এসএসসি(ভোকেশনাল) - উইভিং-২ - প্রথম পত্র (নবম শ্রেণি) | NCTB BOOK

ভূমিকা 
প্রস্তুতকৃত উইভারস্ বিম 'ব' গাঁথা ও শানা পাঁথা সমাপ্ত হওয়ার পর তাঁতের মধ্যে স্থাপন করতে হয়। তাঁতে বিম, শানা ও ঝাঁপ স্থাপন করাকে মাউন্টিংও বলা হয়। তাঁতের পেছনে বিম স্ট্যান্ডে বিম স্থাপন, ঝাঁপ ও শানা মাউন্টিং করার পর তাঁত কাপড় তৈরির জন্য প্রস্তুত হয়।

সংজ্ঞা 
তাঁতে স্থাপনের পূর্বে টানা সুতা ওয়াইল্ডিং, ওয়ার্সিং, বিমিং, সাইজিং ইত্যাদি সম্পন্ন হওয়ার পর কাপড় তৈরির জন্য সমান্তরালভাবে জড়ানো বিমকেই উইভারস্ বিম বলা হয় ।

তাঁতের মধ্যে উইভারস্ বিন স্থাপন পদ্ধতি 
হস্তচালিত তাঁতে বিম স্থাপন করার পদ্ধতির বর্ণনা নিম্নে দেওয়া হলো-

প্রস্তুতকৃত বিম শানা ও ব গাঁথা অবস্থায় তুলে এনে তাঁতের পিছনে বিম স্ট্যান্ডে রাখা হয়। অতপর শানাকে দক্ষি এর সাথে শানার টুপি বা রিড ক্যাপ দ্বারা শক্ত করে আটকানো হয়। ঝাঁপগুলিও টপ রোলারের সাথে নির্দিষ্ট নিয়মে সঠিকভাবে বাঁধা হয় । রিড এর সাথে বাঁধা টানা সুতা খুলে খানিকটা আচড়িয়ে আরও কিছু সুতা বিম থেকে টেনে নিয়ে হাতের সাহায্যে টানা সুতাকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়। যা ক্লথ বিমে প্রস্থ বরাবর শক্ত করে পেছিয়ে বাঁধা হয়। এরপর সুতা দ্বারা অর্থাৎ লেট অফ ও কাপড় গুটানো গতি অর্থাৎ টেক আপ এর সমন্বয় করা হয়। এ অবস্থায় তাঁত কাপড় তৈরির জন্য প্রস্তুত হয় ।

সতর্কতা 
০ লক্ষ রাখতে হবে টানা সুতা যেন পরস্পর সমান্তরালে থাকে । কখনও ক্রস বা কোনাকুনি না হয়ে যায় । 
০ টপ রোলারের সহিত ঝাঁপসমূহ ডিজাইন, ড্রাফটিং প্লান ও লিফটিং স্থানের সাথে সমন্বয় করে বাঁধতে হবে।

উপসংহার / মন্তব্য

Content added By

ভূমিকা-
কাপড় থেকে অপদ্রব্য যেমন তৈল, চর্বি, মোম ও সাইজিং এর সময় ব্যবহার স্টার্চ বাদে অন্যান্য উপাদানসহ রাসায়নিক দ্রব্য দ্বারা ক্রিয়া করিয়ে দূর করাই স্কাওয়ারিং এর কাজ। আবার কাপড় হতে স্টার্চ জাতীয় পদার্থ, চর্বি, মোম ও অন্যান্য অপদ্রব্য ডিসাইজিং ও স্কাওয়ারিং পদ্ধতিতে সম্পূর্ণভাবে দূর হয় না। কাজেই উপরোক্ত অপদ্রব্য দূরীকরণ ও কাপড়ের পানি শোষণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং টেক্সটাইল দ্রব্যের নিজস্ব রং অর্থাৎ প্রাকৃতিক রং দূর করার জন্য ব্লিচিং করার প্রয়োজন রয়েছে।

সংজ্ঞা
ক) স্কাওয়ারিং যে প্রক্রিয়ায় অ্যালকালি অথবা ডিটারজেন্ট যোগে টেক্সটাইল দ্রব্যাদি থেকে তৈল, চর্বি, মোম ও অন্যান্য অপদ্রব্য দূর করা এবং টেক্সটাইল দ্রবাদিকে পরিষ্কার ও পানি শোষণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয় তাকে স্কাওয়ারিং বলে । 
খ) ব্লিচিং যে রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে টেক্সটাইল সামগ্রী হতে প্রাকৃতিক রং জাতীয় পদার্থ দূর করে ধবধবে সাদা করা হয় তাকে ব্লিচিং বলে। 
গ) সাওয়ারিং স্কাওয়ারিং পদ্ধতির থেকে যাওয়া অ্যালকালি দূর করার জন্য বা কাপড়কে প্রশমিত করার জন্য পাতলা হাইড্রোক্লোরিক এসিড বা পাতলা সালফিউরিক এসিড যে প্রক্রিয়াজাত করা হয় তাকে সাওয়ারিং বলে ।

স্কাওয়ারিং পদ্ধতিতে ব্যবহার রাসায়নিক পদার্থের নাম 
ডিটারজেন্ট, অ্যালকালি, অক্সিডাইজিং ও রিডিউসিং এজেন্ট এর নাম নিম্নে দেওয়া হলো । 

ক) ডিটারজেন্ট 
০ টার্কি রেড ওয়েল 
০ নিকাল এ 
০ নিকাল বি. এক্স 
০ আইজিপন এ 
০ লিছাপল এল এস
০ নিছাপল ডি 
০ লিছাপল এন

খ) অক্সিডাইজিং এজেন্ট 
• অক্সিজেন 
• ওজোন 
• হাইড্রোজেন পার অক্সাইড 
• ম্যাংগানিজ ডাই অক্সাইড 
• পটাশিয়াম নাইট্রেট ইত্যাদি। 

গ) রিডিউসিং এজেন্ট 
• হাইড্রোজেন 
• কার্বন 
• কার্বন মনোক্সাইড 
• হাইড্রোজেন সালফাইড 
• জিংক অক্সাইড ইত্যাদি।

ঘ) ব্লিচিং এজেন্ট 
অক্সিডাইজিং ও রিডিউসিং ব্লিচিং এজেন্ট এর তালিকা 

ক) অক্সিডাইজিং ব্লিচিং এজেন্ট- 
অক্সিডাইজিং এজেন্ট এর মাধ্যমে যে ব্লিচিং প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় তাকে অক্সিডাইজিং ব্লিচিং এজেন্ট বলে। যেমন- 
• ক্লোরিন গ্যাস 
• ওজোন 
• হাইড্রোজেন পার অক্সাইড 
• সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইড ব্লিচিং পাউডার 
• সোডিয়াম পার অক্সাইড ইত্যাদি 

খ) রিডিউসিং ব্লিচিং 
এজেন্ট এর মাধ্যমে যে ব্লিচিং প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয় তাকে রিডিউসিং ব্লিচিং এজেন্ট বলে। যেমন- 
• হাইড্রোজেন সালফাইড 
• সালফার ডাই অক্সাইড 
• সোডিয়াম সালফেট ফেরাস সালফেট 
• কার্বন মনোক্সাইড 
• স্টেনাস ক্লোরাইড 

সতর্কতা- 
স্কাওয়ারিং ও ব্লিচিং এজেন্ট নির্বাচনের পূর্বে আঁশের ধরণ এজেন্টের মূল্য ইত্যাদি বিবেচনা করতে হবে ।

উপসংহার / মন্তব্য

Content added By