ধর্মীয় উৎসব ও অনুষ্ঠান

পঞ্চম শ্রেণি (প্রাথমিক) - বৌদ্ধধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা - | NCTB BOOK
33
33

বৌদ্ধরা বিভিন্ন রকমের ধর্মীয় উৎসব ও অনুষ্ঠান পালন করে থাকে। ধর্মীয় উৎসব ও অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুণ্য অর্জন হয়। পুণ্য দ্বারা সংসার জীবনে সুখ আসে। এজন্য বৌদ্ধরা শ্রদ্ধার সাথে বিভিন্ন পুণ্য তিথি পালন করে।

ধর্মীয় উৎসব সম্পর্কে তোমরা দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণিতে জেনেছ। এখন তোমরা ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান সম্পর্কে জানবে। উৎসবের পাশাপাশি ধর্মীয় অনুষ্ঠান বৌদ্ধধর্মে প্রচলিত। যেমন— সংঘদান, অষ্টপরিষ্কার দান, প্রব্রজ্যা, উপসম্পদা, প্রবারণা এবং কঠিন চীবর দান প্রভৃতি। পরিত্রাণ ও নবরত্ন সূত্র পাঠ, বহুচক্র মেলাও ধর্মীয় উৎসব ও অনুষ্ঠানের অন্তর্গত। এ ছাড়া পরিবাস বা ওয়াইক, জন্ম-জয়ন্তী, অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া, আরও অনেক রকম ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালিত হয়।

বৌদ্ধরা বুদ্ধের প্রবর্তিত ধর্মের অনুসারী। এজন্য বৌদ্ধরা সুখ লাভের আশায় বিভিন্ন রকমের ধর্মীয় উৎসব ও অনুষ্ঠান করে থাকে। এসব শুভ কর্মের দ্বারা মন হতে পাপ দূরীভূত হয়। মনে পুণ্য সঞ্চিত হয়। পুণ্য প্রভাবে মানুষ দুঃখ হতে মুক্তি লাভ করতে সক্ষম হয়।

প্রতিটি বিহারে পূর্ণিমার দিন বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান হয়। পূর্ণিমা ছাড়াও অন্যান্য পার্বণ দিনেও বিহারে ধর্মীয় অনুষ্ঠান হয়। পারিবারিকভাবে সংঘদান, অষ্টপরিষ্কার দান, প্রব্রজ্যাসহ আরও নানা অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। এসব উৎসব অনুষ্ঠানে বিহারে কিংবা গৃহে অনেক লোকের সমাগম হয় । এসব উৎসব অনুষ্ঠানে যোগদান করলে একজনের সাথে অন্যজনের সাক্ষাৎ হয়। সাক্ষাতে কুশল বিনিময় হয়। ভাব বিনিময় হয়। এতে জ্ঞাতি মিলন হয়। স্বজন পরিজনসহ নিজেদের মধ্যে সৌহার্দ্যভাব সৃষ্টি হয়। নিজেদের মধ্যে মৈত্রীভাব জাগ্রত হয়। সৌহার্দ্যভাব সৃষ্টি হলে সমাজের বিভিন্ন সমস্যা দূরীভূত হয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়। নিজেদের মনের মলিনতা দূর হয়। মন উদার হয়। সামাজিক ঐক্য- সংহতি প্রতিষ্ঠিত হয়। এ কারণে প্রত্যেককে নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠান, পূজা-পার্বণ ও আচার- অনুষ্ঠানে যোগদান করা কর্তব্য।

সংঘদান

বৌদ্ধদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মধ্যে সংঘদান অন্যতম। বৌদ্ধরা যেকোনো শুভ ও মঙ্গল কর্মে সংঘদান করে থাকে। ভগবান বুদ্ধ সংঘকে বিশুদ্ধ ক্ষেত্র বলেছেন। কারণ তাঁরা শীলবান ও ঋজু প্রতিপন্ন। তাই সংঘকে দান করলে মহাফল লাভ হয়। কেউ মারা গেলে মৃত ব্যক্তির উদ্দেশ্যেও সংঘদান করা হয়। এ ছাড়া বিবাহ অনুষ্ঠান, নব জাতকের অন্নপ্রাশনের সময়, প্রব্রজ্যা অনুষ্ঠানে সংঘদান করা হয়। এ দান বছরের যেকোনো সময় করা যায়। সংঘদান উপলক্ষে কমপক্ষে ৪ জন ভিক্ষুকে নিমন্ত্রণ বা ফাং করতে হয়।

সংঘদানে নিমন্ত্রিত ভিক্ষুসংঘের মধ্যে যিনি বয়োজ্যেষ্ঠ তিনিই পঞ্চশীল প্রদান করেন। সংঘদান উৎসবের মন্ত্র হলো “ইমং ভিক্‌খং সপরিকখারং ভিকখু সংঘস দেমা পূজেমা”— মন্ত্র বলে সংঘদান উৎসর্গ করেন। সংঘদান অনুষ্ঠানে জ্ঞানী পণ্ডিত ভিক্ষুরা সংঘদানের তাৎপর্য নিয়ে ধর্মদেশনা করেন। সংঘদানের পুণ্য ফল ব্যাখ্যা করেন ।
যেকোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জন্য বিভিন্ন উপকরণের প্রয়োজন হয়। সংঘদানের জন্যও দাতারা ভিক্ষুদের ব্যবহার উপযোগী বিভিন্ন দানের উপকরণ দিয়ে থাকে। অনেকে সংঘদানের সময় ভিক্ষুদের নিত্য প্রয়োজনীয় অষ্টপরিষ্কারও দান করে থাকেন ।

প্রবারণা

বৌদ্ধদের ধর্মীয় উৎসব ও অনুষ্ঠানের মধ্যে পূর্ণিমা তিথিগুলোর গুরুত্ব অনেক বেশি। বিভিন্ন পূর্ণিমা উৎসবের মধ্যে আশ্বিনী পূর্ণিমার তাৎপর্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আশ্বিনী পূর্ণিমার অপর নাম প্রবারণা পূর্ণিমা। এ দিবসে ভিক্ষুদের ত্রৈমাসিক বর্ষাবাসের পরিসমাপ্তি হয়। তাই এ পুণ্য তিথিতে ভিক্ষুরা বিনয় কর্মের মাধ্যমে প্রবারণা করে থাকেন ।

‘প্রবারণা’ শব্দের অর্থ হলো পাপকে বারণ করা। অর্থাৎ আষাঢ়ী পূর্ণিমা তিথি হতে আশ্বিনী পূর্ণিমা পর্যন্ত এ তিন মাস বর্ষাবাস উদ্‌যাপন করা হয়। এ তিন মাসের মধ্যে একজন ভিক্ষু যেকোনো অপরাধ করতে পারেন। তাই প্রবারণা পূর্ণিমায় করজোড়ে বসে অপরাধ মার্জনাপূর্বক বিনয়কর্ম সম্পাদন করেন। সে মন্ত্রটি হলো : আমি দেখেছি, শুনেছি এবং সন্দেহ করছি, এমন কোনো আপত্তিজনক কাজ করলে আমাকে ক্ষমা করে দিন।

গৃহী বৌদ্ধদেরও প্রবারণার তাৎপর্য উপলদ্ধি করা উচিত। নিজ মন শুদ্ধির জন্য প্রবারণার তাৎপর্য অনুধাবন করা কর্তব্য।

প্রবারণার দিন বিহারে ও গৃহে অনেক আনন্দ উৎসব চলে। ঘরে নানা ধরনের খাদ্যদ্রব্য তৈরি করা হয়। বিহারকে নানা রঙে সাজানো হয়। এমনকি গ্রামের রাস্তাগুলোকে ও নানা রঙিন কাগজ ও ধর্মীয় পতাকায় সাজানো হয়। সেদিন সকাল থেকে গ্রাম ও বিহার যেন উৎসবমুখর হয়। ছোট-বড় সবাই সেদিন বিহারে যায়। বিহারে সকালে সংঘদান হয়। বুদ্ধ পূজা করা হয়। গৃহীরা পঞ্চশীল গ্রহণ করেন। উপাসক-উপাসিকারা অষ্টশীল নেন। বিকেলে প্রবারণার তাৎপর্যের ওপর আলোচনা সভা হয়। এতে ভিক্ষুসংঘসহ অনেক পণ্ডিত দায়ক-দায়িকা প্রবারণার নানা দিক তুলে ধরেন।

সন্ধ্যায় প্রদীপ জ্বালানো হয়। দেশ ও বিশ্বের শান্তি কামনায় সমবেত প্রার্থনা করা হয়। এরপর ফানুস উড্ডয়ন করা হয়। এতে ছোট-বড়, নবীন-প্রবীণ সকলে আনন্দে মেতে ওঠে। রাতে ধর্মীয় কীর্তন বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ৷

কঠিন চীবর দান

বৌদ্ধদের ধর্মীয় উৎসব ও অনুষ্ঠানের মধ্যে কঠিন চীবর দান বিশিষ্ট স্থান অধিকার করে আছে। বর্তমানে এ কঠিন চীবর দানোৎসব জাতীয় অনুষ্ঠান হিসেবে রূপ লাভ করেছে। এ দান উপলক্ষে বৌদ্ধরা জাতীয় ও ধর্মীয় সম্মেলনও করে থাকে। অন্যান্য ধর্মীয় উৎসব ও অনুষ্ঠান বছরের যেকোনো সময়ে করা যায়। কিন্তু কঠিন চীবর বছরে একটি বিহারে একবার মাত্র করা যায়। এ দানোৎসব করতে হলে অনেক ধর্মীয় বিধান মানতে হয়।

ভিক্ষুদের আষাঢ়ী পূর্ণিমার দিন বর্ষাবাস গ্রহণ করতে হয়। আষাঢ়ী পূর্ণিমা হতে আশ্বিনী পূর্ণিমার পূর্বদিন পর্যন্ত বর্ষাব্রত গ্রহণ করার উপযুক্ত সময়। এ তিন মাসকে বর্ষাবাস বা ওয়া মাস বলা হয়। বর্ষাবাস করার জন্য ভিক্ষুদের বিভিন্ন নিয়ম আছে।

ভিক্ষুদের ব্যবহার্য যেকোনো একটি চীবর দিয়ে কঠিন চীবর দান করা যায়। কঠিন চীবর দানানুষ্ঠানে বিহারের বর্ষাবাস গ্রহণকারী ভিক্ষু ব্যতীত কমপক্ষে পাঁচজন ভিক্ষুকে ফাং বা নিমন্ত্রণ করতে হয়। বিহারের দায়ক-দায়িকারা চীবর ও দানের সামগ্রীসহ ভিক্ষুসংঘের সামনে উপস্থিত হন। দায়ক-দায়িকাগণ বয়োজ্যেষ্ঠ মহাথেরোর নিকট পঞ্চশীল গ্রহণ করেন। এরপর “ইমং কঠিন চীবরং ভিসংঘস দেমা পূজেমা কঠিনাত্তরিতুং” বলে তিনবার মন্ত্র উচ্চারণ করেন। দাতাগণ মুখে মুখে সে মন্ত্র উচ্চারণ করে চীবরটি ভিক্ষুদের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করেন। ভিক্ষুগণ এ দানকৃত চীবর সীমায় নিয়ে কর্মবাচ্চা পাঠ করে বর্ষাবাস সমাপনকারী ভিক্ষুকে প্রদান করেন ।

এ কঠিন চীবর দানোৎসব উপলক্ষে বিহারকে পরিষ্কার করা হয়। বর্ণাঢ্যভাবে সাজানো হয়। সকালে সংঘদান করা হয়। ধর্মাসভায় পণ্ডিত ভিক্ষুগণ কঠিন চীবর দানের তাৎপর্য দেশনা করেন। ভগবান বুদ্ধও কঠিন চীবর দানের মহাফল সম্পর্কে যেসব কথা বলেছেন, ভিক্ষুগণ তাও দেশনা করেন। সভায় বৌদ্ধ ধর্ম দর্শন সম্পর্কেও আলোচনা হয়। এতে দেশের বরেণ্য পণ্ডিত ভিক্ষু ও গৃহীরা অংশগ্রহণ করেন।

এ দানোৎসবে নানা সম্প্রদায় এবং রাষ্ট্রের ও সমাজের বিভিন্ন স্তরের প্রাজ্ঞ ব্যক্তিদেরকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। রাতে বৌদ্ধধর্ম বিষয়ক যাত্রা, নাটক, কীর্তন অনুষ্ঠিত হয়। শিশু-কিশোর, যুব-বৃদ্ধ সকলে আনন্দে মেতে থাকে। সারাদিন আনন্দ উৎসবে বিভোর থাকে।

লোক সমাজে বাস করতে হলে নিজেদের মধ্যে সৌভ্রাতৃত্ব ভাব গড়ে তুলতে হয়। নিজেদের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে উঠলে সমাজে শান্তি বিরাজ করে। এজন্য পরস্পরের সাথে মৈত্রী বন্ধন রচনা করতে হয়। ধর্মীয় অনুষ্ঠানই মিলনের জন্য একমাত্র সেতুবন্ধ। এর দ্বারা নিজের ও সমাজের বহু মঙ্গল সাধিত হয়।

প্রব্রজ্যা

বুদ্ধের অনুশাসন মতে গৃহীদের জীবনে একবার হলেও প্রব্রজ্যাধর্ম গ্রহণ করতে হয়। যারা প্রব্রজিত হন, তাঁদের কমপক্ষে ৭ বছর বয়সের হতে হয়। রাহুলও ৭ বছর বয়সে শ্রামণ্য ধর্মে দীক্ষা নেন ।

শ্রামণ্য ধর্ম গ্রহণ করতে হলে মাতা-পিতার অনুমতি প্রয়োজন হয়। এখন তোমরা প্রব্রজ্যা গ্রহণের নিয়মগুলো জানবে।

শ্রামণ্য ধর্ম গ্রহণ করতে প্রথমে মস্তক মুণ্ডন করতে হয়। ত্রিচীবর, ভিক্ষাপাত্র, সূচ- সুতা, কটিবন্ধনী, জল ছাঁকনি, ক্ষুর প্রভৃতি উপকরণ নিয়ে বিহারে ভিক্ষুর নিকট গমন করতে হয়। শ্রামণের ব্যবহারের জন্য পার্টি, বালিশ, মশারি, চাদর, স্যান্ডেল, তোয়ালে প্রভৃতি দ্রব্যসামগ্রী ও পূজার নানা উপকরণ দান করা যায়।

সে সময় বাদ্য বাজিয়ে শোভাযাত্রা সহকারে এবং সাধুবাদ ধ্বনি দিয়ে দায়ক-দায়িকারা বিহারে যান। যিনি শ্রমণ হবেন, তাঁকে প্রথমে বুদ্ধমূর্তির সামনে ধূপবাতি জ্বালিয়ে ত্রিরত্ন বন্দনা করতে হয়। পরে বড় জনদের নমস্কার করে, গুরু ভন্তের সামনে চীবর ও ভিক্ষাপাত্র নিয়ে বসতে হয়। পরে গুরুর মুখে মুখে মন্ত্র উচ্চারণ করে শ্রামণ্য ধর্ম গ্রহণ করতে হয়। শ্রমণ হওয়ার পর উপস্থিত উপাসক-উপাসিকাগণ নব দীক্ষিত শ্রমণকে বন্দনা করে থাকেন। নব দীক্ষিত শ্রমণকে তখন হতে দশশীল পালন করতে হয়। এর সাথে ৭৫ প্রকার সেখিয়া ধর্মও পালন করতে হয় ।

পালি ‘পৰ্ব্বজ্জা’ হতে বাংলায় প্রব্রজ্যা এসেছে। ‘প্রব্রজ্যা' শব্দের প্রকৃত অর্থ হলো পাপকর্ম বর্জন করা। যাঁরা প্রব্রজ্যা ধর্মে দীক্ষিত হন, তাঁরা কায়মনোবাক্যে কোনো রকম পাপ করতে পারে না ।

তোমরা প্রব্রজ্যা ধর্ম গ্রহণ করে কীভাবে শ্রমণ হয় আগে জেনেছ। এখন জানবে উপসম্পদা কী? শ্রামণ্য ধর্মে দীক্ষিত হওয়ার পর পরিপূর্ণ শিক্ষাপ্রাপ্ত হলে উপসম্পদা লাভ করা যায়। প্রব্রজিত জীবনের উচ্চতম পদ হলো উপসম্পদা। উপসম্পদা হলো ভিক্ষুত্বে উপনীত হওয়া। উপসম্পদা প্রাপ্ত শ্রমণ ‘ভিক্ষু’ নামে পরিচিতি লাভ করেন। ২০ বছরের কম বয়সে উপসম্পদা লাভ করা যায় না। ভিক্ষু হওয়ার জন্য সীমাঘর প্রয়োজন হয়। ভিক্ষুগণ ২২৭ শীল গ্রহণ ও পালন করেন।

প্রব্রজ্যা ও উপসম্পদার মধ্যে পার্থক্য কী তোমরা জানতে পারবে।

প্রব্রজ্যা বা শ্ৰমণউপসম্পদা বা ভিক্ষু

১. সাত বছর পূর্ণ না হলে কেউ শ্রামণ্য ধর্ম গ্রহণ করতে পারে না।

২. সাধারণ ধর্মীয় শিক্ষা, জ্ঞান ও শ্রদ্ধা থাকলেই শ্রমণ হওয়া যায় ৷

৩. যেকোনো একজন বয়স্ক স্থবির (ভন্তে) শ্রামণ্য ধর্মে দীক্ষা দিতে পারেন।

৪. যেকোনো স্থানে শ্রামণ্য ধর্ম গ্রহণ করা যায়।

৫. শ্রমণদের দশশীলসহ ৭৫ প্রকার সেখিয়া ধর্ম পালন করতে হয়।

৬. শ্রমণদের প্রতিদিন দশশীল গ্রহণ করা কর্তব্য।

৭. শ্রমণেরা নিজ হাতে যেকোনো খাবার গ্রহণ করতে পারে।

১. বিশ বছর পূর্ণ না হলে কেউ উপসম্পদা লাভ বা ভিক্ষু হতে পারে না।

২. ভিক্ষু ধর্ম গ্রহণ করার জন্য নির্দিষ্ট কত গুলো শিক্ষণীয় বিষয় আছে। সেগুলো না জানলে কেউ ভিক্ষু হতে পারে না।

৩. কমপক্ষে দশজন ভিক্ষু উপস্থিত না হলে ভিক্ষু হতে পারে না ।

৪. ভিক্ষু সীমাঘর অথবা উদক সীমা ব্যতীত অন্য কোনো স্থানে ভিক্ষু হওয়া যায় না।

৫. ভিক্ষুদের ২২৭টি শীল পালন করতে হয়।

৬.ভিক্ষুদের প্রতিদিন আপত্তি দেশনা করা কর্তব্য। 

৭. ভিক্ষুদের হাতে খাবার উঠিয়ে না দিলে গ্রহণ করতে পারে না।

 

Content added By

অনুশীলনী

6
6

শূন্যস্থান পূরণ কর :

১. বৌদ্ধরা ___ প্রবর্তিত ধর্মের অনুসারী।

২. বৌদ্ধ ধর্মীয় উৎসব ও অনুষ্ঠানের মধ্যে ___ অন্যতম।

৩. ভিক্ষুদের আষাঢ়ী পূর্ণিমার ___ গ্রহণ করতে হয় ৷

৪. শ্রমণদের জন্য দশ শীল এবং ___ সেখিয়া ধর্ম রয়েছে।

৫. গৃহী বৌদ্ধদেরও ___ তাৎপর্য উপলব্ধি করা উচিত।

৬. ___ বছরের কম বয়সে উপসম্পদা লাভ করা যায় না। 

 

বাম পাশের বাক্যাংশের সাথে ডান পাশের বাক্যাংশের মিল কর :

বামডান

১. বৌদ্ধরা বুদ্ধের

২. বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব

৩. সংঘদান করলে

৪. একই বিহারে বছরে একবারের বেশি

৫. ভিক্ষুদের ব্যবহার্য যেকোনো একটি

৬. ছেলে-মেয়েরা সারাদিন

১. মহাফল লাভ হয়।

২. কঠিন চীবর দানোৎসব হতে পারে না ।

৩. প্রবর্তিত ধর্মের অনুসারী ।

৪. অনুষ্ঠানের দ্বারা মনে শ্রদ্ধা উৎপন্ন হয়।

৫. চীবর দিয়ে কঠিন চীবর দানোৎসব করা যায় ৷

৬. সীমাঘর প্রয়োজন হয়।

৭. আনন্দ উৎসবে বিভোর থাকে।

 

নিচের প্রশ্নগুলোর সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :

১. কী কর্মের দ্বারা মন হতে পাপ দূরীভূত হয় ? 

২. ভগবান বুদ্ধ কাকে বিশুদ্ধ ক্ষেত্র বলেছেন? 

৩. কোন পূর্ণিমা তিথিতে ভিক্ষুরা আপত্তি দেশনা করেন ? 

৪. ভিক্ষুদের কী মোচনের জন্য ক্ষমা চাওয়া উচিত? 

৫. একই বিহারে বছরে একবারের বেশি কোন উৎসব হতে পারে না? 

৬. ‘পৰ্ব্বজ্জা’ শব্দের অর্থ কী? 

৭. শ্রমণেরা কয়টি সেখিয়া ধর্ম পালন করে ?

 

নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

১. বৌদ্ধরা কী কী ধর্মীয় অনুষ্ঠান উদযাপন করে তার নাম উল্লেখ কর। 

২. ধর্মীয় উৎসব-অনুষ্ঠানের সুফল কী বর্ণনা কর । 

৩. সংঘদান অনুষ্ঠানের নিয়ম বর্ণনা কর। 

৪. কঠিন চীবর দানের মনোজ্ঞ বর্ণনা দাও ৷ 

৫. ‘প্রব্রজ্যা’ শব্দের অর্থ কী? কীভাবে প্রব্রজ্যা গ্রহণ করতে হয়? 

৬. শ্রমণ ও উপসম্পদার মধ্যে পার্থক্য দেখাও ৷

Content added || updated By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

অর্থ প্রভাবে
মানুষের প্রভাবে
পুণ্যের প্রভাবে
কর্মের প্রভাবে
শ্রমণকে
ভিক্ষুকে
উপাসক-উপাসিকাকে
বালক-বালিকাকে
Promotion