নবম-দশম শ্রেণি (মাধ্যমিক) - ব্যবসায় উদ্যোগ - মালিকানার ভিত্তিতে ব্যবসায় | NCTB BOOK

অংশীদারি ব্যবসায়ে অংশীদারগণ ব্যবসায়ের বিভিন্ন ধরনের অবস্থা, সুযোগ-সুবিধা ও দায়িত্ব-কর্তব্য বিবেচনা
করে পছন্দমতো অংশীদার হতে পারেন। বিভিন্ন প্রকার অংশীদারের ধারণা ও বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হলো-

বিভিন্ন প্রকার অংশীদার ধারণা ও বৈশিষ্ট্য
সাধারণ অংশীদার (Ordinary Partner)
  • অংশীদারগণ ব্যবসায়ে মূলধন বিনিয়োগ এবং স্বক্রিয়ভাবে ব্যবসায় পরিচালনায় অংশগ্রহণ করে।
  • অংশীদারদের দায় অসীম।
  • চুক্তি অনুযায়ী লাভ বা ক্ষতির অংশ পায় 
  • চুক্তিতে উল্লেখ থাকলে ব্যবসায় পরিচালনার জন্য পারিশ্রমিক পায়।
ঘুমন্ত অংশীদার (Sleeping Partner)
  • অংশীদারগণ ব্যবসায়ে মূলধন বিনিয়োগ করে।
  • চুক্তি অনুযায়ী লাভের অংশ পায়
  • অধিকার থাকা সত্ত্বেও স্বক্রিয়ভাবে ব্যবসায় পরিচালনায় অংশগ্রহণ করে না ।
  • অংশীদারদের দায় সসীম।
  • ব্যবসায়ের কোনো কাজের জন্য তৃতীয় পক্ষের নিকট দায়বদবদ্ধ নয়।
নামমাত্র অংশীদার
(Nominal Partner)
  • অংশীদারগণ ব্যবসায়ে মূলধন বিনিয়োগ করে না।
  • ব্যবসায় পরিচালনায় অংশগ্রহণ করে না ।
  • চুক্তি অনুযায়ী লাভের অংশ বা নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে নিজের সুনাম ব্যবহারের অনুমতি দেয় ৷
  • অংশীদারদের দায় সাধারণ অংশীদারদের মতো অসীম নয়।
  • তবে কোনো তৃতীয় পক্ষ যদি তাকে অংশীদার মনে করে ঋণ দেয় এবং তা প্রমাণ করতে পারে তাহলে সে ঋণের জন্য সাধারণ অংশীদারের ন্যায় দায়বদ্ধ।

আপাতদৃষ্টিতে অংশীদার (Quasi Partner)

  • এ জাতীয় অংশীদারগণ ব্যবসায় থেকে অবসর গ্রহণ করার পরও মূলধন উত্তোলন না করে তা ঋণ হিসেবে ব্যবসায়ে জমা রাখে ।
  • প্রকৃতপক্ষে এ জাতীয় ব্যক্তিগণ ব্যবসায়ের পাওনাদার।
  • তবে কোনো সাধারণ অংশীদার গণবিজ্ঞপ্তি না দিয়ে ব্যবসায়ে এভাবে থেকে গেলে ব্যবসায়ের কোনো কাজের জন্য তৃতীয় পক্ষের নিকট দায়ী হবে।
সীমিত অংশীদার
(Limited Partner)
  • চুক্তি অনুযায়ী কোনো অংশীদারের দায় সীমাবদ্ধ হলে বা আইন অনুযায়ী সকল অংশীদারের সম্মতিতে কোনো নাবালককে সুবিধা প্রদানের জন্য অংশীদার করা হলে তাকে সীমিত অংশীদার বলা হয়।
  • অংশীদারদের দায় ব্যবসায়ে নিয়েজিত মূলধনের পরিমাণ দ্বারা সীমাবদ্ধ।
  • ব্যবসায় পরিচালনায় অংশগ্রহণ করে না ।
  • চুক্তি অনুযায়ী কোনো নাবালক ব্যক্তিও এরূপ অংশীদার হতে পারে।
আচরণে অনুমিত অংশীদার (Partner by holding out)
  • কোনো ব্যক্তি যদি ব্যবসায়ের অংশীদার না হয়েও মৌখিক কথাবার্তা, লেখা বা অন্য কোনো আচরণের দ্বারা নিজেকে ব্যবসায়ের অংশীদার হিসেবে পরিচয় দেন, তাকে আচরণে অনুমিত অংশীদার বলা হয় ।
  • যদি কেউ তার আচরণে প্রভাবিত হয়ে ঋণ দেয় বা চুক্তি করে তাহলে সে অংশীদার দায়ী থাকবে।

 

Content added By