SATT ACADEMY

New to Satt Academy? Create an account


or
Log in with Google Account

অষ্টম শ্রেণি (মাধ্যমিক ২০২৪) - ইসলাম শিক্ষা - Islamic Study - আকাইদ | NCTB BOOK

মানব জাতিকে সরল সঠিক পথ প্রদর্শনের জন্য আল্লাহ তা'আলা যুগে যুগে অনেক নবি-রাসুল প্রেরণ করেছেন। রাসুলগণ আল্লাহর মনোনীত ব্যক্তি। তাঁদের প্রচারিত বাণী আল্লাহরই বাণী। এই বিশ্বাস স্থাপন করাই হলো রাসুলগণের প্রতি ইমান। রাসুলগণের প্রতি ইমান বলতে নবি-রাসুল উভয়কে বুঝানো হয়েছে। রাসুল শব্দটি রিসালাত শব্দ থেকে এসেছে। রিসালাত শব্দের শাব্দিক অর্থ চিঠি, বার্তা, সংবাদ ইত্যাদি। সুতরাং রিসালাত বলতে আল্লাহ তা'আলার বাণী মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্বকে বোঝায়। এ দায়িত্ব পালনকারীকে রাসুল বলা হয়। রাসুলগণের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন ছাড়া মুমিন হওয়া সম্ভব নয়। সুতরাং রাসুলগণের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা প্রত্যেক মুমিনের একান্ত কর্তব্য। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তা'আলা বলেন, 'রাসুল, তাঁর প্রতি তাঁর প্রতিপালকের পক্ষ হতে যা অবতীর্ণ হয়েছে তাতে ইমান এনেছেন এবং মু'মিনগণও। তাঁদের সকলে আল্লাহর প্রতি, তাঁর ফেরেশতাগণ, তাঁর কিতাবসমূহ এবং তাঁর রাসুলগণের প্রতি ইমান এনেছেন।' (সুরা আল-বাকারা, আয়াত: ২৮৫)

রাসুলগণের প্রতি ইমান আনার অপরিহার্যতা

ইমানের পূর্ণতার জন্য ইসলামের ৭টি মৌলিক বিষয়ের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা অপরিহার্য। রাসুলগণের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন সেগুলোর মধ্যে অন্যতম। সুতরাং রাসুলগণের প্রতি ইমান না আনলে তাওহিদে বিশ্বাস পূর্ণ হবে না। নবি-রাসুলগণের কাউকে বিশ্বাস করা আর কাউকে অবিশ্বাস করা যাবে না। বরং প্রত্যেককেই আল্লাহ তা'আলার প্রেরিত নবি-রাসুল হিসেবে বিশ্বাস করতে হবে। সবাইকে যথাযথ সম্মান দিতে হবে। তাঁদের সবার প্রতি ইমান আনতে হবে। তাঁদের প্রতি ইমান আনার পর সন্দেহ পোষণ করা যাবে না। আল্লাহ তা'আলা বলেন,

إِنَّمَا الْمُؤْمِنُونَ الَّذِينَ آمَنُوا بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ ثُمَّ لَمْ يَرْتَابُوا 

অর্থ: 'তারাই মুমিন যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ইমান আনে, পরে সন্দেহ পোষণ করে না।' (সূরা আল- হুজুরাত, আয়াত: ১৫)

নবি-রাসুল প্রেরণের প্রয়োজনীয়তা

মহান আল্লাহর একত্ববাদ প্রতিষ্ঠা, আল্লাহর সাথে বান্দার সম্পর্ক তৈরি করা, মানুষকে সরল সঠিক পথ দেখানো, পরকাল সম্পর্কে ধারণা দেওয়া, মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে নিয়ে আসা, আল্লাহর বিধি বিধান মেনে চলার প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং ভ্রান্ত পথ ও মত দূর করে সত্য দ্বীনকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য নবি-রাসুল প্রেরণের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। তাই আল্লাহ তা'আলা আদম (আ.) থেকে হযরত মুহাম্মাদ (সা.) পর্যন্ত অনেক নবি- রাসুল প্রেরণ করেছেন। মহান আল্লাহ বলেন 

لَقَدْ مَنَّ اللَّهُ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ إِذْ بَعَثَ فِيهِمْ رَسُولًا مِّنْ

أَنْفُسِهِمْ يَتْلُوا عَلَيْهِمْ أَيْتِهِ وَيُزَكِّيهِمْ وَيُعَلِّمُهُمُ الْكِتٰبَ وَالْحِكْمَةَ 

وَإِنْ كَانُوا مِنْ قَبْلُ لَفِي ضَلْلٍ مُّبِيْنٍ 

অর্থ: 'আল্লাহ মুমিনদের প্রতি অবশ্যই অনুগ্রহ করেছেন যে, তিনি তাদের নিজেদের মধ্য হতে তাদের নিকট রাসুল প্রেরণ করেছেন, যিনি তাঁর আয়াতসমূহ তাদের নিকট তিলাওয়াত করেন, তাদেরকে পরিশুদ্ধ করেন আর কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দেন, যদিও তারা পূর্বে স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে ছিল।' (সুরা আলে ইমরান, আয়াত: ১৬৪)

নবি-রাসূলগণের গুণাবলি

নবি-রাসুলগণ মানবজাতির মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ। তাঁরা আল্লাহ তা'আলা কর্তৃক মনোনীত। তিনি তাঁদের সব ধরনের চারিত্রিক ও মানবিক দোষত্রুটি থেকে রক্ষা করেন। তাঁদের প্রত্যেকেই ছিলেন মাসুম বা নিষ্পাপ। মহান আল্লাহ বলেন, 'অবশ্যই তাঁরা ছিলেন আমার মনোনীত উত্তম বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত'। (সুরা সোয়াদ, আয়াত: ৪৭) দুনিয়ার জীবনের চাকচিক্যের প্রতি নবি-রাসুলগণের কোনো অগ্রহ ছিল না। তাঁরা ছিলেন মিষ্টভাষী, ভদ্র, বিনয়ী, ধৈর্যশীল, সহনশীল, আল্লাহর ওপর নির্ভরশীল, প্রতিকূল পরিবেশে তাওহিদের দাওয়াত প্রদানকারী এবং সৎকর্মশীল। আল্লাহ তা'আলা নবি-রাসুলগণের গুণাবলি উল্লেখ করে বলেন, 'এবং স্মরণ করুন ইসমা'ইল, ইদরিস ও যুল-কিফল-এর কথা, তাঁদের প্রত্যেকেই ছিলেন ধৈর্যশীল; এবং তাঁদেরকে আমি আমার অনুগ্রহভাজন করেছিলাম। তাঁরা ছিলেন সৎকর্মপরায়ণ'। (সুরা আল-আম্বিয়া, আয়াত: ৮৫-৮৬)

নবি-রাসুলগণের অনুসরণ

মানব জাতিকে হেদায়েতের পথ দেখানোর জন্য আল্লাহ তা'আলা অনেক নবি-রাসুল প্রেরণ করেছেন। নবি- রাসুলগণ ওহির মাধ্যমে আল্লাহর বাণী লাভ করতেন। তাঁরা একদিকে ছিলেন সত্য ও সঠিক জ্ঞানের অধিকারী, অন্যদিকে ছিলেন উন্নত চরিত্রের অধিকারী। নবি-রাসুলগণ মানবজাতিকে আল্লাহর বিধান অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করার নির্দেশ দিয়েছেন। যারা সে অনুযায়ী আমল করবে তারা মৃত্যুর পর মহা সুখের জান্নাত লাভ করবে। আর যারা নবি-রাসুলের অনুসরণ না করে পাপ কাজে লিপ্ত হবে তাদের জন্য পরকালে রয়েছে জাহান্নামের কঠিন শাস্তি। তাই নবি-রাসুলের অনুসরণ করা সবার ইমানি দায়িত্ব। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তা'আলা বলেন,

وَمَنْ يُطِعِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ فَقَدْ فَازَ فَوْزًا عَظِيمًا

অর্থ: 'যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্য করে, তারা অবশ্যই মহাসাফল্য অর্জন করবে।' (সুরা আল- আহযাব, আয়াত: ৭১)
আমরা সবাই আমাদের প্রিয় নবি হযরত মুহাম্মাদ (সা.)-কে অনুসরণ করবো।

রাসুলুল্লাহ (সা.) ও নবিগণের মর্যাদা

আল্লাহর প্রেরিত নবি-রাসুলগন সত্য ও ন্যায়ের প্রতীক। তাঁরা সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী ছিলেন। নবি-রাসুলদের একেক জনকে মহান আল্লাহ বিশেষ বিশেষত্ব প্রদান করেছেন। যেমন হযরত ইবরাহিম (আ.)-কে আল্লাহ তা'আলা 'খলিল' বা বন্ধু বলে আখ্যায়িত করছেন। হযরত সুলাইমান (আ.) এবং হযরত দাউদ (আ.)-কে নবুওয়াত ও বাদশাহী দান করেছিলেন। হযরত আইয়ুব (আ.)-কে ধৈর্যের মূর্তপ্রতীক হিসেবে সম্মান ও মর্যাদা দান করেছিলেন। হযরত ইউসুফ (আ.)-কে বিশেষ সৌন্দর্য দান করেছিলেন। হযরত মুসা (আ.)-কে তুর পাহাড়ে তাঁর সাথে কথা বলার সুযোগ দিয়েছিলেন।

হযরত ঈসা (আ.)-এর উপাধি ছিল 'রুহুল্লাহ'। তিনি দোলনায় থাকাকালেই কথা বলেছেন। এ ছাড়া মহান আল্লাহর হুকুমে তিনি মৃত ব্যক্তিকে জীবিত করতে পারতেন। এভাবেই সব নবি-রাসুলকে আল্লাহ তা'আলা আলাদা আলাদা মর্যাদা, বৈশিষ্ট্য ও নিদর্শন দান করেছেন। আল্লাহ তা'আলা বলেন, 

تِلْكَ الرُّسُلُ فَضَّلْنَا بَعْضَهُمْ عَلَى بَعْضٍ مِنْهُمْ مَنْ كَلَّمَ اللَّهُ

وَرَفَعَ بَعْضَهُمْ دَرَجَتٍ

অর্থ: 'এ রাসুলগণ, তীদের মধ্যে কাউকে কারো ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি। তাঁদের মধ্যে এমন কেউ রয়েছে যাঁর সাথে আল্লাহ কথা বলেছেন, আবার কাউকে উচ্চ মর্যাদায় উন্নীত করেছেন।' (সুরা আল-বাকারা, আয়াত: ২৫৩)

কিন্তু হযরত মুহাম্মাদ (সা.)-কে সবার উপরে বিশেষ মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য দান করা হয়েছে। তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ নবি ও রাসুল ছিলেন। তিনি ছিলেন মহান চরিত্রের অধিকারী। আল্লাহ তা'আলা তাঁকে কেবল এ পৃথিবী আর মানুষই নয়; বরং জগৎসমূহের জন্য রহমত হিসেবে প্রেরণ করেছেন। সবার ওপরে তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.)- এর মর্যাদা সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা বলেন

رَفَعْنَا لَكَ ذِكْرَكَ 

অর্থ: 'এবং আমি আপনার খ্যাতিকে উচ্চমর্যাদা দান করেছি।' (সুরা আল-ইনশিরাহ, আয়াত: ৪) মহান আল্লাহ আরো বলেন,

وَمَا أَرْسَلْتُكَ إِلَّا رَحْمَةً لِلْعَلَمِينَ 

অর্থ: 'আমি তো আপনাকে বিশ্বজগতের প্রতি কেবল রহমতরূপেই প্রেরণ করেছি।' (সুরা আল-আম্বিয়া, আয়াত: ১০৭)
নিজের শ্রেষ্ঠত্ব সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, 'কিয়ামতের দিন আমি আদম সন্তানের নেতা হবো। আর এ কথা গর্ব করে বলছি না'। তিনি আরো বলেন, 'কিয়ামতের দিন আমিই সর্ব প্রথম আল্লাহর দরবারে সুপারিশ করবো। আর আমার সুপারিশই সর্বপ্রথম কবুল করা হবে'। (তিরমিযি)

নবি-রাসুলগণের মু'জিযা

সকল যুগে রিসালাতের সত্যতা প্রমাণ ও হেদায়েতের পথ সুগম করে ইমানি সফলতার জন্য মু'জিযার ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য। আল্লাহ তা'আলা নবি-রাসুলগণকে তাঁদের নবুওয়াতের পক্ষে অকাটা প্রমাণ হিসেবে অলৌকিক প্রমাণ বা মু'জিযা দান করেছেন। কিন্তু তাঁদের সকলেরই মু'জিযা ছিল তৎকালীন সময়ের জন্য। তাঁদের তিরোধানের সাথে সাথে তাঁদের মু'জিযা দেখার কোনো উপায় ছিল না। যেমন- হযরত মুসা (আ)-এর লাঠি সাপে পরিণত হতো, হযরত ঈসা (আ.) কুম বিইমনিল্লাহ' (আল্লাহর হুকুমে দাঁড়িয়ে যাও) বললে মৃত ব্যক্তি জীবিত হতো; মাটির টুকরায় ফুঁ দিলে পাখি হয়ে উড়ে যেত; অন্ধ ব্যক্তি দৃষ্টি লাভ করতো; কুষ্ঠ রোগী আরোগ্য লাভ করতো। এ সবই তাঁদের মু'জিযা বা অনন্য নিদর্শন। হযরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর জীবনে অসংখ্য মু'জিযা সংঘটিত হয়েছিল। যেমন তাঁর পবিত্র হাতের ইশারায় চন্দ্র বিদীর্ণ হওয়া, মিরাজের রাতে উর্ধ্বজগতে ভ্রমণ করা এবং আল্লাহর দিদার লাভ করা, গাছ-পাথর কর্তৃক তাঁর রিসালাতের সাক্ষ্য দেওয়া ইত্যাদি। তাঁর সবচেয়ে বড় মু'জিযা আল-কুরআন, যা কিয়ামত পর্যন্ত অবিকৃত ও বিদ্যমান থাকবে।

নবি-রাসুলের পার্থক্য

নবি শব্দের অর্থ সংবাদবাহক। আর রাসুল শব্দের অর্থ দূত। নবি ও রাসুলের মধ্যে পার্থক্য হলো, আল্লাহ তা'আলা যাকে নতুন শরিয়ত দিয়ে তাঁর সম্প্রদায়ের নিকট পাঠান, তাঁকে রাসুল বলা হয়। আর যাকে নতুন শরিয়ত না দিয়ে পূর্বের রাসুলের শরিয়তই প্রচারের দায়িত্ব দিয়ে পাঠান, তাঁকে নবি বলা হয়। প্রত্যেক রাসুলই নবি, কিন্তু প্রত্যেক নবিই রাসুল নন। নবুওয়াতের ধারায় প্রথম নবি ছিলেন হযরত আদম (আ.) আর সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবি ও রাসুল হযরত মুহাম্মাদ (সা.)।

নবি-রাসুলের সংখ্যা

নবি-রাসুলগণের সংখ্যা সম্পর্কে একটি প্রশ্নের জবাবে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, 'নবিদের সংখ্যা ১ লাখ ২৪ হাজার। তার মধ্যে ৩১৩ বা অন্য বর্ণনায় ৩১৫ জন রাসুল'। (তাবারানি)
আল-কুরআনে মাত্র ২৫ জন নবি-রাসুলের নাম এসেছে। তবে আল্লাহ তা'আলা প্রত্যেক জাতির নিকট নবি পাঠিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কুরআনে এসেছে

وَإِنْ مِّنْ أُمَّةٍ إِلَّا خَلَا فِيْهَا نَذِيرٌ

অর্থ: 'এমন কোনো সম্প্রদায় নেই যার নিকট সতর্ককারী প্রেরিত হয়নি।' (সুরা আল-ফাতির, আয়াত: ২৪)
তাঁদের মধ্য থেকে কিছু সংখ্যকের নাম কুরআন ও হাদিসে এসেছে। আর অধিকাংশের নাম আসেনি। এ বিষয়ে কুরআন মাজিদে ঘোষণা করা হয়েছে, 'আমি তো আপনার পূর্বে অনেক রাসুল প্রেরণ করেছিলাম। আমি তাঁদের কারও কারও কথা আপনার নিকট বিবৃত করেছি এবং কারও কারও কথা আপনার নিকট বিবৃত করিনি।' (সুরা আল-মু'মিন, আয়াত: ৭৮)
নবি-রাসুলের ওপর বিশ্বাস স্থাপন করা ইমানের অংশ। দুনিয়াতে যারা নবি-রাসুলের ওপর বিশ্বাস স্থাপন করবে এবং তাঁদের আদর্শ অনুসরণ করবে, ইহকাল ও পরকালে তারা সফলকাম হবে।

প্রতিফলন ডায়েরি লিখন

যেসব বিশ্বাস ও কাজের মাধ্যমে রাসুলগণের প্রতি আমার ইযান দৃঢ় করবো

(উল্লিখিত শিরোনামের আলোকে নির্ধারিত ছকটি তুমি বাড়িতে প্রতিফলন ডায়েরিতে পূরণ করো।)

ক্রমিক

বিশ্বাসসমূহ

কাজসমূহ

সকল নবি-রাসুল আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রেরিত।নবি-রাসুলগণ ছিলেন উন্নত চরিত্রের অধিকারী। তাঁদের অনুসরণ করে আমিও উন্নত চরিত্রের অধিকারী হবো।
   
   
   

 

Content added By
Promotion
Content for the offcanvas goes here. You can place just about any Bootstrap component or custom elements here.