ইতোপূর্বে আমাদের চারপাশে কী কী ডিজিটাল নেটওয়ার্ক আছে তা আমরা খুজে বের করেছিলাম। এই নেটওয়ার্ক গুলোকে তাদের ভৌগোলিক অবস্থানের ভিত্তিতে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা যায়। এবার এসো সেই সম্পর্কে জেনে নিই।
PAN (পার্সোনাল এরিয়া নেটওয়ার্ক) আমাদের প্রয়োজনে কম্পিউটারকে অন্য যন্ত্র বা ডিভাইসে যুক্ত করে কাজ সেরে নিই। যেমন ল্যাপটপের সাথে প্রিন্টারের সংযোগ। এই সংযোগটিও এক ধরনের নেটওয়ার্ক। এই ধরনের ব্যক্তিগত নেটওয়ার্কই হলো পার্সোনাল এরিয়া নেটওয়ার্ক। LAN (লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক) সাধারণত কোনো প্রতিষ্ঠান যেমন আমাদের বিদ্যালয়ে বিভিন্ন কক্ষে ভিন্ন ভিন্ন ডিভাইসগুলো আছে যেমন- ল্যাপটপ, কম্পিউটার, প্রিন্টার, স্ক্যানার, মোবাইল ইত্যাদি সেগুলোর সমন্বয়ে যে নেটওয়ার্ক তৈরি করি তাই লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক। সাধারণত ১০০ মিটার বা কম এরিয়ার মধ্যে এ ধরনের নেটওয়ার্ক গড়ে ওঠে। MAN (মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক) আমরা যে শহরে বাস করছি, সেই শহরের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত কম্পিউটার বা কম্পিউটার ডিভাইসগুলোকে নিয়ে যে নেটওয়ার্ক তৈরি হয় তাই মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক। সাধারণত লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্কগুলি যুক্ত করে এই নেটওয়ার্ক তৈরী হয়। এই ধরনের নেটওয়ার্কের এরিয়া ১০ কি.মি. থেকে ৩০ কি.মি. পর্যন্ত হতে পারে। WAN (ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক) বিস্তৃত ভৌগোলিক এলাকা জুড়ে, বিভিন্ন ধরনের নেটওয়ার্কের সংযুক্তির মাধ্যমে ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক। তৈরি হয়। এটি একটি অঞ্চল, দেশ বা অনেকগুলো দেশ নিয়েও তৈরি হতে পারে। যেমন, ইন্টারনেট সারা বিশ্বজুড়ে ব্যাপৃত একটি ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক। |
উল্লেখ্য, নেটওয়ার্কগুলো তারবিহীন বা তারযুক্ত হতে পারে। নেটওয়ার্কগুলোকে সংযুক্ত করার জন্য বিভিন্ন ধরনের তার, টেলিফোন লাইন, রেডিও ওয়েভ, ইনফ্রারেড ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়।
এবার এসো নিচের চিত্রগুলো থেকে কোনটি কোন ধরনের নেটওয়ার্ক তা নির্ণয় করি।
পরবর্তী সেশনের প্রস্তুতি: ডেটা বা তথ্য কীভাবে চলাচল করে তা কি আমরা জানি? নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কীভাবে তথ্য চলাচল করতে পারে তা নিয়ে আমরা চিন্তা করব এবং প্রয়োজনে আমাদের চিন্তাগুলো বাড়ির কাজের খাতায় লিখে ফেলব।
আরও দেখুন...