হ্যাক'স দিয়ে ধাতু কাটার সময় ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে:
১. যে ধাতু কাটতে হবে, সে ধাতুর উপযোগী হ্যাকস ব্লেড নির্বাচন করতে হবে।
২. হ্যাক'স ফ্রেমে ব্লেড আটকানোর সময় নিশ্চিত হতে হবে যেন এর দাঁতগুলো এমনভাবে থাকে যাতে সামনের দিকে চালনার সময় ধাতু কাটে (চিত্র-১.২৩)।
৩. কার্যবস্তুটি এষনভাবে বেঞ্চ তাইসে আটকাতে হবে যাতে কাটিং লাইন (Cutting Line) স্পষ্টভাবে দেখা যায় (চিত্র-১.২৪)।
৪. হ্যাকস ব্লেড দিয়ে ধাতু কাটা শুরু করার আগে ব্লেডটি চিত্র অনুযায়ী মার্কিং লাইনের উপর এমনভাবে রাখতে হবে যাতে বাম হাতের বুড়া আঙ্গুল চিত্র-১.২২ অনুযায়ী রেডকে সাপোর্ট (Suport) দিয়ে রাখে। এটা নিশ্চিত করতে হবে যে ব্লেডটি কেবলমাত্র লাইন বরাবরই চলবে এবং কোন অবস্থাতেই পিছলে যাওয়ার ঝুঁকি থাকবে না।
৫. বাম হাতের বুড়া আঙ্গুলের সাপোর্ট দিয়ে মার্কিং করার পর চিত্র-১.২৫ অনুযায়ী ডান হাতের তালু এবং আঙ্গুলগুলো দিয়ে হ্যাকস এর হাতল এবং বাম হাতের তালু এবং আঙ্গুলগুলো দিয়ে হ্যাকস এর সামনের দিকে ধরতে হবে।
৬. ভাইসের বামদিকে দাঁড়িয়ে ডান পা পিছনে এবং বাম পা ডান পা থেকে একটু সামনের দিকে এগিয়ে রাখতে হবে।
৭. কাৰ্যবস্তু এমনভাবে সংযোগ করতে হবে যাতে কমপক্ষে ব্লেডের তিনটি দাঁত কার্যবস্তু ভলের সংস্পর্শে থাকে (চিত্র ১.২৭)।
৮. হ্যাক'স চালনা করার গতি (Stroke) প্রতি মিনিটে ৪০ হতে ৫০ হওয়া উচিত (চিত্র-১.২৬)।
৯. ফরোয়ার্ড স্ট্রোক (Forward Stroke) এ চাপ দিতে হবে আর ব্যাকওয়ার্ড স্ট্রোক (Backward Stroke) বা রিভার্স গ্লোকে (Reverse Stroke) এ চাপ প্রত্যাহার করতে হৰে (চিত্র-১.২৯)
একটি ফাইলের ট্যাং অংশটি বাদ দিলে, উহার যাহা অবশিষ্ট থাকে তাহা ফাইল দৈর্ঘ্য হিসাবে পরিচিত। এই দৈর্ঘ্য ৫০ মিলিমিটার হতে বর্ধিত হয়ে ১০০ মিলিমিটার এবং ১০০ মিলিমিটার হতে বর্ধিত হয়ে ৪৫০ মিলিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। অর্থাৎ ২ ইঞ্চি হতে ক্রমে বৃদ্ধি পেয়ে ৪ ইঞ্চি এবং ৪ ইঞ্চি হতে ক্রমে বৃদ্ধি পেয়ে ১৮ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়।
কোন বস্তুর উপরিভাগ বা কোন নালীর ভিতরের অংশ হতে অল্প পরিমাণ ম্যাটেরিয়াল ক্ষয় করতে ইহা অত্যন্ত উপযুক্ত। আপত দৃষ্টিতে ফাইল চালানো কাজ খুব স্বাভাবিক বলে মনে হলেও সুন্দর করে ফাইল চালানো বা ফাইলিং করা শেখার জন্য অনেক সময় এবং মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন।
একটি ফাইলের প্রতি সেন্টিমিটারে বা প্রতি ইঞ্চিতে কয়টি দাঁত রয়েছে সেই সংখ্যার উপর ভিত্তি করে ফাইলের স্তর বা গ্রেড নির্ধারণ করা হয়। যে স্থানে বেশী ধাতু ক্ষয় করতে হয় তথায় প্রতি সেন্টিমিটারে অল্প দাঁতের ফাইল অর্থাৎ মোটা দাঁতের ফাইল ব্যবহার করা হয় প্রতি সেন্টিমিটারে বা ইঞ্চিতে দাঁত সংখ্যার ভিত্তিতে ফাইল এর গ্রেড সমূহের নাম এবং উহাদের ব্যবহার ছকে দেখান হল। সঠিক কাজ পাওয়ার জন্য সঠিক গ্রেডের ফাইল নির্বাচন করা অতি প্রয়োজন।
দাঁতের সংখ্যার উপর ভিত্তি করে যেমন ফাইলের গ্রেড নির্ধারণ করা যায়, তেমনি ফাইলের আকৃতির উপর ভিত্তি করে উহার শ্রেণী বিভাগ করা যায়। বিভিন্ন জবের জন্য বিভিন্ন প্রকার ফাইলের দরকার হয়।
বিভিন্ন শ্রেণির ফাইলগুলো যেমন-
ফ্লাট অর্থ সমতল বা চেপ্টা সুতরাং এই ফাইলের উপরিভাগসমতল বা চেপ্টা স্তবে অগ্রভাগ ক্রমশ: চিকন ইহার দৈর্ঘ্য সাধারণত ৫ সেন্টিমিটার হতে ১৫ সেন্টিমিটার এবং ১৫ সেন্টিমিটার হতে ৪৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়। ওয়ার্কশপের অধিকাংশ কাজ এই ফাইল দ্বারা করা হয়। রাফ, ৰাষ্ট্ৰাৰ্ড, সেকেন্ড কার্ট, সুখ এবং ভেড স্মথ সকল গ্রেডের ফ্লাট ফাইল বাজারে পাওয়া যায়।
হ্যান্ড ফাইল
এটির পৃষ্ঠাদেশ সমতল এবং আয়তাকার, দেখতে ফ্লাট ফাইলের মত হলেও একপার্ধে দাঁত থাকে না, অর্থাৎ এক পাশ সমতল থাকে ফলে ৯০ ডিগ্রী কোলে খৃষ্ট ক্ষয় করার সময় একটি পার্শ্ব কে অক্ষুন্ন রাখা প্রয়োজন হলে এই প্রকারের ফাইল দরকার হয়।
পিলার ফাইল
এই শ্রেণির ফাইল হ্যান্ড ফাইলের অনুরূপ হয়ে থাকে, তবে এদের পুরুত্ব হ্যান্স ফাইলের চেয়ে বেশি হয়ে থাকে । এই ধরনের ফাইল ২০ সেন্টিমিটার হতে ৩০ হ্যান্ড ফাইলের চেয়ে বেশী হয়। এই ধরনের ফাইল ২০ সেন্টিমিটার হতে ৩০ সেন্টিমিটার (৮ ইঞ্চি হতে ১২ ইঞ্চি) পর্যন্ত লম্বা কোনো আয়তাকার খাচে অধিক পরিমাণ খাতু ক্ষয় করার কাজে এই ফাইল অতি উপযুক্ত।
মিল ফাইল
এই প্রকারের ফাইলের পৃষ্ঠদেশও চ্যাপটা বা সমতল তবে বিশেষত্ব এই যে, এই শ্রেণীর ফাইল সিংগেল কার্ট বিশিষ্ট হয়। অধিক পরিমাণ ধাতু ক্ষয় করতে এটি ব্যবহৃত হয়।
হাফ রাউন্ড ফাইন
নাম হতে বোঝা যায় যে, এই ধরনের ফাইল এর উপরিভাগ অর্থ গোলাকার হবে তবে প্রকৃত পক্ষে এটি সম্পূর্ণরূপে অর্থ গোলাকার নহে, খানিকটা অর্থ গোলাকারে এবং ইহার একটি পৃষ্ট সমস্তল থাকে ফলে সমতল পৃষ্ঠটি দিয়ে অনায়াসে ফ্লাট ফাইলের কাজও চালানো যায় এবং বক্রপৃষ্ঠ দিয়ে কোন পৃষ্ঠকে অবতল আকৃতি দেওয়া যায়। এই শ্রেণির ফাইলের দৈর্ঘ্য ১০ সেন্টিমিটার হতে ৪৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়।
স্লাইট ফাইল
এই শ্রেণির ফাইল গোলাকার এবং টেপার হয় অর্থাৎ ফাইলের ব্যাস সুষমহারে ক্রমশঃ কমে যায়। রাউন্ড ফাইলের দৈর্ঘ্য সাধারণত ১০ সেন্টিমিটার হতে ৪৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়। কোনো গোলকার ছিদ্রকে বড় করতে, অসম আকৃতির ছোলের আকৃতি ঠিক করতে এই শ্রেণির ফাইল অতি উপযুক্ত বলে বিবেচিত হয়।
টাংগুলার ফাইল বা থ্রি স্কয়্যার ফাইল
ভিন কোন বিশিষ্ট এই ফাইল টেগার হয়, অর্থাৎ ক্রমশ চিকন হয়। তিন কোণা এই ফাইলের প্রতিটি কোশের মান ৬০ ডিগ্রী। এই প্রকারের ফাইল ১০ সেন্টিমিটার হতে ৪০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত দীর্ঘ হয়। ইহা সিঙ্গেল কাট এবং ডবল কাট উভয় প্রকারের হয়। যে সমস্ত কৌণিক স্থানের মান ১০ ডিগ্রী অপেক্ষা কম সেই সকল স্থানে ফাইলিং করতে এই প্রকারের ফাইল অধিক উপযুক্ত। করাতের দাঁত, ট্যাপ, কার্টার ইত্যাদি ধার দিতে এই ফাইল খুব উপযুক্ত।
স্কয়্যার ফাইল
এই ফাইল বর্গাকার অর্থাৎ ইহার চারটি কোণ থাকে, প্রতিটি কোণের মান ৯০ ডিগ্রী। ইহা ডবল কাট বিশিষ্ট হয়। এই শ্রেণীর ফাইন অধিকাংশ ক্ষেত্রে ১০ সেন্টিমিটার হতে ৪০ সেন্টিমিটার (প্রায় ৪ ইঞ্চি হতে ১৬ ইঞ্চি) পর্যন্ত লম্বা হয়। কোন নালীর বা গ্রুপের তলা পরিষ্কার করতে অথবা গোলাকার গর্তকে চৌকোনা করতে এই শ্রেপির ফাইল ব্যবহৃত হয়।
চিজেল
এটি কটি ধাতু কর্তনকারী টুল বাংলায় একে হেনি বলে। একটি চিজেলের প্রধান প্রধান অংশগুলি হল:-
(ক) হেড
(গ) শ্যা
(গ) কাটিং এজ
হেড অংশে হাতুড়ির আঘাত দিয়ে ধাতু কাটা হয়, চিজেল টুল-স্টিল দিয়ে তৈরি করা হয়। বিভিন্ন রকম কাজের জন্য চিজেলের মুখের আকৃতি ভিন্ন হয় এবং এদের নামও ভিন্ন ভিন্ন হয়।
(ক) ফ্লাট চিজেল
(খ) ক্রস কাট চিজেল
(গ) রাউন্ড নোজ চিজেল
(ঘ) ডায়মন্ড পয়েন্ট চিজেল এবং
(ঙ) সাইড চিজেল।
কোনো চিজেলের মাপ বলতে ইহার কাটিং এজের দৈর্ঘ্যকে বোঝায়। এই যান ৬ মিলিমিটার হতে ৩২ মিলিমিটার পর্যন্ত হয় এবং সমগ্র চিজেল এর দৈর্ঘ্য সাধারণত ১০ সেন্টিমিটার হতে ৪০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে।
(১) প্রয়োজনের অতিরিক্ত মেটাল কোনো বস্তুর উপর হতে দ্রুত সরিয়ে ফেলতে,
(২) কোনো অসমতল স্থান তাড়াতাড়ি মোটামোটি সমান করতে,
(৩) কোনো বস্তুর উপরিভাগে নালী বা ঘাট কাটতে,
(৪) কোনো মেটালকে দ্বিখন্ডিত করতে,
(৫) রিভেটকে কেটে কোনো জোড় খুলতে,
(৬) ওয়েন্ড জোড়া প্রস্তুত করার সময় এবং
(৭) ওয়েল্ড মেটালের মাঝে আটকে পড়া ধাতুমল বা গাদ সরাতে।
ওয়েল্ডিং কাজে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হ্যান্ড টপস এর মধ্যে বল পিন হ্যামার একটি। ইহার হেডটি বলের মত অর্থাৎ গোল ভাই এই প্রেপির হাতুড়ির নাম হয়েছে বলপিন হ্যামার।
একটি বলপিন হ্যামারে বিভিন্ন অংশের নাম হল:
ক) হেড বা পিন
খ) ফেস
গ) আই
ঘ) হেড বা পিন
ঙ) হাতল
বলপিন হ্যামার সাধারণত ০.১১ হতে ০.১১ কিলোগ্রাম ওজনের হয়। ওয়ার্কশপে সাধারণত নিম্নোক্ত বিভিন্ন ধরনের কাজে এই হ্যামার ব্যবহার করা হয়-
১। চিজেন দিয়ে চিপিং করে ধাতু কাটার সময় চিত্রেলের হেডে আঘাত করতে,
২। জবে লে-আউট করার সময় সেন্টার পাঞ্চের মাথায় আঘাত করতে
৩। কোন ক্ষরকে পিটিয়ে সোজা বা বাঁকা করতে।
এটি ওয়েন্ডিং শপে এবং কামারশালায় ফোর্জ ওয়েল্ডিং কাজে বয়হৃত হয়। অধিক ভারী এবং দুই হাতে ব্যবহার করার উপযোগী। এই হ্যামার সাধারণত ০৩ হতে ০৫ কিলোগ্রাম ওজনের হয় এবং হাতলের দৈর্ঘ্য ২৪ থেকে ৩২ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়।
এই ধরনের হাতুড়ির এক মাথা ফ্লাট বা সমতল এবং অন্য মাথা বাটালি বা ছেনির মত হয়ে থাকে। এই হাতুড়ি কজন ওয়েন্ডারের জন্য অতি প্রয়োজনীয় একটি হ্যান্ড টুল।
ক) ওয়েন্ডিং করার পর ওয়েন্ড মেটালের উপর যে সকল স্লাগের আবরণ থাকে সেইগুলি পরিষ্কার করতে এই হাতুড়ি প্রয়োজন হয়।
খ) স্প্যাটার ত্রুটির কারনে ছিটকে পড়া ধাতু কলাগুলি পরিষ্কার করতেও ইহা ব্যবহৃত হয় ।
গ) যেস্থানে সমতল অংশ দিয়ে পরিষ্কার হয় না, ময়লা শক্তভাবে লেগে থাকে সেখানে চিজেলের মত অংশ ব্যবহৃত হয়।
ঘ) সমতল অংশকে সাধারণ হাতুড়ির মত ব্যবহার করে কোন কিছুকে পেটাতে ব্যবহার করা হয়।
মাথাটি হাডেনিং করে শক্ত করা এবং বডি হাত হতে যেন পিছলির না যায় তাই নারলিং করা থাকে। ইহা লম্বায় প্রায় ১০০ মিলিমিটার হয়।
পেন্সিল দিয়ে যেমন কাগজের উপর দাগ টানা হয় অনুরুপভাবে জবের উপর দাগ দেওয়ার জন্য ফাইবার নব্যবহৃত হয়। ওয়েল্ডিং জোড়ার পার্শ্বদেশ তৈরি করার সময় এটি ব্যবহৃত হয়।
এটি মিডিয়াম কার্বন স্টিলের হাতন অংশে গোলাকার তবে চোয়ান গোলাকার এবং চ্যাপটা উভয় রকমই হয়।
গরম অথকে ধরতে ও নাড়াচাড়া করতে জবকে সঠিক অবস্থানে ধরে ওয়েন্ডিং করতে এটি অতি প্রয়োজনীয়।
কাঠের হাতলের উপর শক্ত চিকন চিকন তার বসায়ে এই হ্রাস তৈরি করা হয়। চিপিং হাতুড়ির সাহায্যে জোড়া স্থানের স্লাগের আবরণ ভোলার পর উক্ত স্থানকে ভালভাবে পরিষ্কার করার জন্য ইহা ব্যবহৃত হয়। তাছাড়াও বেস মেটাল বা প্যারেন্ট মেটাল যখন অপরিষ্কার থাকে তখনও এ ব্রাসের সাহায্যে উহা পরিষ্কার করা যায়।
সি ফ্ল্যাম্প: ইহা দেখতে ইংরেজি সি অক্ষরের মত তাই এর এরূপ নাম হয়েছে। ভারী এবং হালকা উভয় ধরনের কাজের আবস্থান অনুযায়ী ধরে রাখার কাজে এটি ব্যবহার করা হয়।
এ ধরনের ক্ল্যাম্প দুইটি জব চোয়াল সমান্তরাল বা প্যারালাল অবস্থায় থাকে তাই এর নাম প্যারালাল ক্যাম্প হয়েছে। জবকে সঠিক স্থানে ধরে রেখে ওয়েন্ডিং করতে এটি ব্যবহার করা হয়।
এটি একটি জনপ্রিয় ও বহুল ব্যবহৃত রেফ। এটির ওয়ার্স স্কুকে ঘুরিয়ে যে কোনো নাটে বা বোল্টে অ্যাডজাস্ট করা যায়৷ একজন ওয়েল্ডারের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও ইকুইপমেন্ট (Equipment) এর বিভিন্ন মাগের নাট টাইট ও লুজ দিতে এটি সবসময় প্রয়োজন হয়। এ রেঞ্চ ১১০ মিমি হতে ৬৯০ মিমি মাপের হয়ে থাকে। সাধারণ কাজে ২৫০ মিমি মাপের রেঞ্চই বেশি ব্যবহৃত হয়।
ওপেন এন্ডেড রেঞ্জ (Open Ended Wrench) এ রেঞ্চের প্রাঙ্ক বা এন্ড খোলা থাকে। এ ব্রেঞ্চের সুবিধা হলো প্রতিটি মাপের নাট বা বোশের জন্য আলাদা আলাদা রেঞ্চ আছে। এ ব্রেক ব্যবহার করলে নাটের মধ্যে এটি টাইট হয়ে লেগে থাকে, ফলে পিছলিয়ে যায় না। চিত্র-১.৫৩ এ দেখানো রেফটির একমাত্রা ১৬ মিমি এবং অন্য মাথা ১৭ মিমি নাট বা বোল্ট এর জন্য নির্ধারিত। এ রেঞ্চ একমাথা খোলা ( Single Ended) ও দু'মাথা খোলা (Double Ended) উভয় প্রকারের হয়ে যাকে।
এটি দেখতে L আকৃতির (চিত্র-১.৫৪) হয়ে থাকে। ষড়ভূজ আকৃতি (Hexagonal) বিশিষ্ট 'অ্যালেন লেন কী বোল্ট' (চিত্র-১.৫৫), অ্যালেন স্ক্রু, 'কাউন্টার শ্যাংক মেশিন স্ক্রু ইত্যাদি লুজ ও টাইট দিতে এই রেঞ্চ বা কী ব্যবহৃত হয় (চিত্র-১.৫৬)।
আরও দেখুন...