সৃজনশীল প্রশ্ন ২.

নিচের চিত্রটি দেখে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।

খাদ্যপ্রাণ বলতে কী বুঝায়?

Created: 1 year ago | Updated: 1 month ago
Updated: 1 month ago

খাদ্যপ্রাণ বলতে সাধারণত জীবিত প্রাণী বোঝায়। অর্থাৎ, যে সকল প্রাণী খাদ্য গ্রহণ করে, বৃদ্ধি পায়, প্রজনন করে এবং পরিবেশের সাথে যোগাযোগ করে তাদেরকে খাদ্যপ্রাণ বলা হয়।

খাদ্যপ্রাণের কিছু উদাহরণ:

  • মানুষ: আমরা খাদ্য গ্রহণ করে শক্তি পাই এবং বেঁচে থাকি।
  • প্রাণী: সকল প্রাণী, যেমন সিংহ, হাতি, পাখি, মাছ ইত্যাদি।
  • পোকামাকড়: মশা, মাছি, পিঁপড়া ইত্যাদি।
  • উদ্ভিদ: উদ্ভিদ সূর্যের আলো, পানি এবং মাটি থেকে খাদ্য তৈরি করে।

খাদ্যপ্রাণের মূল বৈশিষ্ট্য:

  • জীবন: খাদ্যপ্রাণের মধ্যে জীবনের উপস্থিতি থাকে।
  • বৃদ্ধি: খাদ্য গ্রহণ করে খাদ্যপ্রাণ বৃদ্ধি পায়।
  • প্রজনন: খাদ্যপ্রাণ নিজের প্রজাতির বংশ বিস্তার করে।
  • পরিবেশের সাথে যোগাযোগ: খাদ্যপ্রাণ পরিবেশের সাথে বিভিন্নভাবে যোগাযোগ করে।

খাদ্যপ্রাণের শ্রেণিবিন্যাস:

খাদ্যপ্রাণকে বিভিন্ন ভাবে শ্রেণিবিন্যাস করা হয়। যেমন:

  • খাদ্যের ধরনের উপর ভিত্তি করে: শাকসভী, মাংসাশী, সর্বভুক ইত্যাদি।
  • বাসস্থানের উপর ভিত্তি করে: স্থলচর, জলচর, উড়ুচর ইত্যাদি।
1 month ago

উন্নততর জীবনধারা

খাদ্য ছাড়া আমরা বাঁচতে পারি না। দেহের বৃদ্ধি এবং বিকাশ, দেহের টিস্যুগুলোর ক্ষতি পূরণ কিংবা শক্তি উৎপাদন-এ ধরনের কাজের জন্য নিয়মিতভাবে আমাদের বিশেষ কয়েক ধরনের খাদ্যের প্রয়োজন হয়। আমাদের স্বাস্থ্য বহুলাংশে নির্ভর করে, যে খাদ্য আমরা খাই তার গুণগত মানের ওপর। খাদ্য আমাদের চেহারার, কাজকর্মে, আচরণে ও জীবনের মানে পার্থক্য ঘটাতে পারে। শ্বসন ক্রিয়ার সময় খাদ্যের ভেতরকার রাসায়নিক শক্তি তাপশক্তি হিসেবে যুক্ত হয়ে জীবদেহের জৈবিক ক্রিয়াগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে। প্রত্যেকটা জীব তার পরিবেশ থেকে প্রয়োজনমতো এবং পরিমাণমতো গ্রহণ করে। প্রতিটি খাদ্যই আসলে এক ধরনের জটিল রাসায়নিক যৌগ। এই জটিল খাদ্যগুলো বিভিন্ন উৎসেচকের সাহায্যে আমাদের পরিপাকতন্ত্রের বিভিন্ন অংশে ভেঙে সরল খাদ্যে পরিণত হয়, এই প্রক্রিয়াকে পরিপাক বলে। পরিপাক হওয়া খাদ্য শোষিত হয়ে দেহকোষের প্রোটোপ্লাজমে সংযোজিত হয়, যাকে আস্তীকরণ বলে। পরিপাকের পর অপাচ্য খাদ্য বিশেষ প্রক্রিয়ার দেহ থেকে নির্গত হয়ে যায়।

 এই অধ্যায় পাঠ শেষে আমরা:

  • খাদ্য উপাদান ও আদর্শ খাদ্য পিরামিড ব্যাখ্যা করতে পারব।
  • খাদ্য সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা বর্ণনা করতে পারব।
  • স্বাস্থ্য রক্ষার প্রাকৃতিক খাদ্য এবং ফাস্ট ফুডের প্রভাব বিশ্লেষণ করতে পারব।
  •  ভিটামিনের উৎস এবং এর অভাবজনিত প্রতিক্রিয়া ব্যাখ্যা করতে পারব।
  • খনিজ লবণের উৎস এবং এর অভাবজনিত প্রতিক্রিয়া ব্যাখ্যা করতে পারব।
  • পানি ও আঁশযুক্ত খাবারের উপকারিতা বর্ণনা করতে পারব।
  • বডি মাস ইনডেক্সের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করতে পারব।
  • খাদ্যে রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহার এবং এর শারীরিক প্রতিক্রিয়া বলতে পারব।
  • শরীরে তামাক ও ড্রাগসের ক্ষতিকর প্রতিক্রিয়া ব্যাখ্যা করতে পারব।
  • এইডস কী ব্যাখ্যা করতে পারব।
  • শারীরিক ফিটনেস বজায় রাখার কৌশল ব্যাখ্যা করতে পারব।

 

 

Content updated By
Promotion