বিশাল বিস্তৃত রাজ্য শাসন করতেন কে?
মহান আল্লাহ তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব প্রকাশের জন্য মানুষ সৃষ্টি করেছেন। মানুষ সৃষ্টির মূল উদ্দেশ্য হলো মহান আল্লাহর ইবাদত করা, আল্লাহর বিধিনিষেধ মান্য করা। আর এসব বিধিনিষেধ যথাযথভাবে অনুসরণ করার জন্য অবশ্যই একটি অনুসরণীয় নীতিমালা প্রয়োজন । যাকে আমরা আদর্শ বলতে পারি। মহান আল্লাহর পক্ষ হতে আগত নবিগণের জীবনচরিত আমাদের আদর্শ। এর মধ্যে হযরত মুহাম্মদ (স.) এর জীবনচরিত হলো সর্বশ্রেষ্ঠ আদর্শ। এমনিভাবে যাঁরা নবি ও রাসুলগণের জীবনী অনুকরণ করে ধন্য হয়েছেন তাঁদের জীবনের ভালো দিকগুলোকেও আমরা আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করব।
এ অধ্যায় শেষে আমরা-
■ আদর্শ জীবনচরিতের বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা করতে পারব ।
■ হযরত সুলায়মান (আ.), হযরত মুসা (আ.) ও হযরত ঈসা (আ.) এর জীবনচরিত বর্ণনা করতে পারব এবং তাঁদের গুণাবলি বাস্তব ■ জীবনে প্রতিফলনে আগ্রহী হব।
■ হযরত মুহাম্মদ (স.)-এর মক্কা বিজয়ের প্রেক্ষাপট, মক্কা বিজয়, উদারতা, মুহাজির ও আনসারগণের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব বন্ধন, বিদায় হজের ভাষণ ও আদর্শ সম্পর্কে ব্যাখ্যা করতে পারব এবং মহানবি (স.) এর আদর্শ বাস্তব জীবনে প্রতিফলনে উৎসাহী হব।
■ হযরত আয়েশা (রা.)-এর পরিচয়, শিক্ষাজীবন, ইফকের ঘটনা, শিক্ষায় অবদান, শিক্ষকতা, গুণাবলি ও মর্যাদা সম্পর্কে বিশ্লেষণ করতে পারব এবং বাস্তব জীবনে প্রতিফলন ঘটাতে উদ্বুদ্ধ হব।
■ হযরত উমর ইবনে আব্দুল আজিজ (র.) ও হযরত রাবেয়া বসরি (র.)-এর জীবনচরিত বর্ণনা করতে পারব ও অনুসরণে আগ্রহী হব।
■ বাস্তব জীবনে মনীষীগণের গুণাবলি অনুসরণ করে আদর্শ জীবন গঠনে উদ্বুদ্ধ হব।
■ দলগতকাজে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষা করতে পারব এবং সামগ্রিকভাবে নেতৃত্ব প্রদানে আগ্রহী হতে পারব।