বিভিন্ন ত্রুটির কারণে অনেক সময় অফিস ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শপিং কমপ্লেক্স, শিক্ষা ও শিল্প প্রতিষ্ঠান, বাসা- বাড়ি ইত্যাদিতে ব্যবহৃত এয়ার কন্ডিশনার মেরামতের প্রয়োজন হয়। এয়ার কন্ডিশনারের নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণেরও প্রয়োজন আছে। তাই দেশে ও দেশের বাইরে এয়ার কন্ডিশনিং ইউনিট মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে দক্ষ কর্মীর বিপুল চাহিদা রয়েছে। একটু চিন্তা করি তো, এয়ার কন্ডিশনিং ইউনিট মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের প্রক্রিয়াগুলো কী হতে পারে? এই অধ্যায়ে আমরা উইন্ডো টাইপ ও স্প্লিট টাইপ এয়ার কন্ডিশনিং ইউনিট মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ প্রক্রিয়া নিয়েই আলোচনা করবো।
এই পাঠ শেষে আমরা-
এই শিখনফল অর্জনের মাধ্যমে আমরা ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি, টুলস, ইন্সট্রুমেন্টস, ইলেকট্রিক কম্পোনেন্ট, রীলে, ওভারলোড প্রটেক্টর, থার্মোস্ট্যাট, টাইমার সম্পর্কে জানব।
এয়ার কন্ডিশনিং ইউনিটের কম্পোনেন্টসমূহ (Components of Air Conditioner )
এয়ার কন্ডিশনিং ইউনিটের ধরণ অনুযায়ী ইলেকট্রিকাল ও মেকানিক্যাল কম্পোনেন্টের ধরণ ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। এই সব ইউনিটের মধ্যে যে কম্পোনেন্ট বেশি ব্যবহার করা হয় নিচে সে সব কম্পোনেন্টের তালিকাসহ নাম ও স্পেসিফিকেশন দেয়া হল-
রীলের ব্যবহার
থার্মোস্ট্যাটের ব্যবহার তালিকা
হিমারন ও শীতাতপ নিয়ত্রণে তাপমাত্রা নিররণের জন্যই থার্মোস্ট্যাটের ব্যবহার করা হয়। তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ বলতে শিল্প (কুলিং) ও উচ্চ (হিটিং) উত্তর অবস্থাকে বোঝানো হয়। সেদিক বিবেচনা করে তিন সলিনয়েড থার্মোস্ট্যাটের ব্যবহার কে বর্ণনা করা হল-
টাইমারের ব্যবহার ক্ষেত্র
বিভিন্ন সলিনয়েড কাজ সম্পাদন করার জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে টাইমার ব্যবহার করা হয়। একই ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন কাজ সম্পন্ন হতে পারে, আবার ভিন্ন ক্ষেত্রে একই কাজ সংঘটিত হতে পারে। টাইমার যে সমস্ত ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় তা হল-
১. টাইম ডিলে রীলে
২. মোটর কন্ট্রোল
৩. পাম্প মোটর কন্ট্রোল
৪. এজিটেটর কন্ট্রোল
৫. ডিফ্রস্ট হিটার কন্ট্রোল
৬. ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটরের মোটর ও হিটার কন্ট্রোল ।
ওভারলোড প্রটেক্টরের ব্যবহার
এই শিখনফল অর্জনের মাধ্যমে আমরা মেজারিং ইনট্রুমেন্টের সাহায্যে এয়ার কন্ডিশনিং ইউনিটের কম্পোনেন্টসমূহ কিভাবে পরীক্ষা করা যায় সে সম্পর্কে জানব ।
বিভিন্ন সলিনয়েড রীলের পরীক্ষা পদ্ধতি
রীলে পরীক্ষা বলতে রীলের কার্যকারিতা পরীক্ষা বোঝায়। বিভিন্ন সলিনয়েড রীলের পরীক্ষা পদ্ধতি ভিন্ন ভিন্ন । রীলে সাধারণত তিন প্রক্রিয়ায় পরীক্ষা করা হয়। পদ্ধতি তিনটির বর্ণনা নিচে আলোচনা করা হল:
প্রদর্শন ও শব্দ পদ্ধতি
ক. প্রথমেই রীলের বাইরের আবরণ ভালো থাকলে বাতি খুলে অভ্যন্তরীণ আয়োজন, সংযোগাদি, সেটিং ইত্যাদি সঠিক আছে কিনা দেখতে হবে।
খ. কারেন্ট কয়েল রীলে ঝাঁকুনি দিলে শব্দের সৃষ্টি করলে বোঝানো হবে প্রাথমিকভাবে এটি কার্যক্ষম আছে।
গ. পিটিসি রীলে ঝাঁকুনি দিলে শব্দ সৃষ্টি না করলে বুঝতে হবে প্রাথমিকভাবে এটি কার্যক্ষম আছে।
ঘ. হট ওয়্যার রীলের বডি খুলে হট ওয়্যার লিভার হাত দিয়ে চাপ দিলে মুভ করে পূর্বস্থলে ফিরলে বুঝতে হবে প্রাথমিকভাবে এটি কার্যক্ষম আছে।
ঙ. পটেনশিয়াল রীলের বডি খুলে ম্যাগনেটিক লিভার হাত দিয়ে চাপ দিলে মুভ করে পূর্বস্থলে ফিরলে বুঝতে হবে প্রাথমিকভাবে উহা কার্যক্ষম আছে।
থার্মোস্ট্যাট পরীক্ষা পদ্ধতি
(১) শব্দ পরীক্ষা
থার্মোস্ট্যাট পরিক্ষা করতে হলে লবণ মিশ্রিত এক গ্লাস গুঁড়া বরফের প্রয়োজন । থার্মোস্ট্যাট অন অবস্থায় (সর্বনিম্ন) এর ধার্মাল ভালুক বা সেন্সিবল টিউব বরফের ভেতর চুবাতে হবে। খেয়াল করতে হবে কোন আওয়াজ করে কিনা। যদি আওয়াজ করে তাহলে কন্টাক্ট পরেন্ট অফ হল । ধার্মাল বন্ধ বা সেন্সিবল টিউ বরফ হতে বের করে কিছুক্ষণ পর আবার শব্দ করলে বুঝতে হবে কন্ট্যাক্ট পয়েন্ট অন হল। অর্থাৎ থার্মোস্ট্যাট সুইচটি ভালো আছে। অন্যথায় খারাপ ।
(২) কন্টিনিউটি পরীক্ষা
সাধারণ অবস্থায় ওহম মিটারে প্রোবায় থার্মোস্ট্যাটের দুই কন্ট্যাক্ট পয়েন্টে স্পর্শ করলে যদি কন্টিনিউটি দেখায় এবং এর রিমোর্ট ভাল্ভ বা সেন্সিবল টিউব শুধু বরফ অথবা লবণ মিশ্রিত বরফ পূর্ণ পাত্রে ডুবিয়ে কিছুক্ষণ পর যদি কন্টিনিউটি বন্ধ হয়ে যায়, অতঃপর পাত্র হতে ওর রিমোট অশ্বকে অথবা সেন্সিবল টিউবকে উঠানোর কিছুক্ষণ পর কন্টিনিউটি দেখালে এটি ভালো। অন্যথায় খারাপ ।
(৩) ল্যাম্প পরীক্ষা
সার্কিটে একটা ল্যাম্প স্থাপন করে প্লাগ সকেটে ঢুকিয়ে সুইচ অন করলে সাধারণ অবস্থায় বাতি জ্বলবে এবং রিমোট অথবা সেন্সিবল টিউকে বরফ ও লবণ পূর্ণ পাত্রে ডুবানোর কিছুক্ষণ পর বাতি নিভে গেলে বোঝাতে হবে থার্মোস্ট্যাটটি ভালো আছে। অন্যথায় খারাপ।
টার্মিনাল নির্বাচন
সাধারনতঃ মাঝখানের টার্মিনালটি কমন হিসাবে থাকে। এবার AVO মিটারের Selector Knob কে এস এ সেট করি। AVO মিটারের এক প্রাপ্ত কমন (C) টার্মিনালের সাথে অপর প্রা ক্যাপাসিটরের অন্য দুই টার্মিনালের সাথে পরপর সংযোগ করি। যে টার্মিনালের সাথে ধরলে বেশি রিডিং দেখাবে সেইটি হবে কম্প্রেসর ( Compressor Motor) মোটরের টার্মিনাল আর যে টার্মিনালের সাথে মিটার ধরলে কম রিডিং সেখানে সেইটি হবে ফ্যান মোটরের (Fan Motor) টার্মিনাল।
এই শিখনফল অর্জনের মাধ্যমে আমরা এয়ার কন্ডিশনিং ইউনিটে ব্যবহৃত রেফ্রিজারেন্ট রিকভারি ইউনিটের সাহায্যে রিকভারি সিলিন্ডারে সংগ্রহ ও সংরক্ষণ সম্পর্কে জানব।
রেফ্রিজারেন্ট রিকভারি
রেফ্রিজারেন্ট রিকভারি বলতে এমন একটি পদ্ধতি যাতে একটি রেফ্রিজারেশন বা এয়ার কন্ডিশনিং ইউনিট থেকে নিরাপদে রেফ্রিজারেন্ট বের করে অন্য কোন নিরাপদ স্থানে সংরক্ষণ করা হয়।
রেফ্রিজারেন্ট বা হিমায়ক বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই একটি অজৈব পদার্থ যাকে Synthetic Compound বলে। এই হিমায়ক যদিও রেফ্রিজারেশন বা এয়ারকন্ডিশনিং এ রক্তের মত ব্যবহার হয় তবুও এর কিছু ভয়ানক প্রভাব রয়েছে। আমাদের পরিবেশের জন্য যা খুবই ক্ষতিকর। রেফ্রিজারেন্ট রিকভারির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে পরিবেশ ও জলবায়ু রক্ষা করা। যখন ইউনিটের মেকানিক্যাল কোন অংশে কাজ করার প্রয়োজন হয় (যেমন- কম্প্রেসর, কন্ডেন্সার, ইভাপোরেটর বা অন্য কোন মেকানিক্যাল অংশ পরিবর্তন অথবা ইউনিটের মেকানিক্যাল অংশের মেরামত) তখন রেফ্রিজারেন্টকে বাতাসে ছেড়ে না দিয়ে রিকভারি করতে হয়।
রিকভারি পদ্ধতি
মূলত তিনটি পদ্ধতিতে রেফ্রিজারেন্ট রিকভারি করা হয়-
১। ৰাম্প বা ভ্যাপার রিকভারি পদ্ধতি
২। ভরল বা লিকুইড রিকভারি পদ্ধতি
৩। পুশ পুল রিকভারি পদ্ধতি
ভ্যাপার ও লিকুইড রেফ্রিজারেন্ট রিকভারি পদ্ধতি
ভ্যাপার ও তরল রেফ্রিজারেন্টের রিকভারি পদ্ধতি অনেকটা একই রকমের। সাধারণত ছোট ইউনিট যেমন- বাসাবাড়িতে ব্যবহৃত রেফ্রিজারেটর, এয়ার কন্ডিশনার ইত্যাদিতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। ইউনিটে ভ্যাপার ও লিকুইড রিকভারির মধ্যে লিকুইড রিকভারি করাই উত্তম। শুধু মাত্র ভ্যাপার লাইন থেকে রিকভার করা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। এমনও হতে পারে যে কোন ইউনিটে ব্লক ছিল ভাই রিকভারি করার সময় শুধু মাত্র লো সাইড অংশের রেফ্রিজারেন্ট টুকুই রিকভারি হয়েছে। হাই সাইডের রেফ্রিজারেন্ট ইউনিটেই রয়ে গেছে। তাই সবচেয়ে ভাল হয় যদি লিকুইড লাইনে পিয়ার্সিং অ্যাডাপ্টার ব্যবহার করা যায় । পুশ পুল রেফ্রিজারেন্ট রিকভারি পদ্ধতি
বড় ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইউনিট যেখানে লিকুইড রেফ্রিজারেন্ট খুব বেশি পরিমানে থাকে সেখানে সাধারণ রিকভারি অনেক সময় সাপেক্ষ হয়। এই ইউনিট গুলিতে পুশ পুল পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। যেসব ইউনিটে ১৫ পাউন্ড বা প্রায় ৭ কেজির বেশি রেফ্রিজারেন্ট থাকে সেসব ক্ষেত্রেই এই পুশ গুল পদ্ধতি ব্যবহার করা যায়। ভ্যাপার দিয়ে ধাক্কা দিয়ে লিকুইড এনে সিলিন্ডারে আটকে রাখার প্রক্রিয়াকে পুশ পুল বলা হয়।
এই শিখনফল অর্জনের মাধ্যমে আমরা এয়ার কন্ডিশনিং ইউনিটে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশসমূহ চিহ্নিত করতে পারব ও উইন্ডো টাইপ এয়ার কন্ডিশনারের হিসারন চক্রে বায়ুপ্রবাহ, বৈদ্যুতিক বর্তনী এবং স্প্লিট টাইপ এয়ার কন্ডিশনারের হিমায়ন চক্র ও বৈদ্যুতিক বর্তনী সম্পর্কে জানব ।
নির্মাতা প্রতিষ্ঠানভেদে এয়ার কন্ডিশনিং ইউনিটের কিছু কিছু যন্ত্রাংশ সমূহের অবস্থান ভিন্ন হতে পারে। চিত্রের মাধ্যমে এয়ার কন্ডিশনিং ইউনিটে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ সমূহ দেখানো হয়েছে। নিম্মে চিত্রের মাধ্যমে একটি এয়ার কন্ডিশনিং ইউনিটে এই সকল যন্ত্রাংশের অবস্থান দেখানো হল-
নিজ বাসা অথবা বিদ্যালয়ের, এয়ার কন্ডিশনার বা এসি দেখে এয়ার কন্ডিশনারের বিভিন্ন অংশ শনাক্ত ও উহার অবস্থান চিহ্নিত করে নিম্নে প্রদত্ত এ্যাক্টিভিটি ফর্মটিতে লিপিবদ্ধ করো ।
উইন্ডো টাইপ এয়ার কন্ডিশনারের হিমায়ন চক্র বা রেফ্রিজারেশন সাইকেল
১। কম্প্রেসর (Compressor)
২। কন্ডেসার (Condenser)
৩। স্টেইনার/কিপ্টার ড্রায়ার (Stainer)
৪। ক্যাপিলারি টিউব ( Capillary tube)
৫। ইভাপোরেটর (Evaporator)
৬। রোয়ার ফ্যান (Blower fan)
৭। সাকশন গ্রীল (Suction grill)
৮। রিটার্ন গ্রীল (Retum grill)
৯। প্যানেল বোর্ড (Parnel board)
১০। ফেসিং (Casing) সমন্বয়ে গঠিত।
চিত্র ৪.৫: উইন্ডো টাইপ এয়ার কন্ডিশনারের হিমায়ন চক্র
হিমায়ন চক্রে কম্প্রেসর হৃদপিণ্ডের ন্যায় কাজ করে। হিমায়ন চক্রে প্রধান অংশগুলো হল ৪টি (১) কম্প্রেসর (২) কন্ডেন্সার (৩) এক্সপানশন ডিভাইস বা ক্যাপিলারি টিউব এবং (৪) ইভাপোরেটর বা কুলিং করেন।
উইন্ডো টাইপ এয়ার কন্ডিশনারে ইন সাইড ও আউট সাইড এই দু'ভাবে বায়ু প্রবাহ করে থাকে। আউট সাইডে কন্ডেন্সার হতে পরম বাতাস (Hot Air) বাহিরে ফ্যানের মাধ্যমে নির্গত হয়। ইন সাইড বা ভিতরের দিকে রোয়ারের মাধ্যমে ঠান্ডা/শীতল বাতাস (ColdAir) নির্গত হয়। চিরে উইন্ডো টাইপ এয়ার কন্ডিশনারের এয়ার সাইকেল দেখানো হল-
স্প্লিট টাইপ এয়ার কন্ডিশনারের হিমায়ন চক্রের প্রধান অংশসমূহ হল-
(১) কম্প্রেসর (২) কন্ডেন্সার (৩) এক্সপানশন ডিভাইস/ক্যাপিলারি টিউব ও (৪) ইভাপোরেটর ইত্যাদি।
কম্প্রেসর চালু হলে সাকলন লাইনের মাধ্যমে নিম্ন চাপে ও তাপের বাষ্পীয় হিমায়ক ডিসচার্জ লাইনের মাধ্যমে উচ্চ চাপে ও ভাগের বাষ্পীয় হিমায়ক কন্ডেসারে তাপ বর্জন করে তরল আকার ধারণ করে ক্যাপিলারি টিউ/এক্সপানশন ডিভাইসের মাধ্যমে কুলিং কয়েল/ইভাপোরেটরে (CC) বাষ্পীভূত হয়ে শীতল/ ঠাণ্ডা অবস্থায় পরিণত হয়। রোরার মাধ্যমে ঠান্ডা বাতাস রুমে সরবরাহ করে।
স্প্লিট টাইপ এয়ার কন্ডিশনারের সার্কিট বর্তমানে ইলেকট্রনিক্স সিস্টেম দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হয় এবং রিমোট কন্ট্রোলিং সিস্টেম পরিচালনা করা হয়। নিম্নোক্ত ডিভাইস দিয়ে উক্ত সার্কিটটি গঠিত-
১. সার্কিট ব্রেকার
২. ইলেকট্রিক সার্কিট
৩. ফ্রিজিং সেন্সর
৪. টেম্পারেচার সেন্সর
৫. ডিসপ্লে,
৬. ট্রান্সফর্মার
৭. রেক্টিফায়ার
৮. ক্যাপাসিটর
৯. ম্যাগনেটিক কন্ট্রাক্টর ইত্যাদি।
কার্যপ্রণালী
সার্কিট ব্রেকার অন করার পর ফেজ এবং নিউট্রাল ম্যাগনেটিক কন্টাক্টরে যায় কিন্তু কন্ট্রাকটরে কয়েল এনারজাইস্ট না থাকায় সংযোগ কম্প্রেসর থেকে বিচ্ছিন্ন থাকে বা লাইন কন্টাক্টর অতিক্রম করতে পারে না । অপরদিকে চিত্রের ন্যায় সার্কিট ব্রেকার এর পর থেকে নিউট্রাল এবং ফেজ লাইন দু'টি ইলেকট্রনিক কন্ট্রোল প্যানেলে যায়। সেখান থেকে স্টেপ ডাউন ট্রান্সফরমারের মাধ্যমে ভোল্টেজ ২৪ ভোল্ট হয়ে রেক্টিফায়ারে যায় রেক্টিফায়ার এসি থেকে ডিসিতে পরিণত হয়ে ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলো চালাতে থাকে। ইনডোর ইউনিট এর সুইং মোটর এবং ব্লোয়ার মোটরের এক প্রান্তে বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনের নিউট্রাল সংযোগ করা হয়।
সরবরাহ লাইন থেকে ফেজ বাসবারে ইলেকট্রিক ডিভাইস তথা সেন্সরের সাহায্যে নিয়ন্ত্রিত অর্থাৎ অন- অফ হয়ে সুইং মোটরের অপর প্রান্তে এবং ব্লোয়ারফ্যান মোটরের হাই, লো, মিডিয়াম পয়েন্টে সংযোগ দিয়ে ইনডোর ইউনিট নিয়ন্ত্রণ করে থাকে ।
ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসটি যখন ম্যাগনেটিক কন্টাক্টরের কয়েলে সংযোগ দেয় তখন কয়েল এনার্জাইস্ট হয়ে সংযোগ দেয়। ফলে কম্প্রেসরের কমন এবং কন্ডেনসার ফ্যান মোটরের কমন পয়েন্টে ওভার লোড প্রটেক্টর হয়ে সরবরাহ পায় এবং নিউট্রাল লাইনটি রীলের কম্প্রেসরের মাধ্যমে ফ্যান মোটরের রান এবং স্টার্টিং পয়েন্টে সরবরাহ দেয়া হয়- ফলে কম্প্রেসর এবং ফ্যান মোটর চলতে থাকে।
যদি কম্প্রেসরের কয়েল দুর্বল হয়ে যায় তবে পটেনশিয়াল রীলে দিয়ে স্টার্ট ক্যাপাসিটর সংযোগ করতে হবে। ইলেকট্রনিক সিস্টেমে সেন্সর গুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করে ম্যাগনেটিক কন্টাক্টরের মাধ্যমে কম্প্রেসরকে অন-অফ করে চাহিদামত তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
এই শিখনফল অর্জনের মাধ্যমে আমরা এরার কন্ডিশনিং ইউনিটের লিকেজ নির্ণর ও রেফ্রিজারেন্ট চার্জ করণ, উইন্ডো টাইপ এয়ার কুলারের এবং স্প্লিট টাইপ এসির ত্রুটির কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানব ।
এয়ার কন্ডিশনিং ইউনিট বা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রে লিকেজ নির্ণয় ও রেফ্রিজারেন্ট চার্জ করতে হলে নিম্নলিখিত কাজগুলো ধারাবাহিক ভাবে সম্পন্ন করতে হয়-
রেফ্রিজারেন্ট চার্জিং ঠিক আছে বোঝার উপায়
রেফ্রিজারেন্ট বা হিমায়ক চার্জ বেশি হলে বোঝার উপায়
এয়ার কন্ডিশনারের ক্ষেত্রে নিন্মলিখিত বিষয় সমূহ বিবেচনা করা অত্যন্ত প্রয়োজন:
ঘরের মাপ অনুযায়ি মিলিয়ে কত টনের AC প্রয়োজন হবে তা নিচের তালিকা থেকে মিলিয়ে নেই
উইন্ডো টাইপ এয়ার কুলারের বিভিন্ন ধরনের ত্রুটির কারণগুলো নিচে বর্ণনা করা হল ।
এয়ার কুলার চলে কিন্তু ঠান্ডা কম হওয়ার কারণ-
এয়ার কুলার না চলার কারণ-
এয়ারকুলার চালু করার সাথে সাথে ফিউজ জ্বলে যায় বা সার্কিট ব্রেকার ট্রিপ করার কারণ-
এয়ারকুলারের কুলিং কয়েল বা ইভাপোরেটরে বরফ জমার কারণ-
এয়ার কুলার থেকে বাতাস (Air) না পাওয়ার কারণ
এয়ারকুলার চালালে খুব বেশি শব্দ হওয়ার কারণ-
উইন্ডো টাইপ এয়ার কুলারের ত্রুটির তালিকা
এয়ার কুলার চলে কিন্তু ঠান্ডা কম হয়- তার প্রতিকার
ফিল্টার ময়লাযুক্ত হলে বাতাস প্রবাহের হার কমে যায়। এই ক্ষেত্রে ফিল্টার পরিষ্কার করলে বা বদলিয়ে দিলে এয়ার কুলার থেকে ভালো ঠান্ডা পাওয়া যাবে। থার্মোস্ট্যাট (Th.) ক্রুটি যুক্ত হলে এ রূপ হতে পারে। থার্মোস্ট্যাট খুলে পরীক্ষা করতে হবে। থার্মোস্ট্যাট এ্যাডজাস্ট করা না গেলে পরিবর্তন করতে হবে। হিমায়ক বা রেফ্রিজারেন্ট কমে গেলে ঠান্ডা কমে যেতে পারে। রেফ্রিজারেন্ট কমে যাওয়ার কারণ খুঁজে বের করতে হবে অর্থাৎ লিক শনাক্ত করতে হবে। লিক মেরামত করে বায়ুশূন্য/ ভ্যাকুয়াম করে হিমায়ক চার্জ করতে হবে। কম্প্রেসরের পাম্পিং কমে গেলে কম্প্রেসর পরিবর্তন করে নতুন কম্প্রেসর লাগাতে হবে এবং বায়ুশূন্য করে সঠিক পরিমান রেফ্রিজারেন্ট/ হিমায়ক চার্জ করতে হবে। কন্ডেনসার ও ইভাপোরেটরে ময়লা জমলে পরিষ্কার করতে হবে। ভোল্টেজ কম হলে স্বাভাবিক ভোল্টেজের ব্যবস্থা করতে হবে।
এয়ার কুলার চলে না- তার প্রতিকার
বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকলে ফিউজ, সার্কিট ব্রেকার, প্লাগ পয়েন্ট, মেইন সাপ্লাই পরীক্ষা করতে হবে। সমস্যা সমাধান করে বিদ্যুৎ সাপ্লাই/সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। ভোল্টেজ কম হলে স্বাভাবিক ভোল্টেজের ব্যবস্থা করতে হবে। সার্কিট খোলা আছে কিনা পরীক্ষা করার জন্য অ্যাভোমিটারে (AVO) ওহমে (S2) সেট করতে হবে এবং প্লাগ পয়েন্ট,সিলেক্টর-সুইচ, ওভার লোড প্রটেক্টরের সংযোগগুলো পরীক্ষা করে ত্রুটি বের করে সে মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ক্যাপাসিটর খারাপ হলে, তা পরিবর্তন করতে হবে। মোটরে গোলযোগ থাকলে পরিবর্তন করতে হবে। সিলেক্টর সুইচ ক্রুটি আছে কিনা পরীক্ষা করতে হবে, ত্রুটি আছে নিশ্চিত হলে পরিবর্তন করতে হবে।
এয়ার কুলার চালু করার সাথে সাথে ফিউজ জ্বলে যায় (সার্কিট ব্রেকার ট্রিপ করা) -তার প্রতিকার
ক্যাপাসিটর শর্ট হলে পরিবর্তন করতে হবে, মোটর জ্বলে গেলে পরিবর্তন করতে হবে। লাইনে শর্ট সার্কিট থাকলে পরীক্ষা করে শর্ট সার্কিট বের করে মেরামত করে ইউনিট চালু করতে হবে। এসি লাইন বা মোটরের ভেতর শর্ট সার্কিট হয়ে থাকতে পারে। ভালোভাবে পরিক্ষা করে মেরামত করতে হবে। প্রয়োজন হলে মোটর বদলাতে হবে। কারেন্ট প্লাগ বা সংযোগ কডের মধ্যে দুই লাইন একসাথে লেগে থাকতে পারে ৷
এয়ার কুলারের কুলিং কয়েল বা ইভাপোরেটরে বরফ জমে- তার প্রতিকার
ব্লোয়ার মোটর না ঘুরলে তা পরীক্ষা করে না ঘুরার কারণ বের করতে হবে। ক্যাপাসিটর দুর্বল হলে বদলাতে হবে, ওয়্যান্ডিং-এ ত্রুটি থাকলে মোটর পরিবর্তন করতে হবে। ফিল্টার ও ইভাপোরেটরে ময়লা থাকলে পরিষ্কার করতে হবে ।
এয়ার কুলার থেকে বাতাস (Air) কম পাওয়া- তার প্রতিকার
ব্লোয়ার ফ্যান মোটর খারাপ হলে পরিবর্তন করতে হবে। ফ্যান বুশ বিয়ারিং খারাপ হলে ফ্যান বুশ বদলাতে হবে। ক্যাপাসিটর দুর্বল হলে তা পরিবর্তন করতে হবে। ফিল্টার ও ইভাপোরেটর ময়লায় জ্যাম হলে পরিষ্কার করতে হবে।
এয়ার কুলার চালালে খুব বেশি শব্দ হয় - তার প্রতিকার
মোটরের বুশ খারাপ হলে বদলাতে হবে। ফ্যান ব্লেড বাঁকা বা ভাঙ্গা হলে ফ্যান ব্লেড বদলাতে হবে। ফ্যান মোটর বা ব্লেড ঢিলা হলে যথাযথভাবে বদলাতে হবে এবং টাইট দিতে হবে। ব্লেড যথাস্থানে বসানো না থাকলে যথাস্থানে বসাতে হবে। কম্প্রেসর মাউন্টিং বোল্ড ঢিলা হলে টাইট দিতে হবে। ভোল্টেজ ওঠানামা করার কারণে এয়ার কুলার ঝাঁকুনি দিলে এয়ার কুলার বন্ধ রাখতে হবে। ভোল্টেজ স্বাভাবিক হলে আবার এয়ার কুলার (AC) চালাতে হবে ।
উইন্ডো টাইপ এয়ার কুলার মেরামত খরচের হিসাব
কথায়: পাঁচ হাজার পাঁচশত টাকা মাত্র
নোট: ভ্যাট প্রযোজ্য হলে বিলে সংযোজন করতে হবে।
স্প্লিট টাইপ এয়ার কন্ডিশনারের রক্ষণাবেক্ষণ
১. এয়ার ফিল্টার পরিষ্কার করা বা পরিবর্তন করা ।
২. ফ্যান মোটরের বুশ বিয়ারিং যথানিয়মে তেল দেয়া
৩. বুশ বিয়ারিং মেরামত বা পরিবর্তন করা ।
৪. ক্যাপাসিটর পরীক্ষা করা এবং প্রয়োজন হলে বদলানো ।
৫. বৈদ্যুতিক লাইন ও সংযোগসমূহ পরীক্ষা ও মেরামত করা ।
৬. ফ্যান ব্লেড মেরামত করা ।
৭. ইভাপোরেটর এবং কন্ডেনসারের ফিন্স সোজা করা।
৮. রিমোট পরীক্ষা করা ।
৯. ওভার লোড প্রটেক্টর, রীলে, ম্যাগনেটিক কন্ট্রাক্টর পরীক্ষা করা এবং নষ্ট হলে তা মেরামত বা বদলানো ।
১০. সরবরাহ/ সাপ্লাই ভোল্টেজ পরিমাপ করা ।
১১. রেফ্রিজারেন্ট/হিমায়ক চার্জ করা ।
স্প্লিট টাইপ এয়ার কন্ডিশনারের মাসিক ও বাৎসরিক রক্ষণাবেক্ষন
মাসিক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কাজ খুব কম সময়ের ফ্রন্ট গ্রিল এবং ফিল্টার পরিষ্কার করা। পরিষ্কার করার কাজে হাল্কা ডিটারজেন্ট মিশ্রিত পানি ব্যবহার করতে হবে। বৈদ্যুতিক প্লাগ পরীক্ষা করে দেখতে হবে তারের সংযোগ ঢিলা কিনা। সংযোগ ঢিলা হলে টাইট করে দিতে হবে। বাৎসরিক রক্ষণাবেক্ষণ বলতে সার্ভিসিং বোঝায়। ইনডোর ইউনিট খুলে প্রথমে কম্প্রেসড এয়ার বা ডাস্ট ব্লোয়ার দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। ইনডোর ইউনিট এর সুইং মোটর, গ্রিল ব্লোয়ার ফ্যান খুলতে হবে। কুলিং কয়েল আলাদা করতে হবে। সেগুলো আলাদা আলাদা পরিষ্কার করতে হবে। ভালোভাবে যাচাই ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে । নষ্ট হলে তা বদলাতে হবে। তারপর নির্মাতার নির্দেশনা মোতাবেক ফিটিং করতে হবে। চালু করে তা পরীক্ষা করতে হবে। বৈদ্যুতিক সংযোগগুলো পরীক্ষা করতে হবে। সেন্সর বোর্ড পরীক্ষা করতে হবে। কার্যদক্ষতা/ইফিসিয়েন্সি পরীক্ষা করতে হবে। যদি ত্রুটি থাকে তাহলে মেরামত বা বদলাতে হবে। আউটডোর এর ফ্যান মোটর, ফিন্স ইত্যাদি কেসিং থেকে আলাদা করতে হবে। ডিটারজেন্ট মিশ্রিত পানি দিয়ে কম্প্রেসর পরিষ্কার করে ফেলতে হবে। কম্প্রেসড এয়ার (ব্লোয়ার) দিয়ে শুকাতে হবে। বৈদ্যুতিক/ ইলেকট্রিক কানেকশন সমূহ পরীক্ষা করতে হবে। ত্রুটি হলে তা মেরামত করতে হবে বা বদলাতে হবে। পরিশেষে ইনডোর আউটডোর এবং অন্যান্য অংশ পুণঃস্থাপন করে রেফ্রিজারেন্ট বা হিমায়ক চার্জ করতে হবে। এয়ার কন্ডিশনার চালিয়ে পূর্বের কার্যক্ষমতার সাথে তুলনা করা তথা পারফরম্যান্স যাচাই করতে হবে ।
কাজ শুরু করার আগে এবং পরে কর্মক্ষেত্র পরিষ্কার করা একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার জন্য বিভিন্ন ধরণের ক্লিনিং ইকুইপমেন্ট পাওয়া যায়। কার্যকারী ইকুইপমেন্ট ব্যবহার করলে অতি অল্প সময়ে কাজটি সম্পন্ন করা যাবে।
ব্যক্তিগত সরঞ্জাম (Personal Protective Equipment PPE )
কারখানায় কাজ করার সময় যে সব ডিভাইস ব্যবহার করলে নিজেকে মারাত্মক কোন দূর্ঘটনা থেকে রক্ষা করা যায় সেগুলিকে ব্যক্তিগত নিরাপত্তার সরঞ্জাম ৰা PPE বলে।
যে কাজটি করতে হবে-
বর্জ্য নিষ্কাশন
খারাপ গন্ধের সম্ভাব্যতা দূর করতে এবং কীটপতঙ্গ ও পোকামাকড়কে আকৃষ্ট করার সম্ভাবনার অবসান ঘটানোর জন্য বর্জ্য নিষ্কাশন করা উচিত।
বর্জ্যর প্রকারভেদ
আবর্জনা নিঃস্কাশন
বর্জ্য সংগ্রহস্থল-
আবর্জনা নিঃস্কাশন করার সময় সবসময় রাবার গ্লাভস পরতে হবে। দীর্ঘ হ্যান্ডেল যুক্ত টং বা নিপ্পার দিয়ে তুলতে হবে।
পারদর্শিতার মানদণ্ড:
১। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা (পিপিই) পরিধান করা;
২ । প্রয়োজন অনুযায়ী কাজের স্থান প্রস্তুত করা;
৩। এয়ার কন্ডিশনিং ইউনিটের টেকনিক্যাল স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী ব্যবহৃত রেফ্রিজারেন্ট রিকভারি করা ।
৪ । এয়ার কন্ডিশনিং ইউনিটের সাথে রিকভারি ইউনিটের সংযোগ স্থাপন করা;
৫। বৈদ্যুতিক সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে রিকভারি ইউনিট চালু করে নির্ধারিত সিলিন্ডারে রেফ্রিজারেন্ট রিকভারি করা;
৬। কাজ শেষে ওয়ার্কশপের নিয়ম অনুযায়ী কাজের স্থান পরিষ্কার করা;
৭ । অব্যবহৃত মালামাল নির্ধারিত স্থানে সংরক্ষণ করা;
৮। ওয়েস্টেজ এবং স্ক্যাপ গুলো নির্ধারিত স্থানে ফেলা;
৯ । কাজের শেষে চেক লিস্ট অনুযায়ী টুলস ও মালামাল জমা দেয়া।
(ক) ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম
(খ) প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি (টুলস, ইকুইপমেন্ট ও মেশিন) :
গ) মালামাল (Raw Materials )
কাজের ধারা
১নং পদ্ধতি
১। রিকভারি মেশিনে হোস পাইপ সংযোগ করো ।
ক. রিকভারি মেশিনের ইনলেট ও আউটলেট ক্যাপ খোল ।
খ. চিত্র অনুযায়ী রিকভারি মেশিন ও সিলিন্ডারের সাথে ডাবল গেজ মেনিফোল্ড, হোস পাইপ স্থাপন করো ।
গ. সিলিন্ডারের লিকুইড ভালভের হোস পাইপটি হাল্কা লুজ করো ।
২। হোস পাইপটি পার্জিং করো ।
ক. রিকভারি মেশিনের ইনলেট ও আউটলেট এর সিলেক্টিং সুইচকে ওপেন পজিশনে এবং অপর সিলেক্টিং সুইচকে পার্জ পজিশনে সেট করো ।
খ. সিলিন্ডারের লিকুইড ভালভের হোস পাইপ থেকে পার্জিং হলে (সামান্য গ্যাস বের হলে) দ্রুত হোস পাইপটি টাইট করে আটকে দাও ৷
নোটঃ কিছু কিছু রিকভারি মেশিনে অটোমেটিক পার্জিং এর ব্যবস্থা থাকে।
৩। রিকভারি কর।
ক. রিকভারি মেশিনে বিদ্যুৎ সংযোগ করো ।
খ. পাওয়ার সুইচ ও অন করে অফ-অন সুইচ অন করো ।
গ. স্টার্ট সুইচটি অন কর ও পার্জ পজিশনে সেট করা সিলেক্টিং সুইচকে রিকভারি পজিশনে সেট করো।
ঘ. স্টার্ট সুইচটি অন করো ।
ঙ. দ্রুত সিলিন্ডারের লিকুইড ভাল্ভটি খুলে দাও ।
চ. কম্পাউন্ড গেজের কাটা জিরো এর নিচে নেমে যাবে এবং রিকভারি মেশিনটি নিজে নিজেই বন্ধ হয়ে যাবে।
৪। রিকভারি মেশিন বন্ধ কর।
ক. সিলিন্ডারের লিকুইড ভাল্ভটি বন্ধ করো ।
খ. স্টার্ট সুইচ, পাওয়ার সুইচ ও অন -অফ সুইচকে অফ করো ।
গ. রিকভারি পজিশনে সেট করা সিলেক্টিং সুইচকে পার্জ পজিশনে সেট করো ।
ঘ. রিকভারি মেশিনে বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন করো ।
ঙ. হোস পাইপটি খুলে ফেল
২নং পদ্ধতি
ধাপ ১ প্রয়োজনীয় ইকুইপমেন্ট সংগ্রহ করতে হবে, এবং তাদের স্পেসিফিকেশন দেখে নিতে হবে। প্রয়োজন হলে ইউজার ম্যানুয়াল দেখে নেয়া যেতে পারে। | |
ধাপ ২ হোজপাইপ এর সাহায্যে এয়ার কন্ডিশনিং ইউনিট এবং রিকভারি মেশিন এর সংযোগ করতে হবে। প্রয়োজন হলে রিকভারি মেশিন এর সাকশন পোর্টে ফিস্টার ছায়ার ব্যবহার করতে হবে। | |
ধাপ ৩ শুধুমাত্র সিলিন্ডার ভাত বন্ধ রেখে, রিকভারি মেশিনকে রিকভারি মুডে অন করতে হবে। সিলিন্ডার ভালভ খোলার আগে অবশ্যই হোজ পাইপটিকে পার্জ করে নিতে হবে। | |
ধাপ ৪ স্বয়ংক্রিয়ভাবে রিকভারি মেশিন বন্ধ হয়ে গেলে গেজ মেনিফোল্ড এর লো সাইড ভাত এবং রিকভারি মেশিন এর লো সাইড অভ বন্ধ করে ও হাই সাইড ভাত খোলা রেখে রিকভারি মেশিনটিকে পার্জ মুডে চালু করতে হবে। | |
ধাপ ৫ স্বয়ংক্রিয়ভাবে রিকভারি মেশিন বন্ধ হয়ে পেলে রিকভারি সিলিন্ডারের ওয়াই ভাত বন্ধ করে দিতে হবে এবং সিলিন্ডার নিরাপদ স্থানে সংরক্ষন করতে হবে। | |
ধাপ ৬ যন্ত্রপাতি, মালামাল ও ইকুইপমেন্ট পরিষ্কার করে যথাস্থানে সংরক্ষন করতে হবে। কাজের জায়গা পরিষ্কার করতে হবে কেননা তেল পড়ে থাকতে পারে। |
কাজের সতর্কতা
আত্ম প্রতিফলন
এয়ার কন্ডিশনিং ইউনিটে ব্যবহৃত রেফ্রিজারেন্ট রিকভারি ইউনিটের সাহায্যে রিকভারি সিলিন্ডারে সংগ্রহ ও সংরক্ষন করার দক্ষতা অর্জিত হয়েছে/হয় নাই/আবার অনুশীলন করতে হবে।
পারদর্শিতার মানদন্ড
১। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা (পিপিই) পরিধান করা;
২। প্রয়োজন অনুযায়ী কাজের স্থান প্রস্তুত করা;
৩। এয়ার কন্ডিশনিং ইউনিটে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশের তালিকা তৈরী করা;
৪ । এয়ার কন্ডিশনিং ইউনিটে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ সমূহের অবস্থান চিহ্নিত করে যন্ত্রাংশ সমূহ বিচ্ছিন্ন করা;
৫ । এয়ার কন্ডিশনিং ইউনিটের যন্ত্রাংশের ত্রুটি চিহ্নিত করা;
৬। এয়ার কন্ডিশনিং ইউনিটের ত্রুটিপুর্ন যন্ত্রাংশ স্পেশিফিকেশন অনুযায়ী পরিবর্তন করা;
৭। ত্রুটিপুর্ন যন্ত্রাংশ পরিবর্তন / মেরামতের পর সকল বৈদ্যুতিক সংযোগ পরীক্ষা করা;
৮। মেরামতের পর এয়ার কন্ডিশনিং ইউনিটে বিধি মোতাবেক বৈদ্যুতিক সংযোগ প্রদানের মাধ্যমে চালু করা;
৯। মেজারিং টুলসের মাধ্যমে বৈদ্যুতিক রিডিং সংগ্রহ ও ডাটা শীটে লিপিবদ্ধ করে ইউনিটটির মেরামত কার্য সঠিক ভাবে সম্পন্ন করা;
১০ । কাজ শেষে ওয়ার্কপের নিয়ম অনুযায়ী কাজের স্থান পরিষ্কার করা;
১১। অব্যবহৃত মালামাল নির্ধারিত স্থানে সংরক্ষণ করা;
১২। ওয়েস্টেজ এবং স্ক্যাপ গুলো নির্ধারিত স্থানে ফেলা;
১৩। কাজের শেষে চেক লিস্ট অনুযায়ী টুলস ও মালামাল জমা দেয়া ।
(ক) ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম
(খ) প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি (টুলস, ইকুইপমেন্ট ও মেশিন)
(গ) মালামাল (Raw Materials)
কাজের ধারা
১। এয়ার কন্ডিশনিং ইউনিট ফ্লাসিং করো।
ক. কন্ডেনসার,ইভাপোরেটরের এক প্রান্তে নন রির্টান ভাল্ভ লাগাই এবং ড্রাই নাইট্রোজেন দিয়ে প্রেসার দেও।
খ. অপর প্রান্ত আঙ্গুল দিয়ে চেপে ধরি। যখন প্রেসার তৈরি হবে তখন ছেড়ে দেই। এভাবে বারবার করতে থাক ।
২। এয়ার কন্ডিশনিং ইউনিটের লিক নির্ণয় করো ।
ক. ইউনিটের সাথে হাই প্রেসার গেজ ও ড্রাই নাইট্রোজেন সিলিন্ডারের হোজপাইপ সংযোগ করো ।
খ. চিত্র অনুয়ায়ি ইউনিটে ৭০-৭৫ পি.এস.আই, ড্রাই নাইট্রোজেন প্রেসার দেই;
গ. প্রেসার দিয়ে অপেক্ষা কর এবং লক্ষ কর গেজ মিটারের কাটা নেমে যাচ্ছে কিনা। গেজ মিটারের কাটা নেমে গেলে বুঝতে হবে ইউনিটে লিক আছে;
ঘ. টিউবের বিভিন্ন জয়েন্টে ও সন্দেহজনক স্থানে সাবান ফেনা ধর
ঙ. লক্ষ কর কোথা থেকে সাবান ফেনার বাবল (বুদবুদ) তৈরি হচ্ছে । যেখান থেকে বাবল তৈরি হচ্ছে সেখানেই লিক আছে ৷
৩। এয়ার কন্ডিশনিং ইউনিটের লিক মেরামত করো ।
ক. রেফ্রিজারেটর ইউনিটের চার্জিং লাইন খুলে ড্রাই নাইট্রোজেন বের করে দেও।
খ. অধ্যায় ৫ এর ১ অথবা ২ নং জব অনুসরণ করে ওয়েল্ডিং অথবা লকরিং জয়েন্টের মাধ্যমে লিক মেরামত করো ।
গ. ওয়েল্ডিং অথবা লকরিং এর মাধ্যমে নতুন ড্রায়ার লাগাও ।
৪। এয়ার কন্ডিশনিং ইউনিটটি ভ্যাকুয়াম বা বায়ুশূন্য করো।
ক. চিত্র অনুযায়ি রেফ্রিজারেটরের সাথে হোজপাইপ, গেজ মেনিফোল্ড, ভ্যাকুয়াম পাম্প, সঠিক রেফ্রিজারেন্ট সিলিন্ডার স্থাপন
খ. ভ্যাকুয়াম পাম্পে বিদ্যুৎ সাপ্লাই দেই ও ভ্যাকুয়াম পাম্পটি চালু
গ. গেজ মেনিফোল্ডের সকল ভাল্ভ খুলে দেও;
ঘ. কম্পাউন্ড গেজের কাটা - ২৯.৯ ইঞ্চি অব মার্কারিতে নামা পর্যন্ত ভ্যাকুয়াম পাম্পটি চালু রাখ;
ঙ. কম্পাউন্ড গেজের কাটা - ২৯.৯ ইঞ্চি অব মার্কারিতে নেমে গেলে হাই প্রেসার গেজ মিটারের ভাল্ভটি বন্ধ করো;
চ. ভ্যাকুয়াম পাম্পটি বন্ধ কর এবং আনপ্লাগ করো;
৫। এয়ার কন্ডিশনিং ইউনিটে রেফ্রিজারেন্ট বা হিমায়ক চার্জ করো ।
ক. ডাবল স্তর বিশিষ্ট্য সিলিন্ডারের ভাল্ভটি খোল;
খ. কম্পাউন্ড গেজে মিটারের ভাল্ভটি খোল;
গ. রেফ্রিজারেন্ট চার্জ করে সঠিক (রেফ্রিজারেন্ট অনুযায়ী) চার্জিং প্রেসার তৈরি কর এবং কম্পাউন্ড গেজ মিটারের ভাল্বটি বন্ধ করো;
ঘ. সাপ্লাই লাইনে ক্লিপ অন মিটার সংযোগ করো;
ঙ. বিদ্যুৎ লাইন সংযোগ করে ইউনিটি চালু
চ. রেফ্রিজারেন্ট অনুযায়ী, রানিং প্রেসার ও অ্যাম্পিয়ার সঠিক (ইনফরমেশন শিটে উল্লেখিত) আছে কিনা লক্ষ্য করো;
ছ. রেফ্রিজারেন্ট অনুযায়ী, রানিং প্রেসার ও অ্যাম্পিয়ার কম হলে পুন: রেফ্রিজারেন্ট চার্জ করে সঠিক রানিং প্রেসারও অ্যাম্পিয়ার (ইনফরমেশন শিটে উল্লেখিত) তৈরি করো।
৬। এয়ার কন্ডিশনিং ইউনিটটিতে পরিপূর্ণ রেফ্রিজারেন্ট বা হিমায়ক চার্জ হয়েছে কিনা পর্যবেক্ষন করো ।
ক. ইনফরমেশন শিট অনুযায়ী সঠিক তিন স্তর বিশিষ্ট্য চার্জিং এর লক্ষণ গুলি মেলাই ও সঠিক তথ্য ডাটা শিটে লিখ;
খ. লক্ষণ গুলি মিলে গেলে তিন স্তর বিশিষ্ট্য সিলিন্ডারের ভাল্বটি বন্ধ কর এবং হোজপাইপ, গেজ মেন্ডিফোল্ড খুলে ফেল;
গ. চার্জিং লাইনটি পিঞ্চিং টুলস এর সাহায্যে সিল্ড করো;
ঘ. গেজের ভাল্ভ অল্প খুলে দেখ রেফ্রিজারেন্ট বের হয় কিনা। বের হলে আবার ও সিল্ড কর। বের হওয়া বন্ধ হলে ওয়েল্ডিং করো এবং নন রিটার্নের মাথায় একটি ডেট ক্যাপ দিয়ে বন্ধ করো ।
কাজের সতর্কতা:
আত্নপ্রতিফলন
এয়ার কন্ডিশনিং ইউনিটের লিকেজ নির্ণয় ও রেফ্রিজারেন্ট চার্জ করার দক্ষতা অর্জিত হয়েছে/হয় নাই/আবার অনুশীলন করতে হবে।
পারদর্শিতার মানদন্ডঃ
১। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা (পিপিই) পরিধান করা;
২। প্রয়োজন অনুযায়ী কাজের স্থান প্রস্তুত করা;
৩। এয়ার কন্ডিশনিং ইউনিটে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশের তালিকা তৈরী করা;
৪ । এয়ার কন্ডিশনিং ইউনিটে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ সমূহের অবস্থান চিহ্নিত করে যন্ত্রাংশ সমূহ বিচ্ছিন্ন করা;
৫। এয়ার কন্ডিশনিং ইউনিটের যন্ত্রাংশের ত্রুটি চিহ্নিত করা;
৬। এয়ার কন্ডিশনিং ইউনিটের ত্রুটিপূর্ন যন্ত্রাংশ স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী পরিবর্তন করা;
৭। ত্রুটিপূর্ন যন্ত্রাংশ পরিবর্তন / মেরামতের পর সকল বৈদ্যুতিক সংযোগ পরীক্ষা করা;
৮। মেরামতের পর এয়ার কন্ডিশনিং ইউনিটে বিধি মোতাবেক বৈদ্যুতিক সংযোগ প্রদানের মাধ্যমে চালু করা;
৯। মেজারিং টুলসের মাধ্যমে বৈদ্যুতিক রিডিং সংগ্রহ ও ডাটা শীটে লিপিবদ্ধ করে ইউনিটটির মেরামত কার্য সঠিক ভাবে সম্পন্ন করা;
১০। কাজ শেষে ওয়ার্কপের নিয়ম অনুযায়ী কাজের স্থান পরিষ্কার করা;
১১ । অব্যবহৃত মালামাল নির্ধারিত স্থানে সংরক্ষণ করা;
১২। ওয়েস্টেজ এবং স্ক্যাপ গুলো নির্ধারিত স্থানে ফেলা;
১৩। কাজের শেষে চেক লিস্ট অনুযায়ী টুলস ও মালামাল জমা দেয়া।
(ক) ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম
(খ) প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি (টুলস, ইকুইপমেন্ট ও মেশিন)
(গ) মালামাল (Raw Materiak )
কাজের ধারা
১) ডাবল গেজ মেনিফোল্ডের কম্পাউন্ড পেজ পোর্টের সাথে চার্জিং হোজ দিয়ে সাকশন সার্ভিস পোর্টে সংযোগ দিতে হবে এবং আরেকটি চার্জিং হোজ দিয়ে গেজ মেনিফোল্ডের হাইপ্রেসার পোর্ট এবং কম্প্রেসরের ডিসচার্জ সার্ভিস পোর্টের সাথে সংযোগ করতে হবে।
গেজ মেনিফোল্ডের মাঝের সাথে আরেকটি চার্জিং হোজ দিয়ে ডিপ ভ্যাকুয়াম পাম্পের সাথে সংযোগ দিতে হবে এবং গেজ মেনিফোল্ডের উত্তর হ্যান্ড কাড খোলা রেখে ভ্যাকুয়াম পাম্প চালু করতে হবে।
২) ভ্যাকুয়াম পাম্প চালিয়ে কম্পাউন্ড পেজের কাটা ৩০ পারদ আর আসার পর কমপক্ষে আরো ৩০ মিনিট ভ্যাকুয়াম করতে হবে। গেজ মেনিফোল্ডের উভয় হ্যান্ড ভাত বন্ধ করে ভ্যাকুয়াম পাম্প বন্ধ করতে হবে।
এ অবস্থায় ১৫-২০ মিনিট রেখে কম্পাউন্ড পেজের কাটা উপরে দিকে ওঠে কিনা লক্ষ্য রাখতে হবে (নিক টেস্টের জন্য)। যদি কাটা স্থির থাকে তবে ভ্যাকুয়াম পাম্প অপসারণ করতে হবে।
৩) ভ্যাকুয়াম পাম্পস্থলে হিমায়ক / রেফ্রিজারেন্ট সিলিন্ডার সংযুক্ত করতে হবে।
৪) রেফ্রিজারেন্ট সিলিন্ডার ভাল্ভ অল্প পরিমাণ খুলে চার্জিং হোজ মেনিফোল্ড প্রান্তে সামান্য লুজ করে লাইনের বাতাস অপসারণ করতে হবে। বাতাস অপসারণের পর চার্জিং হোজ দৃঢ় করে সংযোগ দিতে হবে। ওজন করে নির্ধারিত পরিমাণ (নির্মাতার নির্দেশিত পরিমাণ) হিমায়ক/রেফ্রিজারেন্ট চার্জ করতে হবে।
৫) সিস্টেমের পারফরম্যান্স পরীক্ষা করার জন্য কম্প্রেসর চালু করতে হবে এবং লিকুইড ইন্ডিকেটর বুদবুদ, কারেন্ট গ্রহণের পরিমাণ, ইভাপোরেটর ইত্যাদি পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
৬) সাকশন ও ডিসচার্জ সার্ভিস ভাল্ভ ব্যাক সিটে নিয়ে হিমায়ক সিলিন্ডার ও চার্জিং হোজ অপসারণ করে সার্ভিস পোর্ট ডেড ক্যাপ দিয়ে বন্ধ করতে হবে। কম্প্রেসর চালু করার আগে সাকশন ও ডিসচার্জ সার্ভিস ভাল্ভ ইন্টার মিডিয়েট পজিশনে আনতে হবে।
কাজের সতর্কতা
আত্নপ্রতিফলন
উইন্ডো টাইপ এয়ার কন্ডিশনারের রেফ্রিজারেন্ট চার্জ করার দক্ষতা অর্জিত হয়েছে/হয় নাই/আবার অনুশীলন করতে হবে।
পারদর্শিতার মানদন্ড
১। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা (পিপিই) পরিধান করা;
২। প্রয়োজন অনুযায়ী কাজের স্থান প্রস্তুত করা;
৩। এয়ার কন্ডিশনিং ইউনিটে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশের তালিকা তৈরি করা;
৪ । এয়ার কন্ডিশনিং ইউনিটে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ সমূহের অবস্থান চিহ্নিত করে যন্ত্রাংশ সমূহ বিচ্ছিন্ন করা;
৫ । এয়ার কন্ডিশনিং ইউনিটের যন্ত্রাংশের ত্রুটি চিহ্নিত করা;
৬। এয়ার কন্ডিশনিং ইউনিটের ত্রুটিপূর্ন যন্ত্রাংশ স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী পরিবর্তন করা;
৭। ত্রুটিপূর্ন যন্ত্রাংশ পরিবর্তন / মেরামতের পর সকল বৈদ্যুতিক সংযোগ পরীক্ষা করা;
৮ । মেরামতের পর এয়ার কন্ডিশনিং ইউনিটে বিধি মোতাবেক বৈদ্যুতিক সংযোগ প্রদানের মাধ্যমে চালু করা;
৯ । মেজারিং টুলসের মাধ্যমে বৈদ্যুতিক রিডিং সংগ্রহ ও ডাটা শীটে লিপিবদ্ধ করে ইউনিটটির মেরামত কার্য সঠিক ভাবে সম্পন্ন করা;
১০। কাজ শেষে ওয়ার্কপের নিয়ম অনুযায়ী কাজের স্থান পরিষ্কার করা;
১১। অব্যবহৃত মালামাল নির্ধারিত স্থানে সংরক্ষণ করা;
১২। ওয়েস্টেজ এবং স্ক্যাপ গুলো নির্ধারিত স্থানে ফেলা;
১৩। কাজের শেষে চেক লিস্ট অনুযায়ী টুলস ও মালামাল জমা দেয়া ।
(ক) ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম
(খ) প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি (টুলস, ইকুইপমেন্ট ও মেশিন)
(গ) মালামাল (Raw Materials)
ঘ) কাজের ধাপ
ক) বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হবে।
খ) সিস্টেমে কোন লিক আছে কিনা তা লিক ডিটেক্টরের সাহায্যে পরীক্ষা করতে হবে।
গ) ইনডোর ইউনিটের কেসিং খুলতে হবে এবং ব্রাশ ও এয়ার রোয়ার দিয়ে ফিল্টার পরিষ্কার করতে হবে।
ঘ) ইভাপোরেটর চাপযুক্ত বাতাস, পানি ও ঝুট দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
ঙ) ব্লোয়ার ফ্যান ও এয়ার সুইং মোটর পরিষ্কার করতে হবে।
চ) ড্রেন লাইন পরিষ্কার করতে হবে।
ছ) আউটডোর ইউনিটের কেসিং খুলতে হবে ও কম্প্রেসর, কন্ডেনসার ফ্যান, নেকরা/ঝুট ও ব্লোয়ার দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
জ) কন্ডেনসার এয়ার ব্লোয়ার দিয়ে ও উচ্চ বেগে পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। ভালো পরিষ্কার না হলে পানিতে সামান্য ডিটারজেন্ট / কয়েল ক্লিনার মিশ্রিতকরে পরিষ্কার করতে হবে এবং পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ব্লোয়ার দিয়ে শুকিয়ে ফেলতে হবে।
ঝ) সকল বৈদ্যুতিক সংযোগ লাগাতে হবে ।
ঞ) কেসিং লাগিয়ে ইউনিট চালু করে কারেন্ট গ্রহণের পরিমাণ ও ঠান্ডার পরিমাণ কাঙ্খিত মাত্রায় আসে কিনা পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
কাজের সতর্কতা
আত্নপ্রতিফলন
স্প্লিট টাইপ এয়ার কন্ডিশনার সার্ভিসিং করার দক্ষতা অর্জিত হয়েছে/হয় নাই/আবার অনুশীলন করতে হবে।
(ক) ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম
(খ) প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি (টুলস, ইকুইপমেন্ট ও মেশিন)
(গ) মালামাল (Raw Materials )
(গ) কাজের ধাপ
ক) বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করো।
খ) সিস্টেমে কোন লিক আছে কিনা তা লিক ডিটেক্টরের সাহায্যে পরীক্ষা করো ।
গ) ইনডোর ইউনিটের কেসিং খোল এবং ব্রাশ ও এয়ার ব্রোয়ার দিয়ে ফিস্টার পরিষ্কার করো।
ঘ) ইভাপোরেটর চাপযুক্ত বাতাস, পানি ও বুট দিয়ে পরিষ্কার করো।
ঙ) রোরারফ্যান ও এয়ার সুইং মোটর পরিষ্কার করো।
চ) ট্রেন লাইন পরিষ্কার করতে হবে।
ছ) আউটডোর ইউনিটের কেসিং খোল ও কম্প্রেসর, কন্ডেনসার ফ্যান, নেকরা ও রোয়ার দিয়ে পরিষ্কার করো।
জ) কন্ডেনসার এরার রোয়ার দিয়ে ও উচ্চ বেগে পানি দিয়ে পরিষ্কার কর। ভালো পরিষ্কার না হলে পানিতে সামান্য ডিটারজেন্ট মিশ্রিত করে পরিষ্কার কর এবং পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে রোয়ার দিয়ে শুকিয়ে ফেল।
ঝ) সকল বৈদ্যুতিক সংযোগ দাও।
ঞ) কেসিং লাগিয়ে ইউনিট চালু করে কারেন্ট গ্রহণের পরিমাণ ও ঠান্ডার পরিমাণ কাঙ্খিত মাত্রায় আসে কিনা পর্যবেক্ষণ করো।
কাজের দক্ষতা
ফলাফল
রিমোট কন্ট্রোল স্প্লিট টাইপ এয়ার কন্ডিশনারের বৈদ্যুতিক বর্তনী সম্পর্কে দক্ষতা অর্জিত হয়েছে/ হয় নাই/আবার অনুশীলন করতে হবে।
১. উইন্ডো টাইপ এয়ার কন্ডিশনার বলতে কি বোঝায় ?
২. স্প্লিট টাইপ এসি কি?
৩. উইন্ডো এসির ২টি সুবিধা লেখ ?
৪. স্প্লিট টাইপ এসি ২টি অসুবিধা লেখ?
৫. রয়েল বোল্টের কাজ কী?
৬. ডেটথ ক্যাপ কী কাজে ব্যবহৃত হয়?
৭. স্যাকশন লাইনে কেন বরফ জমে?
১. উইন্ডো টাইপ ও স্প্লিট টাইপ এসির মধ্যে পার্থক্য লেখ।
২. স্প্লিট টাইপ এয়ারকন্ডিশনারের বৈদ্যুতিক সার্কিট অংকন করে দেখাও ।
৩. উইন্ডো টাইপ এয়ারকুলার মেরামত খরচের হিসাব দেখাও।
৪. এয়ার কুলার চলে কিন্তু ঠান্ডা কম হয় এর কারণ কি?
৫. রেফ্রিজারেন্ট রিকভারি বলতে কী বোঝায়?
৬. ঘরের মাপ ১২১-১৫০ পর্যন্ত হলে কতটন এসি প্রয়োজন ।
১. স্প্লিট টাইপ এয়ার কন্ডিশনারের রক্ষণাবেক্ষন কৌশল বর্ণনা করো ।
২. স্প্লিট টাইপ এয়ার কন্ডিশনারের মাসিক ও বাৎসরিক রক্ষণাবেক্ষন কৌশল বর্ণনা করো ।
৩. উইন্ডো টাইপ এয়ার কুলারের ত্রুটির তালিকাসমূহ লেখে বর্ণনা করো ।
৪. পুশ পুল রেফ্রিজারেন্ট রিকভারি পদ্ধতি চিত্রসহ বর্ণনা করো ।
৫. উইন্ডো টাইপ এসির হিমায়ন বর্ণনা করো ।
আরও দেখুন...