পৌরসভা নির্বাচনে রাজিব সাহেব জয়ী হন এবং শান্তিপূর্ণভাবে শাসনকাজ পরিচালনা করতে থাকেন। কিন্তু পৌরসভার কয়েকটি মহল্লার কিছু উচ্ছৃঙ্খল যুবক পৌর মেয়রের নিকট কিছু অযৌক্তিক দাবি করে। এতে উক্ত যুবকেরা ব্যর্থ হয়ে মেয়র সাহেবকে হত্যা করে। নতুন মেয়র নির্বাচিত হলে তার নিকট কিছু লোক পূর্বের মেয়রের হত্যার বিচার দাবি করে। তাৎক্ষণিকভাবে নতুন মেয়রের পক্ষে হত্যার বিচার করা সম্ভব ছিল না, কারণ উক্ত হত্যাকান্ড এককভাবে সংঘটিত হয়নি। এ প্রেক্ষাপটে পৌরসভার জনগণ দুটি দলে বিভক্ত হয়ে যায় এবং তারা পরস্পর মুখোমুখি সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে পড়ে
তখন নির্বাচন পদ্ধতি ছিল দুটি। একটি হল সরাসরি নির্বাচন। দ্বিতীয় হল নির্বাচকমণ্ডলী কর্তৃক মনোনয়ন দান। উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন, শিক্ষিত, ন্যায়বান, আদর্শবান কয়েকজন ব্যক্তিকে নিয়ে খলিফাগণ মৃত্যুর পূর্বে একটি নির্বাচকমণ্ডলী গঠন করতেন। খলিফার মৃত্যুর পর তাঁরা পরবর্তী যোগ্য লোকদের মধ্য হতে খলিফা নির্বাচন করতেন।