ঈশ্বরের সৃষ্টি কী অপূর্ব সুন্দর! দেখে আমরা মুগ্ধ হই। মানুষ, গাছপালা, জীবজন্তু সবকিছুই চমৎকার - অতি উত্তম! তিনি তাঁর মুখের কথায় এসব সৃষ্টি করলেন। নিজের প্রতিমূর্তিতে তিনি মানুষ সৃষ্টি করলেন। মানুষের জীবন ধারণ ও বেঁচে থাকার প্রয়োজনে তিনি সৃষ্টি করলেন বিশ্বপ্রকৃতি, গাছপালা, ফুল-ফল-ফসল, পশু-পাখি, পাহাড়-পর্বত, নদী-নালা-সমুদ্র। প্রকৃতি ও জীবজগতের উপর মানুষের জীবন নির্ভরশীল। মানুষ, প্রকৃতি ও জীবজগৎ পরস্পর সম্পর্কযুক্ত। প্রকৃতি ও জীবজগৎ ছাড়া মানুষের বেঁচে থাকা অসম্ভব। কারণ প্রকৃতি ও জীবজগৎ থেকেই মানুষ তার জীবন ধারণের জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় উপাদান পেয়ে থাকে। তাই মানুষ, প্রকৃতি ও জীবজগৎ সৃষ্টি সম্পর্কে জানা প্রয়োজন।
বিশ্বসৃষ্টির দিকে তাকিয়ে ধ্যান করি এবং মনে মনে সুন্দর সৃষ্টির জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।
আমরা দেখি এ বিষয়ে পবিত্র বাইবেলে কী লেখা আছে।
আদিকালে ঈশ্বর আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টি করলেন। পৃথিবী ছিল শূন্য ও অন্ধকার। ঈশ্বর বললেন, আলো হোক। সঙ্গে সঙ্গে আলো হলো। ঈশ্বর অন্ধকার থেকে আলো ভিন্ন করে দিলেন। আলোর নাম রাখলেন 'দিন' এবং অন্ধকারের নাম 'রাত্রি'। ঈশ্বর দিনের জন্য সূর্য তৈরি করলেন এবং রাতের জন্য চাঁদ ও তারা। তিনি সূর্য, চাঁদ ও তারা আকাশের বুকে বসালেন, যেন পৃথিবী আলোকিত হয়।
তারপর ঈশ্বর বললেন, সমস্ত জল এক জায়গায় আসুক ও ভূমি জেগে উঠুক। তখন স্থলভাগ জেগে উঠলো এবং সাগরের সৃষ্টি হলো।
তারপর ঈশ্বর বললেন, মাটি থেকে ঘাস ও ফলের গাছ উৎপন্ন হোক। তখনই মাটিতে ঘাস ও সবরকমের গাছ জন্মাল। তখন ঈশ্বর চেয়ে দেখলেন, তাঁর সমস্ত কাজ চমৎকার। (আদিপুস্তক ১: ১-১২)