On This Page
এসএসসি(ভোকেশনাল) - রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশনিং-২ - দ্বিতীয় পত্র (দশম শ্রেণি) | NCTB BOOK

বিভিন্ন বাণিজ্যিক বা কমার্শিয়াল (Commercial) প্রতিষ্ঠান যেমন- ফ্যাক্টরি, শপিংমল, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইত্যাদিতে আমরা ওয়াটারকুলার, ডি-হিউমিডিফায়ার সহ বিভিন্ন ধরণের এ্যাপ্লায়েন্সেস (Applainces) বা সরঞ্জামাদির ব্যবহার দেখতে পাই। এই সরঞ্জামগুলোর ইলেকট্রিক্যাল (Electrical) ও ইলেকট্রনিক্স (Electronics) সার্কিট (Circuit) এর বিভিন্ন কম্পোনেন্ট (Component) বা উপাদান রয়েছে। এই উপাদানগুলো কী এবং কীভাবে এদের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করতে হয় তা কি আমরা জানি? সংযোগ স্থাপনের পর ঠিকমত কাজ করছে কিনা তা পরীক্ষা করার উপায়ই বা কী? এই অধ্যায়ে আমরা কমার্শিয়াল এ্যাপ্লায়েন্সেসের ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স সার্কিটের কম্পোনেন্ট গুলোর তালিকা প্রস্তুত, সংযোগ স্থাপন ও কার্যকারিতা পরীক্ষা করার উপায় সম্পর্কে শিখব।

এই অধ্যায় পাঠ শেষে আমরা-

  • কমার্শিয়াল এ্যাপ্লায়েন্সেসের কম্পোনেন্ট সমূহের সার্কিটের সংযোগ স্থাপন ও টেষ্ট করার প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারব
  • মেজারিং ইন্সট্রুমেন্ট ক্যালিব্রেট করে কমার্শিয়াল এ্যাপ্লায়েন্সেসের ইলেকট্রিক্যাল ও লেকট্রনিক্স কম্পোনেন্ট এর প্রোপার্টিজ পরিমাপ করতে পারব
  • কমার্শিয়াল এ্যাপ্লায়েন্সেসের ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স কম্পোন্যান্ট সমূহ টেষ্ট করতে পারব
  • কাজ শেষ করে কর্মস্থল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে পারব

উপর্যুক্ত শিখন ফলগুলো অর্জনের লক্ষ্যে এই অধ্যায়ে আমরা দু'টি জব সম্পন্ন করব। এই জবের মাধ্যমে বোতল কুলার ও ডি-হিউমিডিফায়ারের ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স সার্কিটের কম্পোন্যান্ট টেস্ট করার দক্ষতা অর্জন করব। জবদুটি সম্পন্ন করার আগে প্রথমেই প্রয়োজনীয় তাত্ত্বিক বিষয়সমূহ জেনে নেই ।

 

 

Content added By

কমার্শিয়াল এ্যাপ্লায়েন্সেসের কম্পোন্যান্ট সমূহের সার্কিটের সংযোগ স্থাপন ও টেষ্ট

এই শিখনফল অর্জনের মাধ্যমে আমরা কমার্শিয়াল এ্যাপ্লায়েন্সেসের কম্পোনেন্ট সমূহের সার্কিটের সংযোগ স্থাপন ও টেষ্ট করার প্রস্তুতি গ্রহণ সম্পর্কে জানতে পারব।

কর্মক্ষেত্রের ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি, নিরাপত্তা ও সুরক্ষা পোশাক (PPE) Personal Protective Equipment ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। সুরক্ষা ব্যতিত কর্মক্ষেত্রে দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।

Content added By

কর্মক্ষেত্রে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি ও নিরাপত্তা

বর্তমান ডিজিটাল যুগে আমরা সবাই স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সম্পর্কে অত্যন্ত সচেতন। বিশ্ব শিল্পায়নের এই যুগে, কর্মক্ষেত্রে জড়িত শ্রমিকরা প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকির সম্মুখীন হয়ে থাকে। তারা সবসময় অসুস্থ, আহত, বিকলঙ্গ বা এমনকি মৃত্যুর সম্ভাবনা পর্যন্ত থাকে। ২০১৪ সালের আই.এল.ও.এর হিসাব মতে বছরে ২ কোটি ৩০ লক্ষ দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মধ্যে ২০ লক্ষ মারা গেছে কর্মক্ষেত্র সম্পর্কিত কারণে। এর বিরাট প্রভাব পড়েছে বিভিন্ন সেক্টরে, একদিকে যেমন অনেক জীবন অকালে ঝরে গেছে, অন্যদিকে তেমনি দক্ষ শ্রমিক কমে গেছে, এটা অন্যান্য শ্রমিকদের মনোবলকে প্রভাবিত করেছে। কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার ঝুঁকি মানবিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক মূল্যবোধ ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়েছে। বিশেষ করে আমাদের দেশের মতো স্বল্পোন্নত দেশের জন্য এই প্রভাব অনেক মুখ্য একটি বিষয়।

স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার সার্বিক বিষয়ের মধ্যে অন্যতম হল-

  • অগ্নি নিরাপত্তা 
  • বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা 
  • কর্মস্থলের নিরাপত্তা
  • আরগোনোমিক 
  • কেমিক্যাল ব্যবস্থাপনা 
  • বর্জ্য ব্যবস্থাপনা 
  • দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা

 

Content added By

কর্মক্ষেত্রে ঝুঁকি

কর্মক্ষেত্রে জান, মাল ও সম্পদের ক্ষতির সমূহ সম্ভাবনাকে ঝুঁকি বা রিক্স (Risk) বলে। আর ক্ষতি সাধনের জন্য সক্রিয় উপাদানগুলিকে বলে হ্যাজার্ড (Hazard)।

কর্মক্ষেত্রে ঝুঁকির উপাদান বা হ্যাজার্ড-

  • অরক্ষিত মেশিন 
  • অগোছালো কর্মস্থল 
  • ওয়েল্ডিংয়ের কাজ
  • উচ্চ শব্দ 
  • ক্ষতিকর রাসায়নিক 
  • অসুবিধাজনক অবস্থানে কাজ করা
  • ভারী বস্তু উঠানামা করা 
  • আবদ্ধস্থানে কাজ করা 
  • স্ব-উদ্ভাবিত সরঞ্জাম 
  • মেশিন চালু রেখে স্থান ত্যাগ
  • অপর্যাপ্ত আলো
  • শিফটের পরে বা একাকী কাজ করা ।

 

Content added By

হ্যাজার্ড নিয়ন্ত্রণের ধাপ

  • অপসারণ 
  • প্রতিস্থাপন 
  • বিচ্ছিন্ন করণ 
  • ইঞ্জিনিয়ারিং 
  • প্রশাসন 
  • পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (PPE)

 

Content added By

কর্মক্ষেত্রে প্রাথমিক চিকিৎসা ব্যবস্থা (First aid )

প্রাথমিক চিকিৎসা কী ? 

একজন আহত ব্যক্তিকে সর্বপ্রথম যে সহযোগিতা বা সেবা প্রদান করা হয়, তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা বলে। অন্যভাবে আমরা বলতে পারি কোন দৈব দূর্ঘটনা, প্রাকৃতিক দূর্যোগ কিংবা আপদকালীন সময়ে কোনো আহত ব্যক্তিকে ডাক্তারের কাছে অথবা হাসপাতালে বা অন্য কোন চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রেরণের পূর্বে তার অবস্থার যাতে অবনতি না ঘটে তার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করাকে প্রাথমিক চিকিৎসা বলে ।

প্রাথমিক চিকিৎসার লক্ষ্য/ উদ্দেশ্য -

  • জীবন রক্ষা বা আঘাত উপশমের ব্যবস্থা করা 
  • রোগীর অবস্থা যাতে আরও অবনতির দিকে না যায় তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা 
  • আরোগ্য লাভ বা পুনঃরুদ্ধারের অগ্রগতি সাধনে সহায়তা করা 
  • ভাঙ্গা হাড় অনড় রাখা 
  • ব্যথার উপশম করা

প্রাথমিক চিকিৎসায় করণীয়-

  • কী ঘটেছে খুঁজে বের করা 
  • যে কোনো বিপদাপদ থেকে সাবধান হওয়া এবং এদের মোকাবেলায় সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা 
  • রোগীর জখম বা অবস্থার সঙ্গে ধীরস্থির মস্তিষ্ক এবং দক্ষভাবে মোকাবেলা করা 
  • হাতের কাছে যা কিছু পাওয়া যাবে, তা কাজে লাগিয়ে সেবা দেয়া 
  • আহতের যত্নের পরবর্তী পর্যায়ের ব্যবস্থা করা 
  • বিশ্রামের পরামর্শ দেয়া অথবা আহতকে হাসপাতালে প্রেরণের ব্যবস্থা করা

প্রাথমিক চিকিৎসকের বর্জনীয় -

  • নিজেকে ডাক্তার মনে করা 
  • আহতকে মৃত বলে ঘোষণা করা 
  • বিষ পানের রোগীকে ঘুমাতে দেয়া 
  • অজ্ঞান অবস্থায় রোগীকে কিছু খেতে দেয়া

প্রাথমিক চিকিৎসার কার্যস্তর -

লক্ষণ নির্ণয়: প্রাথমিক চিকিৎসককে সর্বপ্রথম রোগীর বিভিন্ন লক্ষণ দেখে রোগ বা করনীয় নির্ণয় করতে হবে। চিকিৎসা: রোগীর দূর্ঘটনার কারণ বা রোগ নির্ণয় করে যত দ্রুত সম্ভব তার প্রতিকারের ব্যবস্থা করতে হবে। নির্ধারিত পদ্ধতি অনুযায়ী রোগীর চিকিৎসা করতে হবে। 

স্থানান্তরঃ পরিস্থিতি অনুযায়ী রোগীকে ডাক্তারের কাছে বা হাসপাতালে বা তার বাড়িতে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে হবে।

 

 

Content added By

স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার মৌলিক নীতি

  • মেশিনসমূহ পরিপাটি করে রাখতে হবে 
  • টুলস শ্রেণি মোতাবেক গুছিয়ে রাখতে হবে 
  • যেখানে সম্ভব বেড়া বা ঢাকনা দিয়ে রাখতে হবে 
  • আবর্জনা/উচ্ছিষ্ট যত দ্রুত সম্ভব সরিয়ে ফেলতে হবে 
  • পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা থাকা জরুরি 
  • অগ্নি নিরাপত্তার ইকুইপমেন্টের অবস্থান সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে

 

 

Content added By

ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বিধি

  • প্রতিরক্ষামূলক সরঞ্জাম পরিধান করতে হবে 
  • কর্মক্ষেত্রে নেশা জাতীয় দ্রব্য গ্রহণ করা যাবে না 
  • ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে 
  • মাথায় লম্বা চুল থাকলে বেঁধে রাখতে হবে 
  • কর্মক্ষেত্রে অনর্থক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে হবে
  • অন্য ব্যক্তি যখন মেশিনে কাজ করে, তাকে কোনভাবে বিরক্ত বা মনোযোগ বিভ্রান্ত করা যাবে না 
  • নিরাপত্তা বিঘ্নের কোন কারণ ঘটার সঙ্গে সঙ্গে উর্দ্ধতনকে জানাতে হবে

 

Content added By

নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা

  • কেবলমাত্র যোগ্যতাসম্পন্ন ও উপযুক্ত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যক্তিই মেশিন চালনা করবে 
  • মেশিন চালু করার পূর্বে নিশ্চিত হতে হবে যে, বিপদজনক অংশে প্রয়োজনীয় গার্ড আছে মেশিন চালনার উপযুক্ত ড্রেস পরিধান করতে হবে 
  • চলমান ও ঘূর্ণায়মাণ যন্ত্রপাতি ও মেশিন সম্পর্কে সবসময় সজাগ থাকতে হবে 
  • নতুন কোন মেশিন চালনার আগে, সেফটি ইস্যু ভালভাবে জেনে নিতে হবে
  • বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ও উপকরণ ব্যবহারের পূর্বে তারের অবস্থা পরীক্ষা করতে হবে 
  • মেঝের উপর দিয়ে বৈদ্যুতিক তার টেনে নেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে 
  • বৈদ্যুতিক তার পানির সংস্পর্শ থেকে দূরে রাখতে হবে 
  • কম্প্রেসরের হাওয়া পরিধেয় কাপড় পরিষ্কারের জন্য ব্যবহার করা যাবে না
  • সকল বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ও উপকরণ আর্থিং যুক্ত সার্কিট ব্রেকার থেকে সংযোগ দিতে হবে 
  • ওয়ার্কশপের মধ্যে খাওয়া-দাওয়া সম্পূর্ণ নিষেধ

 

Content added By

সুরক্ষা পোশাক

সুরক্ষায় ব্যবহৃত সুরক্ষা পোশাক (Personal Protective Equipment) বা পিপিই গুলো অ্যালোন, হ্যান্ড গ্লাन, যক্ষ, স, সু এগুলোর ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে

 

 

Content added By

টুলস ও মেজারিং ইন্সট্রুমেন্ট

কমার্শিয়াল এ্যাপ্লায়েন্সেস টেষ্ট করার প্রস্তুতিতে অবশ্যই টুলস ও মেজারিং ইন্সট্রুমেন্ট দরকার হবে। টুলস ও মেজারিং ইন্সট্রুমেন্ট নাম ও ব্যবহার বিধি জানা থাকলে কাজ সহজ হয়।

 

 

Content added By

কমার্শিয়াল এ্যাপ্লায়েন্সের কম্পোন্যান্ট সমূহের সংযোগ স্থাপন

কমার্শিয়াল এ্যাপ্লায়েন্সেস হল সেই সব সরঞ্জামাদি বা বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। যেমন- ওয়াটার কুলার, ডি-হিউমিডিফায়ার, ডিসপ্লেকেস, বোতল কুলার ইত্যাদি। এই সব কমার্শিয়াল এ্যাপ্লায়েন্সেস গুলোতে রেফ্রিজারেশন সাইকেল ( Refrigeration Cycle) ব্যবহৃত হয়, এই সাইকেলকে মেকানিক্যাল সার্কিট বলে।

ডি-হিউমিডিফায়ার

ডি-হিউমিডিফায়ার কক্ষের বাতাসের আর্দ্রতা অর্থাৎ বাতাসের মধ্যস্থিত জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কমায়। গরম আর্দ্রতা যুক্ত বায়ু ঠাণ্ডা ইভাপোরেটরের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয় এবং আর্দ্রতা ঘনীভূত হয়ে ভরন হয়। ডি- হিউমিডিফায়ারের তাপমাত্রা রাখা হয় ৫৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট। এছাড়া আর্দ্রতা পরিমাপক যন্ত্রের নাম হাইপ্রো মিটার (Hygrometer)। এটি দেখতে থার্মোমিটারের যত।

বাজারে তিন ধরনের হাইগ্রোমিটার (Hygrometer) পাওয়া যায়-

  • হেয়ার হাইগ্রোমিটার (Hair Hygrometer) 
  • ইনফ্রারেড হাইগ্রোমিটার (Infrared Hygrometer) 
  • ইলেকট্রিক্যাল হাইগ্রোমিটার (ElectricalHygrometer )

সার্কিটে ব্যবহৃত কম্পোনেন্ট

  • কম্প্রেসর
  • কন্ডেনসার
  • ইভাপোরেটর
  • এক্সপানশন ভাল্ভ
  • বৈদ্যুতিক ফ্যান

বর্ণনা : 

এই সার্কিটে ব্যবহৃত কম্পোন্যান্ট কন্ডেনসার, কম্প্রেসর, ইভাপোরেটর ও এক্সপানশন ভালত। কম্প্রেসর ভ্যাপার রেফ্রিজারেন্ট কে সংকুচিত করে কন্ডেনসারে পাঠায়। এখানে তাপ ও চাপ বুদ্ধ রেফ্রিজারেন্ট থেকে তাপ অপসারণ করা হয়। এক্সপানশন ভালও ঐ চাপ যুক্ত রেফ্রিজারেন্ট থেকে চাগ অপসারণ করে ইভাপোরেটরে পাঠায়। এখানে তাপ ও চাপ মুক্ত রেফ্রিজারেন্ট পারিপার্শ্বিক তাপ ইভাপোরেটর সংগ্রহ করে বাস্পায়িত হয়ে পুনরায় কম্প্রেসরে আসে।

 

 

Content added By

টেকনিক্যাল স্পেসিফিকেশন

কমার্শিয়াল এ্যাপ্লায়েন্সেস সার্কিটে ব্যবহৃত কম্পোন্যান্ট ক্রয়ের ক্ষেত্রে টেকনিক্যাল স্পেসিফিকেশন অবশ্যই জানা দরকার। সাধারণত ওয়াটার কুলার, ডি-হিউমিডিফায়ার, ডিসপ্লেকেইস ও বোতল কুলারে একই ধরনের মেকানিক্যাল কম্পোন্যান্ট ব্যবহৃত হয়।

কম্প্রেসর 

কম্প্রেসর ইলেকট্রিক মোটর দিয়ে চালিত হয়। সাধারণত একে মেকানিক্যাল ও ইলেকট্রিক দুইটি অংশে ভাগ করা হয়। নতুন মোটর ক্রয়ের ক্ষেত্রে টেকনিক্যাল স্পেসিফিকেশন অবশ্যই জানা দরকার। কম্প্রেসরের গায়ে ব্যবহৃত নেমপ্লেটে টেকনিক্যাল স্পেসিফিকেশন দেয়া থাকে।

টেকনিক্যাল স্পেসিফিকেশন-

 

কন্ডেনসার ও ইভাপোরেটর

কন্ডেনসার ও ইভাপোরেটর উভয়ই টিউব দিয়ে তৈরি হয়। কন্ডেনসার তাপ বর্জন করে, ইভাপোরেটর ভাপ শোষণ করে।

টেকনিক্যাল স্পেসিফিকেশন-

ক) অভ্যন্তর টিউবের ডায়া 

খ) বাহিরের টিউবের ডায়া

গ) ফিন্স থিকনেস 

গ) ফিন্স ডিসটেন্স

৯) টিউনের সংখ্যা

 

 

Content added By

মেজারিং ইন্সট্রুমেন্ট ক্যালিব্রেট

এই শিখনফল অর্জনের মাধ্যমে আমরা মেজারিং ইন্সট্রুমেন্ট ক্যালিব্রেট করে কমার্শিয়াল এ্যাপ্লায়েন্সেসের ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স কম্পোনেন্ট এর প্রোপার্টিজ পরিমাপ করতে পারব।

যে সমস্ত যন্ত্র মেজারিং বা পরিমাপ করার জন্য ব্যবহার করা হয় তাকে মেজারিং ইন্সট্রুমেন্ট বলে। আর মেজারিং ইন্সট্রুমেন্ট পরিমাপক ক্ষমতা ও এর বিভিন্ন অংশের নাম শ্রেণিবিন্যাস করাকে ক্যালিব্রেট বলে। আমরা মেজারিং ইন্সট্রুমেন্ট দক্ষতার সাথে ক্যালিব্রেট করতে পারলে প্রয়োজনীয় ইন্সট্রুমেন্ট এর অভাবে ঐ কাজ অন্য যন্ত্র দিয়ে সু-সম্পন্ন করা যায়।

রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ার কন্ডিশনিং সিস্টেমে মেজারিং ইনট্রুমেন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সিষ্টেমে ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স কম্পোনেন্ট, মেকানিক্যাল অংশ মেজারিং করা হয়। তাই ইন্সট্রুমেন্টের সুষ্ঠু ব্যবহার এবং ক্যালিব্রেট সমন্ধে জ্ঞান থাকা দরকার।

 

Content added By

মেজারিং ইন্সট্রুমেন্ট

কমার্শিয়াল এ্যাপ্লায়েন্সের রক্ষণাবেক্ষণের সাথে ব্যবহৃত মেজারিং ইন্সট্রুমেন্ট।

AVO মিটার

এটা দিয়ে বৈদ্যুতিক সার্কিটের ডিসি কারেন্ট (ডাইরেক্ট কারেন্ট), বৈদুতিক ভোল্টেজ ও গ্রামে বা প্রোগ পরিমাপ করা হয়। পরিমাপের সময় ফিচারের সর্বোচ্চ পরে রেখে পরিমাপ করতে হয়, এতে মিটার সহজে নষ্ট হয় না। 

 

ডিজিটাল ক্লিপ অন মিটার

এটা বিদ্যুৎ পরিমাপক ডিজিটাল মিটার। এই ক্লিপ অন মিটার বৈদ্যুতিক ইন্সুলেশন যুক্ত তারের উপর দিয়ে কারেন্ট ও ভোল্টেজ পরিমাপ করা হয়। নিরাপদ ও সহজ ভাবে বিদ্যুৎ পারমাপ করা যায় বলে এর ব্যবহার উল্লেখযোগ্য।

ব্যবহার

কারেন্ট পারিমাপের সময় অবশ্যই বিদ্যুৎ প্রবাহিত হওয়া সার্কিটের একটি তার ফেজ বা নিউট্রাল এর সাথে ডিজিটাল ক্লিপ অন মিটার এর 'জ' সংযুক্ত করতে হবে। ফেজ ও নিউট্রাল একত্রে 'জ' এর মধ্যে প্রবেশ করালে মান শুন্য “০” আসবে ।

ভোল্টেজ পরিমাপের সময় মিটারকে অবশ্যই প্যারালালে সংযুক্ত করতে হয়। ডিজিটাল ক্লিপ অন মিটার এর রিমুভাল লুপ সংযুক্ত সিষ্টেমে ফেজ ও নিউটাল একত্রে সংযুক্ত করতে হবে। দু'টি লুপ একত্রে নিউট্রাল বা ফেজ সংযুক্ত করলে মিটারে পাঠ দিবেনা ।

এটা চাপ পরিমাপক যন্ত্র। সাধারণত বায়ুমন্ডলের চাপের অধিক চাপ পরিমাপ করা হয়। FPS (ফুট, পাউন্ড, সেকেন্ড) পদ্ধতিতে এর একক PSI (পাউন্ড পার ক্ষরার ইঞ্চি) আবার CGS (সেন্টিমিটার, গ্রাম, সেকেন্ড) পদ্ধতিতে কেজি পার সেন্টিমিটার করার kg/cm2

লো-প্রেসার গেজ

এটা ও চাপ পরিমাপক যন্ত্র, বায়ুমণ্ডলের চাপের নিচের চাপ পরিমাপ করা হয়। লো-প্রেসার গেজ কে পানি বা পারদের সাথে তুলনা করে একক নির্ধারণ করা হয়। FPS (ফুট, পাউন্ড, সেকেন্ড) পদ্ধতিতে এর একক ইঞ্চি অব মারকারি in Hg। CGS (সেন্টিমিটার, গ্রাম, সেকেন্ড) পদ্ধতিতে সেন্টিমিটার অব মারকারি।

 

 

Content added By

কমার্শিয়াল এ্যাপ্লায়েন্সেস এর ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স কম্পোনেন্ট সমূহ 

এই শিখন ফলের মাধ্যমে আমরা কমার্শিয়াল এ্যাপ্লায়েন্সেস এর ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স কম্পোনেন্ট সমূহ বিচ্ছিন্ন ও টেষ্ট করা সম্পর্কে জানব ।

কমার্শিয়াল এ্যাপ্লায়েন্সেস ব্যবহৃত মেকানিক্যাল অংশ একই কিন্তু ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স সার্কিট ভিন্ন। এই ক্ষেত্রে আমরা বোতল কুলার, ডি-হিউমিডিফায়ার-এ ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স সার্কিট সমন্ধে আলোচনা করব।

Content added By

বোতল কুলার

এটা রেফ্রিজারেটরের মত দেখতে যার দরজা গ্লাসের। এর মধ্যে বোতলের বার থাকে যাতে সফট স্প্রিংক, ফুস ও ডেইরি প্রভাবী থাকে। এর কেবিনের তাপমাত্রা রাখা হয় ৬° সেঃ থেকে ৮-০ সে। এর ক্ষমতা পিটার পার আওয়ার [trs/Hr) এ প্রকাশ করা হয়। ICFT = 28.326 liters | সাধারণত ওয়াইন কুলার (Wine Cooler) কে বোতল কুলার বলা হয়।

এই ক্ষেত্রে আমরা বোতল কুলারের ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স ওয়্যারিং ডায়াগ্রাম সমন্ধে আলোচনা করব। বোতল কুলারের ইলেকট্রিক্যাল ডায়াগ্রাম সাধারনত রেফ্রিজারেটর এর মত ।

 

 

Content added By

বেভারেজ কুলার

বেভারেজ কুলারের অর্থ কোমল পানীয় যেমন পানীয়, শরবত, জুস, কোকাকোলা, ফান্টা, পেপসি, আর সি কোলা প্রভৃতি সুপেয় পানি শীতল রাখে । উক্ত পানীয় দ্রব্য সুপের তাপমাত্রায় শীতল করার জন্য ব্যবহৃত হিমায়ন যন্ত্রের কেবিনেটের তাপমাত্রা ভিন্ন ভিন্ন রাখা হয় । সাধারণত বেভারেজ কুপারের তাপমাত্রা হয় ৮ সেঃ থেকে ১২° সেঃ পর্যন্ত রাখা হয়।

বেভারেজ কুলারের ধরণ

এটা এক ধরনের বোতল কুলার । বোতল কুলারে অ্যালকোহলিক দ্রব্যাদি ঠান্ডা করে পরিবেশন করা হয়। অপর দিকে বেভারেজ কুলার এ সকল ধরনের পানি ঠান্ডা করা হয়।

বেভারেজ কুলারের শ্রেণি

এর ব্যবহৃত রেফ্রিজারেশন সিস্টেমের যন্ত্রপাতি সাধারণ রেফ্রিজারেটর এর মত। হিমায়ন সাইকেলে ব্যবহৃত কম্পোনেন্ট কন্ডেনসার, কম্প্রেসর, ইভাপোরেটর, এক্সপানশন ভালভ ছাড়াও সলিনয়েড ভালভ, এ্যাকুমুলেটর ও রিসিভার থাকে। নিচে বেভারেজ কুলারের শ্রেণিবিন্যাস দেয়া হল-

বেভারেজ কুলার

  • অ্যালকোহলিক (Alcoholic )
  • নন অ্যালকোহলিক (Non Alcoholic )

অ্যালকোহলিক

  • ফারমেনটেড ড্রিংক (Fermented Drink)
  • ডিস্টিল্ড ড্রিংক (Distilled Drink )

নন অ্যালকোহলিক

  • Refreshino Drink (রিফ্রেশিনো ড্রিংক)
  • Stimulating Drink (স্টিমুলেটিং ড্রিংক)
  • Nourishing Drink (নারিশিং ড্রিংক)

 

Content added By

ডি-হিউমিডিফায়ার

এই ক্ষেত্রে আমরা ডি-হিউমিডিফায়ারের ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স সিমেট্রিক ওয়্যারিং ডায়াগ্রাম সম্বন্ধে আলোচনা করব ।

 

 

Content added By

কমার্শিয়াল এ্যাপ্লায়েন্সেস এর ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স কম্পোনেট টেস্ট করার পদ্ধতি

কমার্শিয়াল এ্যাপ্লায়েন্সেস এর ইলেক্যাল ইলেকট্রনিক্স কম্পোনেন্ট এর ত্রুটি নির্বাচন করার জন্য সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার। সিস্টেমের কম্পোনেন্ট বিচ্ছিন্ন করে মেজারিং ইমেন্টের মাধ্যমে টেষ্ট করাব।

ডায়োড

ডায়োডের ২টি পয়েন্টে লুব সংযোগ থাকে, ডায়োডের বাম দিকে কালো ও ডান দিকে লাল লুব সংযোগ দেই, ওপেন দেখাবে । আবার ঐ ডায়োড ঘুরিয়ে লাল বাম কাল ডান দিকে লুব সংযোগ দেই রিডিং দেখাবে। 

 

ট্রানজিস্টর টেস্ট

PNP ও NPN ট্রানজিস্টর নেই। ট্রানজিস্টর উপরের লেখা সামনে রেখে চিত্রানুসারে Analog (AVO) Multimeter অ্যাডো বা মাল্টিমিটার বা Digital (DMM) Multimeter দিয়ে পরিমাণ করে ভালো মন্দ নির্ধারণ করো। মিটারকে ডায়োড চিহ্ন ধরে রাখতে হবে।

কাজ

 

 

Content added By

কর্মস্থল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা

এই শিখন ফলে আমরা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার করণীয় কাজ গুলো জানতে পারব এবং পরিষ্কারকারক উপাদানগুলোর নাম চিত্র সহ জানতে পারব।

কাজ শুরু করার আগে এবং পরে কর্মক্ষেত্র পরিষ্কার করা একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার জন্য বিভিন্ন ধরণের ক্লিপিং ইকুইপমেন্ট পাওয়া যায়। ব্যয়বহুল হলেও কার্যকারী ইকুইপমেন্ট ব্যবহার করলে অতি অল্প সময়ে কাজটি সম্পন্ন করা সম্ভব।

পরিষ্কার করার বিভিন্ন উপকরনের নাম সহ চিত্র দেয়া হল-

অনুসন্ধানমূলক কাজ

তোমার প্রতিষ্ঠানে রক্ষিত ওয়াটারকুলার, ডি-হিউমিডিফায়ার, ডিসপ্লেকেইস ও বোতলকুলার বা এটি মেরামতের ওয়ার্কশপ পরিদর্শন কর। এ্যাপ্লায়েন্সেসে এ ব্যবহৃত ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক্স সার্কিট বিষয়ে নিম্নোক্ত ছকে তোমার মতামত দাও ।

 

 

Content added By

জব ১: বোতল কুলারের ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স সার্কিটের কম্পোনেন্ট টেস্ট।

পারদর্শিতার মানদন্ডঃ

  • স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা (পিপিই) পরিধান করা
  • নির্দিষ্ট স্পেসিফিকেশন অনুযায়ি বোতল কুলার সংগ্রহ করতে পারা
  • কাজ শেষে ওয়ার্কশপের নিয়ম অনুযায়ী কাজের স্থান পরিষ্কার করা
  • কাজের শেষে চেক লিস্ট অনুযায়ী টুলস ও মালামাল জমা দেয়া

 

প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি (টুলস, ইকুইপমেন্টে ও মেশিন)

 

মালামাল (Raw Materials ) :

ডায়াগ্রাম

 

কাজের ধারা-

১। নির্দিষ্ট স্পেসিফিকেশনের টেম্পারেচার রেঞ্জ ৩° সে. থেকে ১১° সে., পাওয়ার রেটিং ২৫০ ওয়াট ক্যাপাসিটি ৩৩০ml বোতল ৮৪টি) একটি বোতল কুলার নেও 

২। বোতল কুলারের পেছনে ইলেকট্রিক্যাল ওয়্যারিং ডায়াগ্রাম দেখ 

৩। বোতল কুলার কিছুক্ষণ চালাও, 

৪। সাপ্লাই কড় বিচ্ছিন্ন করো 

৫। স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে কভার প্লেট খোল 

৬। সিষ্টেম হতে কম্পোনেন্ট বিচ্ছিন্ন করো

  • ফ্যান মোটর
  • থার্মোস্ট্যাট সুইচ 
  • ওভারলোড প্রটেক্টর
  • পিসি (পাওয়ার সাপ্লাই) বোর্ড

৭। প্রতিটি কম্পোনেন্টের স্পেসিফিকেশন দেখ (ভোল্টেজ, কারেন্ট) 

৮। স্পেসিফিকেশন অনুসারে কম্পেনেন্ট পরীক্ষা করার জন্য মেজারিং ইনট্রুমেন্ট নির্বাচন করো 

৯। কম্পোনেন্ট সমূহের তালিকা প্রস্তুত করে পুনরায় কম্পোনেন্ট সমূহ যথাযথ স্থাপন করো

১০। পুনরায় সাপ্লাই কর্ড প্লাগে স্থাপন করে কিছুক্ষণ চালাও

১১। সিষ্টেমকে যথাস্থানে রাখ

 

কাজের সতর্কতা:

  • অবশ্যই নিরাপত্তা মূলক সরঞ্জাম ব্যবহার করে কাজ করতে হবে।
  • কাজটি করতে কোন প্রকার অসুবিধার সম্মুখীন হলে অবশ্যই শিক্ষক/ ট্রেইনারকে জানাতে হবে।

আত্মপ্রতিফলন: 

কমার্শিয়াল এ্যাপ্লায়েন্সেস বোতল কুলারে ব্যবহৃত কম্পোনেন্ট সমুহের তালিকা প্রস্তুত করা, ত্রুটি যুক্ত কম্পোনেন্ট সমুহ নির্বাচন করা এবং ব্যবহৃত কম্পোনেন্টের নির্দিষ্ট স্পেসিফিকেশন অনুসারে বাজার থেকে ক্রয় করার দক্ষতা অর্জিত হয়েছে /হয় নাই /আবার অনুশীলন করতে হবে।

 

 

Content added By

জব ২: ডি-হিউমিডিফায়ারের ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স সার্কিটের কম্পোনেন্ট টেস্ট করা।

পারদর্শিতার মানদন্ড

  • স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা (পিপিই) পরিধান করা 
  • নির্দিষ্ট স্পেসিফিকেশন ডি-হিউমিডিফায়ার সংগ্রহ করতে পারা
  • কাজ শেষে ওয়ার্কশপের নিয়ম অনুযায়ী কাজের স্থান পরিষ্কার করা 
  • কাজ শেষে চেক লিস্ট অনুযায়ী টুলস ও মালামাল জমা দেয়া

ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম:

 

প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি (টুলস, ইকুইপমেন্টে ও মেশিন)

 

মালামাল (Raw Materials ) :

ডায়াগ্রাম

 

কাজের ধারা-

১। নির্দিষ্ট স্পেসিফিকেশনের একটি ডি-হিউমিডিফায়ার নিতে হবে 

২। ডি-হিউমিডিফায়ারের পেছনে ইলেকট্রিক্যাল ওয়্যারিং ডায়াগ্রাম দেখ 

৩। ডি-হিউমিডিফায়ার কিছুক্ষণ চালাও। চালানোর পর 

৪। সাপ্লাই কর্ড বিচ্ছিন্ন করতে হবে 

৫ । স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে কভার প্লেট খোল 

৬। সিষ্টেম হতে কম্পোনেন্ট বিচ্ছিন্ন করো

  • ফ্যান মোটর
  •  থার্মোস্ট্যাট সুইচ 
  • মাইক্রো সুইচ 
  • পিসি (পাওয়ার সাপ্লাই) বোর্ড

৭। প্রতিটি কম্পোনেন্টের স্পেসিফিকেশন দেখ (ফ্যান মোটর - ভোল্টেজ, কারেন্ট)। 

৮। স্পেসিফিকেশন অনুসারে কম্পেনেন্ট পরীক্ষা করার জন্য মেজারিং ইন্সট্রুমেন্ট নির্বাচন করো । 

৯। কম্পোনেন্ট সমুহের তালিকা প্রস্তুত করে পুনরায় কম্পোনেন্ট সমুহ যথাযথ স্থাপন করো। 

১০। পুনরায় সাপ্লাই কর্ড প্লাগে স্থাপন কর এবং কিছুক্ষন চালাও 

১১। সিষ্টেমকে যথাস্থানে রাখ

কাজের সতর্কতাঃ

  • অবশ্যই নিরাপত্তা মূলক সরঞ্জাম ব্যবহার করে কাজ করতে হবে।
  • কাজটি করতে কোন প্রকার অসুবিধার সম্মুখীন হলে অবশ্যই শিক্ষক/ট্রেইনারকে জানাতে হবে।

আত্মপ্রতিফলন: 

কমার্শিয়াল এ্যাপ্লায়েন্সেস ডি-হিউমিডিফায়ারের ব্যবহৃত কম্পোনেন্ট সমুহের তালিকা প্রস্তুত করা, ত্রুটি যুক্ত কম্পোনেন্ট সমূহ নির্বাচন করা এবং ব্যবহৃত কম্পোনেন্টের নির্দিষ্ট স্পেসিফিকেশন অনুসারে বাজার থেকে ক্রয় করার দক্ষতা অর্জিত হয়েছে /হয় নাই /আবার অনুশীলন করতে হবে।

 

 

Content added By

                      অতিসংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন 

১। কম্প্রেসর মোটর কয়েল পরীক্ষা পদ্ধতি কী?

২। মাইক্রো সুইচ কোথায় ব্যবহৃত হয়? 

৩। বেভারেজ কুলারের মোটর কোন ধরনের?

 

                      সংক্ষিপ্ত উত্তরপ্রশ্ন 

১। বেভারেজ কুলার ও বোতল কুলার এর মধ্যকার পার্থক্য কী কী? 

২। ক্যাপাসিটর টেষ্ট করার পদ্ধতি কী? 

৩। ১২ ভোল্ট ডিসি রিলে টেষ্ট করার পদ্ধতি কী? 

৪ । রিলে ও থার্মোস্ট্যাটের কাজ লেখ।

 

                         রচনামুলক উত্তর প্রশ্ন 

১। বেভারেজ কুলার বৈদ্যুতিক যন্ত্রগুলির তালিকা তৈরি করো। 

২। ডি-হিউমিডিফায়ারের ইলেকট্রিক্যাল চিত্র অঙ্কন করো । 

৩। ডি- হিউমিডিফায়ারের কার্যপ্রণালী বর্ণনা করো ।

 

 

Content added By

Promotion