আমরা দৈনন্দিন অনেক কাজেই পরিমাপ শব্দটির ব্যবহার করে থাকি; যেমন কোন দর্জির নিকট কিছু তৈরি করতে পেলে মেজারিং ফিতা দিয়ে শরিরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যষ্পর পরিমাপ নেয় তেমনি মেকানিক্যাল ওয়ার্কশপে কোন কিছু তৈরি করতে হলে বিভিন্ন মেজরিং টুলস ব্যবহার করে পরিমাপ নেয়া হয়, আবার তৈরির পরও পরিমাপ নেয়া হয় এ কাজ হল পরিমাণ করন। তোমাদের আশেপাশের ওয়ার্কশপে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবে যে, কোনো কাজ করার পূর্বে বহুতে বিভিন্ন মেজারমেন্টে দাগ টানা হয় পরবর্তীতে ঐ দান বরাবর কাটিং বা ফাইলিং করা হয়। এই দাগ দেয়ার পদ্ধতি হল লে-আউট বা মার্কিং। এই জব লে-আউট ও পরিমাপকরণ কাজে প্রয়োজন ভেদে টুলস ও ইনট্রুমেন্ট গুলো ব্যবহৃত হয় যেমন স্ফাইভার, পাঞ্চ, ভার্নিয়ার ক্যালিপার্স, হাইড গেজ, মাইক্রোমিটার, স্টিল স্কয়ার, ট্রামেল, ডিভাইডার ইত্যাদি।
ধাতুখণ্ডকে নির্দিষ্ট মাপ এবং আকারে পরিণত করার জন্য এর কোনো স্থানকে কতটুকু ক্ষয় করতে হবে, ছিন্ন বা নালী করতে হলে তা কোন স্থানে কত গভীর এবং কি আকারের করতে হবে, ছিদ্রের মধ্যে ক্ষু-গ্রেড করতে হবে কিনা ইত্যাদি বিষয় কাজ আরম্ভ করার পূর্বেই স্থির করে নেয়া প্রয়োজন হয়। এটা না করে প্রথমেই যদি কাজে অগ্রসর হওয়া যায়, তাহলে, ধাতুখণ্ড অর্থাৎ বস্তুটি কখনও যথাযথ আকার বা মাপের হতে পারে না। এজন্য, কাজ আরম্ভ করার আগে প্রত্যেক বস্তুর বা ধাতুখণ্ডের উপরিভাগে নক্সা অনুসারে কতকগুলো রেখা টেনে এবং চিহ্ন দেওয়ার প্রণালীকে মার্কিং-অফ বা লেয়িং-আউট বলে। একে সংক্ষেপে কেবল মার্কিং বা লে-আউট করা বলা হয়ে থাকে।
কাজ আরম্ভ করার পূর্বে অথবা কাজের সময় ড্রয়িং অনুযায়ী ধাতুপক্ষের উপরিভাগে যেসকল টুলস দ্বারা মার্কিং করা হয় বা দাগ কেটে চিহ্ন দেওয়া হয় বা চিহ্নিত করার কাজে সাহায্য করে, সেসব টুলসকে মার্কিং বা লে-আউট টুলস বলা হয়। প্রদত্ত ডুয়িং অনুসারে কার্যবস্তুর উপরিতলে ড্রয়িং বা নকশা অংকন করাকে 'মার্কিং অথবা লে-আউট বলা হয়। কাগজের উপর পেন্সিল ব্যবহার করে যে নিয়মে মেকানিক্যাল ড্রয়িং করা হয় অনুরূপ নিয়মে মার্কিং অথবা লে-আউট টুলস ব্যবহার করে কার্যবস্তু তৈরি করার জন্য ওয়ার্কশিসের উপর মার্কিং অথবা লে-আউট করা হয়। বেঞ্চ ওয়ার্ক, শিট মেটাল ওয়ার্ক, ফিলিং এর ক্ষেত্রে কেন্দ্রের অবস্থান চিহ্নিত করার জন্য লে-আউট ওয়ার্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। বিভিন্ন প্রকার মার্কিং অথবা লে-আউট টুলগুলো হলো-
নিম্নে বিভিন্ন প্রকার মার্কিং ও লে-আউট টুলসের ব্যবহার আলোচনা করা হলো-
যে ওয়ার্কপিসে মার্কিং করা হবে পূর্বে ওয়ার্কপিসটি নরম Bristle Brush ব্যবহার করে তার পৃষ্ঠটি পরিষ্কার করতে হবে।ওয়ার্কপিস যদি খাতৰ হয় তাহলে ছোট পেইন্ট ব্রাশ ব্যবহার করে পৃষ্ঠকে একটি পাতলা চিহ্নিত কালির স্তর দিয়ে প্রলেপ দিতে হবে এবং এটি শুকানোর জন্য কয়েক মিনিট রেখে দিতে হবে। ওয়ার্কপিস এখন মার্কিং করার জন্য প্রস্তুত ।
যেভাবে কলম ধরা হয় ফাইবারকে সেই ভাবে ধরে রেখে, ফাইবারকে একটি স্টিবুলার বা ট্রাই ফোয়ার বা টেমপ্লেটের প্রান্তের বিপরীতে রাখতে হবে। ওয়ার্কপিসে ৪৫ ডিগ্রি কোণে ফাইবারকে ধরে রাখতে হবে।
ফাইবারের টিপটি স্টিলপারের প্রান্তের বিপরীতে রেখে ইঞ্জিনিয়ারিং করার বা টেমপ্লেট, এবং একই কোণে ফাইবারকে ওয়ার্কপিসের সাথে ফাইবার মাথাটি যে দিকে কাত হয়েছে সেদিকে টানতে হবে। একজন টেকনিশিয়ান ফাইবার ব্যবহার করে, ওয়ার্কপিসে একটি লাইন ফাইৰ করে সরাতে হবে যেদিকে ফাইবার হেড কাত হয়েছে সেদিকে যথেষ্ট চাপ প্রয়োগ করতে হবে যাতে ওয়ার্কপিস পৃষ্ঠের সাথে টিপটি জবিচ্ছিন্ন যোগাযোগে থাকে। ওয়ার্কপিসের পাঢ় কালিযুক্ত পৃষ্ঠে একটি হালকা লাইন তৈরি করবে যা উজ্জ্বল হবে। ওয়ার্কপিসে মার্ক আউট এবং অন্যান্য কাজ শেষ করার পরে, একটি দ্বাবক ক্লিনার বা সিখাইলেড স্পিরিট ব্যবহার করে কালিযুক্ত পৃষ্ঠের কালি পরিষ্কার করতে হবে।
১. ফাইবার দিয়ে পাঞ্চ করার জন্য উপাদানটিকে চিহ্নিত করতে হবে।
২. চিহ্নের উপর পাক্ষ ধরে রাখতে হবে। এটিকে কাত করে ধরতে হবে যাতে পয়েন্টের কেন্দ্রের সাথে টিপটি সারিবদ্ধ করতে পারে।
৩.পাক্ষটিকে সোজা করে রাখতে হবে।
৪.একটি হাতুড়ি দিয়ে পাঞ্চের ভোঁতা প্রান্তে আঘাত করতে হবে।
৫.পাঞ্চটি অপসারণ করতে হবে এবং পাঞ্চিং চিহ্ন চেক করতে হবে। যদি এটি মার্কিং এর কেন্দ্রে না থাকে বা যথেষ্ট গভীর না হয় তবে আবার পদ্ধতিটি পুনরাবৃত্তি করতে হবে।
একটি ধাতুর ওয়ার্কপিসে প্রান্তের সমান্তরাল রেখা টানতে হলে চিত্রের ন্যায় ব্যবহার করতে হবে এছাড়াও বলেগ ক্যালিপার দ্বারা একটি বৃত্তাকার বারের কেন্দ্র খুঁজে পেতে ব্যবহার করা হয়।
একটি ধাতব ওয়ার্কপিসে বৃত্ত বা আর্কস চিহ্নিল্ড করতে ডিভাইডার ব্যবহার করা হয়। প্রথমে আর্ক বা সার্কেল মার্কিং করতে হলে বৃত্ত বা আর্ক এর সেন্টার মার্কিং করতে হবে তারপর ডিভাইডারের একটি লেগ পয়েন্ট সেন্টারে চাপ দিয়ে রেখে অন্য লেগটি দিয়ে আর্ক বা সার্কেল আকতে হবে।
একটি ধাতব ওয়ার্কপিসের উপর ৯০° কোণে একটি লাইন চিহ্নিত করতে ট্রাই স্কয়ার ব্যবহার পদ্ধতি।
বৃত্তাকার অংশের উপাদানের একটি অংশের কেন্দ্র খুঁজে বের করার জন্য একটি সারফেজ লেজ খুব দরকারী। এটি সাধারণত্ত সমান্তরাল রেখা 'মার্কিং করতে ব্যবহৃত হয়।
এর বেসটি ভারী থাকে যাতে এটি ব্যবহার করার সময় স্থিতিশীল। সারফেস গেজের স্টান্ড চৌম্বকীয় সিস্টেমের থাকে অর্থৎ এর অর্থ হল মাতব পৃষ্ঠের উপর লক করা যেতে পারে যাতে এটি ব্যবহার করা সহজ হয়।
উপরের চিত্রটি একটি ভি ব্লকে রাখা বেলনাকৃতি ইস্পাত। সারফেস গেজ দ্বারা বেলনাকৃতি ইস্পাত ফেইজে মার্কিং করা হবে। প্রথমে ডি-ব্লকে বন্ধুটিকে রাখতে হবে এবং সারফেস গেজ টি চিত্রের ন্যায় বসাতে হবে। বৃত্তাকার পৃষ্ঠ জুড়ে সারফেস পেজটি সরাতে হবে এবং একটি লাইন ফাইবিং হবে।
তারপর ইস্পাতটি ১০ ডিগ্রি ঘোরানো হবে এবং আরেকটি লাইন মার্কিং করতে হবে। কেন্দ্রে একটি বর্গক্ষেত্র তৈরি না হওয়া পর্যন্ত এটি পুনরাবৃত্তি করতে হবে (উপরের চিত্রগুলি দেখুন)। তারপর বৃত্তের সঠিক কেন্দ্রটি শনাক্ত করতে বর্গক্ষেত্রের প্রতিটি কোণ থেকে তির্যক রেখাগুলি আঁকতে হবে। ৩.২.৬ কম্বিনেশন ক্ষরার সেট ও এর ব্যবহার
▪️প্রোডাক্টর হেড ব্যবহার পদ্ধতি
প্রোস্টাক্টর হেডটি নির্দিষ্ট কোণ নির্ধারণ করতে ব্যবহার করা হয়, কারণ একটি বর্গক্ষেত্রের বিপরীতে প্রোট্যাক্টরটি কোণ দিয়ে চিহ্নিত করা হয়।
যখন স্টিল রুলটি খুলে ফেলা হয়তখন তির্যক প্রান্ত দ্বারা কোন পরিমাপ করতে ব্যবহার করা হয়।
▪️সেন্টার হেড ব্যবহার পদ্ধতি
কম্বিনেশন স্কয়ার সেট টি বৃত্তাকার বস্তুর উপর কেন্দ্রের মাথা সংযুক্ত করতে হবে।
■ বস্তুর ব্যাস চিহ্নিত করার পদ্ধতি
কম্বিনেশন ক্ষরার সেটটি ৯০° ঘুরাতে হবে এবং আরেকটি ব্যাস লাইন মার্কিং করতে হবে। যেখানে লাইনগুলি একে অপরকে ক্রস করে বস্তুর কেন্দ্র চিহ্নিত করবে।
কখনও কখনও বস্তুটি একটি সঠিক বৃত্ত নাও হতে পারে। তখন দুটি ব্যাসের বেশি লাইন চিহ্নিত করা দরকার পরে এবং রেখাগুল একই বিন্দু থেকে যাবে না। তারপর কেন্দ্রটি আসলে কোথায় তা রেখা গুলোর হেনবিন্দু নির্দেশ করবে।
প্রধান স্কেলের আকার অনুযায়ী ভার্নিয়ার স্কেলের আকার রৈখিক বা গোলাকার হয়ে থাকে। সকল ভার্নিয়ার স্কেল একই নীতিতে তৈরি হয় না। তৈরির নীতি অনুযায়ী ভার্নিয়ার স্কেলের ধ্রুবক নির্ধারিত হয়ে থাকে। প্রধান স্কেলের ক্ষুদ্রতম এক ঘরের মান এবং ভার্নিয়ার স্কেলের মোট ভাগ সংখ্যার ভাগফলকে ভার্নিয়ার ধ্রুবক বলে।
ভার্নিয়ার কনস্ট্যান্ট = প্রধান স্কেলের এক ভাপের মান + ভার্নিয়ার স্কেলের মোট ভাগ সংখ্যা।
ধরা যাক,
একটি ভার্নিয়ার ক্ষেলের মোট ভাগ সংখ্যা ২০ এবং ভার্নিয়ার ক্যালিপার্সের মেইন স্কেলের ক্ষুদ্রতম ঘরের মান ১ মিমি।
সুতরাং ভার্নিয়ার ধ্রুবক হবে = ১ ÷ ভার্নিয়ার স্কেলের মোট ভাগ সংখ্যা
ভার্নিয়ার ধ্রুবক =
ভার্নিয়ার ধ্রুবক = ০.০৫ মিমি
উদাহরণ- ১ একটি ভার্নিয়ার ক্যালিপারের ভার্নিয়ার স্কেলের মোট ভাগ সংখ্যা ১০ যাহা প্রধান স্কেলের ভাগের দূরত্বের সমান। প্রধান স্কেলের ১ ভাগের মান ১ সিসি। ভার্নিয়ার ধ্রুবক বাহির কর।
সমাধান: আমরা জানি,
ভার্নিয়ার কনস্ট্যান্ট = প্রধান স্কেলের এক ভাগের মান + ভার্নিয়ার স্কেলের মোট ভাগ সংখ্যা
=১ মিমি ÷ ১০
= ০.১ মিমি
উত্তর: ভার্নিয়ার কনস্ট্যান্ট হবে ০.১ মিমি।
বস্তুর প্রকৃত পরিমাপ সবসময় পূর্ণ সংখ্যায় হয় না। ভার্নিয়ার স্কেলের শূন্য দাগ যদি প্রধান স্কেলের যে কোন দাগের সাথে মিলে যায় তাহলে পরিমাণ তত মিসি হয়। কিন্তু ভার্নিয়ার স্কেলের শূন্য দাগ যদি প্রধান স্কেলের দু'টি দাগের মধ্যবর্তী কোন স্থানে অবস্থান করে তাহলে ভার্নিয়ার ক্ষেল থেকে মাণ পড়ার প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে ভার্নিয়ার ক্ষেলের শূন্য চিহ্নিত দাগটি প্রধান স্কেলের যে দাগ অতিক্রম করে সে দাগ পর্যন্ত দূরত্বকে বছর পূর্ণ পরিমাপ ধরা হয়। আবার ভার্নিয়ার স্কেলে যত সংখ্যক দাগটি প্রধান স্কেলের একটি মাত্র দাগের সাথে একই সরলরেখায় চলে আসে বা সবচেয়ে কাছাকাছি হয় তার সাথে ভার্নিয়ার ধ্রুবক গুণ করে যা পাওয়া যায়, তাকে ইতিপূর্বে প্রাপ্ত পূর্ণমাপের সাথে যোগ করে বস্তুর প্রকৃষ্ণ পরিমাপ নির্ধারণ করা হয়।
এই ভার্নিয়ার স্কেলের ধ্রুবক ০.০২ মিমি
★ ভার্নিয়ার স্কেলে শূন্য রেখার ঠিক আগে প্রধান স্কেল রিডিং নোট কর।
★ এখানে, ভার্নিয়ার স্কেলের শূন্য অবিলম্বে ২৯ মিমি পূর্বে।
★ এটি (২৯ মিসি) ভার্নিয়ার ক্ষেলে দশমিক রিডিংয়ের সাথে যোগ করতে হবে।
★ ভার্নিয়ার স্কেলের লাইনটি লক্ষ্য কর, যা মূল স্কেলে একটি লাইনের সাথে মিলিত আছে।
★ ভার্নিয়ার স্কেলের ৩১নং ভাগের সাথে লাইন প্রধান স্কেলের একটি লাইনের সাথে মিলে গেছে।
সুতরাং, , রিডিং হল ২৯ মিমি গ্রাস ০.০২ মিমি মোট ৩১ ডিভিশন
২৯ সিমি + ৩১x০.০২ = ২৯.৬২ মিমি
মেট্রিক পদ্ধতিতে মাল নেওয়ার জন্য ব্যবহৃত মাইক্রোমিটারের প্রধান স্কেলে রৈখিক দাগ ও দাগের মান উপর ও নিচে দুই দিকে থাকে। উপরের ও নিচের রৈখিক স্কেলের মাঝে ব্যারেলের অ বরাবর একটি সরলরেখা বা দাগ থাকে। উপরের রৈখিক স্কেলের ক্ষুদ্র এক ভাগের মান ১ মিমি। আবার নিচের স্কেলে উপরের প্রতি ঘরের মাঝ বরাবর দাগকাটা থাকে যাতে করে উপরের প্রতি ঘরের দৈর্ঘ্যের অর্ধেক মাপ নেওয়া সহজ হয়। ফলে রৈখিক ফেল হতে সর্বনিম্ন ০.৫ মিমি মাপ নেওয়া যায়। বৃত্তাকার স্কেলের থিষলকে একপাক ঘুরালে রৈখিক দাগ বরাবর ০.৫ মিমি অগ্রসর হয় বা পিছিয়ে আনে। স্যুতরাং রৈখিক স্কেলের ০.৫ মিমি দূরত্ব বৃত্তাকার স্কেলের ৫০ ভাগের সমান।
অতএব, বৃত্তাকার স্কেলের এক ভাগের মান - (০.৫ ÷ ৫০) মিমি
= ০.১ মিমি
এটিকে মাইক্রোমিটার কনস্ট্যান্ট বলা হয়। মাইক্রোমিটার দিয়ে পাঠ নেওয়ার সময় বিশ্বলের বিভেল প্রান্ত ব্যারেল ক্ষেলের যত দাগ অতিক্রম করেছে সেই অতিক্রান্ত দাগের মাপ নির্ণয় করে এর সাথে সার্কুলার স্কেলের যে দাগ ডেটাম লাইনের সাথে মিলেছে অর্থাৎ প্রায় একই সরলরেখায় এসেছে সেই দাগ সংখ্যাকে মাইক্রোমিটার কনস্ট্যান্ট দিয়ে গুণ করে গুণফলকে যোগ করতে হবে। সর্বমোট যোগফলই হবে নিৰ্ণেয় পরিমাপ।
আমরা জানি কোনো একটি গ্রেডযুক্ত বোল্টের সাথে একই মাপের গ্রেভযুক্ত একটি নাটকে এক প্যাঁচ ঘুরালে নাটটি বোল্টের উপর এক পিচ পরিমাণ দৈর্ঘ্য অগ্রসর হয়। নাট ও বোল্টের এই নীতির উপর ভিত্তি করে মাইক্রোমিটার তৈরি করাহয়। মাইক্রোমিটারের স্পিন্ডলকে এক পাক ঘুরালে উহার পিচ অনুসারে বিষল ০.০২৫ ইঞ্চি অথবা ০.৫ সরে যায়। সাধারণ আউটসাইড মাইক্রোমিটারের ব্যারেলের উপর অঙ্কিত স্কেলের নির্দেশক রেখার উপর এক ইঞ্চি স্থানকে সমান ৪০ ভাগে অথবা ২৫ স্থানকে ৫০ ভাগে বিভক্ত করা থাকে। ব্রিটিশ পদ্ধতিতে তৈরি আউটসাইড মাইক্রোমিটারের ব্যারেল এবং বিষনে প্রতি ইঞ্চিতে ৪০ টি স্ক্রু - থ্রেড থাকে। ফলে, স্পিন্ডলকে পূর্ণ এক পাক ঘুরালে উহা (১ ÷ ৪০) ইঞ্চি বা ০.০২৫ ইঞ্চি অগ্রসর হয় অথবা পশ্চাৎ দিকে ৪০ পিছিয়ে আসে। স্পিন্ডলকে ডানদিকে পূর্ণ এক পাক ঘুরানে স্পিন্ডল এবং অ্যানভিলের মুখ দু'টির ব্যবধান ০.০২৫ ইঞ্চি কমে যায়। আবার যদি বামদিকে ঘুরানো হয়, তবে স্পিন্ডল এবং অ্যানভিলের মুখ দুটির দুরত্বের ব্যবধান ০.০২৫ ইঞ্চি বেড়ে যায়। স্পিন্ডল এবং বিম্বল পরস্পর প্রেড দ্বারা যুক্ত থাকায় বিষলের সঙ্গে স্পিন্ডল ঘুরতে থাকে। ব্যারেলের উপরিভাগে এক ইঞ্চি পরিমাণ স্থান সমান ৪০ ভাগে ভাগ করা থাকে।
স্যুতরাং ব্যারেলের প্রতি বিভাগের মান ১ ÷ ৪০ ইঞ্চি বা ০.০২৫ ইঞ্চি। এখন বিম্বল স্ক্যালে মোট ভাগ সংখ্যা হলো ২৫। এখন লিমন স্কেলের এক ভাগ ঘুরালে উহা ০.০২৫-২৫ - ০.০০১ ইঞ্চি স্থান অতিক্রম করে। মাপ নির্ণয়ের সময় লক্ষ্য রাখতে হয় যে বিশ্বলের প্রাপ্ত ব্যারেলের কোনো অঙ্গ চিহ্নিত রেখাটিও কয়টি ক্ষুদ্ররেখা অতিক্রম করেছে ও মিমনের কোনো রেখাটি নির্দেশক রেখা'-এর সাথে ঠিক মিলে গিয়েছে। এখন রেখা গুলির সম্পর্কযুক্ত মালগুলি যোগ করলেই সম্পূর্ণ মাপ পাওয়া যাবে।
উদাহরণ : ১ বৃটিশ পদ্ধতির মেজারমেন্ট অর্থাৎ ০.০০১ স্কেলার মাইক্রোমিটার
উপরের ছবিতে, সিম্বলটি যেখানে ২য় এবং ৩য় নম্বরযুক্ত ভাগের মধ্যে সেট করা আছে।
শূন্য থেকে ১ পর্যন্ত ৪টি ভাগ আছে অর্থাৎ ৪x.০.২৫ ÷ ১০০ ইঞ্চি
যেহেতু ২ পর্যন্ত অতিক্রম করছে স্যুতারং ২ x ০.১০০ ÷ ২০০ এর পরে আরো তিনটি অতিরিক্ত উপ-বিভাগ অতিক্রম করছে, যা হল ৩ x .০২৫" = ০.০৭৫" ইঞ্চি
সবশেষে শিখল উপর ১ ঘর অতিক্রম করছে বা খুব কাছাকাছি ভাই ১ x ০.০০ ÷ ০.০০১ |
এইভাবে রিডিং হবে ০.২০০ + ০.০৫ + ০.০০১ =০.০২৭৬।
উদাহরণ -২ বৃটিশ পদ্ধতির মেজারমেন্ট অর্থাৎ ০.০০০১ স্ক্যাল মাইক্রোমিটার:
যেহেতু মাইক্রোমিটারটি ১ ইঞ্চি থেকে ২ ইঞ্চি রেইজের সুতারং ১ ইঞ্চি গ্লাস ধরে মেজারমেন্ট নিতে হবে। উপরের ছবিতে সিম্বলটি যেখানে ১ম এবং ২য় নম্বরযুক্ত ভাগের মধ্যে সেট করা আছে। শূন্য থেকে ১ পর্যন্ত-
■ ৪টি ভাগ আছে অর্থাৎ ৪x,025 = 0.১০০ ইঞ্চি
■ যেহেতু ১ পর্যন্ত অতিক্রম করছে সুতারং ১x০.১০০ ইঞ্চি - ০.১০০ ইঞ্চি
■ এর পরে আরো দু'টি অতিরিক্ত উপবিভাগ অতিক্রম করছে, যা হল 2×০.০২৫ ইঞ্চি-০.০৫০ ইঞ্চি।
■ বিম্বল উপর ৫ ঘর অতিক্রম করছে যা খুব কাছাকাছি ভাই ৫×০.০০১ ইঞ্চি - ০.০০৫ ইঞ্চি।
■ সবশেষে ভার্নিয়ার স্কেলের ১ ভাগের সাথে খুব কাছাকাছি তাই ১x০.০০০১ ইঞ্চি-০.০০০১ ইঞ্চি
এইভাবে রিডিং হবে: (10+0.100 + 0.050 + 0.00001) ইঞ্চি = ১.১৫৫১ ইঞ্চি ।
মিলিমিটার পদ্ধতিতে নির্মিত মাইক্রোমিটার এর কার্যনীতি ও নাট ও বোল্টের অনুরূপ। ব্যারেলের অংশটি নাটের ন্যায় এবং স্পিডলের অংশটি বোল্টের ন্যায় কাজ করে। ব্যারেল ও বিফল উভয়েরই ট্রেড ০.৫ পিচবিশিষ্ট। থিষলকে পূর্ণ একপাক ডানদিকে ঘুরালে স্পিন্ডল ও জ্যানভিলের সুখ দুটির ব্যবধান ০.৫ মি করে যায় এবং বাম দিকে ঘুরালে ব্যবধান ০.৫ বেড়ে যায়। বিমল ও স্পিন্ডল পরস্পর যুক্ত থাকার ফলে সিম্বলকে ঘুরালে স্পিন্ডল ঘুরে ব্যারেলের উপর দিয়ে যাতায়াত করে। ব্যারেলের উপরিভাগে ২৫ স্থান ৫০ ভাগে বিভক্ত করা থাকে। তাই ব্যারেলের প্রতিটি বিভাগ ০.৫ মিমি মাগ সূচিত করে। বিমলকে পূর্ণ একপাক ঘুরালে ব্যারেলের ০.৫ মিমি বিভাগের একটি রেখা অতিক্রম করে। বিফল ফেলে মোট ভাগ সংখ্যা হলো ৫০। এখন বিঘল স্কেলের একভাগ ঘুরালে তা ০.৫ +৫০ = ০.০১ মিমি স্থান অতিক্রম করে। মান নির্ণয়ের সময় লক্ষ্য রাখতে হয় যে বিষলের প্রাপ্ত ব্যারেলের কোনো অঙ্ক চিহ্নিত রেখাটি ও কয়টি ক্ষুদ্র রেখা অতিক্রম করেছে ও দ্বিঘলের কোন রেখাটি 'নির্দেশকরেখা-এর সাথে ঠিক মিলে গিয়েছে। এখন রেখাগুলির সম্পর্কযুক্ত সাপগুলি যোগ করলেই সম্পূর্ণ মাপ পাওয়া যাবে। এটিকে মাইক্রোমিটার কনস্ট্যান্ট বলা হয়।
মাইক্রোমিটার দিয়ে পাঠ নেওয়ার সময় শিখলের বিভেল প্রাপ্ত ব্যারেল স্কেলের যত দাগ অতিক্রম করেছে সেই অতিক্রান্ত দাগের মাগ নির্ণয় করে এর সাথে সার্কুলার স্কেলের যে দাগ ডেটাম লাইনের সাথে মিলেছে অর্থাৎ প্রায় একই সরলরেখায় এসেছে সেই দাগসংখ্যাকে মাইক্রোমিটার কনস্ট্যান্ট দিয়ে গুণ করে গুণফলকে যোগ করতে হবে। সর্বমোট যোগফলই হবে নির্ণেয় পরিমাণ।
উদাহরণ-১ মেট্রিক পদ্ধতির মেজারমেন্ট অর্থাৎ ০.০১ যিনি ছেলের মাইক্রোমিটার ডানের ছবিতে, বিখলটি সেখানে অবস্থান করা আছে যেখানে থিম্বল বেডেলের প্রান্তটি স্কেলের উপরের দিকে ৫ এবং ৬ তম গ্র্যাজুয়েশনের মধ্যে অবস্থান করছে, সুতরাং-মেইন স্কেলের ৫.০ মিলিমিটার অতিক্রম করছে। মেইন স্কেলের নিচের দিকে পরবর্তী গ্র্যাজুয়েশনও অতিক্রম করছে এইভাবে একটি অতিরিক্ত ০.৫ মিমি অতিক্রম করছে। শেষে বৃত্তাকার ফেল এর ভালে ২৮, বিশ্বলের উপর কেন্দ্রীয় দীর্ঘ লাইনের সাথে মিলে গেছে। সুতরাং রিডিং হবে ৫.০০ + ০.৫ + ০.২৮ = ৫.৭৮ মিমি।
উদাহরণ-২ মেট্রিক পদ্ধতির মেজারমেন্ট অর্থাৎ ০.০০১ মিমি স্কেলের মাইক্রোমিটার
উপরের ছবিতে, বিমলটি সেখানে অবস্থান করা আছে যেখানে থিষল বেডেলের প্রান্তটি স্কেলের উপরের দিকে ৫.৫ এবং ৬ তম গ্র্যাজুয়েশনের মধ্যে অবস্থান করা আছে।
- মেইন স্কেলের ৫.৫০ মিলিমিটার অতিক্রম করছে।
- শেষে বৃত্তাকার স্কেল এর ভাগে ২৮ (২৮) বিশ্বলের উপর কেন্দ্রীয় দীর্ঘ লাইনের সাথে মিলে গেছে।
- ভার্নিয়ার স্কেলের ৩ভাগের সাথে খুব কাছাকাছি ভাই ৩০.০০১ 0.000 স্যুতারং রিডিং হবে ৫.৫ + 0.25+0.003 = 5.৭৮৩ মিমি।
ডায়ান্স ইন্ডিকেটরের ডায়ালের উপর ০ (শূন্য) চিহ্নিত রেখাটি মধ্যস্থান হতে ডান ও বামদিকে সমান ২৫টি ভাগ থাকে। ৰামদিকের ভাগগুলি কনটাক্ট পয়েন্ট নিচে নামার উচ্চতা নির্দেশ করে এবং ডানদিকের ভাগগুলি কনটাক্ট পয়েন্ট উপরে উঠার অর্থাৎ বেশি মাপকে বুঝানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। সেইজন্য ডায়ালের বামদিকে বিয়োগ (-) চিহ্ন এবং ডানদিকে যোগ (+) চিহ্ন থাকে।
এটা একপ্রকার কৌণিক মাপন যন্ত্র যার সাহায্যে ১° সুক্ষ্মতায় প্রিসিশন যন্ত্র হিসেবে যেকোনো কোশ পরিমাণ এবং নিরীক্ষা করা যায়। প্রোটেক্টিরের হেড ব্লেড বরাবর মুক্তভাবে স্লাইড করতে পারে এবং অর্থবৃত্তাকার ডিস্কে ০° থেকে ১০° পর্যন্ত উভয়দিকে ১° করে দাগকাটা থাকে। প্রোট্রাক্টরের স্পিরিট লেভেলের সাহায্যে কৌশিক বা ঢালুগুলের লেবেল পরীক্ষা করা যায়। প্রয়োজনে ব্লেড অংশের সাহায্যে সাধারণ দৈর্ঘ্যের মাপও নেয়া যায়।
কোনো কার্যবস্তুর কোণের পরিমাণ সরাসরি জানতে হলে ক্যাম্প-স্ক্রু ঢিলা করে প্রোটেক্টরকে কার্যবস্তুর উপর স্থাপন করতে হবে এবং যে দুটি ভলদ্বারা কোণ গঠিত উক্ত তল দু'টিকে প্রোটেক্টরকে ভলের সাথে এমনভাবে স্থাপন করতে হবে যাতে কোনো প্রকার ফাঁক বা বিচ্যুত্তি না থাকে। সঠিকভাবে ক্যাম্পের স্কু-কে টাইট দিতে হবে এবং ইন্ডিকেটিং লাইন সংযুক্ত দাগাংকিত রেখা কোণের পরিমাপ নির্দেশ করে।
কোনো কার্যবস্তুর নির্দিষ্ট কোণ পরিমাপ করতে প্রোট্রেক্টরের সঠিক কোণে সেট করে কার্যবস্তুতে স্থাপনের পর যদি কোনো ফাঁক বা বিচ্যুতি থাকে তবে ফিলার গেজের ব্রেড কার্যবস্তু এবং প্রোট্রোক্টরের মধ্যে স্থাপন করে ক্রটির পরিমাণ নিরীক্ষা করা যায়।
ঢালুতলের কোণের পরিমাণ নির্ণয়ে প্রোটেক্টরের সাথে ব্রেড ব্যবহারের প্রয়োজন হয়না। প্রোট্যাক্টর কৌণিক বা ঢালুগুলে স্থাপনের পর স্পিরিট লেভেলকে এরুপে ঘুরানো হয় যতক্ষণ না লেভেল সঠিকভাবে অনুভূমিক ভলে অবস্থান করে। এমন অবস্থার প্রোটেক্টর স্কেল থেকে সরাসরি কোপের মান পাঠ করে ঢালের পরিমাণ নির্ণয় করা যায়। প্রোটেক্টরের সাহায্যে ০° থেকে ৯০° পর্যন্ত কোপ সরাসরি মালাযায়। কিন্তু কোণের মান ৯০° থেকে বেশি হলে ১৮০° হতে পাঠকৃত মান বিয়োগ করে প্রকৃত মাপ পাওয়া যায়।
একটি বস্তু ধারণ করতে পারে এমন মোট ঘন ক্ষমতা বের করার ব্যবহৃত সূত্রটি হল এর আয়তন সূত্র। একটি তিন-মাত্রিক আকারের আয়তনের একককে ঘন একক হিসাবে প্রকাশ করা হয়। তিন মাত্রিক আকারের বস্তু ও ভাগের আয়তন নির্ণয়ের সূত্রগুলি নিচে দেয়া হল-
একটি সিলিন্ডার হল একটি তিন-মাত্রিক আকৃতি যার দু'টি বৃত্তাকার মুখ রয়েছে, একটি উপরে এবং একটি নিচে এবং একটি বাঁকা পৃষ্ঠ। একটি সিলিন্ডারের উচ্চতা এবং একটি ব্যাসার্ধ আছে। একটি সিলিন্ডারের উচ্চতা হুল উপরের এবং নিচের মুখের মধ্যে লম্ব দূরত্ব। একটি সিলিন্ডারের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য নিচে তালিকাভুক্ত করা হল-
কোণ হল আরেকটি ত্রিমাত্রিক আকৃতি (3D আকৃতি) যার একটি সমতল ভুমি বা বৃত্তাকার আকৃতির এবং শীর্ষে একটি সূক্ষ্ম টিপ। কোণের শীর্ষে বিন্দুযুক্ত প্রান্তটিকে 'এপেক্স' বলা হয়। কোপ একটি বাঁকা পৃষ্ঠ আছে সিলিন্ডারের মতো।
একটি গোলক আকারে গোলাকার। এটি একটি 3D জ্যামিতিক আকৃতি যার পৃষ্ঠের সমস্ত বিন্দু রয়েছে যা এর কেন্দ্র থেকে সমান দূরত্বে রয়েছে।
• স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা (পিপিই) ও শোভন পোশাক পরিধান করা;
• প্রয়োজন অনুযায়ী কাজের স্থান প্রস্তুত করা;
• কাজের প্রয়োজন অনুযায়ী টুলস, ম্যাটেরিয়াল ও ইকুইপমেন্ট সিলেক্ট এবং কালেক্ট করা;
• জবের প্রয়োজন অনুযায়ী কাচামাল সংগ্রহ করা;
• ডিজাইন অনুযায়ী সাবধানতার সাথে মেজারমেন্ট নেয়া;
• কাজ শেষে ওয়ার্কপের এর নিয়ম অনুযায়ী কাজের স্থান, টুলসও ইকুইপমেন্ট পরিষ্কার করা;
• কাজ শেষে ওয়ার্কগের এর নিয়ম অনুযায়ী টুলসও ইকুইপমেন্ট স্টোরে জমা দেয়া;
• অব্যবহৃত মালামান নির্ধারিত স্থানে সংরক্ষণ করা : ওয়েস্টেজ এবং ক্ষ্যাপগুলো নির্ধারিত স্থানে ফেলা।
পিপিই এর নাম | স্পেসিফিকেশন | পরিমাণ |
---|---|---|
নিরাপদ জুতা | স্ট্যান্ডার্ড মাপ অনুযায়ী | ১ জোড়া |
সেফটি হেলমেট | স্ট্যান্ডার্ড মাপ অনুযায়ী | ১ টি |
বয়লার স্যুট | স্ট্যান্ডার্ড মাপ অনুযায়ী | ১ টি |
হ্যান্ড গ্লাভস | স্ট্যান্ডার্ড মাপ অনুযায়ী | ১ জোড়া |
সেফটি গগলস | স্ট্যান্ডার্ড মাপ অনুযায়ী | ১ টি |
ইয়ার প্লাগ | স্ট্যান্ডার্ড মাপ অনুযায়ী | ১ টি |
যন্ত্রপাতির নাম | স্পেসিফিকেশন | পরিমাণ |
---|---|---|
ভার্নিয়ার ক্যালিপার | ৬ ইঞ্চি | ১ টি |
স্কাইভার | ৬ ইঞ্চি | ১ টি |
স্টিল রোল | ৬ ইঞ্চি | ১ টি |
কম্বিনেশন সেট | স্ট্যান্ডার্ড | ১ টি |
অ্যাঙ্গেল প্রোট্যাক্টর | স্ট্যান্ডার্ড | ১ টি |
ট্রাই স্কয়ার | ৬ ইঞ্চি | ১ টি |
ডিভাইডার | স্ট্যান্ডার্ড | ১ টি |
কাচামালের নাম | স্পেসিফিকেশন | পরিমাণ |
---|---|---|
এসএস শ্যান্টের টুকরা | ব্যাস ৮০ মিমি ও উচ্চতা ১০০ মিমি | ১ পিস |
পেপার | অফসেট | ২ পিস |
১. স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা (পিপিই) ও শোভন পোশাক পরিধান করো;
২. প্রয়োজন অনুযায়ী কাজের স্থান প্রস্তুত করো;
৩. চিত্রে প্রদর্শিত জবটির জন্য প্রয়োজনীয় টুলস ও ইনস্ট্রুমেন্ট প্রয়োজনীয়তা বিশ্লেষণ করো;
৪. কাজের প্রয়োজন অনুযায়ী টুলস, ম্যাটেরিয়াল ও সরঞ্জামগুলি
৫. সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা নাও; ৫. কাজের প্রয়োজন অনুযায়ী টুলস, ম্যাটেরিয়াল ও ইকুইপমেন্ট সিলেক্ট এবং সরঞ্জাম সংগ্রহ করো;
৬. জবটির কাচামাল স্টিল রুলের সাহায্যে পরিমাপ করো;
৭. জবটির এমারি-ক্লথ দিয়ে পরিষ্কার করো;
৮. জবের ডায়ামেটার ভার্নিয়ার ক্যালিপার্স এর সাহায্যে তিন বিন্দুতে তিন বার পরিমাপ কর ও নোট করো;
৯. জবের উচ্চতা ভার্নিয়ার ক্যালিপার্স এর সাহায্যে তিন বিন্দুতে তিনবার পরিমাপ কর ও নোট করো;
১০. জব্দের প্রাপ্ত ডাটা (মাপ) ডায়ামেটা ও উচ্চতা আলাদা আলাদা ভাবে গড় ডাটা (মাল) বের করে নোট করো।
ক্রমধাপসমূহ | প্রাপ্ত ডাটা | উচ্চতা মেজারমেন্ট | প্রাপ্ত ডাটা |
---|---|---|---|
ডায়ামেটার ১ম বার | ৮০.২৫ মিমি | উচ্চতা ১ম বার | ১০০.৩৫ মিমি |
ডায়ামেটার ২য় বার | ৮০.৩০ মিমি | উচ্চতা ২য় বার | ১০০.২৫ মিমি |
ডায়ামেটার ৩য় বার | ৮০.১৫ মিমি | উচ্চতা ৩য় বার | ১০০.৩০ মিমি |
গড় ডায়ামেটার | ৮০.২৪ মিমি প্রায় | গড় উচ্চতা | ১০০.৩ মিমি |
ব্যাসার্ধ | ৪০.১২ মিমি প্রায় |
১১. কোনো সমস্যা হলে প্রশিক্ষককে অবহিত করো;
১২. কাজের শেষে টুলস ও ইনস্ট্রুমেন্ট গুলো কর্মক্ষেত্রের পদ্ধতি অনুসারে পরিষ্কার করো;
১৩. টুলস ও ইনট্রুমেন্ট গুলো কর্মক্ষেত্রের পদ্ধতি অনুসারে স্টোরে জমাদান করো।
• টুলস ও ইনট্রুমেন্টের ধরন অনুসারে সাবধানে হ্যান্ডেলিং করো;
• টুলস ও ইনট্রুমেন্ট গুলো পরিষ্কার
• টুলস ও ইনট্রুমেন্ট ধারালো অংশ সাবধানে ব্যবহার
• সঠিক ভাবে সকল প্রয়োজনীয় সুরক্ষা নিয়ম মেনে চলো।
লে-আউট টুলস ও ইনট্রুমেন্টের ও মেজারিং টুলস ব্যবহার করার মাধ্যমে ওয়ার্কশপে শিক্ষার্থীদের ঘনবস্তুর পরিমাপ ও আয়তনের গাণিতিক হিসাব করার করার দক্ষতা অর্জিত হয়েছে/হয় নাই। আবার অনুশীলন করতে হবে।
▪️স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যক্তিম্পত্ত নিরাপত্তা (পিপিই) ও শোভন পোশাক পরিধান করা;
▪️প্রয়োজন অনুযায়ী কাজের স্থান প্রস্তুত করা; কাজের প্রয়োজন অনুযায়ী টুলস, ম্যাটেরিয়াল ও ইকুইপমেন্ট সিলেক্ট এবং কালেক্ট করা :
▪️জবের প্রয়োজন অনুযায়ী কাঁচামাল সংগ্রহ করা;
▪️ ডিজাইন অনুযায়ী সাবধানতার সাথে মেজারমেন্ট নেয়া;
▪️ কাজ শেষে ওয়ার্কপের এর নিয়ম অনুযায়ী কাজের স্থান, টুলসও ইকুইপমেন্ট পরিষ্কার করা ;
▪️কাজ শেষে ওয়ার্কপের এর নিয়ম অনুযায়ী টুলস ও ইকুইপমেন্ট স্টোরে জমা দেয়া;
▪️অব্যবহৃত মালামাল নির্ধারিত স্থানে সংরক্ষণ করা ;
▪️ওয়েস্টেজ এবং স্ক্যাপ গুলো নির্ধারিত স্থানে ফেলা;
পিপিই এর নাম | স্পেসিফিকেশন | পরিমাণ |
---|---|---|
নিরাপদ জুতা | স্ট্যান্ডার্ড মাপ অনুযায়ী | ১ জোড়া |
মাস্ক | স্ট্যান্ডার্ড মাপ অনুযায়ী | ১ টি |
সেফটি হেলমেট | স্ট্যান্ডার্ড মাপ অনুযায়ী | ১ টি |
বয়লার স্যুট | স্ট্যান্ডার্ড মাপ অনুযায়ী | ১ টি |
হ্যান্ড গ্লাভস | স্ট্যান্ডার্ড মাপ অনুযায়ী | ১ জোড়া |
সেফটি গগলস | স্ট্যান্ডার্ড মাপ অনুযায়ী | ১ টি |
ইয়ার প্লাগ | স্ট্যান্ডার্ড মাপ অনুযায়ী | ১ টি |
যন্ত্রপাতির নাম | স্পেসিফিকেশন | পরিমাণ |
---|---|---|
ভার্নিয়ার ক্যালিপার | ৬ ইঞ্চি | ১ টি |
স্টিল রুল | ৬ ইঞ্চি | ১ টি |
কম্বিনেশন সেট | স্ট্যান্ডার্ড | ১ টি |
অ্যাঙ্গেল প্রটেক্টর | স্ট্যান্ডার্ড | ১ টি |
ট্রাই স্কয়ার | ৬ ইঞ্চি | ১ টি |
কাচামালের নাম | স্পেসিফিকেশন | পরিমাণ |
---|---|---|
ফাঁপা পাইপের টুকরা | আউট ডায়া ৮০মিমি, ইনার ডায়া ৪০ মিমি ও উচ্চতা ১০০মিমি | ১ পিস |
এমারি ক্লথ | o নম্বর | ১ পিস |
পেপার | অফসেট | ২ পিস |
১. স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা (পিপিই) ও শোষন পোশাক পরিধান করো;
২. প্রয়োজন অনুযায়ী কাজের স্থান প্রস্তুত করো;
৩. চিত্রে প্রদর্শিত জবটির জন্য প্রয়োজনীয় টুলস ও ইনট্রুমেন্ট প্রয়োজনীয়তা বিশ্লেষণ করো;
৪. কাজের প্রয়োজন অনুযারী টুলস, ম্যাটেরিয়াল ও ইনট্রুমেন্ট সরঞ্জামগুলির সম্পর্কে ধারণা লাভ করো;
৫. কাজের প্রয়োজন অনুযায়ী টুলস, ম্যাটেরিয়াল ও ইনস্ট্রুমেন্ট সিলেক্ট এবং সরঞ্জাম সংগ্রহ করো;
৬. জবটির কাচামাল স্কিন রুলের সাহায্যে পরিমাপ করো :
৭. জবটি এনারিথ দিয়ে পরিষ্কার করো;
৮. জবের ডায়ামেটার ভার্নিয়ার ক্যালিপার্স এর সাহায্যে তিন বিন্দুতে তিন বার পরিমাপ কর ও নোট করো;
৯. জবের ইন সাইড ডায়ামেটার তিন বিন্দুতে উভয় পাশ থেকে তিন বার পরিমাপ কর ও নোট করো;
১০. জবের উচ্চতা ভার্নিয়ার ক্যালিপার্স এর সাহায্যে তিন বিন্দুতে তিনবার পরিমাপ কর ও নোট করো;
১১. জবের প্রাপ্ত ডাটা (মাণ) ডায়াটো ও উচ্চতা আলাদা অৱাদা ভাবে গড় ডাটা (যাপ) বের করে নোট করো;
আউট ডায়ামেটার | প্রাপ্ত ডাটা | ইনার ডায়ামেটার | প্রাপ্ত ডাটা | উচ্চতা | প্রাপ্ত ডাটা |
---|---|---|---|---|---|
১ম বার | ৮০.৩০ মিমি | ১ম বার | ৪০.২০ মিমি | উচ্চতা ১ম বার | ১০০.৩৫ মিমি |
২য় বার | ৮০.২০ মিমি | ২য় বার | ৪০.১০ মিমি | উচ্চতা ২য় বার | ১০০.২৫ মিমি |
৩য় বার | ৮০.১০ মিমি | ৩য় বার | ৪০.১৫ মিমি | উচ্চতা ৩য় বার | ১০০.৩০ মিমি |
গড় আউট ডায়ামেটার | ৮০.২০ মিলি প্রায় | গড় ইনার ডায়ামেটার | ৪০.১৫ মিমি | গড় উচ্চতা | ১০০.৩ মিমি |
ব্যাসার্ধ | ৪০.১০ মিলি প্রায় | ব্যাসার্ধ | ২০.৭ মিমি |
১৪. কোন সমস্যা হলে প্রশিক্ষককে অবহিত করো;
১৫. কাজের শেষে টুলস ও ইনস্ট্রুমেন্ট গুলো কর্মক্ষেত্রের পদ্ধতি অনুসারে পরিষ্কার করো;
১৬. টুলস ও ইনস্ট্রুমেন্ট গুলো কর্মক্ষেত্রের পদ্ধতি অনুসারে স্টোরে জমাদান করো ।
• টুলস ও ইনস্ট্রুমেন্টের ধরন অনুসারে সাবধানে হ্যান্ডেলিং করো;
• টুলস ও ইনস্ট্রুমেন্টগুলো পরিষ্কার করো;
• টুলস ও ইনস্ট্রুমেন্ট ধারালো অংশ সাবধানে ব্যবহার করো; সঠিকভাবে সকল প্রয়োজনীয় সুরক্ষা নিয়ম মেনে চলো।
লেআউট টুলস ও ইনস্ট্রুমেন্টের ও মেজারিং টুলস ব্যবহার করার মাধ্যমে ওয়ার্কশপে শিক্ষার্থীদের ফাঁপা ঘনবস্তুর পরিমাপ ও আয়তনের গানিতিক হিসাব করার করার দক্ষতা অর্জিত হয়েছে/হয় নাই/আবার অনুশীলন করতে হবে।
১) মেজারিং টুল বলতে কি বুঝায়?
২) ভার্নিয়ার ক্যালিপার কি ধরনের টুলস?
৩) প্রত্যক্ষ মাপকযন্ত্র কাকে বলে?
৪) মাইক্রোমিটার প্রধানত কয় প্রকার ও কি কি?
৫) বিভেল প্রোট্রেক্টর কি কাজে ব্যবহৃত হয়?
৬) পরীক্ষণ ও পরিমাপ করণের পার্থক্য উল্লেখ কর।
১) প্রত্যক্ষ মাপকযন্ত্র কাকে বলে? ৫টি প্রত্যক্ষ মাপকযন্ত্রের নাম লেখ।
২) সূক্ষ্ম পরীক্ষণ ও পরিমাপকরণ যন্ত্র কাকে বলে? এপ্রকার ৫টি যন্ত্রের নাম লেখ।
৩) পাঞ্চ কি কাজে ও কিভাবে ব্যবহার করা হয় বর্ণনা করো।
৪) বিভেল প্রোট্র্যাক্টর এর বিভিন্ন অংশের নাম লেখ।
৫) বিভেল প্রোট্র্যাক্টর -এর সূক্ষ্মতার মাত্রা কত ডিগ্রী?
৬) একটি ভার্নিয়ার ক্যালিপারের ভার্নিয়ার স্কেলের মোট ভাগসংখ্যা ৫০ যা দৈর্ঘ্য প্রধান স্কেলের ৪৯ ভাগের দূরত্বের সমান। প্রধান স্কেলের এক ভাগের মান ০.৫ মিমি। ভার্নিয়ার ধ্রুবক বের করো।
১) একটি ভার্নিয়ার ক্যালিপারের বিভিন্ন অংশের কার্যাবলী বর্ণনা করো।
২) মেট্রিক পদ্ধতিতে ভার্নিয়ার ক্যালিপারের পাঠ কিভাবে গ্রহণ করা হয় বর্ণনা করো।
৩) মাইক্রোমিটারের ক্ষেত্রে মেট্রিক পরিমাপ গ্রহণ পদ্ধতি বর্ণনা করো।
৪) আউটসাইড মাইক্রোমিটারের বিভিন্ন অংশের গঠন ও কার্যাবলী বর্ণনা করো।
৫) মার্কিং ব্লকের ব্যবহার বর্ণনা করো।
৬) মেজারিং টুলের যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণ বর্ণনা করো।
আরও দেখুন...