গ্রাফিক্স ডিজাইন Graphics Design

এইচএসসি (বিএমটি) ভোকেশনাল - ডিজিটাল টেকনোলজি ইন বিজনেস-২ - NCTB BOOK

গ্রাফিক্স ডিজাইন হলো ডিজিটাল আর্ট বা শিল্প। এখানে একজন ডিজাইনার কম্পিউটার সফটওয়্যারের মাধ্যমে কল্পনা, তথ্য এবং গ্রাহকদের ধারণাগুলোর সাথে যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে ডিজাইন তৈরি করেন। এক কথায় চিত্রশৈলী দ্বারা নকশা তৈরি করাকে গ্রাফিক্স ডিজাইন বলে। এটি এমন একটি জনপ্রিয় এবং সৃজনশীল কাজ যেখানে ডিজাইনার নিজের সৃষ্টিশীলতাকে ব্যবহার করে কম্পিউটার সফটওয়্যারের মাধ্যমে বিভিন্ন ডিজাইন করে আয় করতে পারেন। নিজের আইডিয়া, কর্ম দক্ষতা এবং ইউনিক কিছু ডিজাইন, সহজ এবং গোপন কিছু টিপস্ জানা থাকলেই এই পেশায় ভালো করা সম্ভব। বর্তমানে প্রতিটি কোম্পানিতে ফটো এডিটিং, লোগো ডিজাইন, প্রোডাক্ট ডিজাইন, ওয়েবসাইটের ইউজার ইন্টারফেস ডিজাইন সহ আরো অনেক গ্রাফিক্যাল কাজ হয়ে থাকে। যেগুলোর জন্য প্রফেশনাল গ্রাফিক্স ডিজাইনের ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। সুতরাং প্রতিটি কর্মক্ষেত্রেই গ্রাফিক্স ডিজাইনার প্রয়োজন হচ্ছে। সর্বোপরি বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং প্লার্টফর্মগুলোতে সবচেয়ে চাহিদা বহুল পেশা এখন গ্রাফিক্স ডিজাইন। আমরা এই অধ্যায় থেকে গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কে আরো বিশদ জানব।

Content added By

গ্রাফিক্স ডিজাইন হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার

বর্তমানে গ্রাফিক্স ডিজাইন খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি পেশাগত কাজ। এই কাজের মাধ্যমে হাজার হাজার লোক তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে। গ্রাফিক্স হলো দৃশ্যমান ইমেজ বা ছবি যা বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে দৃশ্যমান করে তোলা হয়। এক্ষেত্রে বিভিন্ন লাইন বা কিছু যুক্তি ব্যবহার করে আমরা ধারণাগুলো দৃশ্যমান করে তুলি। তাই বলা যায়, ধারণা বা আইডিয়াগুলো বিভিন্ন পদ্ধতির মাধ্যমে কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করে দৃশ্যমান করে তোলার প্রক্রিয়াকে গ্রাফিক্স ডিজাইন বলা হয়। গ্রাফিক্স ডিজাইনে কাজ করে বর্তমানে অনেক মানুষ জীবিকা নির্বাহ করছে। বিভিন্ন সফটওয়্যার ব্যবহার করে কম্পিউটারের মাধ্যমে গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ করা হয়। সেরকম কিছু সফটওয়্যার হলো— অ্যাডোবি ফটোশপ, অ্যাডোবি ইলাস্ট্রেটর, অ্যাডোবি ফ্লাশ ইত্যাদি। এই প্রোগ্রামগুলো মূলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের Adobe Systems কর্তৃক তৈরি ও বাজারজাতকৃত। এগুলোর মাধ্যমে আমরা আমাদের মনের যতো আইডিয়া বা সৃষ্টিশীল ধারণা আছে সেগুলো দৃশ্যমান করতে পারবো। গ্রাফিক্স ডিজাইনের মাধ্যমে পত্র-পত্রিকা তৈরি, বইয়ের কভার, ফটো এডিটিং, পোস্টার তৈরি, ফটো সংযোজন ও বিয়োজনসহ বিভিন্ন ধরনের কাজ করা যায়।

Content added By

গ্রাফিক্স ডিজাইনের ধারণা ও গুরুত্ব

■ গ্রাফিক্স (Graphics)

গ্রাফিক্স শব্দটি গ্রিক শব্দ Graphikos (গ্রাফিকস) থেকে এসেছে, যার অর্থ অঙ্কন বিষয়ক জ্ঞান বা কোনো পৃষ্ঠে রেখা টানা বা ড্রইং করা। অর্থাৎ গ্রাফিক্স অর্থ হলো রেখার ভিত্তিতে কোনো নকশা প্রণয়ন করা, যা পরবর্তীতে ছাপা বা প্রকাশের জন্য তৈরি করা হয়।

চিত্র: গ্রাফিক্স সফটওয়্যারসমূহ

গ্রাফিক্স হলো এমন একটি সদৃশ মাধ্যম যার দ্বারা কোনো পৃষ্ঠের উপর (যেমন— একটি ওয়ালের উপর, একটি ক্যানভাসের উপর, একটি পর্দার উপর কিংবা একটি কাগজের উপর) কিছু ছবি বা নকশা আঁকাকে বোঝায়। এটি মূলত ব্যবহার করা হয় কোনো উপাত্ত (ডেটা) প্রকাশের উদ্দেশ্যে। যেমন— কম্পিউটার বিষয়ক নকশা বা শিল্পজাতকরণে, গ্রাফিক্স আর্ট বা ছাপাখানায় অক্ষর বিন্যাসে অথবা শিক্ষামূলক বা বিনোদনমূলক সফটওয়্যার নির্মাণে। যখন কম্পিউটার দ্বারা কোনো নকশা ডিজাইন করা হয় তখন তাকে কম্পিউটার গ্রাফিক্স বলে। ফটোগ্রাফ, লাইন আর্ট, ড্রয়িং, গ্রাফ, ডায়াগ্রাম, টাইপোগ্রাফি, সংখ্যা, প্রতীক, জ্যামিতিক নকশা, ম্যাপ, ইঞ্জিনিয়ারিং ড্রয়িং অথবা অন্যান্য ছবি সংশ্লিষ্ট বিষয়কে গ্রাফিক্সের উৎকৃষ্ট উদাহরণ বলা যায়। অক্ষর, চিত্রালংকরণ (ইলাস্ট্রেশন), রঙ হলো একটি গ্রাফিক্সের প্রধান উপাদান। কম্পিউটার গ্রাফিক্সের মাধ্যমে নিজের ইচ্ছাকৃত ডিজাইন, নতুনত্ব আনয়ন, অক্ষরের সু-সন্নিবেশিত রূপ প্রদান করা সম্ভব।

■ গ্রাফিক্স ডিজাইন (Graphics Design) 

গ্রাফিক্স ডিজাইন হচ্ছে ভিজ্যুয়াল আর্ট। বিভিন্ন ছবি, মিউজিক, ভিডিও বা টেক্সটের মাধ্যমে কোনো একটি প্রোডাক্ট, প্রজেক্ট বা ইভেন্টের মেসেজ গ্রাহকের কাছে ভিজ্যুয়ালি পৌঁছে দেয়াই হচ্ছে গ্রাফিক্স ডিজাইন । যেহেতু মেসেজ পৌঁছে দেয়ার কাজ করা হয়, তাই এটাকে কমিউনিকেশন ডিজাইনও বলা যেতে পারে। গ্রাফিক্স ডিজাইন মূলত এমন একটি শিল্প যেখানে আর্ট ও প্রযুক্তির সমন্বয়ে দৃশ্যমান ছবি বা নকশা তৈরি করা হয়। বর্তমান সময়ে কম্পিউটারের মাধ্যমে তৈরি করা দৃশ্যমান ডিজাইনকে গ্রাফিক্স ডিজাইন বলা হয়। সৃজনশীল উপায়ে কোনো কাজকে ভিজ্যুয়াল এলিমেন্ট যেমন— ছবি, রং, রেখা ও ফর্মের সমন্বয়ে সুষম বিন্যাসের মাধ্যমে কোনো ক্রিয়েটিভ আইডিয়াকে দর্শনীয়ভাবে উপস্থাপন করাই হলো গ্রাফিক্স ডিজাইন। গ্রাফিক্স ডিজাইন হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে নিজের ধারণা, শিল্প (art) এবং দক্ষতা (skills) ব্যবহার করে ছবি (pictures) শব্দ (words), পাঠ (text) এবং ধারণার মিশ্রণ (combine) করে একটি আলাদা এবং নতুন ছবি (picture) তৈরি করা হয়।

সহজ কথায় বললে গ্রাফিক্স ডিজাইন হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে যে কোন তথ্য বা ছবি শৈল্পিক উপায়ে উপস্থাপন করা হয়। 

গ্রাফিক্স ডিজাইনের উপাদান

গ্রাফিক্স ডিজাইনের উপাদানগুলোর মধ্যে রয়েছে লাইন, রঙ, আকৃতি, স্থান, টেক্সচার, টাইপোগ্রাফি, স্কেল, ডোমিনেন্স এবং এম্ফাসিস। এসকল উপাদানসমূহ একত্রিত হয়ে আকর্ষণীয় দৃশ্য তৈরি করে, যা একটি বার্তা বহন করে।

১. পয়েন্ট, লাইন ও শেইপ (Point, Line and Shape ) : যেকোনো ডিজাইনের মূল ভিত্তি পয়েন্ট, লাইন ও শেইপের উপর নির্ভর করে। আর এগুলোর মাধ্যমেই আপনি আপনার মনের মাধুরী মিশিয়ে ডিজাইন করতে সক্ষম হন। দুইটি পয়েন্ট একত্রিত করলে একটি লাইন তৈরি হয়। পুনরায় এই দুটির সাথে আরেকটি পয়েন্ট যুক্ত করলে একটি ত্রিভুজাকার শেইপ তৈরি হবে। ঠিক একইভাবে অনেকগুলো লাইনের সমন্বয়ে একটি ডিজাইন পূর্ণতা পায়। ত্রি ডাইমেনশনাল আকারের মডেলগুলোও ঠিক একইভাবে একটি প্রাথমিক পর্যায় থেকে পরিপূর্ণতা লাভ করে।

২. রঙ (Color) : মানুষ সাধারণত ১০ লক্ষেরও অধিক রঙ বোঝতে পারে। আর প্রতিটি রঙের আলাদা আলাদা অর্থ রয়েছে। ট্রাফিকে যে তিনটি রঙ ব্যবহৃত হয় তা দিয়েই আমরা ভালোভাবে বোঝতে পারি এই বিষয়টি। লাল বাতি মানে থেমে যাওয়া, সবুজ মানে চলা আর হলুদ অর্থ অপেক্ষা করা। একইভাবে ডিজাইনের ক্ষেত্রেও বিভিন্ন রঙ বিভিন্ন চিহ্ন প্রকাশে সাহায্য করে। তাই কোনো ডিজাইনে যত্রতত্র রঙ ব্যবহার করা উচিত নয়। গ্রাফিক্স ডিজাইনারদেরও বিভিন্ন কালার স্কিম ও প্যালেট থেকে সঠিক কালার বাছাই করার মতো সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। কারণ, অনেক ডিজাইনের কাঠামোর চেয়ে মূল ভুমিকা রাখে রঙ।

৩. টাইপোগ্রাফি (Typography) : ডিজাইনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে টাইপোগ্রাফি। একটি ডিজাইনের টেক্সটগুলো দেখতে কেমন হবে তা এই টাইপোগ্রাফির উপর নির্ভরশীল। অনেক ফন্ট স্টাইল থেকে নির্দিষ্ট কিছু ফন্ট নিয়ে টেক্সটগুলো লেখা হয়। বিষয়ের তারতম্যের সাথে সাথে এটিরও পরিবর্তন ঘটে। হাজার হাজার টাইপফেসের (ফন্ট স্টাইল) ভিতর থেকে একজন ডিজাইনারকে ডিজাইনের কাজের জন্য সুন্দর ও আকর্ষণীয় ফন্টফেস বাছাই করতে পারাটা একজন দক্ষ গ্রাফিক্স ডিজাইনারের কাজ।

৪. স্পেস (Space) : স্পেস ডিজাইনের একটি মৌলিক অংশ। তাই মাঝেমধ্যে নেগেটিভ স্পেসেরও দরকার রয়েছে। স্পেসকে ডিজাইনের একটি মৌলিক অংশ হিসেবে ধরে নিতে পারলে তা ডিজাইনারদের জন্যই বেশ সুফল বয়ে আনবে। ডিজাইন শেষ না হওয়ার আগ পর্যন্ত এটি সুষ্ঠুভাবে ব্যবহার করা উচিত।

৫. ব্যালেন্স, রিদম ও কন্ট্রাস্ট (Balance, Rhythm and Contrast) : আমরা যখন কোনো আকর্ষণীয় ডিজাইন করতে চাই তখন এইগুলোকে অবশ্যই মেনে চলতে হবে। প্রত্যেকটি উপাদানের মধ্যে ব্যালেন্স রাখা, ভিজ্যুয়াল ওয়েট অনুযায়ী ডিজাইন পরিবর্তন প্রভৃতি বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে। কিছু ডিজাইনের উপাদানের এলিমেন্টসের মধ্যে আলাদা একটি গুরুত্ব প্রদান করা উচিত যাতে সেটি ডিজাইনের অন্যান্য বিষয়গুলোকে ছাপিয়ে যেতে পারে।

৬. স্কেল (Scale ) : ক্রম বজায় রাখতে স্কেল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। একটি ডিজাইনে সবগুলো বিষয়ই সমান গুরুত্বপূর্ণ থাকে না। তবে ডিজাইনের বিভিন্ন উপাদানের ভূমিকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে। ধরা যাক, কোনো সংবাদপত্রের টাইটেল থেকে শুরু করে বিস্তারিত নিউজগুলোর ফন্টগুলো বেশ ছোট। কিন্তু এক্ষেত্রে স্কেল এর ভূমিকার কারণে তা প্রত্যেক পাঠকের কাছে সেই সংবাদটি পঠনযোগ্যতা পেয়েছে।

৭. গ্রিড ও অ্যালাইনমেন্ট (Grid and Alignment): একটি অদৃশ্য জাদুময়তার মতো গ্রিড ও অ্যালাইনমেন্ট ডিজাইনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কারণ এটি ডিজাইনের কাঠামো প্রদানে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। কোনো সংবাদপত্র বা বই পড়ার ক্ষেত্রে টেক্সটগুলো খুব সাজানো গোছানো এবং একটি নির্দিষ্ট ক্রম অনুসারে পাওয়া যায় এই গ্রিড ও অ্যালাইনমেন্টের কারণেই। টেক্সটের সাথে অ্যালাইনমেন্টের একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। যেমন— মানুষ সাধারণত কোনো বই বা পোস্টারে বাম দিক থেকে ডানদিকেই পড়ে থাকে, কিন্তু কোনো পোস্টারের উপর থেকে নিচের দিকে টেক্সট থাকলে তা পাঠকের পড়ায় বিড়ম্বনা ঘটায়।

৮. ফ্রেমিং (Framing) : এটি ফটোগ্রাফির ব্যবহারের বিষয় হলেও ভিজ্যুয়াল ডিজাইনের ক্ষেত্রে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ধরা যাক, আপনি কোনো ইমেজ বা ইলাস্ট্রেশন নিয়ে কাজ করছেন। এক্ষেত্রে ফ্রেমিং এর যথাযথ ব্যবহার আপনার ডিজাইনকে অন্যান্য ডিজাইন থেকে আলাদা করে তুলবে। তাই প্রত্যেকটা ডিজাইনে বা ইমেজে মূল অংশ কোনটি সেটা আগে বের করতে হবে। আর এভাবেই ফ্রেমিং এর ব্যবহার করা হয় ।

৯. টেক্সচার ও প্যাটার্ন (Texture and Pattern) : বিভিন্ন টেক্সচার ও প্যাটার্ন যেকোনো ডিজাইনের একটি অত্যাবশ্যকীয় অংশের মতো। হয়তো এগুলো কোনো ডিজাইনের সম্পূর্ণ অংশ জুড়ে থাকবে না, কিন্তু বেশ ভালো একটা ভূমিকা রাখবে। অনেকে ডিজাইনে টেক্সচারকে খুব একটা গুরুত্ব না দিলেও এটা ডিজাইনের যে ভিন্নমাত্রা দিয়ে থাকে সত্যিই তা আকর্ষণীয়। Bevel. Emboss অথবা UV Varnish এর মতো টেক্সচার প্রদানে যেকোনো ডিজাইন একটি ভিন্নমাত্রা পায়। তাই ভিজ্যুয়াল ডিজাইনের ক্ষেত্রে এই টেক্সচার ও প্যাটার্নের ভূমিকা অনস্বীকার্য।

১০. ভিজ্যুয়াল কনসেপ্ট (Visual Concept) : এই নীতিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রতিটি ডিজাইনের ভেতরের খবর বলে দেয় এই ভিজ্যুয়াল কনসেপ্ট। এমনভাবে ডিজাইন করা উচিত যাতে ডিজাইনে থাকা প্রতিটি বিষয় একে অপরের সাথে ভালোভাবে সংযুক্ত হতে পারে। এভাবে আপনি খুব সহজেই আপনার ক্লায়েন্টের প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী সফলতা অর্জন করতে পারবেন। এছাড়া একটি পরিপূর্ণ ডিজাইন অনেকদিন পর্যন্ত মানুষের মনে জায়গা করে থাকে।

🚻 শ্রেণির কাজ : ছকে বিভিন্ন গ্রাফিক্স ডিজাইনের উপাদানগুলোর নাম দেওয়া আছে। এগুলোর মধ্য থেকে বিভিন্ন ধরনের গ্রাফিক্স ডিজাইনের উপাদানের কাজ লিখ। একটি করে দেখানো হলো ।

ডিজাইনের উপাদানের নামকাজ
পয়েন্ট, লাইন ও শেইপদুইটি পয়েন্ট একত্রিত করলে একটি লাইন তৈরি হয়। আবার এই দুটির সাথে আরেকটি পয়েন্ট যুক্ত করলে একটি ত্রিভুজাকার শেইপ তৈরি হবে।
রঙ 
টাইপোগ্রাফি 
ব্যালান্স, রিদম ও কন্ট্রাস্ট 
স্কেল 
গ্রিড ও অ্যালাইনমেন্ট 
ফ্রেমিং 
টেক্সচার ও প্যাটার্ন 
ভিজ্যুয়াল কনসেপ্ট 

গ্রাফিক্স ডিজাইনের মূলনীতি

গ্রাফিক্স ডিজাইনাররাও ডিজাইনের নীতিগুলো মেনে চলে। এই মৌলিক নীতিগুলো ডিজাইনিং কাজের অংশের জন্য ভারসাম্য এবং স্থিতিশীলতা তৈরি করতে সহায়তা করে।

১. ডোমিন্যান্স এন্ড অ্যামফেসিস (Dominance and Emphasis ) : এটি একটি নকশার কেন্দ্রবিন্দু গঠন করে। এটি ডিজাইন প্রবাহে সাহায্য করে এবং ব্যবহারকারীদের ডিজাইনের অন্যান্য অংশে সহায়তা করতে পারে।

২. ব্যালেন্স (Balance) : গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের বিবেচনা করতে হবে কীভাবে ডিজাইন উপাদান প্রদান করা হয়। ভারসাম্যপূর্ণ নকশা স্থিতিশীলতা প্রদান করে, ফলে ভারসাম্যহীন নকশা গতিশীল হতে পারে। আকৃতি, রঙ, টেক্সচার, লাইন এবং অন্যান্য উপাদানের মাধ্যমে ভারসাম্য অর্জন করা হয়।

৩. হারমনি (Harmony) : হারমনি গ্রাফিক্স ডিজাইনের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। একটি ভালো ডিজাইনের জন্য প্রতিটি উপাদানকে একসাথে কাজ করতে হবে এবং একে অপরের পরিপূরক হতে হবে। যাইহোক, সবকিছু সমান হলে, নকশা একঘেয়ে হয়ে যেতে পারে। নকশাগুলোকে সাদৃশ্য এবং বৈসাদৃশ্যের মধ্যে একটি সূক্ষ্ম ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে।

৪. কন্ট্রাস্ট (Contrast) : ডিজাইনের নির্দিষ্ট কিছু দিককে জোর দেওয়ার জন্য কন্ট্রাস্টিং ব্যবহার করে থাকেন। কন্ট্রাস্টে ব্যবহার করা উপাদানগুলোর মধ্যে পার্থক্য করতে ডিজাইনের মূল উপাদানগুলোকে হাইলাইট করে, যা আলাদা হয়ে থাকে।

■ গ্রাফিক্স ডিজাইনার

গ্রাফিক্স ডিজাইনার হলেন একজন ব্যক্তি যিনি বিভিন্ন ধারণা বা আইডিয়া এবং তথ্যকে বিভিন্ন পদ্ধতিতে ব্যবহারের মাধ্যমে, বিভিন্ন শব্দসমূহ, প্রতীক এবং ছবিকে একত্রিত করে দৃশ্যমান করে তোলেন। এই সমস্ত কাজ করার জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইনার অক্ষরের কম্বিনেশন, ভিজ্যুয়াল আর্টস এবং পেইজ লেআউট পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকেন।

■ গ্রাফিক্স ডিজাইনের গুরুত্ব

গ্রাফিক্স ডিজাইনের গুরুত্ব অপরিসীম। কেননা, গ্রাফিক্স ডিজাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ছবি তৈরি করা, পরিবর্তন করা, পরিবর্ধন করা, সংযোজন করা, ছবির উপর বিভিন্ন লেখা বসানো, ছবি ছোট বা বড় করা, ছবির অপ্রয়োজনীয় অংশ কেটে ফেলা, কয়েকটি ছবিকে একত্রিত করে একটি ছবিতে রূপান্তর করা ইত্যাদি যাবতীয় কাজ করা যায়। তাছাড়াও ছবিতে বিভিন্ন ধরনের ইফেক্ট প্রয়োগ করা ও নিজের আইডিয়া থেকে ছবিকে পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করা সম্ভব।

■ গ্রাফিক্স ডিজাইনের প্রকারভেদ

গ্রাফিক্স ডিজাইনের ক্ষেত্রটি অনেক বড় এবং দিন দিন এর চাহিদা আরো বেড়েই চলেছে। গ্রাফিক্স ডিজাইন সাধারণত বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে, তবে কাজের ধরন এবং চাহিদাগতভাবে গ্রাফিক্স ডিজাইন সাধারণত ২ প্রকার। যথা-

১. প্রকৌশলী ড্রয়িং (Engineering Drawing) : প্রকৌশলী ড্রয়িং হলো নিজ হাতে বিশেষ কোন রঙ বা কালি ব্যবহার করে কাগজে অথবা দেয়ালে ড্রয়িং করা। এটাও গ্রাফিক্স ডিজাইনের অন্তর্ভুক্ত। এটি প্রাচীনকাল থেকেই শিল্প হিসেবে চলে আসছে। বর্তমানে প্রকৌশলী ড্রয়িং এর চাহিদা অনেক।

২. কম্পিউটার গ্রাফিক্স (Computer Graphics ) : কম্পিউটার প্রযুক্তি আবির্ভাবের অনেক পরে কম্পিউটার গ্রাফিক্স শুরু হয়। বলা যায় ডিজিটাল যুগে এসে কম্পিউটার গ্রাফিক্স এর সূচনা হয়েছে। কম্পিউটার গ্রাফিক্স বলতে কম্পিউটারের সাহায্যে যে ধরনের গ্রাফিক্স ডিজাইন করা হয় তাকেই বোঝায়। কম্পিউটার গ্রাফিক্সকে ২টি বিশেষ ক্যাটাগরিতে বিভক্ত করা যায়। যথা—

ক. স্টিল ইমেজ গ্রাফিক্স (Still Image Graphics) : স্টিল ইমেজ গ্রাফিক্স বলতে 2D কোন ইমেজ বা ছবিকে বোঝানো হয়। অর্থাৎ যেই ধরনের ইমেজ কাগজে প্রিন্ট হয় এবং নিজ থেকে সে নড়াচড়া করতে পারে। যেমন— পোস্টার ডিজাইন, ব্যানার ডিজাইন, ফেস্টুন ডিজাইন ইত্যাদি। এই ধরনের ইমেজ বা ছবিকে স্টিল পিকচার / স্টিল ইমেজ / স্টিল গ্রাফিক্স বলে। আবার স্টিল ইমেজ গ্রাফিক্স তিন ভাগে বিভক্ত।

১. রাস্টার ইমেজ ( Ruster Image ) 

২. ভেক্টর ইমেজ (Vector Image )

৩. টাইপোগ্রাফি (Typography)।

খ. মোশন গ্রাফিক্স (Motion Graphics) : মোশন গ্রাফিক্স বলতে এক ধরনের ভিডিও চিত্রকে বোঝানো হয়। যেটা স্বাভাবিক ভাবে নড়াচড়া করে। মোশন গ্রাফিক্স সাধারণত 3D ক্যাটাগরির হয়ে থাকে। অর্থাৎ এটি এক ধরনের অ্যানিমেশন যাকে মোশন গ্রাফিক্স বলে।

মোশন গ্রাফিক্স আবার ২ প্রকার। যথা- ১. অ্যানিমেশন গ্রাফিক্স; ২. ভিডিও গ্রাফিক্স। এছাড়াও বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে গ্রাফিক্স ডিজাইনকে আরো বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা যায়। নিচে বিভিন্ন ধরনের গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কে আলোচনা করা হলো। যেমন-

i. ব্র্যান্ডিং গ্রাফিক্স ডিজাইন : ভিজ্যুয়াল আইডেন্টিটি গ্রাফিক্স ডিজাইন ব্র্যান্ডের ভিজ্যুয়াল উপাদানের উপর ফোকাস করে। এটির লক্ষ্য হলো ছবি, আকৃতি এবং রঙের মাধ্যমে একটি ব্র্যান্ডের পরিচয় উপস্থাপন করা। এর মাধ্যমে গ্রাফিক্স ডিজাইনাররা লোগো, টাইপোগ্রাফি, কালার প্যালেট এবং ইমেজ লাইব্রেরির মতো উপাদান তৈরি করে যা একটি ব্র্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করে। তারা সমস্ত ব্যবহার জুড়ে ব্র্যান্ডের সামঞ্জস্য নিশ্চিত করতে ভিজ্যুয়াল ব্র্যান্ডের নির্দেশিকাও তৈরি করে।

ii. মার্কেটিং ও বিজ্ঞাপন গ্রাফিক্স ডিজাইন : প্রিন্ট বিজ্ঞাপন যেমন— পোস্টার, বিলবোর্ড, ফ্লায়ার, ক্যাটালগ এবং প্যাকেজিং বা ডিজিটাল বিজ্ঞাপন, টেলিভিশন বিজ্ঞাপন, ভিডিও বিজ্ঞাপন, বা সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টগুলো মার্কেটিং এবং বিজ্ঞাপন গ্রাফিক্স ডিজাইন এর অন্তর্গত। এই ক্ষেত্রে গ্রাফিক্স ডিজাইনাররা ভোক্তাদের নিত্যদিনের পছন্দের বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তাভাবনা করে এমন ডিজাইন তৈরি করে যা সকলকে আকৃষ্ট করে। এই ধরনের ডিজাইনে কিভাবে পণ্য বিক্রি করতে হয় এবং কীভাবে ভোক্তাদের প্রলুব্ধ করতে হয় সে সম্পর্কে প্রচুর জ্ঞান থাকতে হয়।

iii. ওয়েব ডিজাইন : ওয়েব ডিজাইনের ক্ষেত্রে ওয়েবসাইটগুলোর নান্দনিকতা, বিন্যাস, গঠন এবং ডিজাইনের পরিকল্পনা এবং নির্মাণ জড়িত। ওয়েব ডিজাইনাররা আকর্ষণীয় ও ব্যবহারকারী সাইট এবং পেইজগুলো তৈরি করতে টেক্সট, ফটো, গ্রাফিক্স এবং ভিডিওর মতো বিভিন্ন ভিজ্যুয়াল উপাদানগুলোকে একত্রিত করে। ওয়েব ডিজাইন UX এবং UI ডিজাইনের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সংযুক্ত।

iv. প্রকাশনা গ্রাফিক্স ডিজাইন : প্রকাশনায় গ্রাফিক্স ডিজাইন লেআউট তৈরি, ফটোগ্রাফি, গ্রাফিক্স ও চিত্রসহ টাইপোগ্রাফি এবং আর্টওয়ার্ক নির্বাচন করার উপর ফোকাস করে। এই ক্ষেত্রে গ্রাফিক্স ডিজাইনাররা বই, সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন এবং ক্যাটালগ নিয়ে কাজ করে। তাদের রঙ ব্যবস্থাপনা, মুদ্রণ এবং ডিজিটাল প্রকাশনা বোঝতে হয়।

v. প্যাকেজিং গ্রাফিক্স ডিজাইন : প্যাকেজিং শুধুমাত্র পণ্য রক্ষা করে না, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিপণন সরঞ্জামও। যেকোনো মার্কেটজাত পণ্যের প্যাকেজিং ডিজাইন সুন্দর ও আকর্ষণীয় করতে হয়। প্যাকেজিং ডিজাইন যত স্ট্যান্ডার্ড হবে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের পণ্য সম্পর্কে একটি ভালো ধারণাও তৈরি হবে। এটি তৈরির সময় মনে রাখতে হবে যে, যা গ্রাহকের কাছে আলাদা। প্যাকেজিং গ্রাফিক্স ডিজাইনের জন্য প্রিন্ট প্রসেস, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইন ও ম্যানুফ্যাকচারিং বোঝার প্রয়োজন।

vi. মোশন গ্রাফিক্স ডিজাইন : বর্তমান সময়ে Motion Graphics Design এর চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের টেলিভিশন কার্টুন নির্মাণে এই ধরনের ডিজাইন উপযোগী। এছাড়াও অ্যানিমেশন, ব্যানার, টাইটেল সিকোয়েন্স, ট্রেলার বা ভিডিও গেম অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।

vii. এনভায়রনমেন্টাল বা পরিবেশগত গ্রাফিক্স ডিজাইন : এনভায়রনমেন্টাল গ্রাফিক্স ডিজাইন হলো একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি গ্রাফিক্স যা আর্কিটেকচারাল, ইন্টেরিয়ার, ল্যান্ডস্কেপ এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইনকে একত্রিত করে। সাধারণত এই ধরনের গ্রাফিক্স ডিজাইনে আর্কিটেকচারে একটি পটভূমি থাকবে। ডিজাইনারদের শিল্প নকশা এবং স্থাপত্য পরিকল্পনার বিষয়ে ধারণা থাকা উচিত। পাবলিক ট্রান্সপোর্টেশন নেভিগেশন, দোকানের নকশা, সাইনেজ এবং অফিস ব্র্যান্ডিংয়ের মতো প্রকল্পগুলোতে কাজ করতে পারে।

Content added || updated By

গ্রাফিক্স ডিজাইনের প্রয়োগ ও কর্মক্ষেত্রসমূহ

আমাদের চারপাশে অনেক কিছুই আমাদের নজর কাড়ে, মনে প্রশান্তি আনে। কলমের খোঁচায় যেমন- লেখনী ফুটে উঠে, তেমনি তুলির ছোঁয়ায় ফুটে ওঠে রঙের খেলা বা মন ভোলানো ডিজাইন। যুগের পরিবর্তনের কারণে সবকিছুই এখন আধুনিক হয়েছে, সেই সাথে গ্রাফিক্স ডিজাইন ও ডিজাইনারের চাহিদাও বেড়েছে দিন দিন এবং সেই সাথে বেড়েছে এর প্রয়োগক্ষেত্রসমূহ।

■ গ্রাফিক্স ডিজাইনের প্রয়োগক্ষেত্র

গ্রাফিক্স ডিজাইনের প্রয়োগক্ষেত্রকে দুটি ভাগে ভাগ করতে পারি। যথা—

১. প্রিন্ট ডিজাইন

২. ডিজিটাল মাধ্যম।

১. প্রিন্ট ডিজাইন : প্রিন্ট ডিজাইন অনেক ধরনের হতে পারে। যেমন- কাগজে প্রিন্ট করা যে কোনো ধরনের ডিজাইন, লোগো, কর্পোরেট আইডেন্টিটি, ফ্লায়ার, ফুড মেনু, পোস্টকার্ড, রেক কার্ড, পোস্টার, ম্যাগাজিন, বিজ্ঞাপন এর পাশাপাশি ডিজিটাল সাইনবোর্ড, টি-শার্ট এর প্রিন্ট ডিজাইন, যেকোনো ধরনের ফেব্রিক এর ডিজাইন, আর্ট এন্ড ইলাস্ট্রেশন, প্যাটার্ন ডিজাইন প্রোডাক্ট এন্ড প্যাকেজিং ডিজাইন, লেভেল ডিজাইন ইত্যাদি।

২. ডিজিটাল মাধ্যম : ডিজিটাল মিডিয়াম এর মধ্যে সর্বপ্রথম বলা যায়, ইউজার ইন্টারফেস ডিজাইন (স্বাভাবিক ভাবে ওয়েবসাইট এবং মোবাইল কিংবা কম্পিউটার এর সফটওয়্যার এর দৃশ্যমান ডিজাইনকে বোঝানো হয়), অনলাইন মাধ্যমে পাবলিশ করা বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন বা আইডেন্টিটি ডিজাইন, যেমন— ফেসবুক বা লিংকড ইন এর মতো বিজনেস পেজের প্রোফাইল কভার, ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, টুইটার ইত্যাদি মাধ্যমে দেওয়া পোস্ট বা বিজ্ঞাপনী গ্রাফিক্স, ডিজিটাল বিলবোর্ড, ই-বুক, ম্যাগাজিন ইত্যাদি। ডিজিটাল মিডিয়ামকে দুটি ভাগে ভাগ করতে পারি। যথা-

ওয়েব: ওয়েব ব্যানার, ইন্টারফেস ডিজাইন ইত্যাদি। 

ইলেকট্রনিক মাধ্যম : নাটক, টিভি বিজ্ঞাপন, চলচ্চিত্র ইত্যাদি।

■ গ্রাফিক্স ডিজাইনের কর্মক্ষেত্রসমূহ

সৃজনশীল পেশা : গ্রাফিক্স ডিজাইন একটি সৃজনশীল পেশা। শুধু তাত্ত্বিক জ্ঞান দিয়ে ভালো মানের গ্রাফিক্স ডিজাইনার হওয়া যায় না, ভালো গ্রাফিক্স ডিজাইনার হওয়ার জন্য ব্যবহারিক জ্ঞান আবশ্যক। গ্রাফিক্স ডিজাইনে মুখস্থ বিদ্যা কিংবা কপি-পেস্টের সুযোগ নেই বরং এখানে নিজের সৃজনশীলতাকে প্রকাশ করতে হবে। নিজের মধ্যে যদি আঁকা-আঁকির মতো সৃজনশীলতা থাকে তবে নিয়মিত ডিজাইন চর্চা করা এবং অন্যের ডিজাইন দেখার মাধ্যমে গ্রাফিক্স ডিজাইনের জ্ঞান বৃদ্ধি পায়।

ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং : গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার সবচাইতে বড় সুবিধা হলো গ্রাফিক্স ডিজাইনের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং করা যায়। যেহেতু বর্তমান সময়ে সবকিছু কম্পিউটার এবং প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে উঠেছে, তাই মানুষকে আকর্ষণ করতে গ্রাফিক্সের প্রয়োজন। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে গ্রাফিক্স ডিজাইনের চাহিদা অনেক বেশি, যার ফলে আয়ের পরিমাণও বেশি। গ্রাফিক্সের চাহিদা এতটাই বেশি যে, শুধু গ্রাফিক্সের কাজের জন্য বেশ কিছু জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস রয়েছে।

ডিজাইন বিক্রি: বর্তমান সময়ে অনলাইনে ডিজাইন বিক্রি করার বেশ কিছু জনপ্রিয় ওয়েবসাইট রয়েছে। একজন প্রফেশনাল ডিজাইনার তার নিজের ডিজাইন অনলাইনে বিক্রি করার সুযোগ পাবে। ফলে একবার ডিজাইন তৈরি করলে আজীবন সেই ডিজাইন থেকে অর্থ আয় করা সম্ভব।

চাকুরি করার সুযোগ : গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের জন্যে স্বাধীনভাবে কাজ করার পাশাপাশি চাকুরি করার সুযোগ রয়েছে। গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের চাকুরির সুযোগ-সুবিধা এবং বেতনের পরিমাণ অনেক বেশি হয়ে থাকে। আমেরিকার Fastsigns Inc কোম্পানি তাদের গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের ৪৫ হাজার ডলার বেতন দিয়ে থাকে। এছাড়া বোনাস ও অন্যান্য সুবিধা তো আছেই। বাংলাদেশেও এর ব্যতিক্রম নয়, এখানে নতুন ডিজাইনার হিসেবে যোগ দিলেও ২০ হাজার টাকা বেতনে চাকুরি করার সুযোগ রয়েছে। আর প্রফেশনাল হলে ১ লক্ষ টাকার উপরে বেতন পাওয়া সম্ভব ।

কাজেরক্ষেত্র : চাকুরি এবং ফ্রিল্যান্সিং করার পাশাপাশি গ্রাফিক্স ডিজাইনের উপর কোচিং, ইনস্টিটিউট কিংবা আইটি ফার্ম দেওয়া যায়। গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে দূরবর্তী জব করার সুবিধা রয়েছে। বর্তমান সময়ে অধিকাংশ কোম্পানি তাদের ফেসবুক পেজ ও ওয়েবসাইট পরিচালনার জন্যে পার্টটাইম বা ফুল-টাইম গ্রাফিক্স ডিজাইনার রাখছে। এসব রিমোট জব ঘরে বসে করার সুযোগ আছে। চাকুরি করে গ্রাফিক্স ডিজাইনার যতটা না আয় করা যায়, তার থেকে বেশি আয় করা সম্ভব ডিজাইন বিক্রি এবং ফ্রিল্যান্সিং করে।

নিজের প্রতিভা প্রকাশ : সৃজনশীল পেশা হওয়ার সুবাদে গ্রাফিক্স ডিজাইনের মাধ্যমে নিজের প্রতিভা বিকশিত এবং প্রকাশ করার সুযোগ পাওয়া যায়। গ্রাফিক্স ডিজাইন হলো রং, আকৃতি, বৈশিষ্ট্য নিয়ে খেলা। আর এই খেলার মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয় কাঙ্ক্ষিত ডিজাইন। যখন অনেক ভালো ডিজাইন করা যায়, তখন মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করা যায় এবং নিজের একটি পরিচয়ও তৈরি করা যায়।

শিক্ষাগত যোগ্যতা : অনেক পেশা রয়েছে যার জন্য উচ্চ শিক্ষা, ডিগ্রি এবং সার্টিফিকেট প্রয়োজন হয়। কিন্তু গ্রাফিক্স ডিজাইনের ক্ষেত্রে এসবের কোনো প্রয়োজন হয় না। গ্রাফিক্স ডিজাইনের জন্য প্রয়োজন শুধু টেকনিক্যাল এবং কমিউনিকেশনের দক্ষতা। গুগল, অ্যাপলের মতো বড় বড় কোম্পানি তাদের গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজের জন্য অনেক নতুন নতুন লোক নিয়োগ দেয় যাদের অনেকের উচ্চ শিক্ষা নেই।

প্রতিদিন নতুন কিছু শিখা : গ্রাফিক্স ডিজাইন এমন একটি বিষয় / পেশা যেখানে প্রতিনিয়ত শেখা যায়। নিজের কাজের, অন্যের কাজের থেকে নিত্যনতুন আইডিয়া পাওয়া যাবে। এই সেক্টরের প্রতিটি কাজই শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পরিবর্তন আর নতুনত্বে ভরপুর। যা আমাদেরকে সৃজনশীলভাবে দক্ষ হতে সাহায্য করবে।

নিয়মিত ডিজাইনের চাহিদা : অটোমেশন এর যুগে যখন আমাদের কাজগুলো সব অটোমেটিক রোবটের হাতে চলে যাচ্ছে, সেই সময়ে নিশ্চিত বলা যায় যে ডিজাইনের জন্য এখনও ক্রিয়েটিভিটি এবং হিউম্যান থিঙ্কিং এর প্রয়োজন। কারণ রোবট শুধুমাত্র কমান্ড এবং ফিক্সড ডেটার উপর নির্ভর করে কাজ করে। কিন্তু নতুন চিন্তা, পরিবর্তন, পরিবর্ধন এর জন্য এখনও মানুষকেই চিন্তা ভাবনা করতে হয় এবং সেটা ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে।

কর্মক্ষেত্র তৈরি করে : ডিজাইনার হিসেবে শুধুমাত্র স্টুডিওতে নয়, ডিজাইনারের মূল্যায়ন সব জায়গায় হয় । গ্রাফিক্স ডিজাইন এমন কিছু যা ছাড়া কোনো ব্যবসা চালানো সম্ভব না। যে কোনো ব্যবসার প্রচার প্রচারনা, উপস্থাপন, সাজানোর জন্যও গ্রাফিক্স ডিজাইনের প্রয়োজন। যদি একটি প্রতিষ্ঠানের উপর সন্তুষ্ট না হন, তবে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে অন্যপ্রতিষ্ঠানের জন্য কাজ করা যেতে পারে, এমনকি ইন্টারন্যাশনাল টিমে যোগ দিতে পারা যায়।

শিক্ষক হিসেবে কাজ করার সুযোগ : গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার পর শিক্ষকতার মতো মহান পেশাকে বেছে নেয়া যায়। নতুন নতুন মানুষকে গ্রাফিক্সের কাজ শেখানো যায়। এছাড়া শেখানোর মাধ্যমে আয়ের সুযোগ হবে। বর্তমানে অনলাইনে বেশ কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে ক্লাস নেয়া যায় কিংবা ভিডিও ক্লাস করে আপলোড করে আয় করা যায়। অফলাইনে ক্লাস করিয়েও আয় করার সুযোগ রয়েছে। বর্তমান সময়ে গ্রাফিক্স শেখার জন্য অনেকেই আগ্রহী আছে।

মার্কেটিং ও ব্রান্ডিং : বর্তমান প্রতিযোগীতামূলক মার্কেটে নিজের ব্যবসাকে অন্যদের থেকে আলাদা করে তুলে ধরতে নিজ পণ্যের মার্কেটিং এবং ব্রান্ডিং এর কোন বিকল্প নেই। আর এই মার্কেটিং এবং ব্রান্ডিং করার জন্য প্রয়োজন হবে গ্রাফিক্স ডিজাইন দক্ষতার। সৃজনশীলতা যে কোনো বিজনেসের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর সৃজনশীল কাজগুলোর একটি অংশ গ্রাফিক্স ডিজাইন। গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে শুধু ক্লায়েন্ট এর কাজই নয়, নিজের ব্যবসার ক্ষেত্রেও ব্রান্ডিং এবং মার্কেটিং এর কাজে সৃজনশীল দক্ষতাকে ব্যবহার করা।

ঘরে বসে আয়ের সুযোগ : বর্তমানে বেকারত্ব যে ভাবে বাড়ছে তাতে চাকরি এখন “সোনার হরিণ” । তাই বেকারত্বের গ্লানিকে দূরে রাখতে তরুণরা এখন ঝুঁকে পড়ছে ফ্রিল্যান্সিংয়ে। ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে আয়ের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে গ্রাফিক্স ডিজাইন। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে প্রতিদিন হাজার লোক শুধুমাত্র ডিজাইনের কাজ করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে। তাছাড়া এটি এমন একটা প্লাটফর্ম যেখানে কাজের চাহিদা দিন দিন ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিজেও ভালোভাবে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে ফ্রিল্যান্সিংয়েও নিজের ক্যারিয়ার পাকাপোক্তভাবে গড়ে তুলতে পারি এবং ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে হতে পারি একজন সফল ফ্রিল্যান্সার।

👤 নিজে করো : আমরা জেনেছি যে, গ্রাফিক্স ডিজাইন ও ডিজাইনারের চাহিদাও বাড়ছে দিন দিন এবং সেই সাথে বাড়ছে এর প্রয়োগক্ষেত্র ও কর্মক্ষেত্রসমূহ। নিম্নে ডিজাইনের প্রয়োগক্ষেত্র সম্পর্কে তিনটি প্রশ্ন ছকের মাধ্যমে দেওয়া করা হলো। যেটি সঠিক হবে তারপাশে টিক দাও। একটি করে দেখানো হলো।

প্রশ্নটিক চিহ্ন
গ্রাফিক্স ডিজাইনের প্রয়োগক্ষেত্রর অংশ কয়টি? 🔲 ২ ✅,৩ 🔲
সৃজনশীল পেশা, প্রিন্ট ডিজাইন, ফ্রিল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং, মার্কেটিং এবং ব্রান্ডিং, ডিজাইন বিক্রি, ডিজিটাল মিডিয়াম ইত্যাদি এর মধ্যে ডিজাইনের কর্মক্ষেত্রসমূহঅংশ কয়টি? ২🔲,৪🔲,৬🔲
গ্রাফিক্স, ডিজিটাল বিলবোর্ড, ই-বুক, ম্যাগাজিন, ফ্লায়ার, ফুড মেনু, পোস্টকার্ড, রেক কার্ড, পোষ্টার, ম্যাগাজিনইত্যাদি ডিভাইস গুলো মধ্যে প্রিন্ট ডিজাইন কয়টি?৪🔲,৫🔲,৬🔲
Content added || updated By

গ্রাফিক্স ডিজাইন অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার ও তালিকা

গ্রাফিক্স শব্দের অর্থ চিত্র বা অঙ্কন সম্বন্ধীয় কোনোকিছু। ডিজাইন শব্দের অর্থ নকশা। এক কথায় বলতে গেলে ড্রয়িং, ছবি, ইমেজ এই ধরনের কাজকে গ্রাফিক্স ডিজাইন বলে। আরো সহজ ভাষায় বলতে গেলে, চিত্র দ্বারা নকশা তৈরির প্রক্রিয়াকেই মূলত গ্রাফিক্স ডিজাইন বলে। গ্রাফিক্স ডিজাইন মূলত ব্যবহার করা হয় কোন উপাত্ত বা ডেটা প্রকাশের উদ্দেশ্যে, নকশা বা শিল্পজাত করণে, আর্ট বা ছাপাখানায় অক্ষর বিন্যাসে অথবা শিক্ষামূলক বা বিনোদন মূলক কোনো কাজে। যেসব সফটওয়্যার ব্যবহার করে গ্রাফিক্স ডিজাইন করা হয় তাদেরকে গ্রাফিক্স ডিজাইন অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার বলে।

▪️গ্রাফিক্স ডিজাইন অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার

ইতোমধ্যেই গ্রাফিক্স ডিজাইনের প্রকারভেদ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। স্টিল ইমেজ গ্রাফিক্স অথবা মোশন গ্রাফিক্স শিখতে নিচে দেওয়া সফটওয়্যারগুলো সংগ্রহ করতে হবে। এক্ষেত্রে সবগুলো সফটওয়্যার সংগ্রহ করার প্রয়োজন নেই। গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার জন্য পছন্দ অনুযায়ী সফটওয়্যার বাছাই করতে হবে। ১/২ টা সফটওয়্যারের কাজ শিখলেই গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পেয়ে যাবো।

স্টিল ইমেজ গ্রাফিক্স সফটওয়্যার

• অ্যাডোবি ফটোশপ (Adobe Photoshop)

• অ্যাডোবি ইলাস্ট্রেটর ( Adobe Illustrator )

• অ্যাডোবি ইনডিজাইন (Adobe InDesign)

• কোরেল ড্র গ্রাফিক্স স্যুইট (Corel Draw Graphics Suite) 

• জারা ডিজাইনার প্রো এক্স (Xara Designer Pro X)

মোশন গ্রাফিক্স সফটওয়্যার

• অ্যাডোবি আফটার ইফেক্ট (Adobe After Effects)

• সিনেমা 4D (Cinema 4D )

• মোচা প্রো (Mocha Pro)

• মায়া (Maya)

👤 নিজে করো: ছকে কম্পিউটারের বিভিন্ন গ্রাফিক্স ডিজাইন অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার এর নাম দেওয়া আছে। এদের ১টি করে ব্যবহার লিখ। বোঝার সুবিধার্থে একটি করে দেখানো হলো ।

অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারব্যবহার
Adobe Photoshopস্টিল ইমেজ গ্রাফিক্স সফটওয়্যার এবং ছবি সম্পাদনার কাজে ব্যবহৃত হয়
Adobe InDesign 
CorelDraw Graphics Suite 
Adobe After Effects 
Mocha Pro 
Cinema 4D 

 

Content added || updated By

গ্রাফিক্স ডিজাইন সফটওয়্যার নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিবেচ্য বিষয়

গ্রাফিক্স ডিজাইন মূলত সফটওয়্যার নির্ভর একটি সেক্টর। এখানে যাই করা হউক না কেন, সফটওয়্যারের প্রয়োজন হবেই। তাই সফটওয়্যারকে গ্রাফিক্স ডিজাইনের প্রাণ বলা যেতে পারে। তবে সব সফটওয়্যার দিয়েই আবার গ্রাফিক্স ডিজাইন করা সম্ভব নয়। গ্রাফিক্স ডিজাইনের জন্য আলাদা স্পেশাল কিছু সফটওয়্যার রয়েছে, যেগুলো শুধুমাত্র বিভিন্ন ধরনের গ্রাফিক্স ডিজাইন এ ব্যবহৃত হয়। আবার গ্রাফিক্স ডিজাইন সফটওয়্যার গুলোকে বেশ কয়েকটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা যায়। এক্ষেত্রে একেক ধরনের সফটওয়্যার গ্রাফিক্স ডিজাইনের একেকটি কাজে ব্যবহৃত হয়। যেমন— কতগুলো সফটওয়্যার দিয়ে শুধু ফটো এডিটিং করা যায়। আবার লোগো, ব্যানার, পোস্টার ইত্যাদি ডিজাইনের জন্য আরেক ধরনের সফটওয়্যার প্রয়োজন হয়। এরপর এনিমেশন ও থ্রিডি মডেলিং এর কাজের জন্য প্রয়োজন হয় অন্য আরেক ধরনের সফটওয়্যার। নিচে কয়েকটি সফটওয়্যার সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

অ্যাডোবি ফটোশপ (Adobe Photoshop )

অ্যাডোবি ফটোশপ মূলত একটি ফটো এডিটিং টুল ও গ্রাফিক্স ডিজাইন সফটওয়্যার যা অ্যাডোবি উইন্ডোজ ও ম্যাক কম্পিউটারের জন্য তৈরি করা হয়। এটা তৈরির পর থেকেই গ্রাফিক্স ডিজাইন ও ফটো এডিটিং এর বাজারে এটি নিজের উল্লেখযোগ্য স্থান করে নিতে সক্ষম হয়। শুরুতে অনেকেই মনে করতো যে, ফটোশপ দিয়ে শুধুমাত্র ছবিই সম্পাদন করা যায়। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে এটি সবার অবগত হয় যে ফটোশপের কার্যপরিধি শুধু ছবি সম্পাদনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ না, বরং এটি দ্বারা সুন্দর গ্রাফিক্স তৈরি করা সম্ভব। তাছাড়া গ্রাফিক্স ডিজাইনের পাশাপাশি ওয়েব ডিজাইনের ক্ষেত্রেও ফটোশপের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত প্লাগ-ইন, ব্রাশ, অ্যাকশন কাজকে করে তোলে আরো বেশি সুন্দর ও মনোমুগ্ধকর। ফটোশপের ফাইল ফরমেটের নাম হলো psd।

ফটোশপে অন্যান্য অনেক সফটওয়্যারের মতোই অ্যাড-অন ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে যাকে প্লাগ-ইন বলে । অ্যাডোবি নিজের জন্য কিছু প্লাগ-ইন তৈরি করলেও অ্যাডোবির বেশির ভাগ প্লাগ-ইনই থার্ড পার্টি কোম্পানিগুলো তৈরি করে থাকে। প্লাগ-ইন কয়েক ধরনের হতে পারে। যেমন— ফিল্টার, এক্সপোর্ট, ইমপোর্ট, সিলেকশন, কালার কারেকশন এবং অটোমেশন। এদের মধ্যে বেশির ভাগ প্লাগ-ইনই ফিল্টার জাতীয় প্লাগ-ইন যা 8bf প্লাগ-ইন হিসেবেও পরিচিত। ফিল্টার জাতীয় প্লাগ-ইনগুলো সাধারণ ছবিকে সম্পাদন করে অথবা নতুন কন্টেন্ট তৈরি করার কাজ করে থাকে ।

ছবি সম্পাদনের জন্য অ্যাডোবির রয়েছে বেশ কিছু বিল্ট-ইন টুলস। যখন ইউজার ফটোশপ ওপেন করা হয়, তখন ফটোশপ স্ক্রিনের বাম পাশে মাল্টিল্যাংগুয়াল টুলবার এসে উপস্থিত হয়। কাজের ধরন অনুযায়ী ফটোশপের টুলসগুলোকে ড্রইং, পেইন্টিং, মেজারিং ও নেভিগেশন, সিলেকশন, টাইপিং ও রিটাচিং ক্যাটাগরিতে ভাগ করা যায় । ফটোশপের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত টুলগুলোর মধ্যে পেন টুলস, ক্লোন ষ্টাম্প টুলস, শেপ টুলস, মেজারিং এন্ড নেভিগেশন টুলস, ক্রপিং টুলস, স্লিকিং টুলস, মুভিং টুলস, মার্ক টুলস, ল্যাসো টুলস, ম্যাজিক ওয়ান্ড টুলস, ইরেজার টুলস ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

▪️অ্যাডোবি ইলাস্ট্রেটর (Adobe Illustrator)

অ্যাডোবি ইলাস্ট্রেটর অ্যাডোবি কোম্পানির তৈরি সবচেয়ে ভালো ভেক্টর ডিজাইনিং সফটওয়্যার হিসেবে পরিচিত। এটি অ্যাডোবি সিস্টেমের অন্যতম সেরা একটি অ্যাডোবি ডিজাইন সফটওয়্যার। ভেক্টর ডিজাইনিং সফটওয়্যার হওয়ার কারণে অ্যাডোবি ইলাস্ট্রেটর দ্বারা ইলাস্ট্রেশন অংকন, কার্টুন, ডায়াগ্রাম, চার্ট, লোগো ইত্যাদি খুব সহজেই তৈরি করা যায়। ভেক্টর হওয়ার কারণে ইলাস্ট্রেটর ডিজাইন রেজুলেশন ও গুণগত মানের কোনরূপ পরিবর্তন ছাড়াই ভেক্টরকে যে কোন সাইজে পরিবর্তন করতে পারে। যা অ্যাডোবির অন্য কোন সফটওয়্যার দ্বারা করা খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার। ভেক্টর ডিজাইনের ক্ষেত্রে রেজুলেশনের কোনরূপ পরিবর্তন ছাড়াই ডিজাইনের সাইজ পরিবর্তন, লাইনগুলোর ইচ্ছা অনুযায়ী দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ নির্ধারণ, ফাইলের সাইজ অনেক কম ও ইলাস্ট্রেশনের জন্য সবচেয়ে ভালো হওয়ায় ইলাস্ট্রেটর ডিজাইনারদের প্রথম পছন্দ হিসেবে পরিগণিত হয়।

তবে সুবিধার পাশাপাশি অসুবিধাও থাকা একটি সাধারণ ব্যাপার। অ্যাডোবি ইলাস্ট্রেটর এর অসুবিধাগুলো হলো এর দ্বারা তৈরিকৃত ড্রইংগুলো ফ্লাট এবং কার্টুন। তাছাড়া বাস্তবতার সাথে মিলে যায় এমন ড্রইং করা এতে খুবই কষ্টের।

অ্যাডোবি ইলাস্ট্রেটর যেসব ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় তার মধ্যে লোগো ডিজাইন, ম্যাপ ড্রইং, ইলাস্ট্রেশন ড্রইং, ইনফোগ্রাফিক্স, ফটোরিয়ালিস্টিক ড্রইং, প্যাকিং ডিজাইন ইত্যাদি। অ্যাডোবি ইলাস্ট্রেটর এবং অ্যাডোবি ফটোশপ এ দুটি সফটওয়্যারের সমন্বয়ে অসাধারণ গ্রাফিক্স তৈরি করা যায় ।

■ অ্যাডোবি ইনডিজাইন (Adobe InDesign)

অ্যাডোবি ইনডিজাইন একটি ডেস্কটপ পাবলিশিং সফটওয়্যার। পোষ্টার, ফাইয়ার, ব্রোশিয়ার, ম্যাগাজিন, নিউজ পেপার, প্রেজেন্টেশন, বই, ই-বুক ইত্যাদি তৈরিতে অ্যাডোবি ইনডিজাইন অতুলনীয়। তাই এটি গ্রাফিক্স ডিজাইনার ও পাবলিশারদের কাছে অন্যতম সেরা অ্যাডোবি ডিজাইন সফটওয়্যার হিসেবে খুবই জনপ্রিয়।

■ অটোক্যাড (AutoCAD)

অটোক্যাড থ্রিডি মডেলিং নিয়ে কাজ করার জন্য ব্যবহৃত সফটওয়্যার। অটোক্যাড সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে মূলত থ্রিডি ডিজাইনিংয়ের বিভিন্ন কাজ করা হয়। বিশেষ করে প্রফেশনাল থ্রিডি ডিজাইনারদের পছন্দের একটি সফটওয়্যার হলো অটোক্যাড। অটোক্যাডের সাহায্যে সাধারণ ড্রইং ছাড়াও ডিজাইন, ব্লক, সিথল, লোগো ডিজাইন, গ্রিল ডিজাইন, এমব্রয়ডারী ডিজাইন করা যায়। 

■ অ্যাডোবি ড্রিমওয়েভার (Adobe Dream Weaver)

অ্যাডোবি ড্রিমওয়েভার অ্যাডোবির একটি প্রোপাইটরি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট টুল। অ্যাডোবি ড্রিমওয়েভার ১৯৯৭ সালে তৈরি করা হয়েছিল এবং ২০০৫ সাল পর্যন্ত এটি শুধুই ড্রিমওয়েভার হিসেবেই পরিচিত ছিল। বর্তমানে, এটি অ্যাডোবি ডিজাইন সফটওয়্যার হিসেবে দারুণ জনপ্রিয়।

আমরা সবাই জানি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট করার জন্য এইচটিএমএল, সিএসএস, জাভাস্ক্রিপ্ট, পিএইচপি এর মতো ল্যাংগুয়েজ জানা প্রয়োজন। বতর্মান সময়ে জব মার্কেটপ্লেসগুলোতেও ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর উপরে প্রচুর কাজ থাকে। অনেকেই আবার এটিকে মূল পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। কিন্তু প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ এর ভীতির কারণে অনেকেই এ পেশায় আসতে ভয় পায়। আর তাদের জন্যই আদর্শ হলো অ্যাডোবি ড্রিমওয়েভার। অ্যাডোবি ড্রিমওয়েভারের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এটি প্রোগ্রামিং জ্ঞান ছাড়াই একজন ডিজাইনারের ভিজ্যুয়াল কর্মকে কোডিং এ রূপান্তরিত করে ওয়েবসাইট তৈরিতে সক্ষম। আর বিশ্বজুড়ে ডিজাইনারদের কাজ করার সুবিধার্থে এটিতে রয়েছে মাল্টিল্যাংগুয়াল ফাংশন যার মাধ্যমে সহজেই নিজ মাতৃভাষায় এটিকে ইনস্টল ও কাজ করতে পারে।

■ কোরেল ড্র (Corel Draw)

এই সফটওয়্যারটি একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার এর ডিজাইনকে, আরও কিছুটা সমৃদ্ধ করতে ভূমিকা পালন করে। যদি ওয়েব ডিজাইন এবং গ্রাফিক্স এডিটিং উভয়কে একসাথে পেতে হয় তাহলে কোরেল ড্র হতে পারে প্রথম পছন্দ। ড্রিম ওয়েভার এবং ইলাস্ট্রেটর, ইন ডিজাইন এর যৌথ সুবিধা পেতে পারে একটিতেই। আর সূক্ষ্মভাবে ডিজাইন এর ক্ষেত্রেও কোরেল ড্র সামনের সারির সফটওয়্যারগুলোর একটি।

■ অ্যাডোবি আফটার ইফেক্ট (Adobe After Effects)

অ্যাডোবি আফটার ইফেক্ট অ্যাডোবির তৈরি ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট, মোশন গ্রাফিক্স এবং কম্পোস্টিং অ্যাপ্লিকেশন যা চলচ্চিত্রের পোষ্ট প্রোডাকশন এবং টেলিভিশন প্রোডাকশনে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তাছাড়া নন-লাইনার এডিটর, অডিও এডিটর ও মিডিয়া ট্রান্সকোডার হিসেবেও অ্যাডোবি আফটার ইফেক্টের ব্যবহার কম নয়। অ্যাডোবি আফটার ইফেক্টের প্লাগ-ইন এর হিসাব করতে গেলে এটিকে অ্যাডোবি ফটোশপের সাথে তুলনা করলে ভুল হবে না। ফটোশপের মতো অ্যাডোবি আফটার ইফেক্টেরও রয়েছে অনেক বিস্তৃত প্লাগ-ইন সাপোর্ট। তাছাড়া থার্ড পার্টি প্লাগ-ইন তো আছেই। যার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো থ্রিডি ইফেক্ট। অ্যাডোবির আফটার ইফেক্ট থ্রিডি ইফেক্ট রেন্ডার করতে সক্ষম। তাছাড়া এটি বেসিক 2D লেয়ার থেকেও 3D লেয়ার কনভার্সনের ক্ষেত্রে অসাধারণ। থ্রিডি ইফেক্ট ছাড়াও অ্যাডোবির আফটার ইফেক্টের রয়েছে বেশ কিছু প্লাগ-ইন যা থেকে ভিডিওকে চলচ্চিত্র বা কার্টুনের মতো করে তৈরি করা যায়। আগুন, ধোয়া অথবা পানির মতো ইফেক্ট তৈরি করা সম্ভব। আমাদের দেশে প্রাথমিক পর্যায় থেকে অ্যাডভান্সড ভিডিও এডিটিং এর জন্য অ্যাডোবির আফটার ইফেক্টের ব্যবহার জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

নিজে করো : ছকে বিভিন্ন গ্রাফিক্স ডিজাইন সফটওয়্যার নাম দেওয়া আছে। এদের ১টি করে ব্যবহার লিখ।

সফটওয়্যার নামকাজ/ব্যবহার
অ্যাডোবি ফটোশপ 
অ্যাডোবি ইলাস্ট্রেটর 
অ্যাডোবি ইনডিজাইন 
অটোক্যাড 
অ্যাডোবি ড্রিমওয়েভার 
কোরেল ড্র 
অ্যাডোবি আফটার ইফেক্ট 
ব্রেন্ডার 
Content added || updated By

গ্রাফিক্স ডিজাইনে ব্যবহৃত হার্ডওয়্যারসমূহের কাজ

আমাদের আজকের বিশ্বে ক্রমাগত ডিজিটালাইজেশনের সাথে ডিজাইন প্রক্রিয়াটি অসাধারণভাবে বিকশিত হয়েছে। কিন্তু বছরের পর বছর ধরে এই প্রক্রিয়াগুলো পরিবর্তিত হওয়ার অর্থ এই নয় যে ডিজাইনাররা এখনও পেন্সিল এবং কাগজের মতো ঐতিহ্যগত গ্রাফিক্স ডিজাইনের সরঞ্জামগুলো ব্যবহার করছে না । পেশাদার ডিজাইনারদের একটি শৈল্পিক প্রবণতাসহ একটি সৃজনশীল মন থাকে। একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার তার গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কিত কাজগুলো সম্পন্ন করার জন্য বিভিন্ন ধরনের হার্ডওয়্যার ব্যবহার করেন। যেগুলোর সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হলো-

■ স্কেচপ্যাড (Sketchpad)

এটি একটি ঐতিহ্যবাহী টুল যা আইডিয়া স্কেচ করতে ব্যবহৃত হয়। এটি রুক্ষ ডিজাইনগুলোর লেখার দ্রুততম উপায়, যা ডিজাইনাররা অন্যান্য সরঞ্জাম এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করে আরও বিকাশ করতে পারে।

■ কম্পিউটার (Computer) 

কম্পিউটার একটি গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইস। কেননা, এটির মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কাজ করা যায়। যেমন লেখালেখি কাজ, প্রোগ্রামিং, হিসাব-নিকাশ, ড্রইং, তথ্য বিশ্লেষণ ইত্যাদি করা যায়। তদ্রুপ গ্রাফিক্স ডিজাইনের মতো শৈল্পিক কাজ করতে কম্পিউটার অবশ্যই দরকার। এই ডিভাইসে প্রয়োজনীয় গ্রাফিক্স প্রোগ্রাম ইনস্টল করে গ্রাফিক্স প্রোগ্রামগুলো চালু করে যেকোনো ধরনের ডিজাইন করা যায়।

■ মাদারবোর্ড (Motherboard)

দ্বিমাত্রিক (2D) গ্রাফিক্স তৈরিতে সাধারণত ৭০০০ থেকে ১৫০০০ হাজার টাকার মধ্যে ভালো মানের মাদারবোর্ড নিতে হবে। যদি 3D গ্রাফিক্স এনিমেশনের কাজ করতে হয় তাহলে আর একটু আপগ্রেড মাদারবোর্ড নিতে হবে, তবে সেক্ষেত্রে দাম একটু বেশি পড়বে। মাদারবোর্ড কেনার সময় অবশ্যই প্রসেসর এর সাথে মিল রেখে মাদারবোর্ড কেনা উচিত। যদি ইন্টেলের প্রসেসর ব্যবহার হয়, তাহলে ইন্টেল এর মাদারবোর্ডই ব্যবহার করতে পারলে ভালো আর যদি রাইজনের প্রসেসর ব্যবহার করতে চাই তাহলে রাইজনের মাদারবোর্ড ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। তাছাড়া বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির মাদারবোর্ড রয়েছে তবে এর মধ্যে গিগাবাইট এর মাদারবোর্ড অপেক্ষাকৃত ভালো ।

■ প্রসেসর (Processor)

গ্রাফিক্স এর কাজ করার জন্য অবশ্যই ভালো মানের প্রসেসর থাকতে হবে। সাধারণত গ্রাফিক্স ডিজাইনাররা Intel অথবা AMD প্রসেসর ব্যবহার করে থাকেন। এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রসেসর Intel, Intel core i5 / Intel core i7 প্রসেসর। তবে ইদানিং AMD-ও খুব জনপ্রিয়তা পেয়েছে। প্রসেসর কেনার সময় Processor Generation এবং স্পীড (GHz) কত তা দেখে কিনতে হবে। যখন পিসি কেনা হবে, তখনকার সময়ের Generation বা তার কাছাকাছি জেনারেশনের প্রসেসর কেনার চেষ্টা করতে হবে। যেমন বর্তমানে বাজারে Intel 9th Generation ও AMD 3rd Generation এর প্রসেসর পাওয়া যায়। গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ করার জন্য প্রসেসর খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। প্রসেসর কম্পিউটার এর বেশির ভাগ কাজ প্রসেস করে থাকে তাই ভালো প্রসেসর খুবই জরুরি। কম্পিউটারের প্রসেসরের মান যদি খারাপ হয় তাহলে যখন অনেকগুলো ফাইল বা প্রোগ্রাম একসাথে ওপেন করে কাজ করতে হয় তখন কম্পিউটার এর গতি কমে আসবে, এমনকি কম্পিউটার হ্যাং ও হতে পারে।

■ র‍্যাম (RAM)

ভালো মানের প্রসেসর এর কার্যক্ষমতা বাড়াতে তার প্রধান মেমোরি বা র‍্যাম যত বেশি হবে তত কম সময়ে প্রসেসিং হবে। গ্রাফিক্স ডিজাইনে ফটোশপ অনেক জনপ্রিয় একটি সফটওয়্যার। ফটোশপ চালাতে মেমোরি বা র‍্যাম বেশি প্রয়োজন হয় তাই র‍্যাম যতো বেশি হবে ফলে কাজ করতে সুবিধা হবে। ফটোশপ সব সময় অনেক ডেটা নিয়ে কাজ করে আর এই ডেটাগুলো কম্পিউটার র‍্যাম এ জমা থাকে তাই র‍্যাম এর স্পেস বেশি থাকা প্রয়োজন। যখন অনেক বড় বড় ফাইল নিয়ে কাজ করা হয়, তখন র‍্যাম যদি কম হয় তাহলে প্রোগ্রাম স্লো হয়ে যাবে, আর এই স্লো বা হ্যাং হওয়ার কারণে কাজটি সঠিক সময় শেষ করা হবে না। তাই কাজের উপর নির্ভর করে র‍্যাম ৮-১৬ গিগাবাইট এর মধ্যে নেয়ার চেষ্টা করতে হবে।

জেনে রাখো :

একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো যদি উইন্ডোজ এর ৬৪ বিট ব্যবহার করা হয় আর ফটোশপ যদি ৬৪ বিটে ইনস্টল না করা হয় তাহলে কম্পিউটারে বেশি র‍্যাম কোন কাজে আসবে না। যদি মনে করা হয়। ১৬ গিগাবাইট ব্যবহার করবো সে ক্ষেত্রে ৮ গিগাবাইট এর দুইটি র‍্যাম একসাথে ব্যবহার করা যেতে পারে। কোর সিরিজের প্রসেসর আর ৪ জিবির উপর র‍্যাম থাকলে কাজে দারুন গতি আসে।

র‍্যাম একটি বেশি আরেকটি কম হলে কাজ ঠিকমত হবে না, কাজের জন্য দুটোর মিলবন্ধন থাকা দরকার। আর গ্রাফিক্স কার্ড (জিপিইউ) খুব গুরুত্বপূর্ণ যদি থ্রিডি বা অন্য কোন চাপের কাজ করতে হয়। লক্ষ্য রাখতে হবে CORE i3 +8GB RAM CORE i7 4 GB RAM। সবসময় RAM-এর চেয়ে বেশি নেওয়া ভালো। বাজারে অনেক কোম্পানির র‍্যাম পাওয়া যায়। Twinmos / Apacer / A Data কোম্পানির DDR3 / DDR4 ভার্সনের ৮ জিবি র‍্যাম নেওয়া যায়।

■ হার্ডডিস্ক (Harddisk)

ITB Harddisk প্রয়োজন হতে পারে এবং C ড্রাইভের জন্য 120 / 128 GB এই SSD হার্ডডিস্ক নেওয়া যেতে পারে, এতে করে কম্পিউটার কয়েক গুণ বেশি গতি বৃদ্ধি হবে।

■ মনিটর (Monitor)

গ্রাফিক্স ডিজাইনের জন্য 22" মনিটর হলে ভালো হবে। Dell/HP / Asus ব্রান্ড মনিটর বর্তমানে জনপ্রিয়। বেশিরভাগ গ্রাফিক্স ডিজাইনাররা Dell S2218H 21.5 Inch Full HD LED Borderless মনিটর ব্যবহার করে থাকেন।

■ গ্রাফিক্স কার্ড (Graphics Card)

আলাদা ভাবে গ্রাফিক্স কার্ড লাগানো যায়, কিন্তু গ্রাফিক্স কার্ড বেশ দামি তাই থ্রিডি এনিমেশন অথবা ভিডিও এডিটিং এর দিকে না গেলে মাদারবোর্ড এর সাথে যে গ্রাফিক্স কার্ড থাকে সেটাই যথেষ্ট। তবে যদি আলাদা গ্রাফিক্স কার্ড লাগাতে চাই তাহলে OpenCL capable GPU, CUDA cores দরকারি নয়। অ্যাডোবির CS6 Mercury ইঞ্জিন OpenGL and OpenCL এর কাজ করে। তাই গ্রাফিক্স কার্ড সাথে CUDA cores দরকার নেই ।

■ কম্পিউটার মনিটর (Computer Monitor )

বেশি স্পেস এর র‍্যাম, ভালো মানের প্রসেসর, গ্রাফিক্স কার্ড মনিটর থাকলেও কোন লাভ নেই। কারণ ভালো কালার সিস্টেম এর মনিটর নিতে হবে, যার সাইজ মিনিমাম 1920 x 1200 পিক্সেল ডাইমেনশন, 21-24 ইঞ্চি। যদি প্রিন্ট ডিজাইন এর কাজ করা হয়, কালার কেলিব্রাটর (Color Calibrate) সেট আপ করে নিতে হবে। কারণ অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় মনিটরে যে কালার দেখায় তা প্রিন্ট করার পর সে রকম কালার পাওয়া যায় না। মার্কেটে অনেক ব্রান্ডের মনিটর আছে তবে ২১-২৪ ইঞ্চি এর মধ্যে মনিটর ব্যবহার করলে ভালো হয় কিন্তু সাইজের থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো কালার সিস্টেম।

■ কী-বোর্ড/মাউস (Keyboard Mouse )

দীর্ঘ সময় ব্যবহারের জন্য A4 Tech বা Logitech কী-বোর্ড ও মাউস ব্যবহার করা যেতে পারে।

👤নিজে করো : ছকে গ্রাফিক্স ডিজাইনে ব্যবহৃত বিভিন্ন হার্ডওয়্যার এর নাম দেওয়া আছে। এগুলোর ১টি করে উদ্দেশ্য লিখ। একটি করে দেখানো হলো।

হার্ডওয়্যারের নামকাজ/উদ্দেশ্য
মাদারবোর্ডদ্বিমাত্রিক (2D) গ্রাফিক্স তৈরিতে বা 3D গ্রাফিক্স এনিমেশনের কাজ এর জন্য মাদারবোর্ড ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
প্রসেসর 
র‍্যাম 
গ্রাফিক্স কার্ড 
Content added || updated By

গ্রাফিক্স ডিজাইন ও ফটো এডিটিং সফটওয়্যারের তুলনা

গ্রাফিক্স ডিজাইন ও ফটো এডিটিং সফটওয়্যারের মধ্যে তুলনা করে নিচে দেখানো হলো—

গ্রাফিক্স ডিজাইন সফটওয়্যারফটো এডিটিং সফটওয়্যার
গ্রাফিক্স ডিজাইনিং সফটওয়্যার একটি ভিজ্যুয়াল আর্ট যা লোগো, পোস্টার, ব্যানার, ক্যাটালগ, গ্রাফিক্স | ইত্যাদি গ্রাফিক্সের মাধ্যমে একটি বার্তা প্রকাশ করতে বা তথ্যমূলক কিছু তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়।অন্যদিকে ফটো এডিটিং সফটওয়্যার ক্যামেরার মাধ্যমে | ছবি তোলার পর ছবি বা ছবির পোস্ট-প্রসেসিং যেমন— ক্রপ করা, ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ করা, কনট্রাস্ট পরিবর্তন, স্যাচুরেশন, এক্সপোজার ইত্যাদি কাজ করে।
গ্রাফিক্স ডিজাইনিং সফটওয়্যারের সাহায্যে একটি ভেক্টর ইলাস্ট্রেশন অঙ্কন করা হয় যা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ডিজিটালভাবে করা হয়।ফটো এডিটিং কিছু টুলস এবং ফটো এডিটিং সফটওয়্যারের কম্পোজিশন ব্যবহার করে ক্যামেরায় তোলা ফটোগ্রাফকে আরো আকর্ষণীয় করা।
গ্রাফিক্স ডিজাইনিং সফটওয়্যার মূলত ডিজিটাল বিশ্বের জন্য অন্যান্য ভিজ্যুয়াল তৈরিতে ব্যবহার করা যায়।ফটো এডিটিং সফটওয়্যার এর মূল উদ্দেশ্য হলো ক্যামেরায় তোলা ছবিকে পরিবর্তন করে ফটোগুলোকে পূর্বের চেয়ে সুন্দর করে তোলা ।

 

Content added By

ফটো এডিটিং সফটওয়্যার এর টুলবার পরিচিতি

ফটো এডিটিং সফটওয়্যারের মধ্যে অ্যাডোবি ফটোশপ অন্যতম। নিচে অ্যাডোবি ফটোশপ সফটওয়্যার এর টুলবার পরিচিতি দেখানো হলো।

■ টাইটেল বার (Title Bar )

অ্যাডোবি ফটোশপ স্ক্রিনের সব থেকে উপরে File, Edit Image, Layer, Select, Filter, View, Windows, Help থাকে। এগুলোর উপরে টাইটেল বার অবস্থিত অর্থাৎ Adobe Photoshop প্রোগ্রামে ডকুমেন্টের নাম যে বারে থাকে তাকে টাইটেল বার বলে। এর কাজ হচ্ছে ডকুমেন্টের নাম ধারণ করা।

■ মেনু বার (Menu Bar )

টাইটেল বারের ঠিক নিচে File, Edit, Image, Layer, Select, Filter, View, Windows, Help এই ৯টির প্রত্যেকটিকে মেনু বলে। আর এই মেনুগুলো একটি বারের উপর সন্নিবেশিত হয় তাকে মেনু বার বলে। এই মেনুগুলোর প্রত্যেকটির অধিনে আবার অনেকগুলো করে সাব-মেনু থাকে যেগুলোকে ব্যবহার করে ব্যবহারকারী কাজকে প্রানবন্ত করতে পারে।

■ টুলস বক্স (Tools Box )

টুলস বক্সটি ডিফল্ট অবস্থায় অ্যাডোবি ফটোশপ স্ক্রিনের বাম প্রান্তে উলম্ব ভাবে থাকে। রাজমিস্ত্রি যেমন কাজ করার সময় তার বিভিন্ন যন্ত্রপাতি— কুন্নি, ওয়্যাটারলেভেল, ঊষা, স্ত্র-গেজ, হ্যামার, শাবল ইত্যাদি ব্যবহার করে নিখুঁত করে বিল্ডিং তৈরি করে। ডিজাইনার ঠিক তেমন করে Move Tool Rectangular Marquee Tool, Lasso Tool, Magic Wand Tool, Crop Tool ইত্যাদি ব্যবহার করে ডিজাইন করতে পারে।

■ জুম ইন্ডিকেটর (Zoom Indicator)

চলমান ডকুমেন্টে কত % জুম আছে তা এই টুল এর মাধ্যমে থেকে দেখা যায়। এর অবস্থান টুলস বারের নিচে এবং স্ট্যাটাস বারের বাম পাশে। এখানে ক্লিক করে নির্দিষ্ট % জুম টাইপ করে এন্টার করলে ডকুমেন্ডটি নিজের মতো জুম হয়ে যাবে। নিজের ইচ্ছেমতো জুমকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এটি একটি সহজ পদ্ধতি ।

■ স্ট্যাটাস বার (Status bar)

চলমান ডকুমেন্টে কোন কাজ হচ্ছে, কোন টুল ব্যবহৃত হচ্ছে ইত্যাদি সম্পর্কিত তথ্য স্ট্যাটাস বারের মাধ্যমে জানা যায়। এর অবস্থান ডকুমেন্টের একেবারে নিচে জুম ইন্ডিকেটরের ডান পাশে ।

■ টাস্কবার (Task bar )

ডেস্কটপের নিচের দিকে বামপাশ থেকে ডানপাশ পর্যন্ত যে উলম্ব বারটি থাকে তা হলো টাস্কবার । যখন কোন কাজকে মিনিমাইজ (Minimize) করা হয় তখন কাজগুলো সব এই টাস্কবারে এসে জমা হয়। প্রয়োজনের সময় আবার এখানে ক্লিক করলে কাজটি ম্যাক্সিমাইজ (Maximize) হয়ে যায় ।

■ প্যালেট (Palette )

ডিজাইনকে প্রাণবন্ত এবং খুব সহজ করার জন্য প্যালেটের সাহায্য নিয়ে কাজ করতে হয়। ফটোশপ চালু করার সাথে সাথেই প্রয়োজনীয় সব প্যালেট উইন্ডোতে নাও থাকতে পারে, সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় প্যালেট নিয়ে আসার জন্য Window মেনুতে গিয়ে উক্ত প্যালেটের নামে ক্লিক করলে প্যালেটটি চলে আসবে। প্যালেটগুলো Default অবস্থায় ডান পাশে অবস্থান করে, তবে এগুলোকে ড্রাগ করে নিজের ইচ্ছামতো সরানো যায়। সাধারণত ফটোশপ খুলতে স্ক্রিনের ডান পাশে তিনটি প্যালেট দেখা যায়। সেগুলো হলো-

১. কালার প্যালেট (Color Palette )

২. লেয়ার প্যালেট (Layer Palette )

৩. অ্যাডজাস্টমেন্টস প্যালেট (Adjustements Palette )

অ্যাডোবি ফটোশপে যেসকল প্যালেটসমূহ রয়েছে সেগুলোর নাম নিম্নরূপ—

• Action Palette

• Adjustments Palette

• Animation Palette

• Brush Palette

• Brush Presents Palette

• Channels Palette

 •Character Palette 

• Clone Source Palette

• Color Palette

• Histogram Palette

• History Palette

• Info Palette

• Layer comps Palette

 • Layers Palette

• Masks Palette

• Navigator Palette

• Notes Palette

• Paragraph Palette

• Paths Palette

• Styles Palette

 • Swatches Palette

 • Tool Presets Palette

👤 একক কাজ : ছকে বিভিন্ন ফটো এডিটিং সফটওয়্যার এর টুলবার নাম দেওয়া আছে। এগুলোর মধ্য থেকে বিভিন্ন ধরনের টুলবারের পরিচিতি লিখ। একটি করে দেখানো হলো ।

টুলবারের নামপরিচিতি
টাইটেল বারঅ্যাডোবি ফটোশপ স্ক্রিনের সব থেকে উপরে, File, Edit, Image, Layer, Select, Filter, View, Windows Help থাকে। এগুলোর উপরে টাইটেল বার অবস্থিত অর্থাৎ Adobe Photoshop প্রোগ্রামে ডকুমেন্টের নাম যে বারে থাকে তাকে টাইটেল বার বলে ।
মেনু বার 
টুলস বক্স 
স্ট্যাটাস বার 
Content added || updated By

ফটো এডিটিং টুলসমূহের কাজ

ফটোশপ সফটওয়্যার ওপেন করার পর ফটোশপ প্রোগ্রামের বামপাশে বিভিন্ন আইকন বাটন সংবলিত যে টুল দেখা যায়, যেগুলোকে ফটোশপ টুলস বলে। অনেকে এটিকে টুলবক্সও বলে। বিভিন্ন বাটন বা টুল ব্যবহার করে ফটোশপে বিভিন্ন কাজ করা যায়। Photoshop এর বর্তমান সংস্করণে প্রায় ৩০ রকম আলাদা আলাদা টুল আছে। এই টুলগুলো কাজের সুবিধার্থে ৬ টি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। আবার বেশকিছু টুলের আরও কয়েকটি সাব টুল আছে । এই টুলগুলোতে মাউস থেকে রাইট বাটন ক্লিক করলে সাব টুলগুলো পাওয়া যায়। নিচে টুলগুলোর পরিচিতি বর্ণনা করা হলো।

ফটোশপ প্রোগ্রামের বাম পাশে একটি বার বা বক্স এর মধ্যে বেশ কিছু আইকন আছে, এটিকেই টুলবক্স বলে। আবার ফটোশপ প্রোগ্রামের উপরের টুল বক্স এর ডান পাশে Quick Selection Tool, Magic Wand Tool লেখা রয়েছে, সেগুলো সাব টুল। যে টুলগুলোর ডানে নিচে একটি ছোট্ট তীর আছে, সেগুলোর সাব টুল আছে।

টুল বক্স কখনও কখনও এক কলামেই থাকে। যদি ফটোশপে, টুলবক্স না থাকে তাহলে মেনু বারের Windows মেনু থেকে Tools এ ক্লিক করলে, ফটোশপ প্রোগ্রামের স্ক্রিনে টুলবার দেখাবে।

■ ফটোশপ টুলস পরিচিতি ও ব্যবহার

ফটোশপ টুলস এর বিভিন্ন আইকনের উপর মাউস পয়েন্টার রাখলে টুলস এর নাম এবং ব্রাকেটে কী-বোর্ড শর্টকাট কমান্ড দেখা যায়। ফটোশপে দুই ভাবে টুলস নির্বাচন করা যায়-

১. মাউসের মাধ্যমে

২. শর্টকাট কী কমান্ড ব্যবহার করে।

নিম্নে ফটোশপের বিভিন্ন ধরনের টুলসের পরিচিতি উল্লেখ করা হলো—

• মুভ টুল ( Move Tool )

মুভ টুলের উপর মাউস নিলে, Move Tool লেখার মতো টাইটেল দেখা যায়। মুভ টুল ব্যবহার করে কোনো লেয়ারের অবজেক্ট কিংবা কোনো ইমেজের নির্বাচিত অংশকে ড্র্যাগ করে মুভ করা যায়। আর মুভ টুলের কী-বোর্ড শর্টকার্ট হচ্ছে V। কী- বোর্ড থেকে V চাপলে Move Tool সিলেক্ট হবে ।

• মারকিউ টুল (Marquee Tool)

ফটোশপ প্রোগ্রাম ওপেন করে ফটোশপের বাম পাশে বিভিন্ন আইকন সংবলিত টুলবক্স দেখা যায়। 

এবার সেখান থেকে marquee tool ব্যবহার করার জন্য চিত্রের মার্ক করা অংশে মাউস পয়েন্টার নিয়ে গিয়ে মাউস থেকে Right বাটনে ক্লিক করলে চারটি অপশন দেখা যায়। নিচে চারটি অপশনের ব্যবহার আলোচনা করা হলো।

i. রেক্টাঙ্গুলার মারকিউ টুল (Rectangular Marquee Tool) : এই টুল ব্যবহার করে চতুর্ভুজ আকৃতি সিলেকশন করা যায়।

ii. ইলিপটিক্যাল মারকিউ টুল (Elliptical Marquee Tool) : ইলিপটিক্যাল টুল ব্যবহার করে গোলাকার সিলেকশন করা যায়।

iii. সিঙ্গেল রো মারকিউ টুল (Single Row Marquee Tool) : এই টুলটির সাহয্যে এক পিক্সেল প্রশস্থতা বিশিষ্ট রো নির্দিষ্ট করা যায়।

iv. সিঙ্গেল কলাম মারকিউ টুল (Single Column Marquee Tool) : কলাম টুল ব্যবহার করে মূলত এক পিক্সেল প্রশস্ততা বিশিষ্ট কলাম নির্দিষ্ট করা যায়।

■ ডিসিলেক্ট সিলেকশনটি

কোন একটি অংশকে সিলেক্ট করার পর কাজ শেষে সিলেকশনটি (Selection) ডিলিট করার প্রয়োজন পড়ে। সেটি করার জন্য সবার আগে মুভ টুল এক্টিভ করি (কী-বোর্ড থেকে V চেপে অথবা সরাসরি মাউস দিয়ে সিলেক্ট করি)। এরপর ডিসিলেক্ট করার জন্য মেনুবারের সিলেক্ট থেকে Deselect এ ক্লিক করি। কি- বোর্ড কমান্ড Ctrl + DT

• ল্যাসো টুল (Lasso Tool)

ছবির বিভিন্ন স্থান নির্বাচন করতে এটি ব্যবহৃত হয়। Lasso Tool তিন ধরনের যথা- উপরের চিত্রের চিহ্নিত করা আইকনটি হচ্ছে Lasso Tool । ফটোশপ থেকে Lasso Tool আইকনের উপর মাউস পয়েন্টার নিয়ে রাইট বাটন ক্লিক করার পর ডান পাশে তিনটি অপশন দেখা যায়। 

i. ল্যাসো টুল (Lasso Tool) : এটি পেন্সিলের মতো কাজ করে। পেন্সিলের মতো চাপ দিয়ে আঁকবো, তারপর ছেড়ে দিলেই ঐ অংশটুকু নির্বাচন হবে।

ii. পলিগোনাল ল্যাসো টুল (Polygonal Lasso Tool) : এই টুল ব্যবহার করে সোজা বা ভেঙ্গে

ভেঙ্গে ডকুমেন্ট সিলেক্ট করা যায়। প্রথমে এক জায়গায় ক্লিক করে নিয়ে বিভিন্ন পয়েন্ট তৈরির মাধ্যমে ছবিতে বিভিন্ন জায়গা নির্বাচন করার জন্য এই টুল ব্যবহৃত হয়।

iii. ম্যাগনেটিক ল্যাসো টুল (Magnetic Lasso Tool) : এই টুলটি ব্যবহার করে একই ধরনের পিক্সেল সহজেই নির্বাচন করা যায়।

• কুইক সিলেকশন গ্রুপ (Quick Selection Group) : কুইক সিলেকশন গ্রুপে যে টুলগুলো থাকে তা নিম্নরূপ আলোচনা করা হলো-

• কুইক সিলেকশন টুল (Quick Selection Tool) : এই টুলটি ব্যবহার করে দ্রুত একটি সিলেকশন পেইন্ট তৈরি করা যায়। তবে ফটোশপের পূর্বের ভার্সনে এই টুলটি নাও থাকতে পারে।

• ম্যাজিক ওয়ান্ড টুল (Magic Wand Tool) : এই টুলটির সাহায্যে ইমেজের একই ধরনের (কালারের) পৃথক পৃথক অংশকে সহজেই সিলেক্ট করা যায়। Shift key চেপে ধরে Magic টুল দিয়ে একই কালার গুলোর উপরে ক্লিক করলে সেগুলো সিলেক্ট হবে।

• ক্রপ টুল (Crop Tool) : Crop টুল ব্যবহার করে ইমেজের অতিরিক্ত অংশকে কেটে আলাদা করার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এটির আরো ২টি সাব টুল আছে। অর্থাৎ ৩টি টুল আছে।

• স্লাইস টুল (Slice Tool) : এটি ব্যবহার করে ইমেজের স্লাইস তৈরি করা যায়।

• স্লাইস সিলেক্ট টুল (Slice Select Tool) : এই টুল এর সাহায্যে স্লাইস সিলেক্ট করা যায়।

• আইড্রপার টুল (Eyedropper Tool)

• আইড্রপার টুলের সাহায্যে কোনো অংশ ইমেজের ফোরগ্রাউন্ড হিসাবে ইমেজের রং নির্বাচন করা যায় ।

• কালার স্যামপ্লার টুল (Color Sampler Too) : এ টুলটি ব্যবহার করে ইমেজের বিভিন্ন অংশে মোট চারটি ক্লিক করে ওই অংশের রঙের মোডের বিভিন্ন মাত্রা জানা যায়।

• রুলার টুল (Ruler Tool) : এই টুলটি ব্যবহার করে ইমেজের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত নিয়ে দুই প্রান্তের মধ্যকার কৌনিক দূরত্ব, উচ্চতা এবং প্রশস্ততা ইত্যাদি মাপা হয়।

• নোট টুল (Note Tool) : এই টুল ব্যবহার করে ইমেজের উপর মন্তব্য লেখা যায়।

• স্পট হিলিং ব্রাশ টুল (Spot Healing Brush Tool): স্পট হিলিং ব্রাশ টুল ব্যবহার করে ইমেজের দাগ বা ত্রুটি দূর করার জন্য।

• হিলিং ব্রাশ টুল (Healing Brush Tool) : সাধারণত এই টুলটি ব্যবহার করা হয় ইমেজের নষ্ট অংশ রিপেয়ার (repair) করার জন্য। আবার হিলিং ব্রাশ টুল দিয়ে পেইন্ট ইমেজের টেকচার লাইটিং, ট্রান্সপারেন্সি ও শেডিং সোর্স ইমেজ দিয়ে এডজাস্ট করা যায় ।

• প্যাচ টুল (Patch Tool) : একটি ইমেজের সিলেক্ট করা অংশ রিপেয়ার করার জন্য এই টুলটি ব্যবহার করা যায়।

• রেড আই টুল (Red Eye Tool) : সাধারণত একটি ছবি তোলার সময় ক্যামেরার ফ্ল্যাশ দ্বারা সৃষ্ট লাল বার্ণ চোখ থেকে দূর করার জন্য এই টুলটি ব্যবহার করা হয়।

• ব্রাশ টুল (Brush Tool): ব্রাশ টুল ব্যবহার করে খুব সহজেই ড্রয়িং করা যায় ।

• পেন্সিল টুল (Pencil Tool) : এই টুলটি ব্যবহার করে মুক্তভাবে কোন ডকুমেন্ট এর উপর লেখা যায়।

• কালার রিপ্লেসমেন্ট টুল (Color Replacement Tool) : এ টুলটি দিয়ে কোন নির্বাচিত রঙকে নতুন একটি রঙ দ্বারা পরিবর্তন করা যায় ।

• মিক্সার ব্রাশ টুল (Mixer Brush Tool) : এই টুল ব্যবহার করে কালার কে বিভিন্ন রং দেওয়া যায়।

• স্ট্যাম্প টুলস (Stamp Tools) : স্টাম্প টুলস দুই ধরনের। নিম্নে চিত্রের মাধ্যমে দেখানো হলো— 

i ক্লোন স্ট্যাম্প টুল (Clone Stamp Tool) : এই টুলটি ব্যবহার করে একটি ইমেজের অনুরূপ ইমেজ কিংবা ইমেজের অংশ তৈরি করা যায়।

ii. প্যাটার্ন স্ট্যাম্প টুল (Pattern Stamp Tool) : এই টুলটির সাহায্যে ইমেজের কোন একটি অংশকে সিলেক্ট করে প্যাটান দিয়ে পেইন্ট করা যায়।

• হিস্টোরি ব্রাশ টুল ( History Brush Tool): ছবিকে প্রাথমিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে এটি ব্যবহার করা হয়। এর দুটি সাবটুল রয়েছে।

i. হিস্টোরি ব্রাশ টুল ( History Brush Tool): হিস্টোরি ব্রাশ টুল ব্যবহার করে হিস্টোরি প্যালেটে ইমেজের নির্বাচিত অবস্থা বা স্লাপশট পেইন্ট করা যায় ।

ii. আর্ট হিস্ট্রি ব্রাশ (Art History Brush Tool) : এই টুলটি ব্যবহার করে নির্দিষ্ট একটি হিস্টোরি স্টেট বা স্নাপশটকে পেইন্ট করা যায়।

• ইরেজার গ্রুপ টুল ( Eraser Group Tool) : ফটোশপে ইরেজার গ্রুপ টুল ব্যবহার করে ইমেজের বিভিন্ন অংশ মুছে ফেলা যায়। যেমন—

i. ইরেজার টুল (Eraser Tool): এই টুল ব্যবহার করে কোনো ইমেজের লেয়ার কিংবা কোন নির্বাচিত অংশের পিক্সেল মুছে ফেলা যায়।

ii. ব্যাকগ্রাউন্ড ইরেজার টুল (Background Eraser Tool) : এই টুলটি ব্যবহার করে সহজেই ইমেজের ব্যাকগ্রাউন্ড মুছে ফেলা যায়। 

iii. ম্যাজিক ইরেজার টুল (Magic Eraser Tool) : এই টুল এর সাহায্যে কোনো লেয়ারে ক্লিক করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে একই ধরনের সব টুল পিক্সেল মুছে যায়।

• গ্রাডিয়েন্ট টুল (Gradient Tool) :উপরের ছবিটির মার্ক Gradient Tool সিলেক্ট করার জন্য টুলবক্সে গিয়ে মাউস থেকে রাইট বাটনে ক্লিক করি। রাইট বাটনে ক্লিক করার পর ডান পাশে দুইটি অপশন দেখা যাবে। এবার সেখান থেকে Gradient Tool বাটন সিলেক্ট করি। এবার ফটোশপের উপরের দিকে অপশন বারে পাঁচটি টুল প্রদর্শিত হবে।

i. Liner Gradient Tool: এই টুলটি ব্যবহার করে লাইনার গ্রাডিয়েন্ট তৈরি করা যায়। 

ii. Radial Gradient Tool: এই টুলটি ব্যবহার করে রেডিয়েল গ্র্যাডিয়েন্ট তৈরি করা হয়।

iii. Angle Gradient Tool: এই টুলটির সাহায্যে অ্যাঙ্গেল গ্রাডিয়েন্ট করা যায়।

iv. Reflected Gradient Tool: এই টুলটি ব্যবহার করে রিফ্লেকটেড গ্রাডিয়েন্ট তৈরি করা যায়।

v. Diamond Gradient Tool: এই টুল ব্যবহার করে ডায়মন্ট গ্রাডিয়েন্ট তৈরি করা যায়।

▪️পেইন্ট বাকেট টুল (Paint Bucket Tool)

এ টুলটি সিলেক্ট করে ইমেজের সম্পূর্ণ বা সিলেক্ট অংশকে ফোরগ্রাউন্ড কালার দিয়ে পেইন্ট করা যায়।

• ব্লার টুল (Blur Tool) : ছবি মসৃণ করার জন্য এই টুল ব্যবহৃত হয়। এর অধীনে রয়েছে ২টি টুল। যথা- sharpen tool এবং Smudge tool

i. Sharpen tool: ছবিকে সাপ বা নিখুঁত করার জন্য এটি ব্যবহৃত হয়।

ii. Smudge tool: এটির মাধ্যমে সহজেই ছবিতে কোন দাগ থাকলে তা মুছে যায় ।

• শার্পেন টুল (Sharpen Tool) : এই টুলটি ব্যবহার করে ইমেজের ঘোলা বা অস্পষ্ট অংশকে উজ্জল করা যায়।

• স্মাজ টুল (Smudge Tool) : এই টুল ব্যবহার করে ইমেজের যে অংশকে ড্র্যাগ করা হবে, সে অংশটিকে পিক্সেল অবস্থায় বের হয়ে প্রান্ত সীমায় ছড়িয়ে যাবে ।

ডজ টুল (Dodge Tool) : এটি অত্যন্ত কার্যকরী একটি টুল । এটির তিনটি সাব টুল আছে যথা—

i. Dodge tool: এই টুল দিয়ে ছবির ব্রাইটনেস বা উজ্জ্বলতা বাড়ানো হয় বা ছবিতে আলো দেওয়া হয়।

ii. Burn tool: এই টুল দিয়ে ছবির ব্রাইটনেস কমানো বা কালো করা হয়। যেমন : চুল কালি করা, চোখের মনি কালো করা, ব্রু কালো করা ইত্যাদি।

iii. Sponge tool: ছবিতে Sponge দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়।

• বার্ন টুল (Burn Tool) : এই টুলটির সাহায্যে আলোকিত অংশকে অন্ধকারাচ্ছন্ন করা যায়।

• স্পঞ্জ টুল (Sponge Tool) : এ টুলটি ব্যবহার করে ইমেজের কোনো স্থানের ক্রমশ গ্রে স্কেল পরিবর্তন করা যায় ।

i. পেন টুল (Pen Tool) : Pen Tool টুল এর সাহায্যে বিভিন্ন ধরনের পাথ তৈরি করা যায়।

ii. ফ্রিফর্ম পেন টুল (Freeform Pen Tool) : এই টুলটি ব্যবহার করে পেন্সিল দিয়ে তৈরি কাগজের মতো মুক্তভাবে পাথ তৈরি করা যায় । 

iii. অ্যাড অ্যাংকর পয়েন্ট টুল (Add Anchor Point Tool) : এ টুলটির সাহায্যে পাথে অ্যাংকর পয়েন্ট যুক্ত করা যায়।

iv. ডিলিট অ্যাংকর পয়েন্ট টুল (Delete Anchor Point Tool) : এর সাহায্যে পাথে অ্যাংকর পয়েন্টকে বিযুক্ত করা যায়।

V. কনভার্ট পয়েন্ট টুল (Convert Point Tool) : এই টুলটির সাহায্যে এক ধরনের অ্যাংকর পয়েন্টকে অন্য ধরনের অ্যাংকর পয়েন্টে কনভার্ট করা যায়।

• টাইপ টুলস (Type Tools)

লেখালেখি করার জন্য টাইপ টুলস ব্যবহার করা হয়। নিম্নে বিভিন্ন ধরনের টাইপ টুলস উল্লেখ করা হলো-

i. হরাইজন্টাল টাইপ টুল (Horizontal Type Tool) : এই টুলটি ব্যবহার করে স্বাভাবিকভাবে টেক্সট লেখা যায়।

• পেন টুল (Pen Tool)

গ্রাফিক্স ডিজাইন ও ইলাস্ট্রেটর এর কাজ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের পেন টুল ব্যবহার করা হয়। নিম্নে কয়েকটি পেন টুলের নাম উল্লেখ করা হলো-

i. পেন টুল (Pen Tool) : Pen Tool টুল এর সাহায্যে বিভিন্ন ধরনের পাথ তৈরি করা যায়।

ii. ফ্রিফর্ম পেন টুল (Freeform Pen Tool) : এই টুলটি ব্যবহার করে পেন্সিল দিয়ে তৈরি কাগজের মতো মুক্তভাবে পাথ তৈরি করা যায় । 

iii. অ্যাড অ্যাংকর পয়েন্ট টুল (Add Anchor Point Tool) : এ টুলটির সাহায্যে পাথে অ্যাংকর পয়েন্ট যুক্ত করা যায়।

iv. ডিলিট অ্যাংকর পয়েন্ট টুল (Delete Anchor Point Tool) : এর সাহায্যে পাথে অ্যাংকর পয়েন্টকে বিযুক্ত করা যায়।

V. কনভার্ট পয়েন্ট টুল (Convert Point Tool) : এই টুলটির সাহায্যে এক ধরনের অ্যাংকর পয়েন্টকে অন্য ধরনের অ্যাংকর পয়েন্টে কনভার্ট করা যায়।

• টাইপ টুলস (Type Tools):

লেখালেখি করার জন্য টাইপ টুলস ব্যবহার করা হয়। নিম্নে বিভিন্ন ধরনের টাইপ টুলস উল্লেখ করা হলো-

i. হরাইজন্টাল টাইপ টুল (Horizontal Type Tool) : এই টুলটি ব্যবহার করে স্বাভাবিকভাবে টেক্সট লেখা যায়।

ii. ভার্টিক্যাল টাইপ টুল (Vertical Type Tool) : এই টুল ব্যবহার করে উলম্বভাবে লেখা যায় ।

iii. হরাইজন্টাল টাইপ মাস্ক টুল (Horizontal Type Mask Tool) : এটি ব্যবহার করে অনুভুমিকভাবে লেখার বর্ডার সিলেক্ট তৈরি করা যায় ।

iv. ভার্টিক্যাল মাস্ক টাইপ টুল (Vertical Type Mask Tool) : এই টুলটি সিলেক্ট করে উলম্বভাবে লেখার বর্ডার সিলেকশন তৈরি করা যায়।

• পাথ সিলেকশন টুল (Path Selection Tool): এই টুলের ২টি সাব টুল আছে যথা—

i. পাথ সিলেকশন টুল (Path Selection Tool) : ছবিতে কোন পাথ বা লেয়ার নির্বাচন করার জন্য ব্যবহৃত হয়।

ii. ডাইরেক্ট সিলেকশন টুল (Direct Selection Tool) : পুরো লেয়ার নির্বাচন করার জন্য ব্যবহৃত হয়।

• র‍্যাক্ট্যান্সল টুল (Rectangle Tool): এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ টুল। এর অধীনে ৬টি টুল রয়েছে । যথা :

i. র‍্যাক্ট্যাঙ্গল টুল (Rectangle Tool) : এই টুল ব্যবহার করে চতুর্ভূজ তৈরি করা যায়।

ii. রাউন্ডেড র‍্যাক্ট্যাঙ্গল টুল (Rounded Rectangle Tool) : এ টুলটি ব্যবহার করে গোলাকার কোনা বিশিষ্ট চতুর্ভূজ তৈরি করা যায়।

iii. ইল্লিপস টুল (Ellipse Tool) : উপবৃত্ত, বৃত্ত তৈরি করার জন্য ব্যবহৃত হয় । 

iv. পলিগন টুল (Polygon Tool) : এই টুলটি ব্যবহার করে বহুভূজ তৈরি করা যায়।

v. লাইন টুল (Line Tool) : এ টুলটি ব্যবহার করে লাইন আঁকা যায়।

vi. কাস্টম শেইপ টুল (Custom Shape Tool) : বিভিন্ন ধরনের অ্যারো (Arrow) তৈরি করার জন্য ব্যবহৃত হয়।

• হ্যান্ড টুল (Hand Tool): এটি দিয়ে ছবি সরানো হয়। ছবি zoom করার পর সরিয়ে সরিয়ে দেখার জন্য ব্যবহৃত হয়।

i. হ্যান্ড টুল (Hand tool) : হ্যান্ড টুল ব্যবহার করে কোন ইমেজের সাইজ যদি বড় হয়, তাহলে হ্যান্ড টুল ব্যবহার করে ইমেজকে মুভ করিয়ে বিভিন্ন অংশ প্রদর্শন করা যায়। 

ii. রোটেট ভিউ টুল (Rotate View Tool) : এই টুলটি ব্যবহার করে, ইমেজকে সব দিকে ঘুরানো যায়।

• জুম টুল (Zoom Tool) : জুম টুল সিলেক্ট করে ইমেজকে বড় বা ছোট করে দেখা যায়।

Content added || updated By
Promotion