অনুচ্ছেদটি পড় এবং নিচের প্রশ্নগুলোর (ক-ঘ) উত্তর দাও:
রাস্তায় একটা রিকশা নাই। তা রিকশার পরোয়াও সে এখন করছে না। ইনকোটের ভেতরে হাঁটতে হাঁটতে বাসস্ট্যান্ড যেতে তার কোনো অসুবিধা হবে না । রেইনকোটের ওপর বৃষ্টি পড়ছে অবিরাম। কী মজা, তার গায়ে লাগে না একটি ফোঁটা। টুপির বারান্দা বেয়ে পানি গড়িয়ে পড়লে কয়েক ফোঁটা সে চেটে দেখে। ঠিক পানসে স্বাদ নয়, টুপির তেজ কি পানিতেও লাগল নাকি? তাকে কি মিলিটারির মতো দেখাচ্ছে? পাঞ্জাব আর্টিলারি, না বেলুচ রেজিমেন্ট, না কম্যান্ডো ফোর্স, নাকি প্যারা মিলিটারি, নাকি মিলিটারি পুলিশ, ওদের তো একেক গুষ্টির একেক নাম, একেক সুরত। তার রেইনকোটে তাকে কি নতুন কোনো বাহিনীর লোক বলে মনে হচ্ছে? হোক। সে বেশ হনহন করে হাঁটে। শেষ- হেমন্তের বৃষ্টিতে বেশ শীত-শীত ভাব। কিন্তু রেইনকোটের ভিতরে কী সুন্দর ওম। মিন্টুটা এই রেইনকোট রেখে গিয়ে কী ভালোই যে করেছে।
'মিন্টুটা এই রেইনকোট রেখে গিয়ে কী ভালোই যে করেছে।' উক্তিটির তাৎপর্য কী?
মুক্তিযোদ্ধা শ্যালকের রেইনকোট গায়ে দিয়ে সাধারণ ভীতু প্রকৃতির নুরুল হুদার মধ্যে সঞ্চারিত হয়েছে উষ্ণতা সাহস ও দেশপ্রেম। তাই রেইনকোটটা রেখে যাওয়ার জন্য মিন্টুর প্রতি সে মনে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে। দেশের প্রতি প্রত্যেকটা মানুষের অত্যন্ত আবেগ ও ভালোবাসা থাকে। নানান কারণে সব সময় এই ভালোবাসা দৃশ্যমান হয়না। নুরুল হুদাও সংসারের টানাপোড়নে নীরব থাকতে চেয়েছে কিন্তু ঐ সময়ে নীড় তথা মা ও মাটির প্রতি যে ভালোবাসা এটাকে তিনি লুকিয়ে রাখতে পারেন নি। রেইনকোটটি তাকে শক্তি ও সাহস জুগিয়েছে। ক্রমশ তিনি ভয়কে জয় করে সাহসের সাথে পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছেন।