্ডলীয় চাপ সমন্ধে ভালো ধারণা থাকা দরকার। বায়ুমণ্ডলীয় চাপ সাধারণত তিন প্রকার- অ্যাবসুলেট প্রেশার, অ্যাটমোসফেরিক প্রেশার, গেইল প্রেশার।
ভ্যাকুয়াম পাম্প দিরে, সিস্টেম থেকে আমরা অ্যাটমোসফেরিক প্রেশার শূন্য করি। বাবু শূন্য চাপমাপার যন্ত্রে থেকে ৩০ inHg, 0 থেকে ৭৬ cmHg এবং ০ থেকে ১০০Kpa মিটারের পায়ে দাগ কাটা থাকে। এখানে চাপের একক inHg ইঞ্চি অফ মারকারি, cmHg সেন্টিমিটার অফ মারকারি, Kpa কিলো প্যাসকেলে প্রকাশ করা হয় ।
ম্যাগনেটিক কন্টাক্টর (Magnetic Contactor)
যে ডিভাইস চুম্বক বলয়ের মাধ্যমে এপ্লায়েন্সেস সমুহকে বৈদ্যুতিক সংযোগ প্রদান করা হয় তাই ম্যাগনেটিক কন্টাক্টর। সাধারণত বেশি ক্ষমতা সম্পন্ন তিন ফেজ বৈদ্যুতিক লাইনে ব্যবহার হয়। ম্যাগনেটিক কন্ট্যাক্টর এর মাধ্যমে সিস্টেম কে নিরাপদ ভাবে চালনা করা হয়। এর মাধ্যমে কম অ্যাম্পিয়ারের সুইচ ব্যবহার করে বৃহৎ আকৃতির কমার্শিয়াল ইউনিট পরিচালনা করা হয়।
ম্যাগনেটিক কন্ট্যাক্টার এর অংশ সমূহ নিম্নে দেয়া হল-
ইলেকট্রিক কন্ট্যাক্টরের প্রকারভেদ (Types of electric contactors)
বিভিন্ন প্রকার বিদ্যুৎ ব্যবস্থা দিয়ে সিস্টেমের যন্ত্রপাতি পরিচালিত হয়। যেমন: এসি, ডিসি, সিঙ্গেল ফেজ, থ্রি ফেজ ইত্যাদি। বিদ্যুৎ ব্যবস্থার বিভিন্নতা, পরিচালনা, গোলের সংখ্যা ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে কন্ট্যাক্টরের প্রকারভেদ করা হয়। ক) গোলের দিক থেকে কন্ট্যাক্টর চার প্রকারঃ
খ) পরিচালনার দিক থেকে কন্ট্যাক্টর দুই প্রকার:
গ) ফেজের উপর ভিত্তি করে কন্ট্যাক্টর দুই প্রকার:
১.সিঙ্গেল ফেজে ব্যবহৃত কন্ট্যাক্টর।
২. থ্রি ফেজে ব্যবহৃত কন্ট্যাক্টর ।
ইলেকট্রিক কন্ট্যাক্টরের কার্যপ্রণালী
যে পদ্ধতিতে কন্ট্যাক্টর কার্যপোযোগি হয়ে সিষ্টেমের মোটর পরিচালনা করে তাকে ইলেকট্রিক কন্ট্যাক্টরের কার্যপ্রণালী বলে।
কন্ট্যাক্টরের অংশ সমূহ হল-
এই সিষ্টেম ওয়্যারলেস বা তারবিহীন হয়। এখানে একটি ডিভাইস দিয়ে বাইনারি ডাটা গ্রো করা হয়। অপর ডিভাইস রিসিভার দিয়ে রিসিভ করে প্রসেসরে পাঠায়। প্রসেসর ঐ ডাটা থেকে তথ্য বিশ্লেষণ করে রিলেতে সিগন্যাল পাঠায়, সিস্টেম কাংখিত কাজ করে।
আমরা সাধারণত IR সার্কিট ব্যবহার করে থাকি। ইনফ্রা রশ্মি কম দূরত্বের রিসিভারে ব্যবহৃত হয়। সাধারনত রিমোট থেকে রিসিভারের দূরত্ব ৩০ ফিট (১০০ meter) হয়। RF রেডিও রিমোট কন্ট্রোল সার্কিট এর ক্ষেত্রে রিমোট ও রিসিভারের মধ্যের দূরত্ব ১০০ ফিটে ফ্রিকোয়েন্সির আদান প্রদান করে।
আরও দেখুন...