প্রতিদিন পাঁচবার মসজিদে জামাআত হয়। পাড়ার, মহল্লার লোকজন একসাথে সালাত আদায় করেন। এতে পরস্পর দেখা-সাক্ষাৎ হয়, কুশলাদি জানা যায়। সুখে-দুঃখে একে অন্যের সাহায্য-সহযোগিতার সুযোগ হয়।
প্রতি সপ্তাহে জামে মসজিদে আরও বড় আকারে জুমুআর জামাআত হয়। শুক্রবারে জুমুআর সালাতের জন্য অনেক মুসল্লির সমাবেশ ঘটে। আল্লাহপাক বলেন,“জুমুআর দিন আযান হলে সালাতের জন্য দ্রুত যাও। বেচাকেনা বন্ধ রাখ। সালাত শেষে পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর রহমত তালাশ কর।”
জুমুআর দিন গোসল করা, ভালো পোশাক পরা, আতরমাখা সুন্নত। এদিন যোহরের সালাতের পরিবর্তে জুমুআর দুই রাকআত সালাত ফরজ।
ফরজ সালাতের আগে চার রাকআত কাবলাল জুমুআ সালাত পড়া সুন্নত। ফরজের পর চার রাকআত বাদাল জুমুআ সালাত পড়াও সুন্নত। এ ছাড়া সময় পেলে নফল সালাত পড়াও উত্তম ।
জুমুআর সালাত যোহরের ওয়াক্তেই জামাআতে আদায় করতে হয়। জামাআত ছাড়া জুমুআর ফরজ আদায় হয় না ।
জুমুআর জন্য দুটি আযান দেওয়া হয়। প্রথম আযান মিনারায় বা মসজিদের বাইরে দিতে হয়। ইমাম সাহেব খুতবা দিতে মিম্বারে বসলে দ্বিতীয় আযান দিতে হয়। এরপর ইমাম মিম্বারে দাঁড়িয়ে দুটি খুতবা দেন। খুতবা অর্থ বক্তৃতা। খুতবায় ইসলামের বিভিন্ন বিষয় আলোচনা করা হয় ।
খুতবা শোনা ওয়াজিব। এ সময় কথা বলা বা অন্য কিছু করা যায় না। এমনকি সালাত আদায় করাও নিষেধ।
খুতবা শেষে ইমামের সাথে দুই রাকআত ফরজ সালাত আদায় করতে হয়। ফরজের আগে নিয়ত করব, “আমি কিবলামুখি হয়ে আল্লাহর ওয়াস্তে দুই রাকআত জুমুআর ফরজ সালাত এই ইমামের সাথে পড়ার নিয়ত করলাম আল্লাহু আকবর।” তবে নিয়ত মুখে উচ্চারণ করা বা পড়া আবশ্যক নয় ।
জুমুআর সালাত মোট দশ রাকআত। চার রাকআত কাবলাল জুমুআ সুন্নত। দুই রাকআত ফরজ । চার রাকআত বাদাল জুমুআ সুন্নত।
আরও দেখুন...