শরীর, পোশাক ও স্থান বা পরিবেশের পরিষ্কার, পরিপাটি, নির্মল ও ময়লামুক্ত অবস্থাকে বলে পরিচ্ছন্নতা। আর বিশেষ পদ্ধতিতে দেহ, মন, পোশাক ও পরিবেশের পরিচ্ছন্নতাকে বলে তাহারাত বা পবিত্রতা। পরিচ্ছন্নতা এবং পবিত্রতাকে আলাদা করা যায় না।
পরিচ্ছন্নতা বা পবিত্রতা ইমানের অঙ্গ। আল্লাহ তায়ালা চিরপবিত্র। যারা পরিষ্কার, পরিচ্ছন্ন ও পাকসাফ থাকে তাদেরকে আল্লাহ ভালোবাসেন। আমাদের প্রিয় নবি (স) সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতেন। তিনি সবাইকে পাকসাফ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে নির্দেশ দিতেন।
যারা অপরিচ্ছন্ন থাকে, নোংরা থাকে তাদের শরীর থেকে দুর্গন্ধ বের হয়। তাদের কেউ ভালোবাসে না, তাদের নানা রকম অসুখ-বিসুখ হয় ।
মুখ আমাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। আমরা মুখ দিয়ে খাবার খাই। কথা বলি। মুখ পরিষ্কার না থাকলে মুখ থেকে দুর্গন্ধ বের হয়। মানুষ তাকে ঘৃণা করে। লোক সমাজে লজ্জা পেতে হয়। মানুষেরও কষ্ট হয়। মহানবি (স) দুর্গন্ধযুক্ত কোনো কিছু খেয়ে মসজিদে যেতে নিষেধ করেছেন।
আমরা দাঁত দিয়ে চিবিয়ে খাবার খাই। এতে দাঁতের ফাঁকে খাদ্যকণা লেগে থাকে। প্রতিবার খাওয়ার পরে,বিশেষ করে ঘুমানোর আগে দাঁত না মাজলে দাঁতের ফাঁকে লেগে থাকা খাদ্যকণা পঁচে মুখে দুর্গন্ধ হয়। দাঁতের নানা রকম রোগ হয়। দাঁত পরিষ্কার রাখার জন্য ওযু করার আগে মিসওয়াক করতে হয়, দাঁত মাজতে হয়। রাসুল (স) বলেছেন- “আমার উম্মাতের কষ্ট না হলে, প্রত্যেক ওযুর আগে মিসওয়াক করার নির্দেশ দিতাম'।
আমরা হাত দিয়ে নানা রকম কাজ করি। এতে হাত ময়লা হয়, নোংরা হয়। অনেক সময় হাতের নখ বড় হয়। বড় নখে অনেক ময়লা আটকে থাকে। আমরা হাত দিয়ে খাবার খাই। নোংরা হাতে খাবার খেলে খাবারের সাথে ময়লা পেটে চলে যায়। এতে নানা রকম পেটের অসুখ হয়। আমাদের নখ কেটে ছোট রাখতে হবে। ভালোভাবে হাত ধুয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। খাওয়ার আগে ও পরে ভালোভাবে হাত ধুতে হবে । পায়খানা প্রস্রাব থেকে ফিরে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।
রাস্তা— ঘাটে চলাফেরা করার সময় আমাদের পায়ে ধুলা-ময়লা লাগে। পা নোংরা হয়ে যায়। কাজের শেষে পা ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হয়।
আমরা আমাদের শরীর, পোশাক ও পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখব, পরিচ্ছন্ন রাখতে সহায়তা করব।
পরিকল্পিত কাজ : কীভাবে পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখা যায়,শিক্ষার্থীরা তার একটি কর্মপন্থা তৈরি করবে এবং ছুটির দিনে পরিবেশ -পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ করবে।
আরও দেখুন...