চিংড়ি চাষের ক্ষেত্রে খামার/ঘের/পুকুরের ভৌত অবস্থার উন্নয়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা সুষ্ঠু পুকুর প্রস্তুতির মাধ্যমে চিংড়ি চাষ ব্যবস্থাপনা সহজেই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। এছাড়াও চিংড়ি সহজেই পুকুরের পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারে। চিংড়ি চাষ পুকুর প্রস্তুতিতে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাসমূহ নিচে উল্লেখ করা হলো।
ক) পুকুরের তলদেশে জৈব্য বর্জ্য পদার্থ মুক্ত হওয়ার কারণে অক্সিজেন গ্রহণকারী বিষাক্ত পদার্থের পরিমাণ হ্রাস পায়।
খ) পুকুরের তলদেশ জীবাণুমুক্ত হয়।
গ) পুকুরে পানিতে খনিজ পদার্থ সহজে মুক্ত হতে পারে।
ঘ) পুকুরের তলদেশের মাটিতে সহজে সূর্যালোক প্রবেশ করতে পারে। ফলে পুকুরের তলদেশের মাটিতে অনুজীবের ক্রিয়া বৃদ্ধি পায় ও জৈব্য পদার্থ সহজেই পচন ক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারে।
ঙ) চিংড়ি উৎপাদনে অবাঞ্চিত ক্ষতিকর শৈবালের ব্যাপকতা হ্রাস পায়।
চ) চিংড়ির জন্য ক্ষতিকর মাছের ডিম, কাঁকড়ার লার্ভা ও গুরুত্বপূর্ণ ক্ষতিকর প্রাণীর উপস্থিতি বা উপদ্রব হ্রাস পায়।
চিংড়ি চাষের ক্ষেত্রে সুষ্ঠুভাবে পুকুর প্রস্তুতির মাধ্যমে চিংড়ির খাদ্য ও পুষ্টিকর পদার্থের পরিমাণ বাড়ানো যেতে পারে যা পরোক্ষভাবে চিংড়ি চাষে সম্পূরক খাদ্য সরবরাহের সাথে সম্পর্কযুক্ত।
আরও দেখুন...