On This Page

লেয়ার মুরগি পালন

এসএসসি(ভোকেশনাল) - পোল্ট্রি রিয়ারিং অ্যান্ড ফার্মিং-১ - দ্বিতীয় পত্র (দশম শ্রেণি) | NCTB BOOK

পুষ্টির ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণ, আত্মকর্ম সংস্থান ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে লেয়ার মুরগি পালন অন্যতম ভূমিকা পালন করে আসছে। লেয়ার মুরগি পালন একটি দীর্ঘ স্থায়ী লাভজনক ব্যবসা। লেয়ার মুরগি পালন অনেকটা অন্যান্য পোল্ট্রি পালনের মতোই। ৭২ সপ্তাহ ব্যাপি লাভজনক পালন কার্যক্রম চলে। এ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দক্ষ পরিচালনার প্রয়োজন। একজন দক্ষকর্মী লেয়ার মুরগির সেড প্রস্তুতকরণ, যন্ত্রপাতি ও লেয়ার সেড পরিষ্কার- পরিচ্ছন্ন ও জীবাণুমুক্ত করা, বাচ্চা গ্রহণ ও ব্রুডিং প্রক্রিয়া সম্পন্ন এবং ডিমপাড়া কালীন মুরগির পরিসেবা প্রদান করে এ ব্যবসাকে লাভজনক পর্যায়ে পরিচালনা করতে পারে। এ ব্যবসার ক্ষতি ব্যক্তি তথা দেশের অর্থনীতির জন্য হুমকি স্বরুপ।

এই অধ্যায় শেষে আমরা-

  • পালন পদ্ধতি অনুযায়ী লেয়ার মুরগির সেড প্রস্তুত করতে পারব 
  • যন্ত্রপাতি ও লেয়ার সেড পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও জীবাণুমুক্ত করতে পারব 
  • বাচ্চা গ্রহণ ও ব্রুডিং প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারব 
  • ডিমপাড়া কালীন (খাঁচা পদ্ধতি) মুরগির পরিসেবা করতে পারব 
  • কাজ শেষ করে কর্মস্থল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে পারব

 

 

Content added By

পালন পদ্ধতি অনুযায়ী লেয়ার মুরগির সেড প্রস্তুতকরণ

১.১ পালন পদ্ধতি অনুযায়ী লেয়ার মুরগির সেড প্রস্তুতকরণ Preparation of Layer Chicken Shed as Per Rearing Method

পোল্ট্রি খামার স্থাপনের জন্য সেড নির্মাণ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অনেক ক্ষেত্রে খামারের লাভ-ক্ষতি সেডের নির্মাণ ব্যবস্থার উপর নির্ভর করে । তাই পরিবেশের সাথে ভারসাম্যতা বজায় রেখে উপযুক্ত সেডের নির্মাণ করতে হবে। পারিপার্শিক পরিবেশ ও জৈব নিরাপত্তা বিবেচনায় রাখতে হবে।

 

Content added By

লেয়ার খামারের স্থান নির্বাচনের বিবেচ্য বিষয়

১.১.১ লেয়ার খামারের স্থান নির্বাচনের বিবেচ্য বিষয় (Considerations of Layer Farm Location Selection):

  • খামার তৈরির নির্বাচিত স্থান লোকালয় বা আবাসিক ঘনবসতি এলাকা হতে দূরে শুষ্ক, উঁচু ও নিষ্কাশন ব্যবস্থা বিদ্যমান এমন হতে হবে । 
  • যাতায়াতের সুবিধা থাকতে হবে ।
  • অন্য মুরগির খামার বা প্রাণি র ঘর থেকে নিরাপদ দূরত্বে হতে হবে। 
  • পর্যাপ্ত আলো ও বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা থাকতে হবে।
  • আশপাশে পচা ডোবা ও নর্দমা মুক্ত হতে হবে । 
  • পানি ও বিদ্যুতের সুব্যবস্থা থাকতে হবে।
  • ডিম উৎপাদনে সংশ্লিষ্ট কাঁচামালের সহজলভ্যতা থাকতে হবে । 
  • ডিম বিপণনের সুবিধা থাকতে হবে।
  • ভবিষ্যতে খামারটি সম্প্রসারণ করা যায় সেদিকে লক্ষ্য রেখে জমি নির্বাচন ও ক্রয় করতে হবে। 
  • বন্য জন্তু বা অবাঞ্ছিত লোকজন দ্বারা খামার ক্ষতিগ্রস্ত হবে না এমন স্থান হবে।
  • বিষ্ঠা ও লিটার সরিয়ে ফেলার সুযোগ থাকতে হবে।
  • মাটি বেলে দোআঁশযুক্ত হবে।
  • খামার ব্যবস্থাপনা ও চিকিৎসা সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ পাওয়া সুবিধা থাকতে হবে ।

শ্রেণির তাত্ত্বিক কাজঃ 

  • তোমার বাড়ীর আশ পাশে যে সমস্ত লেয়ার খামার আছে তার যেকোনো একটির স্থান নির্বাচনের বিষয়গুলো লিপিবদ্ধ কর।

 

 

Content added By

খামারের অবকাঠামো নির্মাণ

১.১.২ খামারের অবকাঠামো নির্মাণ (Construction of Farm Infrastructure)

মুরগির ঘর নির্মাণে কোনো ভুল বা ত্রুটি করা চলবে না। মুরগিকে আরামদায়ক পরিবেশ নিরাপদ ও রোগমুক্ত রাখার জন্য ঘরের প্রয়োজন। খোলামেলা উঁচু জায়গায় প্রচুর আলো ও বাতাস চলাচল করে এমন জায়গায় ঘর তৈরি করতে হবে।

বর্তমান বিশ্বে প্রধানত দুই ধরনের ঘরে মুরগি পালন হয়। যথা: 

(১) খোলামেলা ঘর 

(২) আবহাওয়া নিয়ন্ত্রিত ঘর।

লেয়ার খামারের খোলামেলা ঘর তৈরির বিবেচ্যবিষয় (Considerations of constructing an open house layer farm):

১. ঘরের অবস্থান ও প্রকৃতি:

  • এ ঘর দক্ষিণে খোলা থাকে । 
  • প্রতিকূল আবহাওয়ায় ঘরের খোলামেলা স্থানে পর্দা দ্বারা ঢেকে দেওয়ার ব্যবস্থা থাকে । 
  • ঘরের মধ্যে মুরগি আবদ্ধ রাখার জন্য খোলা স্থান জাল দ্বারা ঘিরে দেওয়া হয় ।
  • ঘরে লিটার ধরে রাখার জন্য খোলা স্থানের নিচের অংশ ১-১.৫ ফুট দেয়াল দ্বারা ঘিরে দেওয়া থাকে । 
  • নিরাপত্তার জন্য ঘরের সম্পন্ন অংশ তারের জাল দ্বারা ঘেরা থাকে ।

২. ঘরের প্রশস্ততা :

  • সাধারণত ছোট খামার ঘরের প্রশস্ততা খাঁচার আকার অনুসারে করতে হয়। 
  • লিটার পদ্ধতিতে ঘরের প্রশস্ততা সর্বনিম্ন ১০ ফুট এবং উর্ধ্বে ২৫ ফুট করা যায়।
  • বাণিজ্যিক খামার সর্বনিম্ন ৩০ ফুট এবং সর্বাধিক ৪০ ফুট করা যায় । 
  • ৪০ ফুটের অধিক প্রশস্ত হলে ঘরে ভেন্টিলেশন সমস্যা হয় । 
  • অধিক প্রশস্ত ঘরে অতিরিক্ত খুঁটি ও পিলার ব্যবহার করার প্রয়োজন হয়।
  • ঘরের মধ্যে অতিরিক্ত পিলার মুরগির জন্য ব্যবহৃত সরঞ্জাম রাখতে অসুবিধা হয় এবং ময়লা পরিষ্কার করতে সমস্যা হয় । 
  • ঘরের এই প্রশস্ততা বাড়ন্ত ও লেয়ার মুরগি পালনের উপযোগী।

৩. ঘরের দৈর্ঘ্য:

  • যে কোনো পরিমাপের সুবিধাজনক দৈর্ঘ্য থাকতে হবে। 
  • স্বয়ংক্রিয় খাদ্যপাত্র স্থাপন করতে হলে খাদ্য সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের পরামর্শক্রমে ঘরের দৈর্ঘ্য ঠিক করতে হয় ।
  • বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ডিজাইন ও পরিমাপের স্বয়ংক্রিয় খাদ্যপাত্র তৈরি করে। 
  • স্বয়ংক্রিয় খাদ্য পাত্র ঘরের মাঝ বরাবর স্থাপন করা হয়।

৪. ঘরের উচ্চতা:

  • ছোট চালা ঘরের উচ্চতা মেঝে থেকে চালের ছাচ সর্বনিম্ন ৬(ছয়) ফুট এবং ঘরের মেঝের মধ্য বরাবর চালের উচ্চতা ১০(দশ) ফুট হওয়া উচিত। 
  • বাণিজ্যিক খামারে সিলিং বা চালার তল পর্যন্ত সর্বনিম্ন ৮(আট) ফুট, গ্রীষ্মপ্রধান দেশের জন্য ১০(দশ) ফুট করা ভালো ।
  •  খাঁচা বা মাচার নিচে ময়লা জমা হওয়ার ব্যবস্থা থাকলে হাইরাইজ ঘর তৈরি করতে হয়। ঘরের মেঝে থেকে ছাদ পর্যন্ত বহুতল ঘরের দেয়ালের উচ্চতা ১০(দশ) ফুট এবং ঘরের মাঝ বরাবর চালের শীর্ষদেশ ২০ ফুট।

৫. ঘরের চালাঃ

  • ব্যবহারিকভাবে বেশির ভাগ মুরগির জন্য দু'চালা টিন বা এসবেস্টর শিট দ্বারা তৈরি করা হয় । চালের শীর্ষদেশের চাল এক চতুর্থাংশ অথবা এক তৃতীয়াংশ পর্যন্ত হয়। 
  • চালের ছাদ বাড়ন্ত ও ঝুলন্ত রাখতে হয় (২.৫-৩ ফুট), যেন বৃষ্টির ভিতরে প্রবেশ না করে । মুরগির ঘর কংক্রিট ছাদযুক্ত করা যায়।

৬. তাপ নির্গমনঃ

  • ঘরের ভিতর উৎপাদিত দূষিত বাতাস গরম বাতাস ও তাপ নির্গমনের জন্য চালের উপর ব্যবস্থা রাখা হয়। 
  • গরম বাতাস চলাচলের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ এগজস্ট ফ্যানের ব্যবস্থা রাখা হয়।

৭. তাপ নিরোধক:

  • টিন বা এসবেস্টর চালাযুক্ত ঘরের তাপ নিরোধক সিলিং ব্যবহার করতে হয়। 
  • সমস্ত ঘরের এক প্রান্তে সম্ভব বিশেষ তাপ নিরোধক শিট, কাঠ, হার্ডবোর্ড ইত্যাদির সাহায্যে ঠান্ডা স্থান তৈরি করা যায়। এই স্থানের সাথে গম্বুজাকৃতির ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা থাকে। গরমের সময় এখানে মুরগি আশ্রয় নিতে পারে ।

৮. ঘরের মেঝে:

  • যখন খামারে কোনো বিশেষ রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয় তখন ঘরের মেঝে অবশ্যই পাকা করা প্রয়োজন ।
  • যে সমস্ত এলাকায় মাটি ভিজা অথবা দ্রুত আর্দ্রতা শোষণ করে এবং পরিবেশ দ্রুত আর্দ্র হওয়ার সম্ভাবনা সেখানে ঘরের মেঝে অবশ্যই পাকা করতে হয়।
  • বালু ও কাঁকর মিশ্রিত স্থানে নির্মিত ঘরে কাঁচা মেঝের উপর ব্রয়লার, লেয়ার ও ব্রিডার মুরগি পালন করা যায়।
  • খাঁচা বা মাচার নিচে ময়লা পরিষ্কার করার ব্যবস্থার উপর নির্ভর করে কাঁচা বা পাকা মেঝে নিৰ্মাণ করা যায়।

৯. ঘরের দরজা:

  • ঘরের এক প্রান্তে দরজা থাকে ।
  • বাণিজ্যিক খামারে ঘরের দরজা বড় ও প্রশস্ত হওয়া প্রয়োজন । 
  • বড় ও প্রশস্ত দরজার ভেতর দিয়ে ঘর পরিষ্কার করার সময় ট্রাক্টর ঢুকে ময়লা বের করে নিতে সুবিধা হয় । 
  • ছোট ঘরে ট্রলির সাহায্যে ময়লা পরিষ্কার করার উপযোগী দরজা থাকে ।

১০. ঘরের অবস্থান :

  • বাতাস প্রবাহ গতিবেগের বিপরীতে বাচ্চা ও বাড়ন্ত মুরগির ঘর থাকবে । 
  • প্রচুর আলো বাতাস চলাচলের জন্য ঘরগুলো পূর্ব-পশ্চিমে লম্বা হলে ভালো । 
  • দুই শেডের মধ্যে কমপক্ষে ৩০-৪০ ফুট ফাঁকা স্থান থাকতে হয় ।

১১. পরিবেশ :

  • খোলামেলা ঘর স্থাপনের জন্য চারিদিকে পর্যাপ্ত ফাঁকা ও খোলামেলা স্থানের প্রয়োজন। 
  • আবহাওয়া অবস্থা ও মুরগির প্রকৃতি অনুসারে ঘরের আকৃতি ও এবং স্থান নির্বাচন করতে হয়। 
  • বিষ্ঠা ও লিটার নিষ্কাশনের সুবিধাজনক স্থান প্রয়োজন ।

১২. বিভিন্ন পদ্ধতিতে লেয়ার মুরগি প্রতি মেঝেতে স্থান :

তাত্ত্বিক কাজ: 

১০০টি ডিমপাড়া মুরগির ঘরের মেঝের পরিমাপ হিসেব করে দেখাও ।

 

 

Content added By

ছাদের নকশার উপর ভিত্তি করে ঘরের শ্রেণিবিন্যাস

১.১.৩ ছাদের নকশার উপর ভিত্তি করে ঘরের শ্রেণিবিন্যাস (Classification of Houses Based on The Design of The Roof) 

মোটামুটি আয়তাকার ঘর মুরগি পালনের জন্য বিশেষ উপযোগী। ছাদের তারতম্য অনুসারে নানা রকম মুরগির ঘর তৈরি করা যায় যেমন:

১) সেড টাইপ

২) গ্যাবল টাইপ

৩) সেমি গ্যাবল টাইপ

৪) মনিটর টাইপ

৫) সেমি মনিটর টাইপ

৬) গোল টাইপ

১. সেড টাইপ: 

এ ধরনের মুরগির ঘর খুব সহজেই তৈরি করা যায়। সাধারণত খোলা অবস্থায় বা অর্ধ-আবদ্ধ অবস্থায় মুরগি পালনের জন্য এ ধরনের ঘর খুবই উপযোগী। 

২. গ্যাবল টাইপ: 

এ ধরনের ঘর তৈরিতে খরচ বেশি লাগে। সাধারণত যেসব অঞ্চলে বৃষ্টিপাত বেশি হয় সেখানকার জন্য গ্যাবল টাইপ ঘর খুবই উপযোগী। এ ধরনের ঘরের ছাদ ঢালু হয়ে থাকে। 

৩. কম্বিনেশন টাইপ

এ ধরনের ঘরের ছাদ দুদিকেই ঢালু থাকে। বেশিরভাগ ঘরেরই উপরের দিকে বেশি ঢালু থাকে। এক্ষেত্রে নির্মাণ খরচও বেশি হয় । 

৪. মনিটর বা সেমি মনিটর টাইপ : 

যে সব ঘর বেশি প্রশস্ত করার দরকার হয় এবং ঘরের ভেতর উভয়দিকে মুরগির খোপ রাখতে হয় সেক্ষেত্রে এ ধরনের ঘর তৈরি করা হয়ে থাকে। ব্রুডার ঘর এ ধরনের ডিজাইনে তৈরি করা হয়ে থাকে ।

 

শ্রেণির তাত্ত্বিক কাজ

  •  কোন ধরনের ছাদের ঘর তোমার মতে উত্তম এবং কেন?

 

 

Content added By

যন্ত্রপাতি ও লেয়ার সেড পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও জীবাণুমুক্তকরণ

১.২.১ লেয়ার বাচ্চা পালনের জন্য কক্ষ পরিষ্কার, পরিচ্ছন্ন ও জীবাণুমুক্ত করণ কৌশল Washing, cleaning and disinfection techniques of shed for Rearing Layer chick

নতুন বা পুরাতন যে ঘর হোক না কেন, “অল ইন অল আউট” পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। একটি ঘরে এক ব্যাচ লেয়ার বাচ্চার পালন করে পুলেট হিসেবে বিক্রি করার কমপক্ষে ১৪ দিন পর অন্য ব্যাচ উঠাতে হবে। এ পদ্ধতি শুধুমাত্র রোগ প্রতিরোধই করে না রোগের জীবাণুকেও ধ্বংস করতে সহায়তা করে । লেয়ার বাচ্চা পালনের জন্য ঘর পরিষ্কার ও জীবানুযুক্ত করতে নিম্নলিখিত ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে।

“অল ইন অল আউট”- একই জাতের একই বয়সের বাচ্চা / মুরগি খামারে একত্রে উঠানো এবং পালন শেষে একত্রে বের করাকে বোঝায়।

(ক) ব্রুডার ঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা: 

১) ঘর খালি হওরার সাথে সাথে সমস্ত সরঞ্জাম, হোতার, ব্রুডার গার্ড, লিটার, খাঁচা ইত্যাদি বের করতে হবে।

২) পুরাতন লিটায় ফার্ম থেকে কমপক্ষে ৫০০ মিটার দূরে সরিয়ে ফেলতে হবে। 

৩) ঘরের দেয়াল, দরজা, জানালা, নেট, পর্দা, ডেন্ট্রিলেটর, ফ্যান, বাঘ ইত্যাদি ঝেড়ে মুছে পরিষ্কার করতে হবে। 

৪) ঘরে কোনো মেরামত, সংস্কার ইত্যাদি প্রয়োজন হলে তার ব্যবস্থা নিতে হবে। 

৫) পরিস্কার পানি দিয়ে দেয়াল, মেঝে, খাদ্য ও পানির পাত্র খুতে হবে। পাইপ দিয়ে উচ্চ চাপযুক্ত পানি প্রবাহের মাধ্যমে ঘর পরিষ্কার উত্তম।

 

(খ) ঘরের মেঝে, খাঁচা ও অন্যান্য সরঞ্জাম জীবাণুমুক্তকরণ: 

১) জীবাণুনাশক যেমন: (পভিসেপ, সুপারসেপ্ট, আয়োসান) দিয়ে খাবার ও পানির পাত্র, হোভার, ব্রুডার গার্ড, ব্রুডার হিটার, দেয়াল, মেঝে, ছাদ, পার্দা ও খামারের আশপাশে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। 

২) ভিজা মেঝের উপর ১০০ বর্গফুট স্থানে ১ কেজি হারে শুকনা কস্টিক সোডা ছড়াতে হবে এবং ১৫ মিনিট অপেক্ষার পর মেঝে শুকিয়ে গেলে কস্টিক সোডার উপর হালকা পানি স্প্রে করতে হবে। 

৩) পরে সমস্ত ঘর পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলতে হবে। 

৪) বাচ্চা উঠানোর ৬ দিন পূর্বে বাচ্চার সমস্ত জিনিসপত্র আবার জীবাণুমুক্ত করে শুষ্ক করে ভিতরে রাখতে হবে।

 

(গ) ঘরের ভিতর লিটার বিছানো ও অন্যান্য সরঞ্জাম স্থাপন: 

১) বাচ্চা ব্রুডিং এর ১(এক) দিন পূর্বে ঘর ভালোভাবে শুকানোর পর লিটার বিছাতে হবে। 

২) লিটারের উপর গোল করে চিকগার্ড স্থাপন করে তার মাঝামাঝি স্থানে হোভার সিলিং-এর সাথে ঝুলিয়ে দিতে হবে ।  

৩) ব্রুডার গার্ডের ভেতর হোভারের নিচে লিটারের উপর কাগজ, চিক বক্সের ঢাকনি বা প্লাস্টিক শিট বিছাতে হবে। 

৪) হোভারের সাথে হিটার (বাল্ব, ব্রুডার স্টোভ, গ্যাস বার্নার) সংযুক্ত করতে হবে।

 

(ঘ) ফিউমিগেশন: 

১) ব্রুডার ঘরে বাচ্চা গ্রহণের ১২ ঘন্টা পূর্বে সম্পূর্ণ ঘর চট বা পলিথিন দিয়ে ঘিরে ফিউগেশন উপকরণ ব্যবহার করে ঘরের ফিউমিগেশন করতে হবে। 

২) ব্রুডার ফিউমিগেশন করার জন্য ৩ গুণ ঘনত্বের ফিউমিগেশন উপকরণ ব্যবহার করতে হবে। 

৩) প্রতি ১০০ ঘনফুট স্থানের জন্য ৬০ গ্রাম পটাসিয়াম পারম্যাঙ্গানেট ও ১২০ মি: লি: ফরমালডিহাইড ব্যবহার করতে হবে। 

৪) ব্রুডিং স্থানের পরিমাণ হিসাব করে মোট পরিমাণ পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট ৪/৫ টি মাটি, কাচ বা পোরসেলিন পাত্রে ভাগ করে বিভিন্ন স্থানে সমদূরত্বে স্থাপন করতে হবে। 

৫) পরিমাণমতো ফরমালডিহাইড সমপরিমাণে খুব দ্রুত সবগুলো পাত্রে ঢেলে দিতে হবে এবং ঘর বন্ধ করে বের হয়ে আসতে হবে। 

৬) ফিউমিগেশন করার সময় সমস্ত ঘর ও সরঞ্জাম একই সাথে জীবাণুমুক্ত হবে । 

৭) ফিউমিগেশন করার ২০-৩০ মিনিট পর পর্দা সরিয়ে সম্পূর্ণ গ্যাস বেরিয়ে যেতে দিতে হবে । 

৮) ফিউমিগেশনের পর বাচ্চা প্রদানের ২/৩ ঘন্টা পূর্ব পর্যন্ত ঘর তালাবদ্ধ রাখতে হবে।

 

ফগার মেশিন ব্যবহার করেও ফিউমিগেশন করা যায়।

(ঙ) ঘরের চারিদিকে পরিষ্কারকরণ:

১) ঘরের চারপাশে ৫-৬ ফুট পরিমাণ জায়গায় ঘাস কেটে পরিষ্কার করতে হবে। 

২) পুরাতন মুরগি ময়লা থাকলে তা পরিষ্কার করে ব্লিচিং পাউডার ছিটানোর ব্যবস্থা করতে হবে 

৩) বাচ্চা উঠানোর কয়েকদিন পূর্ব থেকেই ঘরের ফুটবাধে জীবাণুনাশক রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। 

৪) বাচ্চা উঠানোর পর প্রতিদিন ১(এক) বার করে ঘরের বাইরের চতুর্পার্শ্বে ৫% ফরমালিন দ্বারা স্প্রে করতে হবে। 

৫) নিরাপত্তার স্বার্থে ঘরের আশেপাশে কোনো প্রাণি বা লোক চলাচল বন্ধ রাখতে হবে ।

 

 

 

Content added By

লেয়ার এর বাসস্থান এবং এর পারিপার্শ্বিকের স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ বজায় রাখার কৌশল

১.২.২ লেয়ার এর বাসস্থান এবং এর পারিপার্শ্বিকের স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ বজায় রাখার কৌশল (Strategies for maintaining a healthy environment in and around Layer Shed):

নিম্নলিখিত পদক্ষেপ গ্রহণ করলে বাসস্থান এবং এর পারিপার্শ্বিকের স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ বজায় থাকবে-

(১) মুরগির জাত ও উদ্দেশ্য হিসেবে প্রয়োজনীয় পরিমাপের ঘর পূর্ব-পশ্চিমে লম্বালম্বি করে তৈরি করতে হবে, যাতে মুরগি পর্যাপ্ত আলো বাতাস পায়। 

(২) খামারে পানি জমে স্যাঁতসেঁতে না হতে পারে সে জন্য প্রয়োজনীয় পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা থাকতে হবে । 

(৩) মুরগির খামারের উপরিভাগের তারের জাল দিয়ে যাতে বাতাস চলাচল করতে পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে। 

(৪) ঘরে যাতে বৃষ্টির ছাট পড়ে লিটার ভিজে না যায় সে ব্যবস্থা নিতে হবে। 

(৫) গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা খুব বৃদ্ধি পেলে তাপ কমানোর জন্য- 

          ক) ঘরের চালে পানি ছিটানো হয় 

          খ) ঘরের চারিদিকে পানি ছড়ানো হয় 

          গ) ঘরের মধ্যে ফগিং মেশিন দিয়ে পানি স্প্রে করে কুয়াশা তৈরি করা হয় 

          ঘ) ঘরের ভিতরে ও বাইরে ফ্যান ব্যবহার চালানো হয়

(৬) খামারে নতুন বাচ্চা উঠানোর আগে খামার সঠিকভাবে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। প্রথমে পানি দ্বারা পরিষ্কার করে পরে পানির সাথে জীবাণুনাশক মিশিয়ে খামার জীবনাণুমুক্ত করা হয় । 

(৭) খামারে ভালো খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। অতিরিক্ত আর্দ্রতাযুক্ত খাদ্যের মাধ্যমে অ্যাসপারজিলোসিস ও বিষক্রিয়াসহ জটিল রোগ হতে পারে। 

(৮) হ্যাচারি থেকে সুস্থ সবল লেয়ার বাচ্চা সংগ্রহ করতে হবে। তা না হলে সালমোনেলোসিস, মাইকোপ্লাজমোসিস ইত্যাদি রোগ হ্যাচারি থেকে খামারে আসতে পারে । 

(৯) খামারে মানুষের যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। প্রতিবার খামারে প্রবেশ ও বের হওয়ার সময় জীবাণুনাশক ব্যবহার করে হাত ও পা অবশ্যই জীবাণুমুক্ত করতে হবে। 

(১০) বর্জ্য পদার্থ, বিষ্ঠা, লিটার নিয়মিত পরিষ্কারসহ মুরগির ঘরের ভেতরের পরিবেশ অবশ্যই স্বাস্থ্যসম্মত হতে হবে। 

(১১) খামারে যাতে বন্য প্রাণি ও ইঁদুর জাতীয় প্রাণি প্রবেশ করতে না পারে তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে । কেননা বন্য প্রাণি ও ইঁদুর দ্বারা রাণীক্ষেত, মাইকোপ্লাজমা, এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা ও সালমোনেলাসহ গুরুত্বপূর্ণ রোগ খামারে আসতে পারে। 

(১২) খামারে কোনো মুরগি অসুস্থ হলে দ্রুত সম্ভব পৃথক করে ফেলতে হবে। মারা গেলে তা সাথে সাথে সরিয়ে নিয়ে অবশ্যই মাটি নিচে পুঁতে ফেলতে হবে। 

(১৩) খামারে কোনো জটিল সমস্যা দেখা দিলে তা অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী মোকাবেলা করতে হবে।

 

 

 

Content added By

লেয়ার বাচ্চার ব্রুডিং

১.৩.১ ব্রুডিং ঘরে লেয়ার বাচ্চা তোলার পূর্বে ব্রুডিং ঘর প্রস্তুতকরণ (Preparing the brooding house before raising the layer chick brooding):-

লেয়ার এর বাচ্চা ঘরে তোলার পূর্বে ব্রুডিং ঘর প্রস্তুতকরণ সম্পর্কিত কাজগুলো নিচে ধারাবাহিকভাবে আলোচনা করা হলো-

  • বাচ্চা তোলার ১ সপ্তাহ আগে সমস্ত পুরাতন লিটার ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। ঘরের পর্দা, ভেতর ও বাইরের মাকড়সার জাল ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে।
  • ঘরের চারপাশে ৫-৬ ফুট পরিমাণ জায়গায় ঘাস কেটে পরিষ্কার করতে হবে।
  • পুরাতন মুরগির ময়লা থাকলে তা পরিষ্কার করে ব্লিচিং পাউডার ছিটানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
  • এরপর জীবাণুনাশক (যেমন- পভিসেপ, সুপারসেপ্ট, আয়োসোন) দিয়ে খাবার ও পানির পাত্র, হোভার, ব্রুডার গার্ড, ব্রুডার হিটার, দেয়াল, মেঝে, ছাদ, পর্দা ও খামারের আশপাশে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
  • সম্ভব হলে পাটের চট বা পলিথিন দ্বারা ঘিরে ফিউমিগেশন করতে হবে।
  • বাচ্চা আনার ১ দিন পূর্বে ঘরে ২-৪ পুরু করে রোদে শুকানো লিটার বিছাতে হবে ও জীবাণুনাশক দ্বারা স্প্রে করে নিতে হবে। ঘরের পর্দার অংশ অবস্থা বুঝে র্ড বা ১২′ পরিমাণ খোলা রাখতে হবে।
  • চিক গার্ডের ভেতর লিটারের উপর পাটের চট বিছাতে হবে বা খবরের কাগজ বিছাতে হয় যাতে বাচ্চা তুষ বা কাঠের গুঁড়া খেতে না পারে ।
  • চিক গার্ড গোলাকার করে তৈরি করতে হবে, তা না হলে বাচ্চা একদিকে থাকবে। চাটাই বা হার্ড বোর্ডের বা তারের জালের তৈরি চিক গার্ডের উচ্চতা হবে ১.৫ ফুট। তবে শীতের সময় ২.৫ ফুট হতে পারে। চিক গার্ড ব্রুডার থেকে ২.৫-৩ ফুট দূরত্বে গোলাকারভাবে বসাতে হয়। ১২ ফুট ব্যাসের একটি চিক গার্ডে ৫০০ বাচ্চা ব্রুডিং করা যায়।
  • পাঁচ ফুট ব্যাসের হোভারের নিচে ৫০০ বাচ্চা রাখা যায় ।
  • হোভারের নিচের দিকে গ্রীষ্মকালে ১০০ ওয়াটের ২টি ও ৬০ ওয়াটের ১টি বাল্ব ও শীতকালে ২০০ ওয়াটের ২টি ও ১০০ ওয়াটের ২ টি বাল্ব লাগালে ৫০০ বাচ্চাকে ভালোভাবে তাপ দেওয়া যায় ।
  • ঘরের তাপমাত্রা ঠিক রাখার জন্য দেয়ালের চারদিকে চটের পর্দা দিয়ে ঘিরে দিতে হয়।
  • প্লাস্টিক পর্দার উপরিভাগে গ্যাস অপসারণের জন্য ফাঁকা রাখতে হবে। 
  • ঘরে আর্দ্রতার পরিমাণ ৭০-৮০ ভাগ রাখতে হবে ।
  • বাচ্চা ব্রুডারের ছাড়ার ৬ ঘন্টা পূর্বে ব্রুডার চালু করে উপযুক্ত তাপমাত্রায় অর্থাৎ ৯৫° ফারেনহাইট এ আনতে হবে ।
  • হোভারের বাইরে পানির ও খাদ্যের পাত্রগুলো সমান দূরত্বে স্থাপন করতে হবে। 
  • ব্রুডার ঘর প্রস্তুত হলে বাচ্চা গ্রহণের পূর্ব পর্যন্ত তালাবদ্ধ রাখতে হবে।
  • ঘরের প্রবেশ মুখে জীবাণুনাশক মিশ্রিত পানি রাখার ব্যবস্থা করতে হবে যাতে ঘরে প্রবেশের পূর্বে এই পানিতে হাত ও পা জীবাণুযুক্ত করতে পারে।
  • অসুস্থ কোনো ব্যক্তির যারা ব্রুডার ঘরে কাজ করানো যাবে না।
  • ঘরে ইঁদুর চিকা বা অন্য কোনো পশু পাখি প্রবেশ বন্ধ করতে হবে।
  • খামারে হ্যাচারির ট্রাক প্রবেশের সময় জীবাণুনাশক নিকি পানিতে ঢাকা ভিপিং করতে হবে।
  • খামারে লেয়ার বাচ্চা পৌঁছানোর সাথে সাথে ব্রুডারে বাচ্চা প্রদান করতে হবে ।
  • বাচ্চা উঠানোর পর প্রতিদিন ১ বার করে ঘরের বাহিরের চতুপার্শ্বে ৫% ফরমালিন দ্বারা স্প্রে করতে হবে।

 

 

 

Content added By

ব্রুডার হাউজের তাপমাত্রা ব্যবস্থাপনা

১.৩.২ ব্রডার হাউজের তাপমাত্রা ব্যবস্থাপনা (Brooder house temperature management):

মুরগির বাচ্চাকে কৃত্রিমভাবে তাল দিয়ে লালন-পালন করাকে ব্রুডিং বলে। সাধারণত ১ দিন হতে ৩/৫ সপ্তাহ পর্বত মুরগির বাচ্চাকে ব্রুডিং করা হয়।

উৎপাদিত বাচ্চার শরীরের তাপমাত্রা ১০০° ফারেনহাইট, যেখানে একটি প্রাপ্ত বয়স্ক মুরগির শরীরের তাপমাত্রা ১০৭° ফারেনহাইট। ডিম ফুটে বাচ্চা বের হওয়ার পর তারা তাদের দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। বাচ্চার দেহের এই তাপ নিম্ন ान না ওঠা পর্যন্ত সতর্কতার সাথে প্রতিপালন করতে হয়। তাই পীড়নের হাত থেকে বাচ্চাদের রক্ষা করার জন্যই ত্রুজিং করা হয়। যে যন্ত্রের সাহায্যে কৃত্রিম উপায়ে বাচ্চাকে তাপ দেওয়া হয় তাকে ব্রুডার বলে ।

ব্রুডার হাউজে ব্রুডিং শুরুর প্রথম সপ্তাহে সাধারণত তাপমাত্রা ৯৫° ফারেনহাইট থাকে। বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে এই তাপমাত্রা পর্যায়ক্রমে কমতে থাকে। হোভার ও চিকগার্ডের মাঝখানে মেঝে থেকে ৬ ইঞ্চি উঁচুতে থার্মোমিটার দিয়ে নিরূপণকৃত তাপমাত্রাকে ব্রুডারের তাপমাত্রা বলে।

ব্রুডিং এর প্রয়োজনীয় তাপমাত্রা (The Required Temperature In The Brooding):

 

 

Content added By

ব্রুডিং ঘরের অন্যান্য ব্যবস্থাপনা

১.৩.৩ ব্রুডিং ঘরের অন্যান্য ব্যবস্থাপনা ( Brooding House Others Management)

লেয়ার বাচ্চা গ্রহণ :

  • লেয়ার বাচ্চা গ্রহণের পূর্বে খামারের প্রস্তুতি বিষয়ে নিশ্চিত থাকতে হবে। 
  • ব্রুডার ঘরের নিরাপত্তা বিষয়ে নিশ্চিত হতে হবে। 
  • ব্রুডার ও ব্রুডারে পানির পাত্রে সরবরাহকৃত পানির তাপমাত্রা বিষয়ে নিশ্চিত হতে হবে। 
  • ব্রুডার ঘরের নিরাপত্তা বিষয়ে নিশ্চিত হতে হবে। 
  • ব্রুডার ও ব্রুডার পানির পাত্রে সরবরাকৃত পানির তাপমাত্রা বিষয়ে নিশ্চিত হতে হবে। 
  • বাচ্চা পরিবহনকারীকে শেডে ঢুকতে দেওয়া যাবে না ।
  • পূর্ব থেকে নির্বাচিত কর্মচারী বাচ্চার সরবরাহ গ্রহণ করবে ও বাচ্চা পালন ঘরে রাখবে । 
  • সাধারণত সকাল বেলায় ঠান্ডা আবহাওয়ায় বাচ্চা গ্রহণ করা উচিত, এতে ব্রুডারে বাচ্চা প্রদানের পর পর্যবেক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যাবে এবং বাচ্চা পানি ও খাদ্য চিনে খাওয়ার সুযোগ পাবে।
  • বাচ্চা গ্রহণের সময় চিক বাক্সের মধ্যে মৃত বাচ্চার সংখ্যা পরীক্ষা করতে হবে। 
  • বাচ্চার আচরণ ও গুণাগুণ পরীক্ষা করতে হবে। 
  • বাচ্চার সংখ্যা ও নমুনা ওজনের হিসাব রাখতে হবে। 
  • বাচ্চা গ্রহণের পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ব্রুডারে ছাড়তে হবে।

 

 

Content added By

খাদ্য ব্যবস্থাপনা

১.৩.৪ খাদ্য ব্যবস্থাপনা (Feed Management):

  • প্রতি লিটার পানিতে ২৫ গ্রাম গ্লুকোজ, ১ গ্রাম ভিটামিন সি ও ২ গ্রাম ভিটামিন ডাব্লিউ এস মিশিয়ে নতুন আনা লেয়ার বাচ্চাকে খাওয়াতে হবে। তবে পরিবহন ধকল কমানোর জন্য ৮০ গ্রাম গ্লুকোজ ব্যবহার করতে হয়।
  • প্রথম ২-৩ দিন এই পানি খাওয়াতে হবে।
  • তবে কোনো বাচ্চা এই পানি না খেলে হাত দিয়ে ধরে খাওয়াতে হবে।
  • ভিটামিন মিশ্রিত পানি খাওয়ার ৩ ঘন্টা পরে বাচ্চার জন্য তৈরিকৃত খাদ্য বা পম বা ভুট্টার দানা অল্প পরিমাণে ট্রেডে সরবরাহ করতে হবে।
  • প্রথম ১-২ দিন লিটারের উপর খবরের কাগজ বিছিয়ে এবং পরবর্তীতে ১-২ সপ্তাহ ফ্লাট ট্রেতে খাবার দেয়া হয়।
  • ব্রুডারের নিচে কখনই খাবার ছিটানো উচিত নয়।
  • ৩য় সপ্তাহ থেকে হপার বা টিউব ফিডারে খাদ্য সরবরাহ করা যায়। ১০০ বাচ্চার জন্য (দৈর্ঘ্য ২ x গ্রন্থ ১.৩ × উচ্চতা ১.৫) মাপের হিসাবে ৫০০ বাচ্চার জন্য ৫ টি ফিডার দিতে হবে। অতিরিক্ত ১ টি ফিডার দেওয়া ভালো।
  • দুই সপ্তাহ পর্যন্ত খাবার শেষ হওয়ার আগেই খাবার দেওয়া উচিত। তা না হলে কিছু বাচ্চা বড় হয়ে যাবে এবং কিছু বাচ্চা ছোট হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে খাবার থাকা অবস্থাতেই খাবার দিতে হবে।
  • চার সপ্তাহ পর্যন্ত দৈনিক ৩-৪ বার খাবার দেওয়া উচিত। এর পর দৈনিক ২ বার খাবার দিলেই চলবে। খাবার দেওয়ার সময় পাত্র কখনও পরিপূর্ণ করে দেয়া যাবে না। পাত্রের অর্ধেক বা এক তৃতীয়াংশ খালি রাখতে হবে।
  • ঠিক জায়গার বাড়ানোর সাথে সাথে ফিডারের পরিমাণও বাড়িয়ে দিতে হয়।

 

 

Content added By

১.৩.৫ পানি ব্যবস্থাপনা (Water Management):

  • ব্রঙ্কারে পূর্ব থেকে পাত্রে পানি প্রদান করা হয় । 
  • বাচ্চার প্রথম পানি কখনই ঠাণ্ডা হওয়া উচিত নয়। 
  • খাবার পানির তাপমাত্রা প্রথম দিকে ২৫°-৩০° সে. রাখতে হবে।
  • প্রথম অবস্থায় কখনই ঔষধ ব্যবহার করা উচিত নয়। এতে পানি তিতা হয়, ফলে বাচ্চা পানি গ্রহণ করতে চায় না, তাই গ্লুকোজ পানি খাওয়ানোর পর প্রয়োজনে ১ ঘন্টা পর ঔষধ ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • প্রথম অবস্থায় প্রতি ৫০০ বাচ্চার জন্য ১ (এক) লিটারের ৬-৮ টি ড্রিংকার (ছোট প্লাস্টিকের পাত্র) দিতে হয়।
  • প্রতি ড্রিংকারে পানি ০.৫ লিটার করে দিতে হবে ও প্রতিবার পানি দেওয়ার পূর্বে ড্রিংকার ধোঁত ও জীবাণুযুক্ত করতে হবে ।
  • খাবার পানিতে ক্লোরিন ৩ পিপিএম (parts per million) মাত্রায় ব্যবহার করে জীবাণুমুক্ত করতে হবে, তবে ভ্যাকসিন বা ঔষধ পানিতে মিশিয়ে খাওয়ানোর সমর ক্লোরিন ব্যবহার করা উচিত নয়।
  • চিক ড্রিংকার ৮-১০ দিন রাখতে হবে।
  • এরপর জায়পা বাড়ানোর সাথে নিপল ড্রিংকার বা অন্য কোনো চিৎকার দিতে হবে।
  • প্রতিটি মুরগির বাচ্চার পানি পান করার জন্য ২.৫ সে.মি. জায়গা দিতে হবে।
  • আবহাওয়ার তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে পানি পান করার পরিমাণও বৃদ্ধি পায় ।

 

 

 

Content added By

বায়ু চলাচল ব্যবস্থাপনা

১.৩.৬ বায়ু চলাচল ব্যবস্থাপনা (Air Movement Management) :

ব্রুডারের তাপের উৎস থেকে উৎপন্ন কার্বন মনো-অক্সাইড ও বাচ্চা কর্তৃক নির্গত কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস ব্রুডার ঘরে জমা হয়ে বাচ্চার বিষক্রিয়া সৃষ্টি করে । এ ছাড়া মলমূত্র হতে সৃষ্ট অ্যামোনিয়া গ্যাস ঘরে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে । তাই ঘরে বিশুদ্ধ বায়ু সরবরাহ ও দূষিত বায়ু নিষ্কাশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই-

  • ঘরের প্লাস্টিক পর্দার উপরিভাগে অ্যামোনিয়া ও অন্যান্য গ্যাস অপসারণের জন্য ফাঁকা রাখতে হবে।
  • ঘরের পরিবেশ বার বার পরীক্ষা করতে হয় ও দূষিত বায়ু অপসারণের ব্যবস্থা নিতে হবে। 
  • বাচ্চা বড় হওয়ার সাথে সাথে পর্যায়ক্রমে পর্দা সরিয়ে ফেলতে হবে।
  • গরমের সময় দিনে পর্দা তুলে দিয়ে রাতে ঢেকে দিতে হবে। 
  • শীতের সময় অতিরিক্ত ঠান্ডার হাত থেকে রক্ষার জন্য ২ পর্দা প্লাস্টিকের পর্দা ব্যবহার করতে হবে। 
  • ব্রুডার ঘরের দূষিত বায়ু বের করার জন্য এগজস্ট ফ্যান ব্যবহার করতে হবে।

 

 

Content added By

১.৩.৭ তাপ ব্যবস্থাপনা (Temperature Management):

১) যদি লেয়ার বাচ্চা চিক গার্ডের মধ্যে সর্বত্র সমভাবে বিস্তৃত থাকে ও চলাফেরা করে, খাদ্য ও পানি গ্রহণের স্বাভাবিক প্রবণতা দেখার এবং বাচ্চাগুলোর চলাফেরায় চঞ্চলতা পরিলক্ষিত হয়, তবে বুঝতে হবে ব্রুডারে কাম্য তাপমাত্রা বজায় আছে।

২) যদি লেয়ার বাচ্চা ব্রুডারে নিচে তাপের উৎসের কাছে সমস্ত জড়ো হয়, চি চি শব্দ করে ঘাড় ছোট করে গুটি সুটি মেরে থাকে ও একটির উপর আরেকটি উঠার প্রবণতা দেখায়, তখন ব্রুডার পর্যাপ্ত তাপ উৎপাদনে সক্ষম কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে এবং প্রয়োজনীয় পরিমাণ তাপ উৎপাদনে সক্ষম ব্রুডার ব্যবহার করতে হবে। অতিরিক্ত বাল্বের এর তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা করা যেতে পারে।ঘরে যাতে অতিরিক্ত ঠান্ডা বাতাস প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য ঘরের নেট অংশে চট যারা পর্দার ব্যবস্থা করতে হবে। পলিথিনের পর্দা ব্যবহার করা যাবে না । 

৩) যদি লেয়ার বাচ্চালো তাপের উৎস হতে দূরে সরে গিয়ে চিকগার্ডের কাছাকাছি অবস্থান করে মুখ হাঁ করে শ্বাস নিতে থাকে, খাদ্য গ্রহণের প্রবণতা কমে যায়, পানি গ্রহণের মাত্রা কমে যায়, তবে-

  • তাপের উৎসের সুইচ বন্ধ করতে হবে। 
  • ঘর ঠাণ্ডা করার জন্য বেড়া দেয়া পর্দা স্কুলে দিতে হবে।
  • চিক গার্ডের চারিদিকে চট ভিজিয়ে রাখলে ব্রুডিং তাপমাত্রা কিছুটা কমে।

 

 

 

Content added By

১.৩.৮ আলো ব্যবস্থা (Light Management) :

সেরার বাচ্চার ঘরে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করতে হবে যাতে বাচ্চা খাবার ও পানির পাত্র দেখতে পারে। একদিন থেকে ৩ দিন পর্যন্ত মুরগির বাচ্চার জন্য আলোক সময়কাল ও আলোর তীব্রতা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এ সময়ে বাচ্চা ভালোর সাহায্যে পানি ও খাদ্য চিনতে পারে। দিনে ভালো থাকলে আলাদা আলো প্রদানের প্রয়োজন নেই, তবে রাতে বাঘ স্থানিয়ে আলো দিতে হবে।

  • ১ম ও ২য় সপ্তাহে ২৪ ঘন্টাই আলো রাখা প্রয়োজন।
  • তবে প্রথম থেকেই প্রতি রাতে আধা ঘন্টা থেকে ১ ঘন্টা আলো বন্ধ রেখে বাচ্চাদের অন্ধকারের সাথে পরিচয় করানো উচিত। তা না হলে রাতে হঠাৎ আলো বন্ধ হলে বাচ্চা ভয়ে জড়ো হয়ে পাইলিং (চাপাচাপি) করে মারা যেতে পারে।
  • ৩য় সপ্তাহে ২৩ ঘন্টা আলো ও ১ ঘন্টা অন্ধকারে রাখা প্রয়োজন । 
  • ৪র্থ সপ্তাহে ২২ ঘন্টা আলো ও ২ ঘন্টা অন্ধকারে রাখা প্রয়োজন ।
  • কৃত্রিম আলোর উৎস প্রধানত বৈদ্যুতিক বাল্ব, তবে বিকল্প হিসাবে কেরোসিন বাতি ব্যবহার করা যায় । 
  • প্রথম সপ্তাহে ব্রুডার থেকে ৪-৫ ফুট উঁচুতে এবং ২য় সপ্তাহ থেকে ৭-৮ ফুট উঁচুতে বাল্ব ঝুলিয়ে দিতে হবে।
  • তার বা কর্ডের সাহায্যে বাল্ব ঝুলিয়ে দেওয়া ঠিক নয়। বাতাসে বাল্ব দুলতে থাকলে ঘরে বা খাঁচায় ভৌতিক ভাব সৃষ্টি হয় । 
  • প্রতি ১০০ বর্গফুট জায়গায় ৬০ ওয়াটের ১টি বাল্ব ব্যবহার করতে হবে এবং ১০ ফুট দূরত্বে একটি বাল্ব থাকবে।
  • আবার বিদ্যুৎ চলে গেলে আলো দেওয়ার বিকল্প ব্যবস্থা, যেমন চার্জার লাইট, হ্যাজাক লাইট, ছোট জেনারেটর, আইপিএস ইত্যাদি রাখতে হবে।
  • বাল্বের সাথে রিফ্লেক্টর ব্যবহার করলে আলোর উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় । 
  • সপ্তাহে একবার বাল্ব পরিষ্কার করলে আলোর উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় ।

বয়স অনুযায়ী মেঝেতে স্থান (Floor Place According to Age):

 

তাত্ত্বিক কাজঃ ৫০০ লেয়ার মুরগি পালনের জন্য প্রয়োজনীয় মেঝেতে স্থান হিসেব কর।

 

 

Content added By

লেয়ার মুরগি পালনের বিভিন্ন পদ্ধতি

১.৪.১ লেয়ার মুরগি পালনের বিভিন্ন পদ্ধতি (Different Methods of Rearing Laver Chickens)

মোরগ-মুরগির সঠিক উৎপাদন পেতে হলে অবশ্যই স্বাস্থ্যসম্মত বাসস্থান নির্মাণ করতে হবে। মুরগির বাসস্থান যে এলাকায় তৈরি করা হবে, সে এলাকায় প্রাপ্ত উপকরণের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা উচিত। এতে নির্মাণ ব্যয় অনেক কম হবে এবং খামারিরা অতি সহজেই নির্মাণ করতে পারবেন। আমাদের দেশে খামারিরা ৩টি পদ্ধতিতে ডিমপাড়া মুরগি পালন করে থাকে। যথা- 

১) লিটার পদ্ধতি 

২) মাচা পদ্ধতি 

৩) খাঁচা পদ্ধতি

তবে সার্বিক ব্যবস্থাপনা, স্থায়ী খরচ ও স্বাস্থ্যসম্মত দিক বিবেচনায় তুলনামূলকভাবে মাচা ও খাঁচা পদ্ধতিতে ডিমপাড়া মুরগি পালন অধিক লাভজনক ।

১. লিটার পদ্ধতি (Litter Method): 

এই পদ্ধতিতে ঘরের মেঝের উপর বিছানা হিসাবে কাঠের গুঁড়া, তুষ, খড়ের ছোট ছোট টুকরা ইত্যাদি ব্যবহার করে মুরগি পালন করা যায়। লিটারের সহজলভ্যতা ও দামের উপর নির্ভর করে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন রকম লিটার ব্যবহার করা হয়।

লিটার পদ্ধতি আবার দুই প্রকার : 

(ক) লাইট লিটার পদ্ধতি: এই পদ্ধতিতে ঘরের মেঝেতে ২-৩ ইঞ্চি পুরু করে লিটার বিছানো থাকে ।

(খ) ডিপ লিটার পদ্ধতি: ঘরের মেঝেতে পুরু বা মোটা করে লিটার দেওয়া হয়। সাধারণত ৪-৮ ইঞ্চি, পুরু করে লিটার দেওয়া হয় ।

লিটার পদ্ধতিতে বাচ্চা মুরগির জন্য ২-৩ ইঞ্চি, বাড়ন্ত মুরগির জন্য ৩-৪ ইঞ্চি ও ডিম উৎপাদনকারী | মুরগির জন্য ৪-৮ ইঞ্চি পুরু করা উচিত। মুরগি ঘরে উঠানোর ১ সপ্তাহে পূর্বে লিটার সরবরাহ করতে হবে।

এই পদ্ধতিতে সুবিধাঃ 

  • নির্মাণ ব্যয় কম।
  • লিটার ব্যবহার করলে মুরগির বিষ্ঠা ঘরের মেঝের সাথে লেপ্টে থাকে না।
  • ঘর শুকনা ও দুর্গন্ধমুক্ত থাকে।
  • ঘরে মুরগির অবস্থানকাল পর্যন্ত পরিষ্কার করতে হয় না।
  • ডিম পাড়া শেষে বাতিল মুরগি বিক্রয়ের পর লিটার পরিষ্কার করতে হয়।
  • ডিমের গুণাগুণ ভালো হয় ও ডিম কম ভাঙে । 
  • ডিম উৎপাদন বেশি হয়।
  • মুরগির স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
  • মুরগি বেশি আরাম ও স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে ।
  • তুলনামূলক সহজ ব্যবস্থাপনা ।
  • লিটারের মধ্যে এক প্রকার ভিটামিন ও আমিষ তৈরি হয় যা মুরলি লিটার থেকে খুঁটে খায়।
  • লিটার জৈব সার হিসাবে জমিতে ব্যবহার করা যায় এবং জৈব খাদ্য হিসাবে মাছের জন্য ব্যবহার করা যায়।

এই পদ্ধতিতে অসুবিধা:

  • শ্রমিক খরচ বেশি।
  • ডিম ময়লা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অধিক জায়গা প্রয়োজন হয়।
  • রোগব্যাধি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
  • মেঝেতে ডিম পাড়ার প্রবণতা হতে পারে।
  • ভিজা লিটার মুরগির স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে ।
  • লিটারের আর্দ্রতা বেশি থাকলে অ্যামোনিয়া গ্যাস উৎপন্ন হয় যা মুরগির জন্য ক্ষতিকর।

 

২. মাচা পদ্ধতি (Slat System): 

ঘরের মধ্যে সমস্ত মেঝে জুড়ে মেঝের উপর ২৭ ইঞ্চি উঁচুতে মাচা তৈরি করা হয়। অনেক সময় পরিবেশ অনুসারে আরও উঁচু মাচা যুক্ত ঘর তৈরি করা হয়। মাচার ফাঁক দিয়ে মুরগির বিষ্ঠা মাচার নিচে জমা হলে নিচে ঢুকে পরিষ্কার করতে হয়। ডিম পাড়া শেষ হওয়া পর্যন্ত ঘরের নিচে পায়খানা জমা হয়। এই পদ্ধতিতে মাচার নিচে মাছির উপদ্রব হয় এবং দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়, ফলে মাঝে মাঝে বিষ্টা পরিষ্কার করে ফেলা হয়। বড় বাণিজ্যিক খামারে এ পদ্ধতি তেমন জনপ্রিয় নয়।

এই পদ্ধতির সুবিধাঃ

  • রোগব্যাধি কম হয় ।
  • লিটার পদ্ধতির তুলনায় বেশি মুরগি রাখা যায় ।
  • বিছানার দরকার হয় না।
  • মুরগির বিষ্ঠা মাছের খাদ্য হিসেবে বেশি উপযোগী।

এই পদ্ধতিতে অসুবিধাঃ

  • নির্মাণ ব্যয় বেশি ।
  • ডিম ভাঙার সম্ভাবনা বেশি।
  • প্রজননে জন্য অসুবিধা।
  • মুরগির বিষ্ঠা পরিষ্কার করতে অসুবিধা।
  • মাছির উপদ্রব বেশি।

 

৩. খাচা পদ্ধতিঃ 

বর্তমানে আধুনিক বিশ্বে খাচা পদ্ধতিতে ভাবে ডিমপাড়া মুরগি পালন করা হচ্ছে। এ পদ্ধতিতে প্রতিটি পীচার শোপের মাপ দৈর্ঘ্য ১৮'' গ্রন্থ ১২'' x উচ্চতা ১৯'' হলে, সেখানে অনায়াসে ৩ টি ডিম পাড়া মুরগি রাখা যেতে পারে। বিভিন্ন ধরনের খাঁচা বাজারে পাওয়া যায় ।

(ক) একক ডেক খাচাঃ 

স্বপ্নের মধ্যে এক সারিতে স্থাপন করা হয়। প্রতি বলে ঘরের মধ্যে একই থাকে। মুরগির বিষ্ঠা সরাসরি ধাতার নিচে ঘরের মেঝেতে পরে। খাঁচা যত্নের সিপিং-এর সাথে ঝুলিয়ে বা পিলারের উপর স্থাপন করা যায়।

(খ) দুই ডেক খাঁচাঃ

খাঁচা সিঁড়ির আকারে একটির উপর অপরটি দুই সারিতে স্থাপন করা যায়। প্রতি সারিতে চায় অবস্থিত মুরগির পায়খানা সরাসরি খাঁচার নিচে মেঝের উপর পড়ে। খোলামেলা যন্ত্রের জন্য এই বাঁচা উপযোগী।

 

(গ) তিন ডেক খাচাঃ

এই প্রকৃতির খাঁচা একটির উপর অপরটি দুইভাবে সারিবদ্ধ করে স্থাপন করা যায় ।

প্রথমত, সরাসরি একটি উপর অপর সারির খাঁচা স্থাপন করা যায়। প্রপ্তি সারিতে খাঁচার নিচে মুরগির বিষ্ঠা জান্নার । প্রতিদিন এ পরিষ্কার করতে হয়।

দ্বিতীয়ত, তিন সারিতে পরস্পরের উপর সিঁড়ির আকারে খাঁচা সাজানো হয়। প্রতি তলার খাঁচার মুরগির বিষ্ঠা সরাসরি খাঁচার নিচে মেঝেতে পড়ে। লোহার অ্যানেল দ্বারা তৈরি করে এক সারিতে সিঁড়ির আকারে প্রতিটি অবকাঠামোর উপর ২৪ টি খাঁচা স্থাপন করা যায়। প্রতি খাঁচায় ৩ টি মুরগি হিসাবে ২৪ টি খাঁচায় ৭২টি মুরগি পালন করা যায়। অনুরূপভাবে স্থাপিত খাঁচার প্রচলন বেশি। প্রতি অবকাঠামো ৬''-৭'' এবং পারাসহ উচ্চতা ৪.৫''-৫'' এ-এ। এভাবে ৪ বা ৫ ডেক স্থাপন করা যায়।

(ঘ) ফ্লাট ডেক টাইপঃ

একই সারিতে একই সমতলে ঘরের মধ্যে খাঁচা স্থাপন করা হয়। প্রতি সারিতে খাঁচা খুব কাছাকাছি স্থাপন করা হয়। পরিচর্যা করার জন্য সারির মধ্যভাগে যাতায়াতের রাস্তা থাকে না। প্রতি সারির নিচ দিয়ে মটর চালিত চওড়া কেট চালু থাকে। যেখানে মুরগির বিষ্ঠা পড়ে। এই চলন্ত বেল্ট বিষ্ঠা টেনে ঘরের বাইরে নিয়ে যায়। ডিম সংগ্রহের জন্য চওড়া কনভেয়র বেল্ট মটরের সাহায্যে চালু করা হয়।

 

(ঙ) পিরামিড টাইপ বহুতল খাচাঃ 

তিন সারিতে পরস্পরের উপর সিঁড়ির আকারে খাঁচা সাজানো হয়। এ ভাবে উত্তর পার্শ্বে যখন এ সারিতে পরস্পরের উপর সিঁড়ির আকারে বাঁচা সাজানো হয়, তখন এতে পিরামিডের মতো মনে হয়। প্রতি তলার বাঁচার মুরগির বিষ্ঠা সরাসরি খাঁচার নিচে মেঝেতে পড়ে। লোহার অ্যাঙ্গেল দ্বারা তৈরি করে এক সারিতে সিঁড়ির আকারে প্রতি অবকাঠামোর উপর ২৪ টি হিসাবে উভয় পার্শ্বে মোট ৪৮টি খাঁচা স্থাপন করা যায় । প্রতি খাঁচায় ৩ টি মুরগি হিসাবে ৪৮ টি খাঁচায় ১৪৪ টি মুরগি পালন করা যায় ।

(চ) এছাড়া ক্যালিফোর্নিয়া টাইপের বহুতল খাঁচায়ও মুরগি পালন করা হয়।

 

এ পদ্ধতির সুবিধা:

  • অল্প জায়গার বেশি মুরগি পালন করা যায়।
  • পরিচর্যা ও যত্ন নেওয়া সহজ ।
  • রোগ বিস্তারের সম্ভাবনা কম।
  • বাঁচার মধ্যে মুরগি কখনও কুঁচে হয় না।
  • ডিম পাড়ার সাথে সাথে গড়িরে পাচার বাইরে চলে আসে।
  • মুরগির ডিম খাওয়ার অভ্যাস জন্মাতে পারে না ।
  • ডিম ময়লা হয় না ।
  • মুরগির কৃমিতে আক্রন্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম।
  • বিষ্ঠা দিয়ে বারোগ্যাস তৈরি করা যায়।

এ পদ্ধতির অসুবিধাঃ

  • খাঁচার নিচে মুরগির বিষ্ঠা জমে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয় ও মাছির উপদ্রব হয়। 
  • নিয়মিত বিষ্ঠা পরিষ্কার করা বিরক্তিকর।
  • দুর্গন্ধে পার্শ্ববর্তী পরিবেশ সুষিত হয়। 
  • খাঁচা তৈরিতে প্রাথমিক বিনিয়োগ বেশি।
  • ডিমে রক্তজমা সৃষ্টির হার বেশি।
  • পারের নিচে খাঁচার ঘর্ষণে কড়া পড়ে। একে 'বাম্বল ফুট' বলে।
  • খাঁচায় পালিত মুরগির হাড় অত্যন্ত অনুর হয় এবং বাতিল মুরগির দাম কম পাওয়া যায় ।
  • মুরগির ভিটামিন বি গ্রুপের অভাব বেশি হয়।

 

 

 

Content added By

জব ০১: মুরগির ঘর পরিস্কার ও জীবাণুমুক্তকরণ ।

জব ০১: মুরগির ঘর পরিস্কার ও জীবাণুমুক্তকরণ ।

পারদর্শিতার মানদন্ড

  • পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও জীবাণুমুক্তকরণের জন্য উপযুক্ত ডিটারজেন্ট ও জীবাণুনাশক নির্বাচন ও সংগ্রহ করা
  • যন্ত্রপাতি ও লেয়ার সেড পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও জীবাণুমুক্ত করা
  • কর্মক্ষেত্রের বিধি অনুযায়ী যন্ত্রপাতি ও উপকরণসমূহ স্থাপন করা
  • যন্ত্রপাতির সক্ষমতা পরীক্ষা করা

(ক) ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (PPE)

ক্রমিক নংনামস্পেসিফিকেশনপরিমাণ
অ্যাপ্রনসংস্থার বিধি অনুযায়ী১টি
জুতাসংস্থার বিধি অনুযায়ী১ সেট
মাস্কস্ট্যান্ডার্ড১টি

 

(খ) প্রয়োজনীয় মালামাল ( Raw Materials)

 

(গ) প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি (টুলস, ইকুইপমেন্ট ও মেশিন)

 

(ঘ) কাজের ধারাঃ 

১. প্রথমে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জামসমূহ, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও মালামাল স্টোর হতে সংগ্রহ করো । 

২. তালিকা অনুসারে সুরক্ষা সরঞ্জামাদি যথানিয়মে পরিধান করো।

 

৩. ঘরটি ঝাড়ু দিয়ে ভালো ভাবে পরিস্কার করে নাও । 

৪. নিরাপত্তা মূলক পোশাক পরিধান করে নাও । 

৫. নির্দেশিত পরিমাণ পানি একটি বালতিতে নাও । 

৬. নির্দেশিত মাত্রায় জীবাণুনাশক ঐ পানিতে মিশাও। 

৭. মিশ্রণটি ভালভাবে নাড়াচাড়া করো। 

৮. তারপর জীবাণুনাশক মিশ্রিত পানি স্প্রেয়ারে তোল। 

৯. এবার ঘরের মেঝে এবং দেয়ালে জীবাণুনাশক স্প্রে করো।

সতর্কতাঃ

  • জীবাণুনাশক অবশ্যই মাত্রা মোতাবেক মেশাতে হবে।
  • জীবাণুনাশক যেন শরীরে না লাগে ও নিঃশ্বাসে না যায় ।

 

 

Content added By

জব ০২ঃ লেয়ার বাচ্চার ব্রুডিং

জব ০২ঃ লেয়ার বাচ্চার ব্রুডিং

পারদর্শিতার মানদন্ড :

  • সুস্থ ও সবল লেয়ার হাইব্রিড বাচ্চা নির্বাচন ও সংগ্রহ করা 
  • বাচ্চা গণনা করে ধারণ ক্ষমতা অনুযায়ী ব্রুডারে অবমুক্ত করা
  • লেয়ার বাচ্চা পালনের উপযুক্ত পরিবেশ (তাপমাত্রা, আর্দ্রতা ও বায়ু প্রবাহ) নিশ্চিত করা
  • ব্রুডিং প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা

(ক) ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (PPE)

 

(খ) প্রয়োজনীয় মালামাল ( Raw Materials)

 

(গ) প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি (টুলস, ইকুইপমেন্ট ও মেশিন)

 

(ঘ) কাজের ধারা:

১. সহজে আলো বাতাস চলাচল করতে পারে এমন একটি ঘর নির্বাচন করো। 

২. ঘরটি ভালভাবে পরিস্কার করো। 

৩. জীবাণুনাশক দিয়ে ঘরটি ভালভাবে জীবাণুমুক্ত করো । 

৪. ঘরটি শুকানোর পর মেঝেতে শুল্ক লিটার বিছিয়ে দাও ৩ ইঞ্চি হতে ৪ ইঞ্চি পুরু করে । 

৫. ঘরটির সুবিধাজনক স্থানে প্রয়োজনানুসারে (এক /একাধিক) ব্রুডার স্থাপন কর। ৩০০-৪০০টি বাচ্চার জন্য ১টি ৪ফুট ব্যাস বিশিষ্ট ব্রুডার নাও।

৬. বাচ্চার সংখ্যানুসারে ব্রুডারের চতুর্দিকে প্রয়োজনীয় দূরত্বে চিকগার্ড স্থাপন করো । 

৭. চিকগার্ডের ভিতরে লিটারের উপর পেপার বিছিয়ে দাও। 

৮. পেপারের উপর প্রয়োজনানুযায়ী খাবার ট্রে ও পানির ট্রে স্থাপন করো । 

৯. থার্মোমিটার ও হাইগ্রোমিটার বাচ্চার গলার সমান উচ্চতায় ঝুলিয়ে দাও । 

১০. বাচ্চা ছাড়ার ১২ ঘন্টা পূর্বে ব্রুডার চালু করে থার্মোমিটার ও হাইগ্রোমিটারের সাহায্যে তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা পরিমাপ করো এবং খেয়াল রাখ তা কাঙ্খিত মাত্রায় আছে কি না । 

১১. প্রয়োজনীয় তাপমাত্রা উঠলে চিকগার্ডের ভিতরে একদিনের বাচ্চা ছাড়।

 

ব্রুডিং পিরিয়ডে বিভিন্ন বয়সে প্রয়োজনীয় তাপমাত্রা নিম্নরূপ :

১২. ব্রুডিংকালে তাপমাত্রা কম বেশী হলে বাচ্চার অবস্থান নিম্নরূপ লক্ষ্য করা যায় তা দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করো :

বাচ্চার অবস্থান দেখে তাপমাত্রা নির্ণয় :-

 

১৩. ব্রুডিং কালে বাচ্চাকে তালিকা মোতাবেক প্রয়োজনীয় ষ্টার্টার রেশন ও বিশুদ্ধ পানি পরিবেশন করো। 

১৪. নির্ধারিত তালিকা মোতাবেক ঔষধপত্র ও টিকা প্রদান করো । 

১৫. ছয় সপ্তাহ পর ব্রুডার এবং চিক গার্ড সরিয়ে ফেল। 

১৬. বাচ্চাকে গ্রোয়ার শেডে স্থানান্তর করো । 

১৭. সকল তথ্য রেকর্ড শীট ও রেজিষ্ট্রারে লিপিবদ্ধ করো।

 

সতর্কতাঃ

লিটার ভিজে গেলে দ্রুত সরিয়ে নতুন লিটার দিতে হবে। 

পানির পাত্র প্রতিদিন জীবাণুনাশক দিয়ে পরিস্কার করতে হবে। 

টিকাদান কর্মসূচী সঠিকভাবে অনুসরণ করতে হবে।

 

 

Content added By

জব ০৩: খাঁচা পদ্ধতিতে লেয়ার মুরগি পালন

জব ০৩: খাঁচা পদ্ধতিতে লেয়ার মুরগি পালন

পারদর্শিতার মানদন্ড :

  • কর্ম ক্ষেত্রের বিধি অনুযায়ী বর্জ্য অপসারণ করা
  • সূচি মোতাবেক টিকা প্রদান করা
  • নিয়মিত ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ প্রদান করা
  • নির্দিষ্ট সময়ে ডিম সংগ্রহ করা
  • কম উৎপাদনশীল মুরগি চিহ্নিত ও আলাদা করা
  • কম উৎপাদনশীল মুরগি সুস্থ উৎপাদনশীল মুরগি দ্বারা প্রতিস্থাপন করা
  • মুরগিকে প্রযোজ্য সময়ে ডিবিকিং করা

(ক) ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (PPE)

 

(খ) প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি (টুলস, ইকুইপমেন্ট ও মেশিন)

 

(গ) প্রয়োজনীয় মালামাল (Raw Materials) 

 

(ঘ)কাজের ধারাঃ

১. প্রথমে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরগ্রামসমূহ, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও মালামাল স্টোর হতে সংগ্রহ করো । 

২. তালিকা অনুসারে সুরক্ষা সরঞ্জামাদি যথানিয়মে পরিধান করো। 

৩. ঘর নির্বাচন করে যথাবদ্ধভাবে পরিষ্কার করো। 

৪. ঘরে বাঁচা, হাইগ্রোমিটার, থার্মোমিটার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি স্থাপন কর এবং ফিউমিগেশন করে ঘর জীবাণুমুক্ত করো।

৫. খাঁচায় মুরগি প্রতিস্থাপিত কর। প্রতি ৬টি মুরগির জন্য মাপ (দৈর্ঘ্য ১৮ × গ্রন্থ ১৭" সামনের উচ্চতা ১৭.৫” এবং পিছনের উচ্চতা ১৫)। 

৬. খাঁচার পানি ও খাদ্য সরবরাহ কর। বাড়ন্ত বাচ্চার জন্য তালিকা মোতাবেক এবং লেয়ার প্রতি মুরগির জন্য দৈনিক খাদ্য সরবরাহ করতে হবে ১১৫-১২০ গ্রাম খাদ্য/দিন। 

৭. আলোক প্রদানঃ বাড়ন্ত বাচ্চার ক্ষেত্রে শিডিউল মোতাবেক এবং ডিম পাড়া মুরগির দৈনিক ১৬ ঘন্টা আলো ও ৮ঘন্টা অন্ধকার দাও। প্রতি ১০০ বর্গ ফুট জায়গার জন্য ৬০ ওয়াটের একটি বাল্ব ৭ ফুট উচ্চতায় স্থাপন করো ।

৮. ভাপমাত্রা ও আর্দ্রতা নিরন্ত্রণ কর: লেয়ার মুরগির ঘরের কাংখিত তাপমাত্রা ২১ সে. এবং আর্দ্রতা ৬০-৬৫%।

৯. ঘরে মুক্ত বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা নিশ্চিত করো ।

১০. সূচী মোতাবেক ভ্যাকসিন ও অন্যান্য ঔষধ প্রদান করো । 

১১. বাড়ন্ত বাচ্চার ক্ষেত্রে নির্ধারিত সময়ে (১৪ সপ্তাহ) ঠোঁট কাট। 

১২. লেয়ার লেড হতে দিনে ২ বার ডিম সংগ্রহ করো।

১৩. নির্ধারিত সময় পরে কম ডিম দেয়া মুরগি গুলো ছাটাই করো । 

১৪. রোগাক্রান্ত মুরগির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নাও 

১৫. ৭২ সপ্তাহ পরে মুরগি বিক্রি করে দাও। 

১৬. সকল তথ্য রেকর্ড শীট ও রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করো।

 

সতর্কতাঃ

  • বৈদ্যুতিক বাল্ব এমন ভাবে স্থাপন করতে হবে যেন আলো খাঁচায় প্রতি ধাপে ঠিকমত লাগে।
  • পানির পাত্র নিয়মিত জীবাণুনাশক দিয়ে পরিস্কার করতে হবে এবং বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করতে হবে।
  • অসুস্থ মুরগির জন্য ভিন্ন খাঁচা, পানি ও খাবার পাত্র ব্যবহার করতে হবে।

 

 

Content added By
Please, contribute to add content into অনুশীলনী.
Content

অতি সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন

১. লেয়ার খামার স্থাপনের জমির বৈশিষ্ট্য কী হবে? 

২. কয় ধরনের ঘরে মুরগি পালন করা হয়? 

৩. লিটার পদ্ধতিতে লিটার ধরে রাখার জন্য মেঝে থেকে কত উঁচু করে দেয়াল দেওয়া হয়? 

৪. “অল ইন অল আউট” পদ্ধতি কী? 

৫. এক ব্যাচ বাচ্চা পালন করার কত দিন পর অন্য ব্যাচে বাচ্চা উঠাতে হবে? 

৬. পুরাতন লিটার ফার্ম থেকে কত দূরে সরিয়ে রাখতে হবে? 

৭. ব্রুডিং কাকে বলে? 

৮. পাঁচটি জীবাণুনাশক ঔষধের নাম লেখ। 

৯. চিক গার্ডের উচ্চতা কত? 

১০. শীতের সময় চিক গার্ডের উচ্চতা কত ? 

১১. কয়টি পদ্ধতিতে লেয়ার পালন করা যায়? 

১২. লিটার পদ্ধতি কত প্রকার ও কী কী?

 

 

Content added || updated By

সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন

১. সাদা হালকা জাতের ক্ষেত্রে লিটার, মেঝে ও খাঁচা পদ্ধতিতে কতটুকু জায়গায় প্রয়োজন হয়? 

২. রঙিন ভারী জাতের ক্ষেত্রে লিটার মেঝে ও খাঁচা পদ্ধতিতে কতটুকু জায়গার প্রয়োজন হয়? 

৩. গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা খুব বৃদ্ধি পেলে তাপ কমানোর জন্য কী করতে হয়? 

৪. ঘরের মেঝে, খাঁচা ও অন্যান্য সরঞ্জাম জীবাণুমুক্তকরণ কীভাবে করতে হয়? 

৫. হোভারের বাইরে পানি ও খাদ্যপাত্র কীভাবে স্থাপন করা হয়? 

৬. খাবার পানি কিভাবে জীবাণুমুক্ত করা যায়? 

৭. ব্রুডারের তাপমাত্রা কীভাবে পরিমাপ করা হয়? 

৮. খাঁচা কত প্রকার ও কী কী? 

৯. খাঁচা পদ্ধতির সুবিধা কী?

 

 

Content added || updated By

রচনামূলক উত্তর প্রশ্ন

১. লেয়ার খামারের স্থান নির্বাচনের বিবেচ্য বিষয়সমূহ বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করো । 

২. লেয়ার খামারের খোলামেলা ঘর তৈরির সময় বিবেচ্য বিষয়গুলো বিস্তারিত ব্যাখ্যা করো । 

৩ . জীবাণুনাশক নির্ধারিত মাত্রায় মেশাতে হবে কেন? ব্যাখ্যা করো। 

৪. ব্রুডিং ঘরে বাচ্চা তোলার পূর্বে ব্রুডিং ঘর প্রস্তুতকরণ সম্পর্কে বর্ণনা করো । 

৫. বাচ্চার আচরন দেখে কিভাবে তাপমাত্রা নির্ণয় করা যায় তা বর্ণনা করো । 

৬. ব্রুডিং হাউজে বয়স অনুযায়ী প্রয়োজনীয় তাপমাত্রা সম্পর্কে বর্ণনা করো । 

৭. লেয়ার পালনের বিভিন্ন পদ্ধতির বর্ণনা করো । 

৮. ব্রুডার ঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার পদ্ধতি বর্ণনা করো। 

৯. ঘরে ফিউমিগশন করার প্রক্রিয়া বর্ণনা করো ।

 

 

Content added || updated By

আরও দেখুন...

Promotion

Promotion