আল্লাহ তায়ালা বলেন, “যারা পাক-পবিত্র থাকে আল্লাহ তাদের ভালোবাসেন।”
মহানবি (স) বলেন, “পবিত্রতা ইমানের অঙ্গ।”
পাক-পবিত্র থাকাকেই তাহারাত বলে। তাহারাত অর্থ পবিত্রতা। ওযু করা, গোসল করা ইত্যাদি। যারা পাকসাফ থাকে, পরিষ্কার পোশাক পরে, তাদেরকে সবাই ভালোবাসে। সবাই তাদের আদর করে। পাকসাফ থাকলে দেহমন ভালো থাকে। লেখাপড়ায় মন বসে। আল্লাহ খুশি হন।
ওযু-
কুরআন মজিদে আল্লাহ তায়ালা সালাত আদায়ের আগে ওযু করার নির্দেশ দিয়েছেন। পাকসাফ ও পবিত্র থাকার অনেক নিয়ম আছে। ওযু তার মধ্যে একটি উত্তম নিয়ম। সালাতের আগে ওযু করা ফরজ। ওযু ছাড়া সালাত আদায় হয় না
ওযুর ফরজ
ওযুর ফরজ চারটি। যথা :
১. মুখমণ্ডল ধোয়া।
২. কনুইসহ উভয় হাত ধোয়া ।
৩. চার ভাগের এক ভাগ মাথা মাসাহ করা।
৪. গিরাসহ উভয় পা ধোয়া
পরিকল্পিত কাজ : ওযুর ফরজগুলোর একটি তালিকা তৈরি করবে। |
ওযুর সুন্নত
ওযুর সুন্নত ১১টি। যথা :
১. নিয়ত করা,
২. বিসমিল্লাহ বলে ওযু আরম্ভ করা,
৩. দাঁত মাজা,
৪. কব্জি পর্যন্ত দুই হাত তিনবার ধোয়া,
৫. তিনবার কুলি করা,
৬. পানি দিয়ে তিনবার নাক সাফ করা,
৭. প্রত্যেক অঙ্গ তিনবার ধোয়া,
৮. কান মাসাহ করা,
৯. হাত-পা ধোয়ার সময় ডান হাত ও ডান পা আগে ধোয়া,
১০. সম্পূর্ণ মাথা একবার মাসাহ করা,
১১. ওযুর কাজগুলো ধারাবাহিকভাবে পর পর করা।
আব্বা-আম্মা, বড় ভাইবোন, শিক্ষক ও মসজিদের ইমাম সাহেব ভালোভাবে ওযু করেন।
আমরা তাঁদের ওযু দেখে ভালোভাবে ওযু করা শিখব।
পরিকল্পিত কাজ : শিক্ষক প্রথমে ওযু করে শিক্ষার্থীদের দেখাবেন। এরপর শিক্ষার্থীরা ওযু করবে। শিক্ষক দেখবেন। প্রয়োজন অনুযায়ী নির্দেশনা দেবেন ৷ |
ওযু নষ্ট হওয়ার কারণ
নানা কারণে ওযু নষ্ট হয়। এগুলোর প্রতি আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। যেসব কারণে ওযু নষ্ট হয় তা হলো :
১. পেশাব বা পায়খানার রাস্তা দিয়ে কিছু বের হলে।
২. মুখ ভরে বমি করলে।
৩. কোনো কিছু ঠেস দিয়ে বা শুয়ে ঘুমিয়ে পড়লে।
৪. অজ্ঞান হলে।
৫. রক্ত বা পুঁজ বের হয়ে শরীর থেকে গড়িয়ে পড়লে।
৬. সালাতের মধ্যে উচ্চস্বরে হেসে ফেললে।
ওযু করা ফরজ। ওযু ছাড়া সালাত আদায় হয় না। ওযু সম্পর্কে আমরা সাবধান থাকব। ওযু নষ্ট হলে ওযু করে নেব।
পরিকল্পিত কাজ : ওযু নষ্ট হওয়ার কারণগুলো লিখবে। |
আরও দেখুন...