Safari Park জীববৈচত্র্য সংরক্ষণের কোন পদ্ধতির অন্তভূ্ক্ত?

Created: 2 years ago | Updated: 1 year ago
Updated: 1 year ago

In situ Conservation:

কোনো প্রজাতিকে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করার জন্যে তার নিজস্ব পরিবেশে সংরক্ষণ করাই হলো ইন-সিটু সংরক্ষণ (In-situ Conservation)।

ইন-সিটু সংরক্ষণ (In-situ Conservation)- এর বিস্তৃতি নিম্নরূপ-

i. জাতীয় উদ্যান : প্রাকৃতিক ইকোসিস্টেমে উদ্ভিদ ও প্রাণী সম্পদের সর্বাঙ্গীণ রক্ষার জন্য জীবজন্তু ও গাছপালার স্বাভাবিক নিবাসের বিশাল অঞ্চল সংরক্ষণ করা হলে তা জাতীয় উদ্যান বলে পরিচিত হয়। বাংলাদেশের কয়েকটি জাতীয় উদ্যান হলো- ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান, হিমছড়ি জাতীয় উদ্যান প্রভৃতি।

ii. ইকোপার্ক : পর্যটকদের আকর্ষণ করার মতো প্রাকৃতিক এলাকার পরিবেশ সংরক্ষণ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সার্বিকমান উন্নয়নের লক্ষ্যে গঠিত ইকোলজিক্যাল পার্ককে সংক্ষেপে ইকোপার্ক বলে। যেমন- মাধবকুণ্ড ইকোপার্ক, মধুটিলা ইকোপার্ক প্রভৃতি।

iii. সাফারি পার্ক : সাফারি পার্ক এক ধরনের সংরক্ষিত বনভূমি। যেখানে বন্য প্রাণীরা ন্যূনতম প্রাকৃতিক পরিবেশে রক্ষিত থাকে, মুক্তভাবে বিচরণ করে এবং প্রজননের সুযোগ পায়। যেমন— ডুলাহাজরা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক।

iv. অভয়ারণ্য : যে সংরক্ষিত অঞ্চলে বুনো গাছ-পালার সাথে নির্দিষ্ট বিশেষ কিছু বন্য প্রজাতির প্রাণী রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা থাকে তা হলো অভয়ারণ্য।

v. গেম রিজার্ভ : এমন একটি প্রাকৃতিক সংরক্ষিত এলাকা যেখানে বন্যপ্রাণীর সংখ্যা বৃদ্ধি সত্ত্বেও ফাঁদ দিয়ে বন্য প্রাণী ধরা বা মারা নিষিদ্ধ। যেমন- টেকনাফ গেম রিজার্ভ।

Content added By
Promotion