শ্রীশ্রীচণ্ডী হিন্দুধর্মাবলম্বীদের একটি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ। এটি স্বতন্ত্রভাবে রচিত হয়নি। শ্রীশ্রীচণ্ডী হচ্ছে মার্কণ্ডেয় পুরাণের একটি অংশ। মার্কণ্ডেয় পুরাণের ৮৩ থেকে ১৫ পর্যন্ত ১৩টি অধ্যায়ের নাম চণ্ডী। মার্কণ্ডেয় পুরাণের এ অংশটির নাম ছিল দেবীমাহাত্ম্য। চণ্ডীতে সাতশত মন্ত্র আছে, তাই এর আরেক নাম সপ্তশতী। মহাভারতের অংশ হয়েও গীতা যেমন পৃথক গ্রন্থের মর্যাদা পেয়েছে, তেমনি শ্রীশ্রীচণ্ডীও মার্কণ্ডেয় পুরাণের অংশ হয়েও বিষয়বস্তু ও রচনার গুণে আলাদা গ্রন্থের মর্যাদা পেয়েছে। শ্রীশ্রীচণ্ডীতে রাজা সুরথ ও সমাধি বৈশ্যের কাহিনি, দেবী মহামায়া, দেবী দুর্গা, দেবী অম্বিকা ও দেবী কালিকার উদ্ভব ও মহিমা বর্ণিত হয়েছে। দুর্গাপূজা ও বাসন্তী পূজার সময় বিশেষভাবে চণ্ডী পাঠ করা হয়। গীতার মতো চণ্ডীও একটি নিত্যপাঠ্য গ্রন্থ।
পুরাণ মতে সর্বপ্রথম রাজা সুরথ বসন্তকালে দেবীর আরাধনা শুরু করেন। এজন্য এ পূজার নাম হয় বাসন্তীপূজা। বর্তমানে শরৎকালে যে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয় এটি মূলত অকাল বোধন। অপহৃত সীতাকে উদ্ধার করতে রাবণের সাথে যুদ্ধ করার আগে শ্রীরামচন্দ্র শরৎকালে এ পূজার আয়োজন করেছিলেন। কালক্রমে শরতের এ পূজাই বর্তমানে অধিক গুরুত্ব পাচ্ছে এবং শারদীয় দুর্গোৎসব নামে পরিচিতি লাভ করেছে। শরতের আগমনীবার্তা নিয়ে মর্ত্যে পদার্পণ করেন দেবী দুর্গা। শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী তিথিতে দেবী অবস্থান করেন আমাদের পৃথিবীতে।
দলীয় কাজ: শ্রীশ্রীচণ্ডীর কয়েকটি বৈশিষ্ট্য লেখ। |
নতুন শব্দ: বোধন, চরিত।
Read more