On This Page

আকিকা

পঞ্চম শ্রেণি (প্রাথমিক) - ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা - ইবাদত | NCTB BOOK

'আকিকা' শব্দের অর্থ ভাঙা, কেটে ফেলা। সন্তান জন্মের সপ্তম দিনে সন্তানের কল্যাণ ও হিফাজত কামনার আল্লাহর ওয়াস্তে কুরবানির মতো কোনো গৃহপালিত হালাল পশু জবাই করাকে আকিকা বলে।

আকিকা করতে হয় আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে। আকিকা করা সুন্নত। এতে সন্তান যেমন আল্লাহর রহমতে বালা-মুসিবত ও বিপদ-আপদ থেকে নিরাপদ থাকে, তেমনি অনেক সওয়াব পাওয়া যায়। সন্তানের আকিকা করতে অবহেলা করা উচিত নয়। হাদিস শরিফে আছে— 'প্রতিটি নবজাত সন্তান আকিকার সাথে বন্দি। তার জন্যের সপ্তম দিনে তার পক্ষ থেকে পশু জবাই করতে হবে, তার নাম রাখতে হবে এবং তার মাথা মুণ্ডন করতে হবে।' (তিরমিজি)

রাসুল (স) নিজের আকিকা নিজেই করেছিলেন। তিনি অন্যকেও আকিকা করতে উৎসাহ দিতেন। সন্তান জনোর ৭ম দিনে আকিকা করা উত্তম। তবে ১৪, ২১ বা ২৮তম দিনেও আকিকা করা যায়।

মুসলিম পিতা-মাতাকে সন্তান জন্মের সপ্তম দিনে চারটি কাজ করতে হয়- 

১. সন্তানের সুন্দর ইসলামি নাম রাখা। নাম শুনলেই যেন বোঝা যায় যে, সে মুসলিম সন্তান। 

২. মাথা কামানো। 

৩. মাথার চুলের ওজন পরিমাণ সোনা বা রুপা দান করা। 

৪. আকিকা করা।

 

আদায়ের নিয়ম

ছেলে সন্তানের জন্য ছাগল, ভেড়া, দুম্বার দুটি অথবা গরু, মহিষ বা উটের দুই ভাগ এবং মেয়ে সন্তানের জন্য ছাগল, ভেড়া, দুম্বার একটি অথবা গরু, মহিষ বা উটের এক অংশ আকিকা দিলে যথেষ্ট হবে। হাদিসে আছে :

“ছেলে সন্তানের জন্য দুটি ছাঞ্চল ও মেয়ে সন্তানের জন্য একটি ছাগল জবেহ করাই যথেষ্ট।” (আবু দাউদ ও নাসায়ি)

সামর্থ্য না থাকলে ছেলে সন্তানের জন্যও একটি দেওয়া যাবে। যে সকল পশু দ্বারা কুরবানি করা যায়, সে সকল পশু দ্বারা আকিকা করা যায়। কুরবানির সাথে আকিকারও অংশীদার হওয়া যায়। কুরবানির পশুর গোশত যেভাবে বণ্টন করা উত্তম, আকিকার গোশতগু সেভাবে বণ্টন করা উত্তম। আকিকার পশুর চামড়াও গরিব মিসকিনদের দান করতে হয়।

Content added By

আরও দেখুন...

Promotion

Promotion