এই ফোঁড় দেখতে অনেকটা শেকলের মতো। চেইন ফোঁড়ের জন্যে অপেক্ষাকৃত একটু মোটা সুতা নিই। সুতার শেষ মাথায় শক্ত করে গিঁট দিই। অথবা শক্ত করে একটি ফোঁড় তুলি। সুই, - সুতা টেনে ওপরে তুলি। এবার সুচের মাথায় ডান হাত বাঁয়ে সুতা ঘুরিয়ে একটি ফোঁড় তুলি। দেখব ফোঁড়টি একটি বেড়ির মতো হয়েছে (হাত ঘুরাবার সময় সুতা কিছুটা ঢিলে রাখবে)। সুচটিকে এবার আগের ফোঁড়ের পাশ দিয়ে ঢুকিয়ে নিচ থেকে ওপরে তুলি। ফোঁড় তোলার সময় সুচ, সুতার ওপর সবসময় রাখতে হবে। সুতা আবার ডান থেকে বাঁয়ে ঘুরিয়ে ফোঁড় তুলি। এভাবে ফোঁড়ের পাশ দিয়ে সুই ঢুকিয়ে নিচ থেকে ওপরে সুতা আনি।
চেইন ফোঁড় দিয়ে যেকোনো পোশাকে নকশা করা যায়। বিশেষ করে জামা, শাড়ি, রুমাল, টেবিলের কাপড় ইত্যাদিতে ফুল, লতাপাতা করা যায়। ভরাট কাজেও এই ফোঁড় ব্যবহার করতে পারব। চিত্রকলায় বৈচিত্র্য আনতে এই সেলাই ব্যবহার করতে পারব।
লেজি-ডেইজি ফোঁড় চেইন ফোঁড়ের মতোই করতে হয়। তবে চেইন সেলাইয়ে ফোঁড়গুলো লাইন ধরে সামনে এগিয়ে যায় এবং এ ফোঁড়গুলোর আলাদা আলাদা এক-একটি চেইন ফোঁড় থাকে। রুমাল, ছোটোদের জামা-কাপড় বা যেকোনো পোশাক-পরচ্ছিদ থোকা থোকা ফুল, নকশা, লতা, পাতা ইত্যাদি এই ফোঁড় দিয়ে করলে চমৎকার দেখায়।
এবার রুমালে ফুল লতা-পাতার নকশা এঁকে তাতে লেজি-ডেইজি ফোঁড় তুলে নকশাটি ফুটিয়ে তুলি। বিভিন্ন রকমের ফোঁড় শেখা হলো। এবার একটি রুমাল ও টেবিলের কাপড় তৈরি করার চেষ্টা করি। রুমাল প্রত্যেকেরই প্রয়োজন। আমরা স্কুলে বা অন্য কোথাও বের হবার সময় সাথে একটি রুমাল রাখি। তাহলে প্রথমেই একটি রুমাল তৈরি করা শিখি। রুমাল সেলাই শিখে নিজে ব্যবহার করতে পারব। অন্যদেরও উপহার দিতে পারব।
Read more