ব্যাংক সমন্বয় প্রক্রিয়ায় সাধারণত গ্রাহক কর্তৃক একটি বিবরণী প্রস্তুত করা হয় যেটিতে ব্যাংক বিবরণী ও নগদান বইয়ে গরমিল বা পার্থক্যের কারণ বা হিসাবসমুহ লিপিবদ্ধ করা হয় সেটিই ব্যাংক সমন্বয় বিবরণী নামে পরিচিত। ব্যাংকসমূহ একটা নির্দিষ্ট সময় পরপর গ্রাহকদের ব্যাংক বিবরণী প্রদান করে থাকে। এই ব্যাংক বিবরণী গ্রাহক তার লিপিবদ্ধ নগদান বইয়ের সাথে মিলিয়ে নেয়। তখন গ্রাহক যদি ব্যাংক বিবরণী ও নগদান বইয়ের মাঝে কোন গরমিল পায় তবে সেটি ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ পূর্বক মিল বা সমন্বয় করা হয়
রেওয়ামিল হচ্ছে হিসাব বিজ্ঞানের এমন একটি ধাপ যেখানে হিসাবে শুদ্ধতা যাচাই করা হয়। অর্থাৎ লেনদেনকে হিসাব বিজ্ঞানের প্রাথমিক ধাপগুলোতে লিপিবদ্ধ করার পর। হিসাবগুলোর গাণিতিক শুদ্ধতা যাচাই করার জন্য একটি শুদ্ধি প্রক্রিয়া এটি। লেনদেনগুলোকে প্রথমেই দুতরফা দাখিলা পদ্ধতি অনুসারে ডেবিট ও ক্রডিট দুটি পক্ষে ভাগ করে লিপিবদ্ধ করার কারণে অবশ্যই এর দুটি পক্ষের গাণিতিক দিক মিল হওয়ার কথা এটাই স্বাভাবিক। তবে অনেক সময় ভুলবশত বিভিন্ন দাখিলা বাদ পড়া বা অন্যান্য কারণে এই গড়মিল হতে পারে। সেই জন্য রেওয়ামিল এর মাধ্যমে শুদ্ধি প্রক্রিয়া করা হয়ে থাকে।
রেওয়ামিল বা ট্রায়াল ব্যালেন্স এর সম্পর্কে আমরা মাধ্যমিক হিসাব বিজ্ঞানে কমবেশি অবহিত রয়েছি। আজ আমরা রেওয়ামিল কিভাবে সহজে শেখা যায় এবং মনে রাখা যায় তার একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনা করবো।
অনেক শিক্ষার্থীরা রেওয়ামিল ভুল পদ্ধতি বা মুখস্থ করে শিখে থাকে যার ফলে ঐ মুখস্থ দাখিলা ব্যাতিত ব্যাতিক্রম কোন দাখিলা প্রশ্নপত্রে আসলে কিংবা একই দাখিলার প্রতিশব্দ বা সিমিলার অর্থবহ কোন দাখিলা আসলে তখন আর পেরে উঠা হয়না। আজ আমি এর কিছু টিক্স বা কৌশল নিয়ে আলোচনা করবো।
রেওয়ামিল প্রস্তুত করার সহজ উপায়:
রেওয়ামিল হচ্ছে জাবেদা হতে প্রস্তুতকৃত খতিয়ানের হিসাব শিরোনামের ব্যালেন্স বা উদ্বৃত্ব। কিন্তু যখন পরীক্ষায় রেওয়ামিল আসে তখন কতগুলো হিসাবের ডেবিট ক্রডিট জেরের দাখিলা দেওয়া থাকে যেখান থেকে আমাদেরকে ডেবিট ও ক্রেডিট নির্বাচন করে লিপিবদ্ধ করে রেওয়ামিল প্রস্তুত করতে হয়।
রেওয়ামিল প্রস্তুত করার পূর্বশর্ত:
রেওয়ামিল প্রস্তুত করার সহজ সূত্র:
১. রেওয়ামিল প্রস্তুতের সময় ডেবিট দিকে যে সকল দফা/দাখিলাগুলো যাবে:
সকল প্রকার.....
আরও দেখুন...