বীজহীন ফল সাধারণত পার্থেনোকার্পি নামক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি হয়। পার্থেনোকার্পি হলো নিষিক্তকরণ বা বীজের গঠন ছাড়াই ফলের বিকাশের ক্ষমতা। 

বীজহীন ফল উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত কয়েকটি ভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে: প্রাকৃতিক ঘটনা: কিছু ফল প্রাকৃতিকভাবে নিষেক ছাড়াই বিকাশের ক্ষমতা রাখে। উদাহরণস্বরূপ, প্রাকৃতিক পার্থেনোকার্পির কারণে কিছু জাতের কলা এবং আনারস বীজহীন। এই ফলগুলি পরাগায়ন বা বীজ গঠনের প্রয়োজন ছাড়াই ফল দেয়। জেনেটিক মডিফিকেশন: জিনগত পরিবর্তন কৌশলের মাধ্যমে বীজহীন ফলও তৈরি করা যায়। বিজ্ঞানীরা বীজ বিকাশের জন্য দায়ী জিনগুলিকে পরিবর্তন করতে পারে, তাদের অভিব্যক্তিকে বাধা দেয়। এই কারসাজির ফলে ফল হতে পারে যেগুলি কার্যকর বীজ উৎপাদনে অক্ষম। হরমোনের চিকিৎসা: আরেকটি পদ্ধতিতে পার্থেনোকার্পি প্ররোচিত করার জন্য অক্সিন বা জিবেরেলিনের মতো হরমোন প্রয়োগ করা জড়িত। এই হরমোনগুলি পরাগায়ন বা নিষিক্তকরণের প্রয়োজন ছাড়াই ফলের বিকাশকে উদ্দীপিত করে। এই কৌশলটি সাধারণত বাণিজ্যিক ফল উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়, বিশেষ করে বীজহীন জাতের আঙ্গুর এবং সাইট্রাস ফলের জন্য। হাইব্রিডাইজেশন: বীজবিহীন ফলও সংকরায়নের মাধ্যমে পাওয়া যেতে পারে, যেখানে প্রজননকারীরা পছন্দসই বৈশিষ্ট্যের সাথে সন্তান উৎপাদনের জন্য বিভিন্ন জাতের গাছপালা অতিক্রম করে। বাছাইকৃতভাবে প্রজননকারী উদ্ভিদের প্রজনন করে যা বীজের বিকাশ হ্রাস করে, প্রজননকারীরা নতুন বীজহীন জাত বিকাশ করতে পারে। এটি লক্ষণীয় যে বীজহীন ফল, তাদের দৃশ্যমান বীজের অভাব সত্ত্বেও, এখনও অনুন্নত বা ভেস্টিজিয়াল বীজ থাকতে পারে যা বংশবিস্তার করার জন্য কার্যকর নয়। অতএব, বীজহীন ফলগুলি সাধারণত অযৌন উপায়ে প্রচারিত হয়, যেমন গ্রাফটিং বা গাছপালা বংশবিস্তার পদ্ধতি যেমন কাটা, লেয়ারিং বা টিস্যু কালচার। বীজবিহীন ফলগুলি তাদের সুবিধা এবং পছন্দসই খাওয়ার গুণের কারণে ভোক্তাদের মধ্যে জনপ্রিয়। যাইহোক, এটি লক্ষ করা গুরুত্বপূর্ণ যে বীজহীন জাতগুলি উদ্ভিদের প্রজনন এবং জীববৈচিত্র্যের জন্য প্রভাব ফেলতে পারে কারণ তারা প্রাকৃতিক বীজ বিচ্ছুরণ এবং অঙ্কুরোদগম প্রক্রিয়াগুলিতে অবদান রাখে না।