মন্থর গতিসম্পন্ন ও প্রতিনিয়ত পরিবর্তনের মাধ্যমে সরলদেহী জীব থেকে জটিল জীবের আবির্ভাবকে বিবর্তনবাদ বিবর্তন এর ইংরেজী Evolution শব্দটি প্রকৃত পক্ষে ল্যাটিন শব্দ 'Evolvere” অর্থ বিকশিত হওয়া উন্মুক্ত হওয়া শব্দ থেকে উৎপত্তি হয়েছে।
এম্পেডোক্লিস (Empedocles, 495-435 B.C)-কে বিবর্তনের জনক বলে অভিহিত করা হয়। যোগ্যতমের আকস্মিক সৃষ্টি এবং অযোগ্যের বিলুপ্তি সম্বন্ধে তিনি জোড়ালো ধারণা পোষণ করতেন। জেমোডিটাস উভয়েরই (Democritus, 460-357 B.C.) এ ধারণা পোষণ করতেন যে শরীরের যে কোন অঙ্গ পরিবেশের সাথে অভিযোজিত থেকে C হয়। বিখ্যাত দার্শনিক অ্যারিস্টটল (Aristotle, 384-322 B.C)-এর মনেও এ ধারণা জন্মেছিল যে নিম্নগ্ধতার জীব কতকগুলো ধারাবাহিক নিয়মের মধ্য দিয়ে উন্নতির পথে অগ্রসর হয়েছে। অ্যারিস্টটলের পরে ফরাসি বিজ্ঞানী বুদ্ধ অভিযোজি (Buffon, 1707-1788) মত প্রকাশ করেন যে পরিবর্তনশীল পৃথিবীতে বসবাসকারী জীবেরও পরিবর্তন হচ্ছে। জীবদেহে পরিবেশের প্রভাবে প্রথমে জীবদেহে সামান্য আঙ্গিক পরিবর্তন ঘটতে পারে এবং পরে ঐ পরিবর্তন বহুকাল ধরে বংশানুক্রমে পুঞ্জীভূত হয়ে ক্রমে বড় রকমের প্রভেদ সৃষ্টি করে। পরবর্তীকালে কয়েকজন বিজ্ঞানী উপযুক্ত তথ্য প্রমাণসহ বিবর্তনের কলা-কৌশল সম্বন্ধে মতবাদ প্রচার করেন। এগুলোর মধ্যে ফরাসি প্রকৃতিবিদ জ্যা ব্যাপটিস্ট ল্যামার্ক ইরের প্রকৃতিবিদ চালর্স ডারউইন, ডাচ বিজ্ঞানী ডে ত্রিস (de Vries), জার্মান বিজ্ঞানী আগস্ট ভাইজম্যান-এর মতবাদ ও সংশ্লেষ মতবাদই প্রধান