SATT ACADEMY

New to Satt Academy? Create an account


or

Log in with Google Account

এসএসসি(ভোকেশনাল) - মেকানিক্যাল ড্রাফটিং উইথ ক্যাড-১ - প্রথম পত্র (নবম শ্রেণি) | NCTB BOOK

প্রাথমিক চিকিৎসা (First Aid) :

হঠাৎ কোনো দুর্ঘটনায় আহত বা অসুস্থ লোককে ডাক্তার অথবা হাসপাতালে নেওয়ার আগে ঘটনাস্থলে বা নিকটবর্তী স্থানে তাৎক্ষনিকভাবে যে চিকিৎসা দেওয়া হয় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা বা বলে। অনেক সময় প্রাথমিক চিকিৎসার সাহায্যে একজন রোগীকে সম্পুর্ণ সুস্থ করে তোলাও সম্ভব হয়। তাছাড়া রোগীকে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নেওয়ার আগ মুহুর্ত পর্যন্ত জীবিত বা সুস্থ রাখার জন্য প্রাথমিক চিকিৎসা খুবই জরুরি।

প্রাথমিক চিকিৎসার উদ্দেশ্য

  • জীবন রক্ষা করা : এখানে বলা যায় যে, দুর্ঘটনার জন্য হোক অথবা অসুস্থতার জন্যই হোক প্রথমে মৃত্যুর হাত থেকে জীবন রক্ষার জন্য সচেষ্ট হতে হবে।
  • গুরুতর আঘাতের পর অবস্থা খারাপের দিকে যাওয়া থেকে বিরত রাখা : প্রাথমিক পর্যায়ে রোগীর অবস্থা যেন খারাপের দিকে না যায়, সে ব্যবস্থা করতে হবে।
  • অবস্থার উন্নতির সাহায্য করা : রোগীর বর্তমান অবস্থা থেকে উন্নত করার জন্য সাহায্য করতে হবে।

প্রাথমিক চিকিৎসকের দায়িত্ব ও কর্তব্য

  • সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা
  • কোথায় আঘাত সেটা খুঁজে বের করা
  • তাৎক্ষনিক কিছু চিকিৎসা প্রদান করা
  • বিলম্ব না করে হাসপাতানে ইমার্জেন্সীতে রোগী প্রেরণ করা
  • কি করা উচিৎ নয় সেটা জানতে হবে
  • কি অবশ্যই করা উচিৎ সেটাও জানতে হবে

আগুনের উৎস এবং বিপদ সংকেত সম্পর্কে জানা : আগুন প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা যায়। 

১. "এ" ক্লাশ ফায়ার 

২. "বি" ক্লাশ ফায়ার

৩. "সি" ক্লাশ ফায়ার

"এ" ক্লাশ ফায়ার এর উৎস : কাঠ, কাপড়, কাগজ এবং প্যাকিং মেটিরিয়্যাল ।

"সি" ক্লাশ ফায়ার এর উৎস : বৈদ্যুৎতিক যন্ত্রপাতি যেমন- মটর জেনারেটর, কেবল, ওয়্যারিং সুইচ, সুইচ বোর্ড ইলেকট্রোনিক্স যন্ত্রপাতি ইত্যাদি।

"সি" ক্লাশ আগুন নিভানোর জন্য ব্যবহৃত এক্সটিংগুইসার

  • ড্রাই পাউডার কেমিক্যালস। 
  • কার্বন ডাই অক্সাইড এক্সটিংগুইসার। 
  • কার্বন টেট্রাক্লোরাইড।

আগুন নিভানোর পদ্ধতি তিন ধরনের :

ক) কুলিং পদ্ধতি : এ পদ্ধতিতে পানি দিয়ে ঠান্ডা করে তাপ অপসারনের মাধ্যমে আগুন নেভানো হয় । 

খ) মুদারিং পদ্ধতি : এ পদ্ধতিতে আগুন কে শ্বাসরুদ্ধ করে নেভানো হয়।

গ) স্টারডেশন পদ্ধতি : এ পদ্ধতিতে দাহ্য বস্তু অপসারন করে আগুন কে প্রসারিত হওয়া থেকে বিরত রাখা হয়।

আগুন লাগলে করণীয়

১. বিচলিত হয়ে উপস্থিত বুদ্ধি হারানো যাবে না; আগুন বলে চিৎকার করতে হবে এবং ফারার ফাইটিং চর্চার মাধ্যমে উপরে উল্লেখিত অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করবে। 

২. ফারার সার্ভিস অফিসে ফোন করে জানাতে হবে। 

৩. বৈদ্যুতিক আগুনের ক্ষেত্রে দ্রুত মেইন সুইচ বন্ধ করবে। 

৪. প্রত্যেকে যার যার সুইচ বন্ধ করবে। 

৫. হাতের কাছে যে টুকু পানি পাওয়া যায় সুচনাতেই আগুনের উপর তা নিক্ষেপ করবে। 

৬. তৈল জাতীয় ও বৈদ্যুতিক আগুনে পানি দিবে না এবং বৈদ্যুতিক আগুনে ফোম টাইপ এক্সটিংগুইসার ব্যবহার করবে না। বালি বা ভেজা মোটা কাপড় অথবা ভেজা কম্বল দিয়ে আগুন চাপা দিবে। 

৭. পরনের কাপড়ে আগুন লাগলে সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে গড়াগড়ি দিবে বা ভেজা কম্বল জড়িয়ে ধরবে। ভুলেও দৌড়াবে না, দৌড়ালে আগুন বেড়ে যাবে। 

বিঃ দ্রঃ "সি" ক্লাশ আগুন নিভানোর জন্য পানি বা ফোম ব্যবহার করবে না।

বিপদ সংকেত : আগুন লাগলে যেসব সর্তকতা মূলক বিপদ সংকেত ব্যবহৃত হয় সেগুলিকে ফায়ার হ্যাজার্ড নামে অভিহিত করা হয়। যেমন- এলার্ম বা হর্ন, স্মোক ডিটেকটর, লাল বাতি এবং সাইরেন ইত্যাদি। কোথাও আগুন লাগলে দমকল বাহিনী তাদের গাড়িতে ঘন্টা, লাল এলার্ম লাইট, সাইরেন বাজিয়ে থাকে। কল- কারখানায়, অফিস আদালতে, বাসা বাড়িতে লাল এলার্ম লাইট লাগানো থাকে। আগুন লাগলে ঘণ্টা বাজানো হয়। অথবা সুইচ অন করলে এলার্ম বেজে উঠে।

ওয়ার্কশপে আগুন লাগলে নিম্নলিখিত কাজ গুলো তাড়াতাড়ি করা উচিত : 

১. আগুনের এলার্ম বাজাতে হবে বা চিৎকার করে সকলকে জানাতে হৰে । 

২. ফায়ার ব্রিগেডকে আগুন ধরার সংবাদ দিতে হৰে । 

৩. আগুনের শ্রেনী অনুযায়ী সঠিক ফায়ার এক্সটিংগুইসার দিয়ে আগুন নিভানোর ব্যবস্থা করতে হবে। 

৪. আগুন ব্যাপকভাবে জ্বলতে শুরু করলে অথবা আগুন নিভাতে অসমর্থ হলে নিজের জান্মরক্ষার জন্য ঐ স্থান ত্যাগ করতে হবে।

 

 

Content added By