আমরা জানি যে দুই বা ততোধিক ডিভাইসকে নেটওয়ার্কে সংযুক্ত করার জন্য একটি ফিজিক্যাল মাধ্যম প্রয়োজন যা তারযুক্ত এবং তারবিহীন দুই ধরনেরই হতে পারে। এছাড়া, নেটওয়ার্কে এই ডিভাইসগুলিকে শনাক্ত করার জন্য আমাদের বিভিন্ন প্রকার অ্যাড্রেস যেমনঃ আইপি অ্যাড্রেস, ম্যাক অ্যাড্রেস ইত্যাদি প্রযোজন। এই অ্যাড্রেস সম্পর্কে আমরা পরবর্তী সেশনে জানব। এখন চল আমরা তারযুক্ত মাধ্যমগুলোর মধ্য দিয়ে ডাটা আদান প্রদান সম্পর্কে জেনে নেই।
নিচের চিত্রে তিন ধরনের তার দেখান হয়েছে। এর মধ্যে অপটিক্যাল ফাইবার সবচেয়ে দ্রুতগতিতে ডেটা আদান-প্রদান করতে পারে, কারণ এর মাধ্যমে ডেটা আলোক সিগন্যালে পরিনত হয়ে গন্তব্যে পৌঁছায়। অপটিক্যাল ফাইবারের পরই দ্রুত গতিসম্পন্ন ক্যাবল হল কোঅ্যাাক্সিয়াল ক্যাবল। টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল সবচেয়ে ধীর গতিসম্পন্ন। যদিও এই ক্যাবল দু'টিই ডেটাকে ডিজিটাল সিগন্যালে পরিণত করে। আবার খরচের দিক থেকে টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল সবচেয়ে সস্তা আর অপটিক্যাল ফাইবার সবচেয়ে ব্যয়বহুল।
এবার এসো ছক ৫.৭ এ উল্লেখিত ক্ষেত্রগুলোতে কোথায় কোন ধরনের ক্যাবল উপযুক্ত এবং কেন তা লিখি –
ছক ৫.৭: বিভিন্ন প্রকার তারের ব্যবহারের ক্ষেত্র ও কারণ
ক্ষেত্র | উপযুক্ত ক্যাবল | কেন উপযুক্ত |
১। অপেক্ষাকৃত কম গতিসম্পন্ন বাসার ল্যানে |
|
|
২। একটি কোম্পানির দ্রুতগতিসম্পন্ন ল্যানে |
|
|
৩। টেলিফোন নেটওয়ার্কে |
|
|
৪। সিসিটিভিতে |
|
|
তাহলে আমরা নেটওয়ার্কের বিভিন্ন লেয়ার এবং নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ডেটা আদান-প্রদানের জন্য ব্যবহৃত ক্যাবল সম্পর্কে বেশ কিছু ধারণা অর্জন করলাম। পরবর্তী সেশন থেকে আমরা নেটওয়ার্ক তৈরির ব্যবহারিক কাজগুলো শুরু করব এবং এই অভিজ্ঞতার শেষ সেশনে গিয়ে আমরা দুটি কম্পিউটার সংযোগ দিয়ে একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করব।
আরও দেখুন...