SATT ACADEMY

New to Satt Academy? Create an account


or
Log in with Google Account

নবম শ্রেণি (মাধ্যমিক ২০২৪) - ইসলাম শিক্ষা - Islamic Study - আকাইদ | NCTB BOOK

তাওহিদের মর্মবাণী

একজন মু'মিনের কাছে সবচেয়ে বড় এবং অমূল্য সম্পদ তার ইমান। তার ইমানের কাছে এ দুনিয়ার সকল সম্পদ, সামগ্রী ও ক্ষমতা একেবারেই তুচ্ছ। আর এ ইমানের সর্বপ্রথম ও সর্বপ্রধান বিষয় হলো তাওহিদ বা আল্লাহর একত্বে দৃঢ় বিশ্বাস। ইসলাম নামক চির শান্তির গৃহের প্রবেশদ্বার হলো তাওহিদে বিশ্বাস। এ বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করেই মু'মিনের সকল চিন্তা ও কাজ নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই তাওহিদে বিশ্বাস হচ্ছে মু'মিন জীবনের মূল চালিকাশক্তি।

'লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ' অর্থাৎ আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ বা উপাস্য নেই-এটি হচ্ছে তাওহিদে বিশ্বাসের মূলমন্ত্র। এটি ইসলামের একটি কালিমা বা বাণী। এটিকে বলা হয় কালিমাতুত তাইয়্যেবাহ। আবার এটিকে কালিমাতুত তাওহিদও বলা হয়।

লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ তথা তাওহিদের বাণীর প্রচার ছিল সকল নবি-রাসুলের প্রধান কাজ। তাঁরা সকলেই মানুষের কাছে আল্লাহর একত্ববাদের বাণী প্রচার করেছিলেন এবং এককভাবে আল্লাহরই ইবাদাত করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। আমাদের প্রিয় নবি মুহাম্মাদ (সা.) রিসালাতের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে আজীবন মানুষের কাছে তাওহিদের বাণী প্রচার করেছেন। তিনি মানুষকে তাওহিদের পথে আহ্বান জানিয়ে বলতেন, 'হে লোক সকল! তোমরা বলো আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। তাহলে তোমরা সফলকাম হবে।' (আহমাদ)

মহানবি (সা.)-কে আহলে কিতাব তথা পূর্ববর্তী আসমানি কিতাবের অনুসারীদের নিকট তাওহিদের দাওয়াত দেওয়ার নীতি ও কৌশল সম্পর্কে নির্দেশনা দিয়ে মহান আল্লাহ বলেন, 'বলুন, 'হে আহলে-কিতাবগণ! একটি বিষয়ের দিকে আস, যা আমাদের মধ্যে ও তোমাদের মধ্যে সমান যে, আমরা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো ইবাদাত করব না, তাঁর সঙ্গে কোনো শরিক সাব্যস্ত করব না এবং একমাত্র আল্লাহকে ছাড়া কাউকে পালনকর্তা মনে করব না'। (সূরা আলে-ইমরান, আয়াত: ৬৪) মূলত সকল নবি-রাসুলের আহ্বানের কালিমা ছিল একটাই। আর তা হলো: আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। দুনিয়াতে যুগে যুগে নবি-রাসুল প্রেরণের প্রধান উদ্দেশ্যও ছিল মানুষের মাঝে তাওহিদের বাণী প্রচার। মহান আল্লাহ বলেন-

وَلَقَدْ بَعَثْنَا فِي كُلِّ أُمَّةٍ رَّسُولًا أَنِ اعْبُدُوا اللَّهَ وَاجْتَنِبُوا الطَّاغُوتَ

অর্থ: আল্লাহর 'ইবাদাত করার এবং তাগুতকে বর্জন করার নির্দেশ দেবার জন্য আমি তো প্রত্যেক জাতির মধ্যেই রাসুল পাঠিয়েছি। (সূরা আন-নাহল, আয়াত: ৩৬)

মহান আল্লাহ আরো বলেন, 'আমি আপনার পূর্বে এমন কোনো রাসুল পাঠাইনি তার কাছে এ ওহি ব্যতীত যে, আমি ব্যতীত অন্য কোনো ইলাহ নেই; সুতরাং আমারই ইবাদাত করো'। (সূরা আল-আম্বিয়া, আয়াত: ২৫)।

তাওহিদে বিশ্বাসের প্রভাব

মানব জীবনে তাওহিদে বিশ্বাসের প্রভাব অপরিসীম। তাওহিদে বিশ্বাসের ফলে মানুষের চরিত্রে অনেক স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য ফুটে ওঠে। তাওহিদে বিশ্বাস তাকে সৎকর্মশীল করে তোলে। কারণ, সে মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে যে তাকে পরকালে আল্লাহর কাছে দুনিয়ার জীবনের ভালো-মন্দ সব কাজের হিসাব দিতে হবে। তার কোনো মন্দ কাজ দুনিয়ার কেউ না দেখলেও তা মহান আল্লাহর দৃষ্টি এড়িয়ে যেতে পারে না। তিনি সর্বদ্রষ্টা, সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞ। তাই সে পরকালে তার রবের সমীপে হিসাবের কাঠগড়ায় দাঁড়ানোকে ভয় করে এবং এ কারণে প্রবৃত্তির বশবর্তী হয়ে খেয়াল-খুশিমত কোনো কাজ করতে পারে না। আল-কুরআনের ভাষায়: 'পক্ষান্তরে যে স্বীয় প্রতিপালকের সামনে উপস্থিত হওয়ার ভয় রাখে এবং প্রবৃত্তি থেকে নিজেকে বিরত রাখে, জান্নাতই হবে তার আবাস।' (সূরা আন-নাযি'আত, আয়াত: ৪০-৪১)

তাওহিদের চেতনা মানুষকে মানুষের গোলামি থেকে মুক্তি দিয়ে মানবতার মহিমাকে উর্ধ্বে তুলে ধরে। তাই তাওহিদে বিশ্বাসের মাধ্যমে মানুষের আত্মার প্রকৃত মুক্তি ঘটে। ফলে একজন প্রকৃত তাওহিদে বিশ্বাসী ব্যক্তি সকল নীচতা, হীনতা, ভীরুতা ও সংকীর্ণতা থেকে মুক্ত হয়ে নির্ভীক, অকুতোভয় ও সাহসী মানুষে পরিণত হয়। সে যেমন আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো কাছে মাথা নত করে না, তেমনি সে আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো কাছে সাহায্য প্রার্থনাও করে না। সে আনুগত্য ও দাসত্ব করে মহামহিম আল্লাহর-যিনি বিশ্ব জাহানের একচ্ছত্র মালিক, সুবিচারক ও ন্যায়পরায়ণ। পক্ষান্তরে যারা তাওহিদে বিশ্বাসী নয়, আল্লাহকে রেখে তারা আল্লাহরই সৃষ্ট অন্যান্য বস্তুর কাছে মাথা নত করে, যা মানুষের আত্মমর্যাদাকে ভূলুন্ঠিত করে। তাই তাওহিদে বিশ্বাস মানুষকে আত্মসচেতন ও আত্মসম্মানবোধে উদ্দীপ্ত করে।

তাওহিদের বাণী এমন এক অমিয় সুধা, যা পান করে একজন তাওহিদবাদী পরম প্রশান্তি লাভ করে। তখন দুনিয়ার সকল চাওয়া-পাওয়া, দুঃখ-দুর্দশার ঊর্ধ্বে উঠে সে কেবল মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভে ব্যাকুল হয়ে ওঠে। হযরত ইবরাহিম (আ.) যখন তাওহিদের বাণী প্রচার শুরু করেন, তখন নমরুদের রোষানলে পড়ে তিনি আগুনে নিক্ষিপ্ত হন। কিন্তু তাওহিদের চেতনায় তিনি এমন বলীয়ান ছিলেন যে তাতে তিনি বিন্দুমাত্র বিচলিত হননি; বরং এমন বিপদের মুহূর্তেও তিনি ছিলেন নিশ্চিন্ত। তিনি বিশ্বাস করতেন যে, তিনি যে এক ও একক সত্তার ওপর ইমান এনেছেন তিনিই তাঁকে রক্ষা করবেন। তিনি ছাড়া কেউ তাঁর ক্ষতি করতে পারবে না। আবার তিনি যদি তাঁকে রক্ষা না করেন তাহলে দুনিয়ার কোনো শক্তিই তাঁকে রক্ষা করতে পারবে না। এ জন্য হযরত জিরাঈল (আ.) তাঁর কাছে এসে তাঁর ডানা দিয়ে আগুন নিভিয়ে দেওয়ার অনুমতি চাইলে তিনি তাঁর সাহায্যের প্রস্তাব গ্রহণ না করে এক আল্লাহর ওপর ভরসা করলেন। তাঁর ইচ্ছার ওপর নিজেকে পুরোপুরি সোপর্দ করলেন। ফলে আল্লাহর হুকুমে সে আগুন তাঁর জন্য শীতল ও আরামদায়ক হয়ে গেল। তিনি রক্ষা পেলেন। এটি ছিল তাঁর তাওহিদে দৃঢ় বিশ্বাসেরই ফল।

তাওহিদে প্রকৃত বিশ্বাসী ব্যক্তি এক আল্লাহকে স্বীয় রব (প্রভু) হিসেবে পেয়ে খুশি হয়। হাবশি ক্রীতদাস হযরত বেলাল (রা.) ইসলাম গ্রহণ করায় তাঁর জীবনে শুরু হয় তিক্ততা ও বঞ্চনার এক নতুন অধ্যায়। তাঁর মনিব তাঁকে ইসলাম থেকে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টায় অমানবিক নির্যাতন শুরু করে। মরুভূমির উত্তপ্ত বালির উপর শুইয়ে রেখে তাঁর বুকের উপর ভারী পাথর চাপা দিয়ে রাখা হতো। তাঁর গলায় রশি বেঁধে মক্কার রাজপথে তাঁকে হেঁচড়াতে হেঁচড়াতে টেনে নেওয়া হতো, পাথরের আঘাতে তাঁর দেহ থেকে ফিনকি দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে! তাঁকে ইসলাম থেকে ফিরে আসতে বলা হয়। ইসলাম থেকে ফিরলেই তাঁর মুক্তি। নতুবা তাঁকে আরো ভয়াবহ শাস্তি ভোগ করতে হবে। কিন্তু তাওহিদের অমিয় সুধা পানকারী হযরত বেলাল (রা.) সকল ব্যথা, যন্ত্রণা সহ্য করে মুখে অনবরত 'আহাদ, আহাদ' অর্থাৎ, আল্লাহ এক, আল্লাহ এক উচ্চারণ করতেন। কী আশ্চর্য! এত অত্যাচারের পরেও তিনি আল্লাহর একত্বে অটল। মুমূর্ষু পরিস্থিতিতেও তিনি অত্যাচারীদের জানিয়ে দিলেন: 'তোমরা যদি আমাকে কেটে টুকরো টুকরো করেও ফেলো, তবুও আমি ইমানের পথ ত্যাগ করব না'। তাওহিদের কী অপরিসীম শক্তি! একসময় অত্যাচারীদের সকল প্রচেষ্টা বিফল হয় এবং ইমানের জয় হয়। এভাবে তাওহিদের শক্তির বিপরীতে কোনো কিছুই টিকে থাকতে পারে না।

 তাওহিদ মানব মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করে। জাতিভেদ, বর্ণভেদসহ মানুষে মানুষে সকল ভেদাভেদ দূর করে সকল মানুষকে এক কাতারে শামিল করে। কারণ, তাওহিদ মানুষকে শিক্ষা দেয় যে সকল মানুষকে মহান আল্লাহ একজন নর ও নারী অর্থাৎ আদম (আ.) ও হাওয়া (আ.) থেকে সৃষ্টি করে তাঁদের দু'জন থেকেই মানব সম্প্রদায় ও সভ্যতার ক্রমবিকাশ ঘটিয়েছেন। তাই সকল মানুষ সমান। বিশেষ মর্যাদার মাপকাঠি গোত্র বা বংশ নয়; বরং মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সম্মানিত তাঁরাই, যাঁরা আল্লাহভীরু। এ বিশ্বাস জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে সকল মানুষের মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত করে এবং বিশ্ব মানব সম্প্রদায়কে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করে।

মানব প্রবৃত্তির একটি সাধারণ প্রবণতা হলো সে শক্তি বা ক্ষমতাকে ভয় করে এবং এদের কাছে মাথা নত করে। এ জন্য কোনো কোনো ধর্মের অনুসারীরা প্রকৃতি ও জীবজগতের বিভিন্ন বাহ্যিক শক্তির উপাসনা ও আরাধনা করে থাকে। কিন্তু তাওহিদে বিশ্বাসী ব্যক্তি দুনিয়ার কোনো শক্তি ও ক্ষমতাকে ভয় পান না এবং এসবের নিকট আত্মসমর্পণও করেন না। সে কেবল সর্বময় ক্ষমতার একচ্ছত্র অধিকারী এমন এক অদৃশ্য সত্তার ইবাদাত করে যিনি এক ও একক, যিনি সকল শক্তি ও ক্ষমতার উৎস। তাঁর প্রভুত্ব সর্বত্র বিরাজমান। তিনি মহান আল্লাহ। তিনি সর্বশক্তিমান।

 

জোড়ায়/দলগত কাজ 

তাওহিদে বিশ্বাসের ফলে ব্যক্তির জীবন ও কর্মে কী কী পরিবর্তন আসতে পারে (পাঠ্যপুস্তকে উল্লিখিত বিষয়গুলো ব্যতীত) জোড়ায় বা দলে আলোচনা করে তুমি/তোমরা একটি তালিকা প্রস্তুত করে উপস্থাপন করো।

(শিক্ষকের নির্দেশনা মোতাবেক তোমরা জোড়ায় বা দলে পর্যালোচনা করে তাওহিদে বিশ্বাসের ফলে কী কী পরিবর্তন হয় তা ছোট কাগজে/ভিপ কার্ডে লিখবে।)

 

তাওহিদের চেতনা

তাওহিদের বাণী 'লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ' একটি চেতনা সঞ্চারী এবং বিপ্লবী ঘোষণা। এটি হক ও বাতিলের মাঝে চূড়ান্ত ফায়সালাকারী এক শাশ্বত বাণী। এ বাণীর ধ্বনি এর বিশ্বাসীদের দেয় এক অপরিমেয় শক্তি, সাহস ও মনোবল। আবার অন্যদিকে এ ধ্বনির উচ্চারণ অবিশ্বাসীদের হৃদয়ে কম্পন সৃষ্টি করে দেয়। এ বাণীর ঘোষণার মাধ্যমে দুনিয়ার সকল কাল্পনিক ও নকল উপাস্যকে অস্বীকার করা হয়। আবার এ বাণী আল্লাহর জমিনে কেবল আল্লাহর কালিমাকে উর্ধ্বে তুলে ধরার প্রেরণা দেয়। সে কারণে এ বাণীর প্রচার-প্রসার ও এর মহিমাকে সমুন্নত রাখতে সমকালীন তাওহিদ বিরোধী শক্তির মোকাবিলায় যুগে যুগে ইমানদারদের অবর্ণনীয় প্রতিকূলতা ও ইমানের কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হয়েছে। ইসলাম প্রচারের প্রারম্ভিক সময়ে তাওহিদের দাওয়াতে সাড়া দেওয়া যে কত কঠিন ছিল, এর অনেক ঘটনা ইসলামের ইতিহাসে বিদ্যমান। এমনকি আমাদের প্রিয় নবি (সা.) বাল্যকাল থেকে যিনি আল-আমিন হিসেবে সুবিখ্যাত এবং সর্বজন প্রিয় ছিলেন, তিনিই যখন রিসালাতের  দায়িত্ব পেয়ে তাওহিদের দাওয়াত প্রদান শুরু করলেন, তখন তিনি তাওহিদ বিরোধীদের কাছে চরম অপ্রিয় ব্যক্তিতে পরিণত হন। কেবল তাওহিদের বাণী প্রচারের কারণে তাঁর ওপরেও ইসলাম বিরোধীদের পক্ষ থেকে নেমে আসে নানা লাঞ্ছনা-বঞ্চনা, অপবাদ, বয়কট আর অত্যাচার-অবিচারের স্টিম রোলার। আবার সাহাবিদের মধ্যে কেবল হযরত বেলাল (রা.) নন, শিরক ছেড়ে তাওহিদে আসার জন্য ধনি-গরিব বহু সাহাবিকে নানা বর্বর ও বীভৎস নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। হযরত আম্মার (রা.) ও তাঁর পরিবার চরম নির্যাতনের সম্মুখীন হয়েছিলেন। তাঁদেরকে উত্তপ্ত রোদে মরুভূমির ওপর শুইয়ে রাখা হতো। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আম্মার (রা.) এর পিতা ইয়াসার (রা.) ইন্তেকাল করেন। আর তাঁর মা সুমাইয়া (রা.)-কে আবু জাহল বর্বর নির্যাতন করে শহিদ করে দেয়। এভাবে তাঁরা জীবন দিয়েছেন, কিন্তু তাওহিদ থেকে এক বিন্দুও বিচ্যুত হননি।

 

 

প্রতিফলন ডায়েরি লিখন (বাড়ির কাজ)

যেসব বিশ্বাস ও কাজের মাধ্যমে আমরা তাওহিদ মজবুত করব'

(উল্লিখিত শিরোনামের আলোকে নির্ধারিত ছকটি তুমি বাড়ি থেকে পূরণ করে আনবে। এ ক্ষেত্রে, তুমি তোমার পরিবারের সদস্য বা ধর্মীয়জ্ঞান সম্পন্ন ব্যক্তির সহায়তা নিতে পারো।)

 

বিশ্বাসসমূহ

কাজসমূহ

 

 

 

 

 

 

 

Content added By
Promotion
Content for the offcanvas goes here. You can place just about any Bootstrap component or custom elements here.