Description (Added)

স্থির তরঙ্গের পরপর দুটি নিস্পন্দ বিন্দুর মধ্যবর্তী দূরত্ব হল λ/2 

ব্যাখ্যা:

  • স্থির তরঙ্গ হল এমন তরঙ্গ যা স্থানের সাথে সময়ের সাথে পরিবর্তিত হয় না।
  • এই ধরণের তরঙ্গে, নির্দিষ্ট বিন্দুগুলি থাকে যেখানে কোন স্পন্দন বা কম্পন থাকে না।
  • এই বিন্দুগুলিকে "নিস্পন্দ বিন্দু" বলা হয়।
  • দুটি নিস্পন্দ বিন্দুর মধ্যবর্তী দূরত্ব তরঙ্গের দৈর্ঘ্যের সাথে সম্পর্কিত।

কারণ:

  • একটি স্থির তরঙ্গের দৈর্ঘ্য হল দুটি পরপর নিস্পন্দ বিন্দুর মধ্যবর্তী দূরত্ব।
  • অন্য কথায়, একবার একটি নিস্পন্দ বিন্দু থেকে শুরু করে, পরবর্তী নিস্পন্দ বিন্দুতে পৌঁছাতে তরঙ্গকে λ দূরত্ব অতিক্রম করতে হয়।
  • তরঙ্গের অন্যান্য বৈশিষ্ট্য, যেমন কম্পাঙ্ক এবং তরঙ্গবেগ, তরঙ্গের দৈর্ঘ্যের সাথেও সম্পর্কিত।

সূত্র:

  • তরঙ্গের দৈর্ঘ্য (λ) = তরঙ্গবেগ (v) / কম্পাঙ্ক (f)
  • যেখানে, v = তরঙ্গের বেগ (m/s) এবং f = কম্পাঙ্ক (Hz)

উদাহরণ:

  • ধরুন একটি স্থির তরঙ্গের তরঙ্গবেগ 2 m/s এবং কম্পাঙ্ক 10 Hz।
  • তাহলে, তরঙ্গের দৈর্ঘ্য (λ) = 2 m/s / 10 Hz = 0.2 m = 20 cm।
  • এই ক্ষেত্রে, পরপর দুটি নিস্পন্দ বিন্দুর মধ্যবর্তী দূরত্ব হবে 20 cm / 2 = 10 cm।

সুতরাং, সঠিক উত্তর হল "λ/2"।

অবতল দর্পণের বক্রতার কেন্দ্রে বস্তু স্থাপন করলে প্রতিবিম্ব বক্রতার কেন্দ্রেই সৃষ্টি হবে।

ব্যাখ্যা:

  • অবতল দর্পণের ক্ষেত্রে, আলোর রশ্মি দর্পণের দিকে প্রসারিত হয়ে দর্পণের ফোকাস বিন্দুতে মিলিত হয়।
  • যখন কোন বস্তু বক্রতার কেন্দ্রে স্থাপন করা হয়, তখন বস্তু থেকে আগত আলোর রশ্মি দর্পণের সাথে সমান্তরালভাবে পড়ে।
  • দর্পণের নিয়ম অনুযায়ী, সমান্তরাল আলোর রশ্মি দর্পণ থেকে প্রতিফলিত হয়েও সমান্তরালই থাকে।
  • এবং সমান্তরাল আলোর রশ্মি অবতল দর্পণের ক্ষেত্রে বক্রতার কেন্দ্রেই মিলিত হয়।

ট্রানজিস্টরের প্রবাহ বিবর্ধন গুণক (α) নির্ণয়:

প্রয়োজনীয় তথ্য:

  • সংগ্রাহক প্রবাহ (Ic) = 0.95 mA
  • নিঃসারক প্রবাহ (Ie) = 1 mA

অজানা:

  • প্রবাহ বিবর্ধন গুণক (α)

সূত্র:

  • প্রবাহ বিবর্ধন গুণক (α) = সংগ্রাহক প্রবাহ (Ic) / নিঃসারক প্রবাহ (Ie)

সমাধান:

  • উপরে প্রদত্ত সূত্র ব্যবহার করে প্রবাহ বিবর্ধন গুণক (α) নির্ণয় করা যাবে:
    • α = 0.95 mA / 1 mA
    • α = 0.95

উত্তর:

ট্রানজিস্টরের প্রবাহ বিবর্ধন গুণক (α) 0.95

রেডিয়ামের ক্ষয় ধ্রুবক নির্ণয়:

প্রয়োজনীয় তথ্য:

  • রেডিয়ামের অর্ধায়ু (t½) = 1622 বছর

সূত্র:

  • ক্ষয় ধ্রুবক (λ) = 0.693 / অর্ধায়ু (t½)

সমাধান:

  • উপরে প্রদত্ত সূত্র ব্যবহার করে ক্ষয় ধ্রুবক (λ) নির্ণয় করা যাবে:
    • λ = 0.693 / 1622 বছর
    • λ ≈ 4.272 × 10^(-4) / বছর

উত্তর:

রেডিয়ামের ক্ষয় ধ্রুবক প্রায় 4.272 × 10^(-4) প্রতি বছর

টানা তারের কম্পাঙ্ক (f) তারের টান (T) এর সাথে সম্পর্কিত।

এই সম্পর্কটি নিম্নলিখিত সূত্র দ্বারা প্রকাশ করা যেতে পারে:

f = √(T/μ)

যেখানে:

  • f = কম্পাঙ্ক (Hz)
  • T = টান (N)
  • μ = রৈখিক ঘনত্ব (kg/m)

ধারণা:

  • এই সমস্যায়, রৈখিক ঘনত্ব (μ) স্থির রয়েছে কারণ আমরা একই তার ব্যবহার করছি।
  • আমাদের লক্ষ্য হল দ্বিগুণ কম্পাঙ্ক (f2 = 200 Hz) অর্জন করা।

সূত্র ব্যবহার করে:

  • 200 Hz = √(T2/μ)
  • 100 Hz = √(T1/μ)

বর্গ করে পেয়ে:

  • 40000 Hz2 = T2/μ
  • 10000 Hz2 = T1/μ

T2/T1 = 4

উত্তর:

টানের পরিমাণ চার গুণ বাড়াতে হবে যাতে তার দ্বিগুণ কম্পাঙ্ক (200 Hz) তৈরি করতে পারে।

কম্পাঙ্ক (f): প্রতি সেকেন্ডে তরঙ্গের সংখ্যা।

সূত্র:

  • f = v / λ
  • যেখানে,
    • v = তরঙ্গের বেগ (m/s)
    • λ = তরঙ্গদৈর্ঘ্য (m)

1. তরঙ্গের বেগ (v) নির্ণয়:

4 সেকেন্ডে 20 টি তরঙ্গ তৈরি করলে, প্রতি সেকেন্ডে তরঙ্গের সংখ্যা (f0) হবে:

  • f0 = 20 তরঙ্গ / 4 s = 5 তরঙ্গ/s

তরঙ্গ বেগ (v) হলো প্রতি সেকেন্ডে তরঙ্গের দূরত্ব:

  • v = f0 * λ
  • v = 5 তরঙ্গ/s * 0.1 m/তরঙ্গ
  • v = 0.5 m/s

2. কম্পাঙ্ক (f) নির্ণয়:

  • উপরে বের করা তরঙ্গ বেগ (v) এবং তরঙ্গদৈর্ঘ্য (λ) ব্যবহার করে কম্পাঙ্ক (f) নির্ণয় করা যাবে:
    • f = v / λ
    • f = 0.5 m/s / 0.1 m/তরঙ্গ
    • f = 5 Hz

উত্তর:

তরঙ্গের কম্পাঙ্ক (f) হল 5 Hz

ভূমি হতে u আদিবেগে খাড়া উর্ধ্বমুখে নিক্ষিপ্ত কোনো কণার সর্বোচ্চ উচ্চতা:

সূত্র:

ভূমি হতে u আদিবেগে খাড়া উর্ধ্বমুখে নিক্ষিপ্ত কোনো কণার সর্বোচ্চ উচ্চতা (h) নির্ণয় করার জন্য, নিম্নলিখিত সূত্র ব্যবহার করা যেতে পারে:

h = u^2 / (2g)

যেখানে,

  • h = সর্বোচ্চ উচ্চতা (মিটারে)
  • u = নিক্ষেপের সময় আদিবেগ (মিটার প্রতি সেকেন্ডে)
  • g = মাধ্যাকর্ষণ ত্বরণ (9.81 m/s²)

ধাপ ১: সূত্র ব্যবহার:

শব্দের তীব্রতা লেভেল (L) নির্ণয়ের জন্য নিম্নলিখিত সূত্র ব্যবহার করা যেতে পারে:

L = 10 * log10 (I / I₀)

যেখানে,

  • L = শব্দের তীব্রতা লেভেল (ডেসিবেল, dB)
  • I = শব্দের তীব্রতা (W/m^2)
  • I₀ = প্রামাণিক শব্দের তীব্রতা (10^-12 W/m^2)

ধাপ ২: মান বসানো:

সূত্রে প্রশ্নে দেওয়া মানগুলি ব্যবহার করে আমরা পাই:

L = 10 * log10 (1 × 10^-6 / 10^-12) = 10 * log10 (10^6) = 10 * 6 = 60 dB

উত্তর:

মার্কেটের শব্দের তীব্রতা লেভেল 60 ডেসিবেল (dB)।

ট্যানজেন্ট ফাংশন (tan x) এর পর্যায়কাল হল π।

ব্যাখ্যা:

  • পর্যায়কাল: একটি ফাংশনের পর্যায়কাল হলো সেই ন্যূনতম পজিটিভ পিরিয়ড যার জন্য ফাংশনটি নিজেকে পুনরাবৃত্তি করে।
  • ট্যানজেন্ট ফাংশন: ট্যানজেন্ট ফাংশন x-অক্ষকে π অন্তর পর্যায়ক্রমে স্পর্শ করে। এর মান +∞ এবং -∞ এর মধ্যে পরিবর্তিত হয়।

উদাহরণ:

  • যদি আমরা x এর মান π যোগ করি, ট্যানজেন্ট ফাংশনটি একই মান ফেরত দেয়:

tan(x) = tan(x + π)

  • এর মানে হলো, ট্যানজেন্ট ফাংশনটি π অন্তর পর্যায়ক্রমে একই মান ফেরত দেয়।

অন্যান্য ত্রিকোণমিতীয় ফাংশনের পর্যায়কাল:

  • সাইন (sin x):
  • কোসাইন (cos x):
  • কোটানজেন্ট (cot x): π
  • সিকেন্ট (sec x):
  • কোসেকেন্ট (csc x):

কোনো বস্তুর উৎক্ষেপন বেগ মুক্তি বেগের চেয়ে বেশি হলে বস্তুটি পরাবৃত্তাকার পথে পৃথিবীতে ছড়িয়ে যাবে।

ব্যাখ্যা:

  • মুক্তি বেগ হলো ন্যূনতম বেগ যা কোনো বস্তুকে পৃথিবীর আকর্ষণ শক্তি কাটিয়ে উঠে যেকোনো দিকে অগ্রসর হতে প্রয়োজন।
  • যদি কোনো বস্তুর উৎক্ষেপন বেগ মুক্তি বেগের চেয়ে বেশি হয়, তাহলে বস্তুটি পৃথিবীর আকর্ষণ শক্তি কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবে এবং মহাকাশে চলে যাবে।
  • এই ক্ষেত্রে, বস্তুটির গতিপথ পরাবৃত্তাকার হবে কারণ এটি সূর্যের মহাকর্ষীয় আকর্ষণের প্রভাবেও প্রভাবিত হবে।
  • উপগ্রহে পরিণত হওয়া, পৃথিবীতে ফিরে আসা, এবং অধিবৃত্তাকার পথে ছড়িয়ে যাওয়া এই পরিস্থিতিতে সম্ভব নয় কারণ বস্তুটির বেগ মুক্তি বেগের চেয়ে বেশি।