চিংড়ির রোগের কারণ শনাক্তকরণ

এসএসসি(ভোকেশনাল) - শ্রিম্প কালচার এন্ড ব্রিডিং-১ - দ্বিতীয় পত্র (দশম শ্রেণি) | NCTB BOOK

পারদর্শিতার মানদন্ড

  • স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সুরক্ষা সরঞ্জাম পরিধান করা।
  • প্রয়োজন অনুযায়ী যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম সঠিকভাবে নির্বাচন ও সংগ্রহ করা।
  •  কাজ শেষে সকল সরঞ্জাম, কাজের জায়গা জীবাণুমুক্ত করা এবং নির্ধারিত স্থানে সংরক্ষণ করা।
     

(ক) ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম

১. প্রমান সাইজের একটি এ্যাপ্রোন

২. মাঝারি সাইজের এক জোড়া হ্যান্ড গ্লোভস

৩. তিনস্তর বিশিষ্ট একটি মাস্ক।

(খ) প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও উপকরণ

 ডিসেক্টিং বক্স

প্লাস্টিকের বালতি

টিস্যু পেপার

 অনুবীক্ষণ যন্ত্ৰ

পাতিল

খাতা পেন্সিল

প্লাস্টিকের গামলা

স্কুপনেট

 বাগদা চিংড়ি
 

(গ) কাজের ধারা

ক) লক্ষণ দেখে ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ শনাক্তকরণ

১. শরীরের একাধিক স্থানে বা খোলসে কালো দাগ পরিলক্ষিত হলে।

২. খোলস সহজে ভেঙে গেলে।

৩. চিংড়ির লেজ নিচের দিকে হেলে পড়লে এবং কালো বর্ণ ধারণ করলে।

৪. লেজের অংশে ক্ষয় হলে অথবা লেজের মাংস পেশীতে পচন ধরলে এবং পচে যাওয়া অংশ লাল বর্ণ ধারণ করলে।

৫. খোলসের নিচে কালো চ্যাপ্টা দাগ দেখা গেলে।

৬. লেজের ধারসমূহ বিবর্ণ হয়ে পড়লে।

ঘ) লক্ষণ দেখে ভাইরাসজনিত রোগ শনাক্তকরণ

১. বর্ণ ফ্যাকাসে বা লালচে হলে।

২. খোলসের নিচে সাদা ক্যালসিয়াম লবণ জমা হলে।।

৩. শিরবক্ষ এলাকা হলুদ বর্ণ ধারণ করলে।

৪. যকৃত, খাদ্যনালী ও অগ্ন্যাশয় গ্রন্থিতে ভাইরাস শনাক্ত হলে

 ৫. চিংড়ির গায়ে, মাথায় ও খোলসে সাদা দাগ দেখা গেলে।

গ) লক্ষণ দেখে ছত্রাকজনিত রোগ শনাক্তকরণ

১. ফুলকায় ময়লা জমে দুর্গন্ধ হলে।

২. ফুলকার বর্ণ কালো বা বাদামি হলে ।

৩. ফুলকায় কালো স্পট (Black gill disease) দেখা গেলে।

৪. স্যাপ্রোলেগনিয়ার (Saprolegnia sp.) আক্রমণে ফুলকার ল্যামিলি নষ্ট হয়ে গেলে।

৫. খোলসের গায়ে অনেক ছিদ্র দেখা গেলে।

৬. মস্তিষ্কের গোড়ায় ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় ক্ষত দেখা গেলে।

ঘ) লক্ষণ দেখে পরজীবীজনিত রোগ শনাক্তকরণ

১. চিংড়ির স্বাভাবিক শ্বসন প্রক্রিয়া, চলাফেরা ও খোলস বিবর্তনে বাধার সৃষ্টি হলে।

২. দেহ দেখতে বিবর্ণ হয়ে গেলে।

৩. বহিঃ পরজীবীর আক্রমণে চিংড়ি পুকুরের কোনো শক্ত বস্তুর সাথে গা ঘষতে থাকলে।

৪. আক্রান্ত স্থানে ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের আক্রমণ পরিলক্ষিত হলে।

ঙ) পুষ্টিহীনতা বা খাদ্যের অভাবজনিত রোগ শনাক্তকরণ

১. চিংড়ির দেহের আবরণ ও মাংস নরম হয়ে পড়লে।

২. শিরবক্ষ খোলসের নিচের মাংস ও পর্দা কালচে বর্ণ ধারণ করলে (Soft shell disease) |

৩. ফুলকা ও শরীর প্রথমে হলুদ ও পরে লাল বর্ণ ধারণ করলে (Red colonation disease)

৪. লেজ ও উপাঙ্গ লালচে রঙের দেখা গেলে।

৫. উদর খাদ্য শূন্য থাকলে।

৬. যকৃত ও অগ্ন্যাশয় গ্রন্থি ছোট হয়ে গেলে ও নষ্ট হয়ে গেলে।

৭. উদর ও লেজের মাংসপেশী সংকুচিত হলে।

সতর্কতা

১) দক্ষ টেকনিশিয়ান দ্বারা রোগাক্রান্ত চিংড়ির রোগ শনাক্ত করতে হবে।

২) শনাক্তের সময় প্রতিটি চিংড়ি যত্ন সহকারে পানি থেকে তুলতে হবে এবং শনাক্ত শেষে যত্ন সহকারে পানিতে ছাড়তে হবে। চিংড়ি যেন পীড়িত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। 

৩) রোগ শনাক্তের আগে ও পরে ব্যবহৃত সরঞ্জাম জীবাণুমুক্ত করে নিতে হবে যেন এগুলো থেকে পরবর্তীতে আর কোনো রোগ ছড়াতে না পারে।

 ৪) কাজ শেষে জীবাণুমুক্ত করা সকল জিনিসপত্র নির্দিষ্ট জায়গায় সংরক্ষণ করতে হবে।

আত্মপ্রতিফলন

 চিংড়ির রোগের কারণ শনাক্তকরণে দক্ষতা অর্জিত হয়েছে/হয় নাই/আবার অনুশীলন করতে হবে।

Content added By

আরও দেখুন...

Promotion