চতুর্থ শ্রেণি (প্রাথমিক) - ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা - নবি-রাসুলগণের পরিচয় ও জীবন আদর্শ | NCTB BOOK

জন্ম ও পরিচয়

মহানবি হযরত মুহাম্মদ (স) ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে মক্কা নগরীতে কুরাইশ বংশে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর আব্বার নাম আব্দুল্লাহ। আম্মার নাম আমিনা। তাঁর দাদা আব্দুল মুত্তালিব তাঁর নাম রাখেন মুহাম্মদ (প্রশংসিত)। আর আম্মা আমিনা তাঁর নাম রাখেন আহমাদ (প্রশংসাকারী)।

মহানবি(স) এর জন্মের আগেই তাঁর আব্বা ইন্তিকাল করেন। আর তাঁর ছয় বছর বয়সে আম্মা ইন্তিকাল করেন। বাবা-মা হারা ইয়াতীম শিশুকে তখন থেকে লালন-পালন করতে থাকেন তাঁর দাদা আব্দুল মুত্তালিব। দাদার ইন্তিকালের পর তাঁর চাচা আবু তালিব তাঁর লালন-পালনের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি মহানবি (স)-কে খুব আদর-স্নেহ করতেন।

তাঁর চরিত্র ছিল খুবই সুন্দর। শিশুকাল থেকেই তিনি সব সময় সত্য কথা বলতেন। মানুষের উপকার করতেন। বড়দের সম্মান করতেন। ছোটদের আদর করতেন। কখনো মিথ্যা কথা বলতেন না। কাউকে গালি দিতেন না। কারও সাথে ঝগড়া করতেন না। মারামারি করতেন না। হিংসা করতেন না। সকলের সাথে মিলেমিশে থাকতেন।

সবাই তাঁকে ভালোবাসত। আদর করত। সম্মান করত । বিশ্বাস করত। আল-আমিন বলে ডাকত। আল-আমিন অর্থ বিশ্বাসী। মহানবি (স) এর মতো আমরা

                                                          সত্যকথা বলব, মানুষের উপকার করব, 

                                                     বড়দের সম্মান করব, ছোটদের আদর করব, 

                                                            সকলকে ভালোবাসব, বিশ্বাস করব, 

                                    তাহলে মহানবি (স) আমাদের ভালোবাসবেন, আল্লাহ ভালোবাসবেন 

হিলফুল ফুজুল গঠন

মহানবি (স) ছোটবেলা থেকেই অপরের অধিকার সম্পর্কে অত্যন্ত সজাগ ছিলেন। শিশু অবস্থায়ই তিনি অন্যের অধিকার সংরক্ষণ করেছেন। তাঁর দুধমা হালিমার একটি পুত্র সন্তান ছিল। তিনি তাঁর দুধমার একটি স্তনের দুধ নিজে পান করতেন এবং অন্য স্তনের দুধ তাঁর দুধ ভাইয়ের জন্য রেখে দিতেন। ছোটবেলা থেকেই তিনি অপরের দুঃখে দুঃখ পেতেন। অন্যের কষ্টে কষ্ট পেতেন, অন্যের ব্যথায় ব্যথিত হতেন ৷

তিনি অন্যায়ের প্রতিবাদ করতেন। কারও কোনো অসুবিধা হলে তা দূর করার চেষ্টা করতেন। অসহায় ও নিপীড়িত মানুষকে সাহায্য করতেন। সাধ্যমতো মানুষের সেবা করতেন।

জুয়াখেলা মারাত্মক অপরাধ। এতে সুসম্পর্ক নষ্ট হয়। শত্রুতা বাড়ে। অনেক কলহ ও মারামারি হয়। যুদ্ধবিগ্রহ ঘটে। একদা আরবদেশে ওকায মেলায় জুয়াখেলাকে কেন্দ্র করে কুরাইশ ও কায়েস বংশের মধ্যে এক ভয়াবহ যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এ যুদ্ধ দীর্ঘ পাঁচ বছর স্থায়ী ছিল। অনেক লোক এ যুদ্ধে মৃত্যুবরণ করে। মহানবি (স) নিজে তাঁর চাচা যুবায়ের (রা)-এর সাথে এ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি শত্রুদের নিক্ষিপ্ত তীরগুলো সংগ্রহ করে

চাচার হাতে তুলে দিতেন। এটি ‘হারবুল ফিজার'  বা ‘অন্যায় সমর’ নামে পরিচিত। এ ভয়াবহ যুদ্ধের দৃশ্য দেখে মহানবি (স)-এর প্রাণ কেঁদে উঠল। তিনি চিন্তা করলেন, কীভাবে দেশের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা করা যায়? কীভাবে বিভিন্ন গোত্রের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখা যায়? অসহায়দের সাহায্য করা যায়? এজন্য তিনি কয়েকজন উৎসাহী যুবককে সাথে নিয়ে একটি সেবাসংঘ গঠন করেন। আর এই সংঘের নাম রাখেন হিলফুল ফুজুল বা শান্তিসংঘ। এই সংঘের মাধ্যমে তিনি দুঃখী ও অসহায়

মানুষদের দুঃখ-কষ্ট দূর করার চেষ্টা করেন। সমাজে শান্তিশৃঙ্খলা ফিরে আসে। তখন মহানবি (স) এর বয়স ছিল মাত্র ১৫ বছর। এ সংঘ প্রায় ৫০ বছর স্থায়ী ছিল। 

পরিকল্পিত কাজ: শিক্ষার্থীরা ‘হিলফুল ফুজুল' –এর নীতিগুলো খাতায় লিখবে।

নবুয়ত লাভ 

মহানবি হযরত মুহাম্মদ (স) সমাজের দুরাবস্থা দেখে দুঃখ পেতেন। কষ্ট পেতেন। মানুষের নৈতিক অধঃপতন তাঁকে বিশেষভাবে চিন্তিত করে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে তাঁর চিন্তাভাবনাও বাড়তে থাকে। তিনি মক্কা থেকে তিন মাইল দূরে ‘হেরা” নামক পর্বতের নির্জন গুহায় আল্লাহর ধ্যানে মগ্ন থাকতেন। তাঁর মনে নানা চিন্তা ও প্রশ্ন জাগত ৷

তিনি ভাবতেন আমি কে? কোথা থেকে এসেছি? কেন এসেছি? আবার কোথায় যাব?

হেরাগুহা: আমাদের প্রিয় নবি (স) এই গুহায় ধ্যানমগ্ন থাকতেন । 

এই পৃথিবী সৃষ্টির কী উদ্দেশ্য? মানুষ এত মারামারি, কাটাকাটি কেন করে ইত্যাদি।

এভাবে মহানবি (স)-এর ধ্যান ও ইবাদত চলতে থাকল। তাঁর বয়স ৪০ বছর হলো। রমযান মাসের কদর রাত। মহানবি (স) হেরাগুহায় ধ্যানরত। চারদিক নীরব, নিঝুম। এমন সময় আঁধার গুহা আলোকিত হয়ে উঠল। আল্লাহর নির্দেশে ফেরেশতা জিবরাইল (আ) আল্লাহর মহান বাণী সর্বপ্রথম নিয়ে আসলেন। তিনি মহানবি (স)-কে লক্ষ্য করে বললেন, ) (ইক্বরা-পড়ুন)। পড়তে বললেন, কুরআন মজিদের সূরা আলাকের প্রথম ৫টি আয়াত ।

সূরা আলাকের প্রথম পাঁচটি আয়াতের অর্থ:

ক) (হে মুহাম্মদ!) পাঠ করুন, আপনার সেই প্রতিপালকের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন। 

 খ) যিনি সৃষ্টি করেছেন মানুষকে জমাট রক্ত (আলাক) থেকে। 

গ) পাঠ করুন আপনার সেই মহিমান্বিত প্রতিপালকের, 

ঘ) যিনি শিক্ষা দিয়েছেন কলমের সাহায্যে।

 ঙ) শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে যা সে জানত না ৷

 এভাবে তিনি ৪০ বছর বয়সে নবুয়ত লাভ করলেন।

পরিকল্পিত কাজ : শিক্ষার্থীরা সূরা আলাকের প্রথম পাঁচটি আয়াতের অর্থ খাতায় লিখবে।

মক্কায় ইসলাম প্রচার 

মহানবি (স) নবুয়ত লাভের পর আল্লাহর তাওহিদ (একত্ববাদ) প্রচার করতে থাকলেন। তাওহিদ অর্থ একত্ববাদ। তিনি প্রথম তিন বছর আত্মীয়-স্বজন ও নিকটতম লোকদের কাছে গোপনে ইসলাম প্রচার করেন। তাঁর স্ত্রী হযরত খাদিজা (রা) সর্বপ্রথম ইসলাম গ্রহণ করেন। অতঃপর পুরুষদের মধ্যে হযরত আবু বকর (রা) এবং বালকদের মধ্যে হযরত আলী (রা) ইসলাম গ্রহণ করেন। প্রথম তিন বছরে ৪৫ জন নরনারী ইসলাম গ্রহণ করেন 

অতঃপর তিনি আল্লাহর নির্দেশে প্রকাশ্যে ইসলাম প্রচার শুরু করেন। অনেকেই ইসলামের সুশীতল ছায়ায় আশ্রয় নিতে থাকলেন। কিন্তু কুরাইশ বংশের অনেক নেতা তাঁর কথা মানল না। তারা মহানবি (স)-এর ঘোর শত্রু হলো। মহানবি (স)-এর উপর রেগে গেল। তাঁর উপর অত্যাচার শুরু করল। তাঁর চাচা আবু লাহাব তাঁকে পাথর ছুঁড়ে মারল। রক্তাক্ত করল।

কেউ কেউ তাঁকে পাগল বলতে লাগল। তাঁর উপর শারীরিক নির্যাতন শুরু হলো। তাঁর মাথার উপর ময়লা-আবর্জনা রাখল। চলার পথে কাঁটা বিছিয়ে দিল। তাঁর অনুসারীদের উপর নির্মম অত্যাচার শুরু করল। এভাবে তারা মহানবি (স) ও তাঁর অনুসারীদেরকে ইসলাম প্রচারে বাধা দিতে থাকল।

মহানবির (স) আল্লাহর উপর অটল বিশ্বাস ছিল। ইসলাম প্রচার করতে গিয়ে তিনি সব অত্যাচার সহ্য করলেন। সকল বাধা অতিক্রম করে তিনি ইসলাম প্রচার করলেন।

পরিকল্পিত কাজ : মক্কায় ইসলাম প্রচারে মহানবি (স) যেসব বাধার সম্মুখীন হয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা তার একটি তালিকা তৈরি করবে।

শ্রমের মর্যাদা দান

শ্রম মানে কাজ করা, পরিশ্রম করা। আমাদের মহানবি (স) সবসময় নিজের কাজ নিজেই করতেন। তিনি কখনো কাজ ফেলে রাখতেন না। কাজে অবহেলা করতেন না। নিজে কাজ করতেন। অপরকে সাহায্য-সহযোগিতা করতেন।

আমরা অনেক সময় কাজ করতে গেলে লজ্জা পাই। মনে করি যে, কাজ করলে লোকে আমাকে কাজের লোক বলবে। চাকর বলবে। ঘৃণা করবে। অসম্মান করবে। কিন্তু এ রকম মনে করা ঠিক না। বরং কাজ করলে সকলে তাকে ভালোবাসে। শ্রদ্ধা করে। স্নেহ করে। আল্লাহ তাকে ভালোবাসেন। মর্যাদা দান করেন।

মহানবি (স) ছেঁড়া জামাকাপড় নিজ হাতে সেলাই করতেন। জুতা মেরামত করতেন। জামা-কাপড় ধুয়ে পরিষ্কার করতেন। ঘর ঝাড়ু দিতেন। মেহমানকে নিজে খাওয়াতেন। সেবাযত্ন করতেন। তিনি পরিবারের অন্যদের সাথে কাজ করতেন। সকলের সাথে মিলেমিশে কাজ করতেন। কাজকে ঘৃণা করতেন না।

একটি ঘটনা: একদিন মহানবি (স) রাস্তা দিয়ে যাচ্ছেন। দেখতে পেলেন যে, এক বৃদ্ধ লোক বাগানে পানি দিচ্ছে। পানি ছিল বাগান থেকে অনেক দূরে। বৃদ্ধ লোকটির পানি আনতে খুব কষ্ট হচ্ছিল। লোকটি ছিল চাকর। মহানবির (স) দয়া হলো। তিনি লোকটির কষ্ট দেখে এগিয়ে গেলেন। বৃদ্ধের হাত থেকে পানির পাত্রটা নিজের হাতে নিয়ে বাগানে পানি দিলেন। বৃদ্ধ লোকটি মহানবির (স) উপর খুব খুশি হলেন ।

মহানবি (স) চাকরদের সম্পর্কে বলেছেন, “যারা কাজ করে তারা তোমাদের ভাই। তাদের কষ্ট দেবে না। মর্যাদা দেবে। নিজে যা খাবে তাদের তা খাওয়াবে। নিজে যা পরবে তাদের তা পরাবে। কাজকর্মে তাদের সাহায্য করবে।”

তিনি আরও বলেন, “শ্রমিককে তার গায়ের ঘাম শুকানোর আগেই পারিশ্রমিক দিয়ে দাও।” 

আমাদের বাসাবাড়িতে গরিব লোকজন ও মহিলারা নানারকম কাজকর্ম করে। ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা কাজকর্ম করে থাকে। আমরা তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করব। কাজের লোকজন বয়সে বড় হলে তাদের সম্মান করব। বয়সে ছোট হলে আদর-স্নেহ করব। নিজেরা যা খাব তাদেরও তাই খেতে দেব। মাত্রাতিরিক্ত কাজ দেব না। তাদের কাজে সাহায্য করব। তাদের কষ্ট দেব না। দুঃখ দেব না। তারা আমাদের মতো মানুষ। তারা আমাদের ভাই। আমাদের মতো তাদেরও মর্যাদা আছে। আমরা তাদের মর্যাদা দেব। তাদের শ্রমের মর্যাদা দেব। 

পরিকল্পিত কাজ : শিক্ষার্থীরা মহানবি (স)-এর শ্রমের মর্যাদা সম্বন্ধে ৫টি বাক্য লিখবে।

মহানবি (স)-এর দয়া 

মহানবি (স) ছিলেন দয়ার উজ্জ্বল আদর্শ। তিনি মানুষ, পশুপাখি ও গাছপালা সকলের প্রতি দয়া প্রদর্শন করতেন। কেউ ক্ষুধার্ত হলে তাকে খাদ্য দিতেন। অসুস্থ হলে তার খোঁজখবর নিতেন। সেবাযত্ন করতেন। গরিব, ভিক্ষুক, ইয়াতীম ও অসহায়দের প্রতি দয়া দেখাতেন।

একদা মহানবি (স) সাহাবিদের নিয়ে বসে আছেন। এমন সময় এক ইয়াতীম বালক মহানবির (স) কাছে আসলো। গায়ে তার জামাকাপড় নাই। দুঃখকষ্ট সইতে সইতে তার বুকের হাড়গুলো বের হয়ে গেছে। বালকটি কাঁদতে কাঁদতে মহানবিকে (স) বলল, আমার আব্বু নাই। আবু জাহল আমাদের সম্পদ কেড়ে নিয়েছে। তার কাছে সম্পদের কিছু চাইলে সে আমাকে মারধর করে, অত্যাচার করে, তাড়িয়ে দেয়। বালকটির কথা শুনে মহানবির (স) মনে দয়া হলো। তাঁর চোখে পানি এলো। তিনি বালকটিকে নিয়ে আবু জাহলের কাছে গেলেন। বালকটির সব পাওনা আবু জাহলের কাছ থেকে আদায় করে দিলেন। ইয়াতীম বালকটি খুব খুশি হলো।

তিনি শুধু মানুষের প্রতি দয়া দেখান নি, বরং আল্লাহর সকল সৃষ্টির প্রতি দয়া দেখিয়েছেন। যারা আল্লাহর সৃষ্টির প্রতি দয়া দেখায় আল্লাহ তাদের ভালোবাসেন। তাদের প্রতি খুশি হন। 

মহানবি (স) বলেছেন, “পৃথিবীতে যারা আছে তাদের প্রতি দয়া দেখাও, তাহলে আল্লাহ তোমাদের প্রতি দয়া দেখাবেন ।”

আমরা দয়া দেখাব- 

                                          ইয়াতীম, অসহায়দের প্রতি, 

                                         পশুপাখি ও গাছপালার প্রতি, 

                                                সকল মানুষের প্রতি, 

                                            আল্লাহর সকল সৃষ্টির প্রতি ।

মহানবি (স)-এর ক্ষমা 

মহানবি (স) ছিলেন ক্ষমার মূর্তপ্রতীক। তিনি শত্রু-মিত্র সবাইকে ক্ষমা করতেন। তিনি তাঁর চরম শত্রুকে হাতের মুঠোয় পেয়েও প্রতিশোধ নেন নি। তাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন।

একটি ঘটনা: মহানবি (স) গাতফানের যুদ্ধ শেষ করে বাড়িতে ফিরছেন। এক কাফির তাঁর কাছে আসলো। সে একটি খোলা তলোয়ার মহানবি (স)-কে দেখিয়ে বলল,“হে মুহাম্মদ, তোমাকে এই তলোয়ারের আঘাত থেকে কে রক্ষা করবে?” মহানবি (স) নির্ভয়ে উত্তর দিলেন, “আল্লাহ”। কাফির উত্তর শুনে খুবই ভয় পেল। তার হাত থেকে তলোয়ারটি পড়ে গেল। তখন মহানবি (স) ঐ তলোয়ারটি হাতে তুলে নিয়ে তাকে প্রশ্ন করলেন, “ওহে, এখন তোমাকে কে রক্ষা করবে?' কাফির খুব ভয় পেল। মহানবি (স)-এর নিকট ক্ষমা চাইলে তিনি তাকে ক্ষমা করে দিলেন 

মক্কা বিজয়ের পর মহানবি (স) সকল মক্কাবাসীকে ক্ষমা করে দিয়েছিলেন। তাঁর ক্ষমার আদর্শে মুগ্ধ হয়ে তারা ইসলাম গ্রহণ করেছিল।

পরিকল্পিত কাজ : শিক্ষার্থীরা মহানবি (স)-এর ক্ষমা সম্বন্ধে ৫টি বাক্য লিখবে।

মহানবি (স)-এর মাতৃভক্তি 

আব্বা-আম্মা আমাদের সবচেয়ে আপনজন। বিশেষ করে আম্মা আমাদের জন্য অনেক কষ্ট করেন। তিনি স্নেহ-মমতা ও দরদ দিয়ে আমাদের লালনপালন করেন। আমাদের কল্যাণ কামনা করেন। এহেন হিতাকাঙ্ক্ষী মায়ের ভক্তি করা একান্ত কর্তব্য।

মহানবির (স) বয়স যখন ৬ বছর তখন তাঁর আম্মা আমিনা ইন্তিকাল করেন। তাই তিনি তাঁর আম্মাকে সেবাযত্ন করার সুযোগ পান নি। কিন্তু তাঁর দুধমা হযরত হালিমা (রা) কে তিনি চরম ভক্তিশ্রদ্ধা করতেন। সম্মান দিতেন।

একদিনের ঘটনা: আমাদের মহানবি (স) সাহাবিগণের সাথে বসে আছেন। সেখানে এক বৃদ্ধা আসলেন। মহানবি (স) তাঁকে দেখে আসন ছেড়ে উঠে দাঁড়ালেন। বৃদ্ধাকে সম্মান করলেন। মর্যাদা দিলেন। নিজের গায়ের চাদর বিছিয়ে দিলেন। খুব যত্নের সাথে বসালেন। সাহাবিগণ অবাক হলেন। তাঁরা মহানবিকে (স) জিজ্ঞাসা করলেন, “ইনি কে?” তিনি উত্তরে বললেন, “ ইনি আমার দুধমা হালিমা ।”

পরিকল্পিত কাজ: শিক্ষার্থীরা মহানবি (স)-এর মাতৃভক্তি ঘটনাটি খাতায় লিখবে ।

 

 

Content added By