এসএসসি(ভোকেশনাল) - উইভিং-২ - প্রথম পত্র (নবম শ্রেণি) | NCTB BOOK

ভূমিকা-
প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম উভয় প্রকার সেলুলোজ আঁশের প্রতি ডাই-এর তীব্র আসক্তি ও রঞ্জন ক্ষমতা আছে। বিভিন্ন ধরনের ফাইবার যেমন- ভিসকোস, কিউপ্রোমেনিয়াম ইত্যাদি রং করার ক্ষেত্রেও ব্যবহার হয় । কিন্তু সেলুলোজিক ফাইবারের প্রতি ডাইরেক্ট ডাই-এর আকর্ষণ সবচেয়ে বেশি। কাজেই, কখনো কখনো সাবস্ট্যানটিভ ডাই বা ডাইরেক্ট কটন কালারও বলা হয় ।

সংজ্ঞা 
ডাইরেক্ট ডাই যে সকল ডাই-এর ফাইবারের প্রতি সরাসরি আকর্ষণ আছে, সরাসরি প্রয়োগ করার জন্য কোন সাহায্যকারীর প্রয়োজন নেই তাকে ডাইরেক্ট ডাই বলে ।

গ) পদ্ধতি 
যে কাপড়কে রং করতে হবে তার ওজনের ১-৫% রং নিয়ে অল্প পরিমাণ ঠান্ডা পানি যোগ করে প্রথমে পেস্ট তৈরি করতে হবে । পেস্ট এ ওয়েটিং এজেন্ট যোগ করে ভালোভাবে মিশিয়ে ২০ গুণ পরিমাণ পানি নিয়ে ডাই-এর দ্রবণ প্রস্তুত করতে হবে । আলাদা ২টি পাতে ২-৩% সোড অ্যাশ ২০% লবণের দ্রবণ তৈরি করে নিতে হবে।

অতপর ডাই বাথে কাপড়ের ওজনের ২০ গুণ পানি নিয়ে তার মধ্যে সোডা অ্যাশ দ্রবণ যোগ করে ৭০° সে. তাপমাত্রায় ১০ মিনিট উত্তপ্ত করা হয়। ফলে পানির ক্ষরতা দূর হয়। বাথ এর তাপমাত্রা ৮০ সে. এ উঠানোর পর কাপড় ও রং এর দ্রবণ দেওয়া হয় ও ৩০ মিনিট যাবৎ ক্রিয়া করানো হয়। বাথের তাপমাত্রা ৯০°-১০০° সে. পর্যন্ত উঠানোর পর NaCl দ্রবণ আস্তে আস্তে যোগ করা হয় ও ৩০ মিনিট নড়াচড়া করে স্কুইজ করে অতিরিক্ত রঙ ফেলে দিয়ে প্রথমে গরম পানি ও পরে ঠান্ডা পানি সহযোগে কাপড় ধোয়া হয় ।

সতর্কতা- 
০ ডাইরেক্ট ডাই-এর ফাইবারের প্রতি আসক্তি প্রবল কিন্তু পরিশেষ ক্রিয়া দ্বারা রং পাকা দ্বারা রং পাকা হয় না। 
০ ডাইং করার সময় NaCl পরিমাণ মতো মিশাতে হবে নতুবা ডাই পেনিট্রেশন যথাযথ হবে না

উপসংহার / মন্তব্য

Content added || updated By