তথ্য প্রযুক্তির আলোড়ন সৃষ্টিকারি বিষয়গুলো হলোঃ-
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (Artificial Intelligence): কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ইংরাজী নামের কথাটি, অর্থাৎ Artificial Intelligence কথাটি ১৯৫৬ সালে প্রথম চালু করেন জন ম্যাককার্থি। তিনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সংজ্ঞার্থ দিয়েছেন এই ভাবে যে, ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হল বুদ্ধিমান যন্ত্র নির্মাণের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি’।
ইন্টেলিজেন্স বা বুদ্ধিমত্তা শব্দটির আভিধানিক ব্যাখ্যা দাঁড় করাতে গেলে বলা যায়, মানুষের চিন্তাভাবনায় অথবা বুদ্ধিমত্তার পদ্ধতিটাকে যন্ত্রের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করাটাই হলো আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স Artificial intelligence সংক্ষেপে AI । কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তাকে কম্পিউটারের মাধ্যমে কাজে লাগানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রামের ভাষা ব্যাবহার করা হয়। যেমন – C, C++, PROLOG, LISP ইত্যাদি।
রবোটিক্স (Robotics): কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিদ্যার একটি শাখা হচ্ছে- কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারের একটি ক্ষেত্র হচ্ছে-রোবটিক্স। রোবট হচ্ছে এক ধরণের ইলেকট্রো-মেকানিক্যাল যান্ত্রিক ব্যবস্থা। যা নিয়ন্ত্রিত হয়- Computer program বা Electronic -circuit দ্বারা। অন্যভাবে বলা যায় রবোট হলো রবোট প্রযুক্তির(Robots Technology) একটি শাখা যেকানে রবোটের গঠন, কাজ বৈশিষ্ট্য নিয়ে কাজ করা হয়। রবোটবিজ্ঞান ইলেকট্রনিক্স, প্রকৌশল, বলবিদ্যা, মেকানিক্স ও সফটওয়্যার বিজ্ঞানের সাথে সম্পর্কযুক্ত। রবোট শব্দটি এসেছে স্লাভিক শব্দ Robota থেকে যার অর্থ শ্র্রমিক। এটি তৈরী হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নীতিতে যেটি কাজ করতে পারে মানুষ কিংবা বিভিন্ন বুদ্ধিমান প্রাণীর মতো। জাপানের মুরাতা কোং- মুরাতা বয়। হোন্ডা কোং- অ্যাসিমো ও সনি কোং- আইবো যা মানুষের মতো কাজ করে।