Description (Added)

১৯৫৪ সাল অর্থাৎ ১৮ বছর বয়স থেকে তার কবিতা প্রকাশ পেতে থাকে। ঢাকা থেকে প্রকাশিত সিকান্দার আবু জাফর সম্পাদিত সমকাল পত্রিকা এবং কলকাতার নতুন সাহিত্য, চতুষ্কোণ, ময়ূখ ও কৃত্তিবাস ও বুদ্ধদেব বসু সম্পাদিত 'কবিতা' পত্রিকায় লেখালেখির সুবাদে ঢাকা-কলকাতার পাঠকদের কাছে তার নাম পরিচিত হয়ে ওঠে এবং তাকে নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত হয়। কাব্যগ্রন্থ লোক লোকান্তর (১৯৬৩) সর্বপ্রথম তাকে স্বনামধন্য কবিদের সারিতে জায়গা করে দেয়। এরপর কালের কলস (১৯৬৬), সোনালি কাবিন (১৯৭৩), মায়াবী পর্দা দুলে উঠো (১৯৭৬) কাব্যগ্রন্থগুলো তাকে প্রথম সারির কবি হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত করে। ১৯৯৩ সালে বের হয় তার প্রথম উপন্যাস কবি ও কোলাহল।

মোতাহার হোসেন চৌধুরীর প্রবন্ধ গ্রন্থ "সংস্কৃতি কথা" (১৯৫৮)। এছাড়াও তার অনুবাদকৃত দুটি গ্রন্থ হচ্ছে ক্লাইভ বেলের Civilization গ্রন্থ অবলম্বনে রচিত সভ্যতা (১৯৬৫) এবং বার্ট্রান্ড রাসেলের Conquest of Happiness গ্রন্থের অনুবাদ সুখ (১৯৬৫)। সৈয়দ আবুল মকসুদের সম্পাদনায় ১৯৯৫ সালে বাংলা একাডেি তার প্রকাশিত এবং অপ্রকাশিত সমস্ত রচনা রচনাবলি আকারে প্রকাশ করে।

বাতাস এর সমার্থক শব্দ: অনিল, পবন, হাওয়া, সমীর, সমীরণ, মারুত, গন্ধবহ, বায়ু, বাত, বায়, প্রভঞ্জন ইত্যাদি।

রবীন্দ্রনাথের নাটক সংখ্যা ১৯টি এবং গীতিনাট্য ২৯ টি।

রূপক ও সাংকেতিক নাটকঃ কালের যাত্রা, তাসের দেশ (১৯৩৩), রাজা (১৯১০), ডাকঘর (১৯১২), অচলায়তন (১৯১২), রাজা ও রানী, মুক্তধারা, রক্তকরবী (১৯২৬), শারদোৎসব, ফাল্গুন। 

গীতিনাট্যঃ বসন্ত (গীতিনাট্য, ১৯২৩), কাল মৃগয়া, বাল্মীকি প্রতিভা। 

নৃত্যনাট্যঃ শ্যামা, চিত্রাঙ্গদা, নটীর পূজা, চন্ডালিকা, শাপ মোচন। 

ট্র্যাজেডি নাটকঃ বির্সজন (১৮৯১), 

কাব্য নাট্যঃ মালিনী। 

প্রহসনঃ চিরকুমার সভা (১৯২৬), বৈকুন্ঠের খাতা, গোঁড়ায় গলদ, মায়ার খেলা। রুদ্রচন্ড (১৮৮১): এটি তাঁর প্রকাশিত প্রথম নাটক। তবে অনেকের মতে 'রুদ্রচন্ড' আসলে নাটক নয়,

এতে সামান্য নাটকীয়তা আছে মাত্র। বাল্মীকি প্রতিভা (১৮৮১): অনেকের মতে 'বাল্মীকি প্রতিভা' রবীন্দ্রনাথের প্রকাশিত প্রথম নাটক।

বসন্ত: 'বসন্ত' একটি গীতিনাট্য যাতে যৌবনের প্রতীক ঋতুরাজ বসন্তের জয়গান গাওয়া হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ এই নাটকটি কাজী নজরুল ইসলামকে উৎসর্গ করেন।

কালের যাত্রা: এই নাটকটি তিনি শরৎচন্দ্রকে উৎসর্গ করেন।

বির্সজন: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মঞ্চসফল এবং জনপ্রিয় নাটকগুলোর অন্যতম বির্সজন। অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত এই কাব্যনাট্যে গোমতী নদীর কথা উল্লেখ আছে। এই নাটকে রবীন্দ্রনাথ রঘুপতি ও জয়সিংহের ভূমিকায় বিভিন্ন চরিত্রে

অভিনয় করেন। মূলচরিত্র গুলো হল- জয়সিংহ,

রঘুপতি, অর্পণা।

তাসের দেশ: 'তাসের দেশ' রূপক নাটক। রবীন্দ্রনাথের নিজেরই 'এক আষাঢ়ে গল্প' নামক গল্পের কাহিনি এই নাটকের উপজীব্য। এই নাটকটিগল্পের কাহিনি এই নাটকের উপজীব্য। এই নাটকটি তিনি নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুকে উৎসর্গ করেন। রক্তকরবী: 'রক্তকরবী' তাঁর একটি সাংকেতিক নাটক। এটি 'প্রবাসী' পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। বৈকুন্ঠের খাতা: এটি তাঁর জনপ্রিয় কৌতুক নাটক।

মুক্তধারা: মুক্তধারা নাটকের প্রথম নাম ছিল 'মন'। অরূপরতন: অরূপরতন 'রাজা' এর সংক্ষিপ্ত রূপ।

ডাকঘর: সাংকেতিক নাটক। এর প্রধান চরিত্র অমল

যে সমাসে বিশেষণ বা বিশেষণভাবাপন্ন পদের সাথে বিশেষ্য বা বিশেষ্যভাবাপন্ন পদের সমাস হয় এবং পরপদের অর্থই প্রধানরূপে প্রতীয়মান হয়, তাকে কর্মধারয় সমাস বলে। পূর্বপদে 'কু' বিশেষণ থাকলে এবং পরপদে প্রথমে স্বরধ্বনি থাকলে 'কু' স্থানে 'কৎ' হয়। যেমন: কু যে অর্থ = কদর্থ, কু যে আচার = কদাচার।

ক, খ, গ, ঘ পরে থাকলে বাংলা বানানের নিয়ম অনুসারে পদের অন্তঃস্থ 'ম্' স্থানে অনুস্বার (ং) লেখা যাবে। যেমন অহংকার, ভয়ংকর, সংগীত ইত্যাদি। বিকল্পে 'ঙ' লেখা যাবে। ক্ষ - এর পূর্বে সর্বত্র 'ঙ' হবে। যেমন- আকাঙক্ষা।

ঈশ্বরচন্দ্রকে সংস্কৃত কলেজ 'বিদ্যাসাগর' উপাধি দান করে। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (২৬ সেপ্টেম্বর ১৮২০ – ২৯ জুলাই ১৮৯১) উনবিংশ শতকের একজন বিশিষ্ট বাঙালি শিক্ষাবিদ, সমাজ সংস্কারক ও গদ্যকার। তাঁর প্রকৃত নাম ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্যে অগাধ পাণ্ডিত্যের জন্য প্রথম জীবনেই তিনি সংস্কৃত কলেজ থেকে "বিদ্যাসাগর" উপাধি লাভ করেন। সংস্কৃত ছাড়াও বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় বিশেষ ব্যুৎপত্তি ছিল তাঁর। তিনিই প্রথম বাংলা লিপি সংস্কার করে তাকে যুক্তিবহ ও অপরবোধ্য করে তোলেন। বাংলা গদ্যের প্রথম সার্থক রূপকার তিনিই। তাঁকে বাংলা গদ্যের প্রথম শিল্পী বলে অভিহিত করেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি রচনা করেছেন যুগান্তকারী শিশুপাঠ্য বর্ণপরিচয় সহ একাধিক পাঠ্যপুস্তক, সংস্কৃত ব্যাকরণ গ্রন্থ।

মাহমুদুল হকের বহুল পঠিত উপন্যাস 'জীবন আমার বোন। এটি বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের পটভূমিতে রচিত উপন্যাস। তার উল্লেখযোগ্য কর্ম: কালো বরফ, জীবন আমার বোন, মাটির জাহাজ, প্রতিদিন একটি রুমাল, আমি সম্রাট।

বাংলা একাডেমি থেকে যে ৬ টি পত্রিকা প্রকাশিত হয়, তার মধ্যে 'উত্তরাধিকার' একটি। প্রথমে মাসিক পত্রিকা হিসেবে প্রকাশিত হলে ও ১৯৮৩ সালে তা ত্রৈমাসিক করা হয়। 'ধান শালিকের দেশ' হচ্চে ত্রৈমাসিক কিশোর পত্রিকা। 'লাঙ্গল' পত্রিকাটি কাজী নজরুল ইসলাম সম্পাদনা করেন। এটি ১৯২৫ সালে প্রকাশিত হয়।

সাদাটে হলুদ বর্ণ- পাণ্ডুর

 ফিকা কমলা রঙ বাসন্তী

ফিকে লাল রঙ বিশিষ্ট' এর এক কথায় প্রকাশ হল কাষায়।