বাংলাদেশে প্রাকৃতিকভাবে জন্মানো নগ্নবীজী উদ্ভিদ প্রজাতির সংখ্যা কত?

Created: 2 years ago | Updated: 1 year ago
Updated: 1 year ago

নগ্নবীজী উদ্ভিদ বা জিমনোস্পার্ম (Gymnosperms):

যে সকল উদ্ভিদের ফুল ও বীজ হয় কিন্তু ফুলে গর্ভাশয় নেই বলে ফল উৎপন্ন হয়না বিধায় বীজ নগ্ন অবস্থায় থাকে তাদের নগ্নবীজী বা ব্যক্তবীজী উদ্ভিদ (Gymnosperms) বলে জিমনোস্পার্ম বা নগ্নবীজী উদ্ভিদ সবীজ উদ্ভিদ (seeded plant) দের মধ্যে প্রাচীন। গ্রিক শব্দ Gymnos = নগ্ন ও spermos = বীজ থেকে Gymnospermae শব্দটি উদ্ভুত হয়েছে। এদের দেহ স্পোরোফাইট ও অসমরেণুপ্রস্। রেণু বা স্পোর (spore) বিশেষ ধরনের পত্রে উৎপন্ন হয়। স্পোর উৎপাদনকারী এই পত্রগুলোকে রেণুপত্র বা স্পোরোফিল (sporophyll) বলে। স্পোরোফিল ঘন সন্নিবিষ্ট হয়ে কোণ  (cone) বা স্ট্রোবিলাস (strobilus) গঠন করে। নগ্নবীজী উদ্ভিদে গ্যামেটোফাইট অত্যধিক সংক্ষিপ্ত। নিষেকের পূর্বে হ্যাপ্লয়েড সস্য endosperm) উৎপন্ন হয়। এতে সুস্পষ্ট ও নিয়মিত অসমাকৃতির (heterologous) জনুক্রম বিদ্যমান । নগ্নবীজী উদ্ভিদের ৫০০-র দশ প্রজাতি আছে। এদের অধিকাংশই চির সবুজ বৃক্ষ বা গুষ্মা। পৃথিবীর বৃহত্তম উচ্চতম উদ্ভিদ Sequia gigantea এ গোষ্ঠীরই অন্তর্ভুক্ত। ভূতত্ত্ববিদদের মতে ৩০ কোটি বছর আগে প্যালিওজোয়িক যুগে এদের অভ্যুদয় ঘটেছে। এদের কতিপয় প্রজাতি বহু পূর্বেই অবলুপ্ত হয়েছে। বর্তমানে জীবাশ্ম হিসেবে এদের অস্তিত্ব পরিলক্ষিত হয় । জীবাশ্ম হিসেবে প্রাপ্ত কতিপয় নগ্নবীজী উদ্ভিদের সাথে বর্তমান যুগের দু-একটি নগ্নবীজী জীবন্ত উদ্ভিদের সাদৃশ্য পরিলক্ষিত হয়। অবলুপ্ত উদ্ভিদের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ এসব নগ্নবীজী জীবিত উদ্ভিদকে জীবন্ত জীবাশ্ম (living Fossil ) বলে।

Content added By
Promotion