নিচের কোনটি Cruciferae গোত্রের উদ্ভিদ নয়?

Created: 2 years ago | Updated: 1 year ago
Updated: 1 year ago

আবৃতবীজী উদ্ভিদের গোত্র পরিচিতিঃ

পৃথিবীতে আবৃতবীজী উদ্ভিদ প্রজাতির সংখ্যা সবচেয়ে বেশি, শনাক্তকৃত প্রজাতির সংখ্যাই আড়াই লক্ষের অধিক। তুন্দ্রা থেকে মরুময় প্রায় সকল পরিবেশেই এদেরকে জন্মাতে দেখা যায়। 

বাংলাদেশ থেকে শনাক্তকৃত আবৃতবীজী উদ্ভিদ প্রজাতির সংখ্যা প্রায় চার হাজার। বাংলাদেশে বৃহত্তর চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলে আবৃতবীজী উদ্ভিদ প্রজাতির সংখ্যা দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় অধিক ।

আদিকাল থেকে আবৃতবীজী উদ্ভিদকে দ্বিবীজপত্রী ও একবীজপত্রী এ দুটো গ্রুপে ভাগ করা হয়ে আসছে। সম্প্রতিকালে বেশ কয়েকজন শ্রেণিবিন্যাসবিদ বিশেষ করে তাখতাজান দ্বিবীজপত্রীকে Magnoliopsida এবং একবীজপত্রীকে Lilliopsida— এই দুই শ্রেণিতে বিভক্ত করেন। প্রতিটি শ্রেণিকে পুনরায় একাধিক উপশ্রেণি, বর্গ এবং গোত্রে বিভক্ত করা হয়েছে। ড. আর্থার জুনকুইস্ট (১৯৮১) সকল আবৃতবীজী উদ্ভিদকে ৩৮০টি গোত্রের অন্তর্ভুক্ত করেছেন। এর মধ্যে দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদ গোত্র ৩৯৫টি) এবং (একবীজপত্রী গোত্র ৬৫টি) সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত Poaceae আশা করা হবে। এবং Malvaceae গোত্রের পরিচিতি আলোচনা

 

স্বভাব বা স্বরূপ (Habit):

কান্ডের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী উদ্ভিদকে প্রধানত তিনভাবে ভাগ করা হয়-বীরুৎ গুলা ও বৃক্ষ। 

বীরুৎ (Herb) : কোমল কান্ডবিশিষ্ট ছোট ছোট উদ্ভিদ যাদের শাখাগুলো মাটির খুব কাছাকাছি অবস্থান করে। যেমন- ধান, গম। 

গুল্ম (Shrub) : আকারে ছোট, কাষ্ঠল কিন্তু কোনো গুড়ি নেই। এদের একক কাণ্ড থাকে না এবং গোড়া থেকেই শাখা- প্রশাখা বিস্তার করে ঝোপের সৃষ্টি করে । যেমন-গোলাপ, জবা ইত্যাদি। 

বৃক্ষ (Tree ) : দীর্ঘ, কাষ্ঠল এবং গুড়িযুক্ত উদ্ভিদ । শাখাগুলো মাটি থেকে অনেক উপরে থাকে। যেমন-আম |

মূল (Root):

স্থানিক বা প্রধান মূল (Tap root) ভ্রূণমূল নষ্ট হয় না এবং তা' বৃদ্ধি পেয়ে প্রধান মূল সৃষ্টি করে। সেখান থেকে শাখামূল এবং শাখামূল থেকে প্রশাখামূল বের হয় । 

অস্থানিক মূল (Adventitious root) ভ্রূণমূল থেকে সৃষ্ট প্রাথমিক মূল নষ্ট হয়ে যায় এবং কাণ্ডের নিম্নাংশ বা উদ্ভিদের অন্যান্য অংশ থেকে মূল সৃষ্টি হয়।

পাতা (Leaf) 

একটি আদর্শ পাতার তিনটি অংশ থাকে। যেমন- পত্রমূল (base), পত্রবৃত্ত (petiole) ও পত্রফলক (lamina)। পত্রমূলের দুপাশে উপপত্র (stipule) থাকতে পারে। পুষ্প ও পুষ্পবিন্যাসের গোড়ায় বা মঞ্জরীদন্ডের পর্বসন্ধিতে অবস্থিত পাতাকে মুঞ্জরীপত্র (bract) বলে।

পত্রফলকের শিরাবিন্যাস (Venation):

 যে নির্দিষ্ট রীতিতে শিরা-উপশিরাগুলো পত্রফলকে অবস্থান করে তাকে শিরাবিন্যাস বলে । এরা দুধরনের- 

জালিকাকার (Reticulate) : শিরা-উপশিরাগুলো মধ্যশিরার দুপাশে অনিয়তভাবে অবস্থান করে এবং মিলিত হয়ে জালক সৃষ্টি করে। অল্প কিছু একবীজপত্রী উদ্ভিদে জালিকা শিরাবিন্যাস। দেখা যায়। যেমন- কচু, কুমারিকা ইত্যাদি।

 সমান্তরাল (Parallel) : মধ্যশিরা বা প্রধান শিরা থেকে উৎপন্ন শিরা-উপশিরাগুলো পরস্পরের সাথে মিলিত না হয়ে সমান্তরালভাবে অবস্থান করে। দ্বিবীজপত্রী সুলতান চাঁপা উদ্ভিদে সমান্তরাল শিরাবিন্যাস দেখা যায়।

সরল ও যৌগিক পাতা (Simple & Compound leaves) 

সরল : একটিমাত্র পত্রফলকযুক্ত পাতা। কর্তিত হলেও কর্তন মধ্যশিরা পর্যন্ত পৌঁছায়না। যেমন-জবা 

যৌগিক : পত্রফলকের কিনারা সম্পূর্ণরূপে কর্তিত হয়ে মধ্যশিরা স্পর্শ করে এবং ছোট ছোট পাতার মতো পত্রক (leaflet) পাতা প্রধানত দুধরনের। যথা-সরল ও যৌগিক।

পুষ্প (Flower ): বিভিন্ন ধরনের পুষ্পাক্ষের উপর পুষ্পপত্রের সংখ্যা, গঠন ও এদের সজ্জারীতি অনুযায়ী পুষ্পকে বিভিন্ন নামে অভিহিত করা হয়। নিচে বিভিন্ন ধরনের পুষ্প সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ধারণা দেওয়া হলো ।

সম্পূর্ণ (Complete) : এসব পুষ্পে বৃতি, দলমন্ডল, পুংস্তবক ও স্ত্রীস্তবক এ চারটি স্তবকই থাকে। যেমন-জবা। 

অসম্পূর্ণ (Incomplete) : এসব ফুলে চারটি স্তবকের মধ্যে এক বা একাধিক স্তবক অনুপস্থিত। যেমন-কুমড়া। 

 উভলিঙ্গ (Bisexual) : পুস্তবক ও স্ত্রীস্তবক উভয়ই থাকে। যেমন-জবা। উভলিঙ্গা

একলিঙ্গ (Unisexual) : শুধুমাত্র পুং বা স্ত্রী যে কোন এক ধরনের স্তবক থাকে। যেমন-লাউ, তাল, কুমড়া। 

ক্লীব (Neuter) : পুং ও স্ত্রী উভয় স্তবকই অনুপস্থিত। যেমন-বাগানের সৌন্দর্যবর্ধক কিছু উদ্ভিদ। একলিঙ্গ

সমাঙ্গ (Regular) : প্রতিটি স্তবকের আকার, আকৃতি ও বর্ণ একই ধরনের। যেমন-জবা । 

অসমাঙ্গ (Irregular) : স্তবকগুলো বিভিন্ন আকার, আকৃতি ও বর্ণ বিশিষ্ট। যেমন-মটর।

 বহুপ্রতিসম(Actinomorphic) : পুষ্পকে কেন্দ্র বরাবর লম্বালম্বি যেকোনো তলে দুটো সমান অংশে ভাগ করা যায়। যেমন- ধুতুরা, জবা, বেগুন, সরিষা। 

একপ্রতিসম (Zygomorphic) : পুষ্পকে কেন্দ্র বরাবর মাত্র একবার দুভাগে ভাগ করা যায়। যেমন-অপরাজিতা, সিম, মটর।

 অপ্রতিসম (Asymmetrical) : পুষ্পকে কখনও দুটো সমান অংশে ভাগ করা যায় না। যেমন-কলাবতী।

পুষ্পবিন্যাস বা পুষ্পমঞ্জরী ( Inflorescence ) যে কোন একটি উদ্ভিদ লক্ষ করলে দেখা যাবে এক বা একাধিক পুষ্প একটি বিশেষ শাখা রা অক্ষের উপর সাজানো আছে । এ অক্ষটিকে মঞ্জরীদন্ড বা ব্ল্যাকিস (rachis) বলে বিশেষ ধরনের পরিবর্তীত পাতার কক্ষে পুষ্প বা মঞ্জরীদত্ত উৎপন্ন হয় । এ বিশেষ ধরনের পরিবর্তীত পাতাকে মঞ্জুরীপত্র (bract) বলে। সকল ফুলে মঞ্জরীপত্র থাকে না। সরল বা শাখান্বিত মঞ্জরীদন্ডের উপর এক বা একাধিক পুষ্পের বিন্যাসরীতিকে পুষ্পমঞ্জরী বা পুষ্পবিন্যাস (inflorescence) বলে।

পুষ্পবিন্যাস সাধারণত চার প্রকারের- 

(i) অনিয়ত বা রেসিমোস (Indefinite or Recemose); 

(f) মিশ্র (Mixed); 

(ii) নিয়ত বা সাইমোস (Definite or Cymose); 

(iv) বিশেষ (special) । বিভিন্ন ধরনের উদ্ভিদে এই পুষ্পবিন্যাসগুলো দেখা যায় । অনিয়ত ও নিয়ত পুষ্পবিন্যাস আবার বিভিন্ন প্রকারের হয়। আমরা এখানে অনিয়ত পুষ্পবিন্যাসের স্পাইকলেট (spikelet) এবং নিয়ত পুষ্পবিন্যাসের একক পুষ্পবিন্যাস, আলোচনা করব ।

স্পাইকলেট : এখানে মঞ্জুরীদন্ডের নিচে ঘুম (glume) নামক দুটি অনুর্বর মঞ্জরীপত্র থাকে এবং এর সামান্য উপরে সপুষ্পক ঘুম ।

(flowering glume) বা লেমা (lemma) নামক আরও একটি মঞ্জুরীপত্র থাকে। সপুষ্পক গ্লুমের কিছু উপরে দুই শিরাবিশিষ্ট।

পালিয়া (palia) নামক আরও একটি মঞ্জরীপত্র থাকে। অবৃন্তক পুষ্প ধারণ করে। পালিয়ার উপরে পডিকিউল (lodiculle) নামক দুটি রসালো পুষ্পপুট থাকে। এর উপর ৩টি বা ৬টি পুংকেশর ও সর্বউপরে গর্ভাশয় অবস্থান করে। Poaceae ও Cyperaceae গোত্রে এ বিশেষ ধরনের পুষ্পবিন্যাস দেখা যায়।

সলিটারী (Solitary) বা একক পুষ্পবিন্যাস : এটি এক ধরনের নিয়ত পুষ্পবিন্যাস। একটি অগ্রমুকুল বা একটি কাক্ষিক মুকুল যখন একটি মাত্র ফুল ধারণ করে তখন তাকে “একক পুষ্পবিন্যাস” বলে। জবা, ধুতুরা প্রভৃতি এ ধরনের পুষ্পবিন্যাস। পুষ্পাক্ষের উপর পুষ্পপত্রের বিন্যাস (Insertion of floral leaves on the floral axis) পুষ্পপত্রগুলো ডিম্বাশয়ের সাথে একটি বিশেষ সম্পর্ক স্থাপন করে পুষ্পাক্ষের উপর তিনধরনের পদ্ধতিতে সন্নিবিষ্ট থাকে এবং এর উপর ভিত্তি করে তিন ধরনের পুষ্প পাওয়া যায়।

গর্ভপাদ বা হাইপোগাইনাস (Hypogynous) : এধরনের সন্নিবেশে পুষ্পাক্ষ (thalamus) উত্তলাকার, মোচাকৃতি বা চ্যাপ্টা হয়। গর্ভাশয়টি সবচেয়ে উপরে থাকে এবং এর নিচে পুংস্তবক, দলমণ্ডল ও বৃত্তি পর্যায়ক্রমে সন্নিবিষ্ট থাকে। এধরনের ফুলের গর্ভাশয়কে অধিগর্ভ গর্ভাশয় (superior ovary) বলে) যেমন-জবা, ধুতুরা, সরিষা, ধান ইত্যাদি । 

গর্ভর্কটি বা পেরিগাইনাস (Perigynous) : (এধরনের সন্নিবেশে পুষ্পাক্ষ চ্যাপ্টা বা অবতলাকার হয়, গর্ভাশয় পুষ্পাক্ষের কেন্দ্রস্থলে থাকে এবং পুংস্তবক, দলমণ্ডল ও বৃত্তি পুষ্পাক্ষের ধারের চাকতির উপর ক্রমান্বয়ে সাজানো থাকে। এরকম গর্ভাশয়কে অর্ধ অধিগর্ভ (hall superior) বলে । যেমন-গোলাপ, মটর, সিম, অপরাজিতা । 

গর্ভশীর্ষ বা এপিগাইনাস (Epigynous) : এধরনের সন্নিবেশে পুষ্পাক্ষটি অবতলাকার; এর প্রান্তদেশ উপরের দিকে প্রসারিত হওয়ায় কেন্দ্রস্থিত ডিম্বাশয়টিকে সম্পূর্ণভাবে ঢেকে ফেলে এবং পুষ্পাক্ষের শীর্ষদেশে পুংস্তবক, দলমণ্ডল ও বৃতি ক্রমান্বয়ে সাজানো থাকে।এক্ষেত্রে গর্ভাশয়ের প্রাচীরটি পুষ্পাক্ষের প্রাচীরের সাথে সম্পূর্ণভাবে যুক্ত হয়ে যায়। এরকম গর্ভাশয়কে অধোগর্ভ গর্ভাশয় (inferior ovary) বলে) যেমন-কুমড়া, পেয়ারা, সূর্যমুখী,অমরাবিন্যাস (Placentation)

অমরাঃ গর্ভাশয়ের অভ্যন্তরে অবস্থিত যে বিশেষ ধরনের টিস্যু ডিম্বক (ovific) ধারণ করে তাকে অমরা (placental) বলে। ডিম্বকগুলো অমরার মাধ্যমে গর্ভাশয়ের মধ্যে নির্দিষ্ট রীতি অনুযায়ী সাজানো থাকে। বেভিশিয়ে ডিম্বকযুক্ত অমরার উৎপত্তি ও সজ্জাবিন্যাসকে অমরাবিন্যাস (placentation) বলে অমরাবিন্যাস নিচে বর্ণিত বিভিন্ন ধরনের হতে পারে।

এক প্রকোষ্ঠবিশিষ্ট গর্ভাশয়ের অমরাবিন্যাস

প্রান্তীয় (Marginal) : একগর্ভপত্রী গর্ভাশয়ের সংযুক্ত কিনারা বা প্রান্ত থেকে অমরা উৎপন্ন হয়। যেমন মটর, অপরাজিতা। 

বহুপ্রান্তীয় (Parietal) : একাধিক গর্ভপত্রযুক্ত গর্ভাশয়ের একাধিক প্রান্ত থেকে অমরা উৎপন্ন হয় । যেমন-পরিষা, কুমড়া) শসা, লাউ।

মূলীয় (Basal) : দ্বিগর্ভপত্রী গর্ভাশয়ের মূলদেশ থেকে অমরা সৃষ্টি হয়। যেমন—সূর্যমুখী, ধান, ত্রিধারা। 

যুক্তকেন্দ্ৰীয় (Free central) : বহুগর্ভপত্রী গর্ভাশয়ের কেন্দ্রীয় অক্ষ থেকে অমরা সৃষ্টি হয়। যেমন-তুঁত, নুনিয়াশাক। ব। একাধিক প্রকোষ্ঠবিশিষ্ট গর্ভাশয়ের অমরাবিন্যাস মুক্তকেন্দ্রিক।

অক্ষীয় (Axilal) : একাধিক গর্ভপত্রের ভাঁজ বিশিষ্ট প্রান্তগুলোর সংযুক্তির ফলে সৃষ্ট কেন্দ্রীয় অক্ষ থেকে অমরা সৃষ্টি হয়। যেমন-জবা

গাত্রীয় (Superficial) : বহুগর্ভপত্রী গর্ভাশয়ের বিভেদ প্রাচীরের গাত্র থেকে অমরা উৎপন্ন হয় । যেমন-শালুক, পদ্ম। 

গাত্রীয় শীর্ষদেশীয় (Apical) : বহুগর্ভপত্রী গর্ভাশয়ের শীর্ষদেশ থেকে অমরা উৎপন্ন হয়। যেমন-লালপাতা, ধনিয়া । 

এস্টিভেশন (Aestivation) বা পুষ্পমুকুল-পত্রবিন্যাস :

মুকুল অবস্থায় বিযুক্ত বৃতি ও দলবিশিষ্ট পুষ্পে বৃত্যংশ বা পাপড়িগুলোর পরস্পরের সাথে সম্বন্ধযুক্ত বিন্যাসকে এস্টিডেশন বলে । নিচে বিভিন্ন ধরনের এস্টিভেশন দেখানো হলো।

মুক্ত (Open) : বৃত্যংশ ও পাপড়িগুলোর প্রান্ত পরস্পর হতে বেশ দূরে অবস্থান করে। যেমন-গন্ধরাজ।

 ভলভেট (Valvate) : বৃত্যংশ ও পাপড়িগুলো শুধুমাত্র প্রান্ত দিয়ে স্পর্শ করে বা পাশাপাশি থাকে। যেমন-বাবলা, আকন্দ, আতা।

টুইস্টেড (Twisted) : বৃত্যংশ বা পাপড়ির এক প্রান্ত পাশেরটির অপর প্রান্ত দিয়ে আবৃত থাকে। যেমন-জবা, করবী।

 ইম্ব্রিকেট (Imbricate) : বৃত্যংশ বা পাপড়ির মধ্যে একটির উভয় প্রান্ত অনাবৃত থাকে এবং অন্যটির উভয় প্রান্ত আবৃত থাকে ও বাকি বৃত্যংশ বা পাপড়িগুলো পাকানো থাকে। যেমন-কৃষ্ণচূড়া, কলকাসুন্দা, বাদুরলাঠি।

 কুইনকানসিয়াল (Quincumcial) : দুটি বৃত্যংশ বা পাপড়ির উভয় প্রান্তই অনাবৃত থাকে এবং অন্য দুটি বৃত্যংশ বা পাপড়ির উভয় প্রান্তই আবৃত ও অন্যটি পাকানো। যেমন- পেয়ারা, সরিষা, আকন্দ। 

ভেক্সিলারি (Vexillary) : পাঁচটি পাপড়ির মধ্যে সবচেয়ে বড়টির উভয় প্রাপ্ত অনাবৃত থাকে, এর পাশের দুটোকে আবৃত করে। এবং পাশের পাপড়ি দুটির সন্মুখভাগ ভেতরের নৌকাকৃতি পাপড়ি দুটিকে আবৃত করে। যেমন মটর, সিম, অতসী,

ফল (Fruits )

ফল বিভিন্ন ধরনের হয়। নিচে বিশেষ কয়েকটির উল্লেখ করা হলো।

প্রকৃত ফল (True fruit) : গর্ভাশয় থেকে উৎপন্ন হয়। যেমন -আম, জাম, লিচু। 

অপ্রকৃত ফল (False fruit) : গর্ভাশয় ব্যতীত অন্য অংশ থেকে উৎপন্ন হয়। যেমন-আপেল, চালতা, কাঁঠাল, আনারস।

সরল ফল (Simple fruit): একটি পুষ্প হতে একটি মাত্র ফল উৎপন্ন হয়। যেমন-আম, ধান। 

সরল  ফল (Aggregate fruits) : একটি মাত্র পুষ্পের মুক্ত গর্ভাশয়গুলো থেকে একগুচ্ছ ফল উৎপন্ন হয়। যেমন-আতা, স্ট্রবেরিযৌগিক ফল।

গুচ্ছিত ফল (Multiple fruit) : সমগ্র পুষ্পমঞ্জরী থেকে একটি মাত্র ফল উৎপন্ন হয় । যেমন-কাঁঠাল, আনারস, ডুমুর 

যৌগিক (Legume) : ফল উপর থেকে নিচে দুটি কপাটে বিদীর্ণ হয় । যেমন-সীম । 

ক্যাপসুল (Capsule) : ফল উপর থেকে নিচে বহু কপাটে বিদীর্ণ হয় । যেমন-ঢেঁড়স, কার্পাস, ধুতুরা।

ক্যারিওপসিস (Caryopsis) : ফল এক প্রকোষ্ঠবিশিষ্ট এবং একটি মাত্র বীজযুক্ত । ফলত্বক ও বীজত্বক পরস্পর সংলগ্ন থাকে যেমন-ধান।

সিলিকুয়া (Siliqua) : সরল, শুষ্ক, বিদারী ফল । যেমন-সরিষা । MAT

বেরি (Berry) : ফল এক বা একাধিক গর্ভপত্রী এবং বহুবীজী । অন্তত্বক ও মধ্যত্বক সংযুক্ত থাকে । যেমন-কলা, বেগুন, টমেটো, পেয়ারা।

পুষ্প সংকেত বা ফ্লোরাল ফর্মুলা (Floral Formula)

ফুল সাধারণত কয়েকটি স্তবক (তিনটি বা চারটি) নিয়ে গঠিত। এই স্তবকগুলোর প্রত্যেকটি আবার কতকগুলো অংশ নিয়ে গঠিত। তাই ফুলের সামগ্রিক চিত্রটি কিছুটা জটিল আকার ধারণ করে। এই জটিলতাকে সরল রূপরেখায় প্রকাশ করার জন্য কতকগুলো সংকেত বা ফর্মুলা ব্যবহার করা হয়।

যে সংকেতের মাধ্যমে ফুলের বিভিন্ন স্তবকের বর্ণনা-যেমন: স্তবকের সংখ্যা, স্তবকের সদস্য সংখ্যা, স্তবকের বিভিন্ন সদস্যের বিন্যাস প্রভৃতি জটিল আঙ্গিক বৈশিষ্ট্যগুলোকে সরল রূপরেখায় প্রদর্শন করা যায় তাকে পুষ্প সংকেত বলে।

Content added By
Promotion