SATT ACADEMY

New to Satt Academy? Create an account


or

Log in with Google Account

নবম শ্রেণি (মাধ্যমিক ২০২৪) - বিজ্ঞান অনুশীলন বই - NCTB BOOK

বিন্দু থেকে মহাবিশ্ব

কোথা থেকে শুরু হয়েছে এই মহাবিশ্ব? কী দিয়ে তৈরি আমাদের এই ভৌত জগত? সকল কণিকা কোণ অদৃশ্য সুতার নাচনে নাচে? এই সকল প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছে মানুষ অনেক অনেক বছর ধরে। দুর্দম কৌতূহলী মানুষের কাছে অনেকটাই ধরা দিয়েছে সৃষ্টিজগত, আবার অনেক প্রশ্নের উত্তর এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে! 

প্রথম থেকে দ্বাদশ সেশন
  • এই শিখন অভিজ্ঞতা নবম শ্রেণির অন্যান্য শিখন অভিজ্ঞতা থেকে বেশ খানিকটা আলাদা। সারা বছর বিভিন্ন শিখন অভিজ্ঞতায় তোমরা কোনো একটি বাস্তব অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে গিয়েছ কিংবা কোনো একটা বাস্তব সমস্যা সমাধান করার জন্য বিজ্ঞানের জ্ঞান কাজে লাগিয়েছ।
  • তবে এই অভিজ্ঞতাটি কোনো বাস্তব সমস্যা সমাধানের জন্য নয়, অর্থাৎ এই শিখন অভিজ্ঞতায় তোমরা সত্যিকার অর্থে কোনো বাস্তব অভিজ্ঞতার ভিতর দিয়ে যাবে এমন নয়। এই অভিজ্ঞতার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের সাথে তোমাদের একটা পরিচয় ঘটানো। তোমরা নিশ্চয়ই ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে কিংবা এ যাবতকালের বিজ্ঞানের বিষয়জ্ঞানের আলোকে মহাবিশ্বের গঠনের প্যাটার্ন সম্পর্কে কিছুটা ধারণা রাখো, সেই ধারণাকে কিছুটা যাচাই করে দেখাও এই অভিজ্ঞতার উদ্দেশ্য।
  • আধুনিক পদার্থবিজ্ঞান আমাদের প্রতিদিনের জীবনে কী কাজে লাগে? এর উদাহরণ কি আমরা সচরাচর দেখি? এর উত্তর দেয়া বেশ কঠিন। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের একটি শাখা কণা পদার্থবিজ্ঞান-যা অত্যন্ত বিমূর্ত, কিন্তু একই সাথে এখন পর্যন্ত বিজ্ঞান আমাদেরকে মহাবিশ্বের গঠন সম্পর্কে সবচেয়ে সুচারু যে বর্ণনা দিয়েছে তা সেই কণা পদার্থ বিজ্ঞানের হাত ধরেই। এই কারণে তোমাদেরকে কোয়ান্টাম মেকানিক্স, থিওরি অফ রিলেটিভিটি কণা পদার্থবিজ্ঞানের স্ট্যান্ডার্ড মডেল এই বিষয়গুলোর সাথে এই শিখন অভিজ্ঞতায় পরিচয় করিয়ে দেয়া হবে।
  • সবচেয়ে বড়ো কথা হলো, মানুষের অজানাকে জানার যে অসীম কৌতূহল, তার ফলশ্রুতিতে শত শত বছর ধরে বিজ্ঞানীরা এই বিশ্বজগতের রহস্য ভেদ করার চেষ্টা করেছেন। সেই পথ ধরেই বিজ্ঞান আজ এতদূর এগিয়েছে, কোয়ান্টাম মেকানিক্সের মতো রহস্যময় জগতকে মানুষ বোঝার চেষ্টা করেছে। জাগতিক প্রয়োজনের চেয়ে যার গুরুত্ব কোনোভাবেই কম নয়।
  • তোমাদের মধ্যে অনেকেই হয়তো বিজ্ঞানে উচ্চতর গবেষণা করবে, অনেকে হয়তো অন্য কোনো বিষয়ে আগ্রহ বোধ করবে। তবে সবাইকেই আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের এই ধারণাগুলোর সাথে একটা প্রাথমিক পরিচয় করিয়ে দেয়াই এই শিখন অভিজ্ঞতার লক্ষ্য। যারা অনেক বেশি কৌতূহলী, তাদের জন্য তো ভবিষ্যতে জ্ঞানের বিশাল জগত খোলাই আছে।
  • এই শিখন অভিজ্ঞতায় তোমাদের কাজ হবে একটু অন্যরকম, প্রায় সকল ক্ষেত্রেই তোমাদের অনুসন্ধানী পাঠ বই থেকে বিভিন্ন ধারণা নিজে পড়ে নিয়ে জোড়ায় বা দলে আলোচনা করতে হবে। শিক্ষক তোমাদের এই বিষয়ে সময়মতো নির্দেশনা দেবেন। প্রত্যেক ক্ষেত্রেই দলে সবার পড়া এবং আলোচনা শেষ হয়ে গেলে শিক্ষকসহ ক্লাসের সবাই মিলে মুক্ত আলোচনায় যোগ দেবে। এর ফলে কারো কাছে যদি বিষয়গুলো বুঝতে অসুবিধা হয় বা এই ধরনের বিষয়বস্তুর সাথে খুব বেশি অপরিচিত থাকার কারণে কেউ যদি ধাক্কা খেয়ে থাকে তাহলে সে যাতে তার বিভ্রান্তিগুলো পরিষ্কার করে নেওয়ার সুযোগ পাবে।
  • বিভিন্ন সময়ে তোমাদের চিন্তা শানিয়ে নেয়ার জন্য কিছু প্রশ্ন এখানে দেয়া হলো। শিখন অভিজ্ঞতার ফাঁকে ফাঁকে, প্রাসঙ্গিক আলোচনা চলাকালে মাথা খাটিয়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর নিচে লিখে রেখো।
  • পরমাণুর ভেতরে যেহেতু বেশিরভাগই ফাঁকা জায়গা, তাহলে সেটি দুমড়ে মুচড়ে যায় না কেন?
  • সময় পরিভ্রমণ কি সম্ভব? মানুষ কি কখনও অতীত বা ভবিষ্যতে যেতে পারবে?
  • কেন আলোর বেগের চেয়ে বেশি জোরে ছোটা সম্ভব নয়?
Content added By