আমরা প্রত্যেক বাড়িতেই দৈনন্দিন কাজে বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে থাকি। আমাদের আশেপাশের ওয়েভিং সপে বিভিন্ন ধরনের জানালার গ্রিল, লোহার ফার্নিচার ইত্যাদি ওয়েল্ডিং করার কাজে বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এসব যন্ত্রপাতির মধ্যে কিছু আমাদের পরিচিত আর কিছু অপরিচিত। আমরা পর্যায়ক্রমে এ যন্ত্রপাতিগুলোর যথাযথ ব্যবহারের দক্ষতা অর্জন করে আমাদের পছন্দের জিনিস তৈরি করব। এগুলো ব্যবহারে সতর্কতাসমুহ এবং এগুলো যথাযথ সংরক্ষণের পদ্ধতিসমূহ শিখবো। এই অধ্যায় পাঠ শেষে আমরা-
পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা অনুশীলন করতে পারব;
হ্যান্ড টুলস ব্যবহার করতে পারব;
পাওয়ার টুল'স ব্যবহার করতে পারব;
টুল'স সমূহ যথাযথভাবে পরিষ্কার ও সংরক্ষণ করতে পারব।
ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে ওয়েল্ডিং কাজে টুলস ও ইকুপমেন্ট দুই প্রকারের হয়ে থাকে। যেমন-
১। হ্যান্ড টুল' (Hand Tools)
২। পাওয়ার 'টুল'স (Power Tools)
যে সমস্ত টুলস হাতে চালনা করে ব্যবহার করা হয় সেগুলোই হ্যান্ড টুলস। ওয়েস্তারগণ যে সমস্ত টুলস ওয়েল্ডিং করার সময়, আগে ও পরে হাতে চালনা করে ওয়েল্ডিং কাজসমূহ সম্পন্ন করে থাকে, সেগুলোকে 'ওয়েডিং হ্যান্ড টুন'স বলে। যেমন-বল দিন হ্যাগার, চিপিং হ্যামার, ফাইল, হ্যাকস, কোষ্ণ চিজেল ইত্যাদি। সাধারণত এ ধরনের টুল'স বিদ্যুৎ শক্তি চালিত হয় না। এ ধরনের টুল'স ওজনে হালকা ও খুব সহজে ও নিরাপদে ব্যবহার করা যায়।
একজন ওয়েন্ডার ওয়েল্ডিং এর আগে বা পরের কাজগুলো করার জন্য পাওয়ার বা বিদ্যুৎ শক্তি ব্যবহার করে যে সমস্ত টুলস ব্যবহার করে থাকে সেগুলোকেই মূলত পাওয়ার টুলস বলে। সাধারণত এ ধরনের টুলস ওজনে অপেক্ষাকৃত তারি ও অধিক সতর্কতার সাথে এগুলো ব্যবহার করতে হয়। যেমন-হ্যান্ড গ্রাইন্ডার, পাওয়ার ছিল ইত্যাদি।
একজন ওয়েল্ডার যে সমস্ত যন্ত্রপাতি হাতে চালনা করে সেইগুলি হল একজন ওয়েল্ডারের হ্যান্ডটুল। ওয়েল্ডার ওয়েল্ডিং কাজের পূর্বে জোড়াস্থান তৈরির জন্য স্থান চিহ্নিত করে, ধাতু কাটে, ক্ষয় করে, মাপ নেয়, পিটিয়ে ধাতুর আকৃতি পরিবর্তন করে এইরূপ বিভিন্ন রকমের কাজ করে, এই কাজগুলি করার জন্য যে টুলসগুলি ব্যবহৃত হয় সেগুলি হলো-
এটি এক ধরনের ছোট ছোট দাঁতসম্বলিত করাত। হ্যাকস বিভিন্ন ধাতব শক্ত কাটার জন্য ডিজাইন করা হলেও এর সাহায্যে প্লাস্টিক ও কাঠ জাতীয় বস্তুও বেশ আয়াশেই কাটতে পারা যায়। C-আকৃতির একটি ফ্রেমের দুই প্রান্তে ছোট দু'টি পিন বা স্টাড (Stud) আছে, যেখানে নতুন নতুন ব্ৰেড লাগানো যায়। হাতে ধরার জন্য এক প্রান্তে একটি হাতল (Handle) আছে।
হ্যাক'স ফ্লেম দুই প্রকার। যথা-
১) সলিড ফ্রেম (Solid Frame)
এ ধরনের ফ্রেমের দৈর্ঘ্য কম বেশি বা ছোট বড় করা যায় না। ফলে এ ফ্রেমে কেবলমাত্র একই দৈর্ঘ্য মাপের ব্লেড লাগানো যায়। নিচের চিত্র-১.১৬ এবং চিত্র-১.১৭-এ দুই ধরনের হাতলওয়ালা সদিড ফ্রেম হ্যাকস দেখানো হলো।
২) অ্যাডজাস্টেবল ফ্রেম (Adjustable Frame):
এ ধরনের ফ্রেমের দৈর্ঘ্য প্রয়োজনে ছোট বড় করা যায়। ফলে এ ফ্রেমে বিভিন্ন দৈর্ঘ্য মাপের রেড লাগানো যায়। নিচের চিত্র-১.১৮ (ক) ও ১.১৮ (খ) তে দু'ধরনের এডজাস্টেবল হ্যাক'স ফ্রেম দেখানো হলো। প্রথম ধরনের ফ্রেমকে ভেঙ্গে নিয়ে এবং দ্বিতীয় ধরনের ফ্রেমের [চিত্র. ১.১৮(খ)] অ্যাডজাস্টিং পিনখুলে ব্রেডের মাগ মোতাবেক সমন্বয় করে লাগানো যায়।
হ্যাক'স ব্লেড (Hacksaw Blade):
হ্যাকস ব্ৰেডই সুলভ হ্যাকস এর কাটার কাজ সম্পন্ন করে। এ ব্রেডের দুই প্রান্তে দু'টি ছিদ্র থাকে- এ ছিদ্র দুটির কেন্দ্রের মধ্যবর্তী দূরত্বকেই ব্রেডের দৈর্ঘ্য বলে (চিত্র ১.১৯)। বাজারে প্রচলিত রেডগুলির দৈর্ঘ্য ২৫০ মিলিমিটার হতে ৩০০ মিলিমিটার, তবে ১৫০ মিলিমিটার দৈর্ঘ্যরে ব্রেডও পাওয়া যায়। এগুলো চওড়া ১২ মিলিমিটার হতে ১৬ মিলিমিটার এবং পুরুত্ব ০.৭৫ মিলিমিটার হতে ১.৬ মিলিমিটার হয়ে থাকে; তবে ০.৬৩ মিলিমিটার পুরুত্বের ব্রেডই সচরাচর ব্যবহৃত হয়। প্রতি ইঞ্চিতে দাঁতের সংখ্যা বিভিন্ন হলেও, ওয়ার্কশপে সাধারণত কাজের জন্য প্রতি ইঞ্চিতে ১৪ দাঁতের ব্রেড ব্যবহৃত হয়। মোটা বা বেশি পুরুত্বের ধাতু কাটার জন্য প্রতি ইঞ্চি অল্প দাঁত সংখ্যা বিশিষ্ট ব্রেড ব্যবহৃত হয়। কোন একটি ধাতু কাটার সময় লক্ষ্য করা উচিত যে স্থানটি কাটা হচ্ছে সেই স্থানের উপর কমপক্ষে দুই বা তিনটি দাঁতের সংকুলান হতে হবে নতুবা ব্লেড ভেদে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।
কাঠিন্যতার উপর নির্ভর করে হ্যাকস ব্লেড দুই ধরনের হয়ে থাকে। যথা- ১) জন হার্ড হ্যাকস ব্রেড (All Hard Hacksaw Blade): এটি অপেক্ষাকৃত হার্ড বা কঠিন, তবে দাঁত ভাঙ্গার পূর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত এর ধার বজায় থাকে (চিত্র-১.১৮)। এ ধরনের রেড অত্যন্ত সতর্কতার সাথে ব্যবহার করতে হয়; কারণ একটু বেশি চাপ পড়লেই ব্লেড ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
২) ফ্লেক্সিবল ব্যাক হ্যাকস ব্রেড (Flexible Back Hacksaw Blade ) :
এ ব্লেডের কেবলমাত্র দাঁতগুলো হার্ড এবং ব্লেডের ব্যাকিং (Backing) ফ্লেক্সিবল যাতুর পাত দিয়ে গঠিত হওয়ায় এটি অলহার্ড ব্লেড অপেক্ষা কম ভঙ্গুর (Less Brittle) হয়; তবে এর ধার অতি দ্রুত ভোতা হয়ে যায়। একটু বেশি চাপ পড়লেও ব্রেড সহজে ভেঙ্গে যায় না। অস্বাভাবিক পরিস্থিতি ও অল্প স্পেসে কাজ করার জন্য এ ধরনের ব্রেড খুবই উপযোগি। এ ব্লেড গুলো আবার একদিকে দাঁতবিশিষ্ট (চিত্র-১.২১ (ক)] ও উভয়দিকে দাঁত বিশিষ্ট (চিত্র 1.21 (7) } হয়ে থাকে।
হ্যাকস রেডের গীত সংখ্যা
হ্যাকস ব্রেডের প্রতি ইঞ্চিতে দাঁতের সংখ্যা (Tooth Per Inch) কে সংক্ষেপে TPI বলে (চিত্র-১.২২)।
দাঁত (Teeth) সংখ্যার উপর নির্ভর করে হ্যাকস ব্লেড চার ধরনের হয়ে থাকে। যথা- ১. কোর্স গ্রেড হ্যাক'স ব্লেড (Course Grade Hacksaw Blade) এ ব্লেড নরম ধাতু যেমন-মাইল্ড স্টিল (Mild Steel), অ্যালুমিনিয়াম (Aluminium), পিতল (Brass) ইত্যাদি ধাতু কাটার কাজে ব্যবহৃত হয়। এ ধরনের ব্লেড প্রতি ইঞ্চিতে ১৪ হতে ১৮ টি দাঁত ( ১৪ to ১৮ TPI) থাকে।
২. মিডিয়াম গ্রেড হ্যাক'স ব্লেড (Medium Grade Hacksaw Blade)
এ ব্লেড সব ধরনের ধাতু যেমন-ঢালাই লোহা (Cas Iron), টুল স্টিল (Tool Steel), অ্যালুমিনিয়াম, পিতল, হাই কার্বন স্টিল (High Carbon Steel) ইত্যাদি ধাতু কাটার কাজে ব্যবহৃত হয়। এ ধরনের ব্লেডে প্রতি ইঞ্চিতে ২০ হতে ২৪ টি দাঁত (20 to 24 TPI) থাকে।
৩. ফাইন গ্রেড হ্যাক’স ব্লেড (Fine Grade Hacksaw Blade )
এ ব্লেডে প্রধানত পাতলা পাইপ (Thin pipe), শিট (Sheet), টিউব (Tube) ইত্যাদি ধাতু কাটার কাজে ব্যবহৃত হয়। এ ধরনের ব্লেডে প্রতি ইঞ্চিতে ২৪ হতে ৩০ টি দাঁত (24 to 30 TPI) থাকে। ৪. সুপার ফাইন গ্রেড হ্যাকস ব্লেড (Super Grade Hacksaw Blade )
সব ধরনের অস্বাভাবিক শক্ত ধাতু ও পাতলা ধাতব শিট (Thin Metal Sheet) কাটতে এক ধরনের পাতলা ব্লেড ব্যবহৃত হয়। এ ধরনের ব্লেডে প্রতি ইঞ্চিতে ৩০ হতে ৩২ টি দাঁত থাকে। উপর্যুক্ত চার ধরনের ব্লেডেরই এক অথবা উভয় পাশে দাঁত কাটা থাকে।
হ্যাক'স দিয়ে ধাতু কাটার সময় ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে:
১. যে ধাতু কাটতে হবে, সে ধাতুর উপযোগী হ্যাকস ব্লেড নির্বাচন করতে হবে।
২. হ্যাক'স ফ্রেমে ব্লেড আটকানোর সময় নিশ্চিত হতে হবে যেন এর দাঁতগুলো এমনভাবে থাকে যাতে সামনের দিকে চালনার সময় ধাতু কাটে (চিত্র-১.২৩)।
৩. কার্যবস্তুটি এষনভাবে বেঞ্চ তাইসে আটকাতে হবে যাতে কাটিং লাইন (Cutting Line) স্পষ্টভাবে দেখা যায় (চিত্র-১.২৪)।
৪. হ্যাকস ব্লেড দিয়ে ধাতু কাটা শুরু করার আগে ব্লেডটি চিত্র অনুযায়ী মার্কিং লাইনের উপর এমনভাবে রাখতে হবে যাতে বাম হাতের বুড়া আঙ্গুল চিত্র-১.২২ অনুযায়ী রেডকে সাপোর্ট (Suport) দিয়ে রাখে। এটা নিশ্চিত করতে হবে যে ব্লেডটি কেবলমাত্র লাইন বরাবরই চলবে এবং কোন অবস্থাতেই পিছলে যাওয়ার ঝুঁকি থাকবে না।
৫. বাম হাতের বুড়া আঙ্গুলের সাপোর্ট দিয়ে মার্কিং করার পর চিত্র-১.২৫ অনুযায়ী ডান হাতের তালু এবং আঙ্গুলগুলো দিয়ে হ্যাকস এর হাতল এবং বাম হাতের তালু এবং আঙ্গুলগুলো দিয়ে হ্যাকস এর সামনের দিকে ধরতে হবে।
৬. ভাইসের বামদিকে দাঁড়িয়ে ডান পা পিছনে এবং বাম পা ডান পা থেকে একটু সামনের দিকে এগিয়ে রাখতে হবে।
৭. কাৰ্যবস্তু এমনভাবে সংযোগ করতে হবে যাতে কমপক্ষে ব্লেডের তিনটি দাঁত কার্যবস্তু ভলের সংস্পর্শে থাকে (চিত্র ১.২৭)।
৮. হ্যাক'স চালনা করার গতি (Stroke) প্রতি মিনিটে ৪০ হতে ৫০ হওয়া উচিত (চিত্র-১.২৬)।
৯. ফরোয়ার্ড স্ট্রোক (Forward Stroke) এ চাপ দিতে হবে আর ব্যাকওয়ার্ড স্ট্রোক (Backward Stroke) বা রিভার্স গ্লোকে (Reverse Stroke) এ চাপ প্রত্যাহার করতে হৰে (চিত্র-১.২৯)
একটি ফাইলের ট্যাং অংশটি বাদ দিলে, উহার যাহা অবশিষ্ট থাকে তাহা ফাইল দৈর্ঘ্য হিসাবে পরিচিত। এই দৈর্ঘ্য ৫০ মিলিমিটার হতে বর্ধিত হয়ে ১০০ মিলিমিটার এবং ১০০ মিলিমিটার হতে বর্ধিত হয়ে ৪৫০ মিলিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। অর্থাৎ ২ ইঞ্চি হতে ক্রমে বৃদ্ধি পেয়ে ৪ ইঞ্চি এবং ৪ ইঞ্চি হতে ক্রমে বৃদ্ধি পেয়ে ১৮ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়।
কোন বস্তুর উপরিভাগ বা কোন নালীর ভিতরের অংশ হতে অল্প পরিমাণ ম্যাটেরিয়াল ক্ষয় করতে ইহা অত্যন্ত উপযুক্ত। আপত দৃষ্টিতে ফাইল চালানো কাজ খুব স্বাভাবিক বলে মনে হলেও সুন্দর করে ফাইল চালানো বা ফাইলিং করা শেখার জন্য অনেক সময় এবং মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন।
একটি ফাইলের প্রতি সেন্টিমিটারে বা প্রতি ইঞ্চিতে কয়টি দাঁত রয়েছে সেই সংখ্যার উপর ভিত্তি করে ফাইলের স্তর বা গ্রেড নির্ধারণ করা হয়। যে স্থানে বেশী ধাতু ক্ষয় করতে হয় তথায় প্রতি সেন্টিমিটারে অল্প দাঁতের ফাইল অর্থাৎ মোটা দাঁতের ফাইল ব্যবহার করা হয় প্রতি সেন্টিমিটারে বা ইঞ্চিতে দাঁত সংখ্যার ভিত্তিতে ফাইল এর গ্রেড সমূহের নাম এবং উহাদের ব্যবহার ছকে দেখান হল। সঠিক কাজ পাওয়ার জন্য সঠিক গ্রেডের ফাইল নির্বাচন করা অতি প্রয়োজন।
দাঁতের সংখ্যার উপর ভিত্তি করে যেমন ফাইলের গ্রেড নির্ধারণ করা যায়, তেমনি ফাইলের আকৃতির উপর ভিত্তি করে উহার শ্রেণী বিভাগ করা যায়। বিভিন্ন জবের জন্য বিভিন্ন প্রকার ফাইলের দরকার হয়।
বিভিন্ন শ্রেণির ফাইলগুলো যেমন-
ফ্লাট অর্থ সমতল বা চেপ্টা সুতরাং এই ফাইলের উপরিভাগসমতল বা চেপ্টা স্তবে অগ্রভাগ ক্রমশ: চিকন ইহার দৈর্ঘ্য সাধারণত ৫ সেন্টিমিটার হতে ১৫ সেন্টিমিটার এবং ১৫ সেন্টিমিটার হতে ৪৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়। ওয়ার্কশপের অধিকাংশ কাজ এই ফাইল দ্বারা করা হয়। রাফ, ৰাষ্ট্ৰাৰ্ড, সেকেন্ড কার্ট, সুখ এবং ভেড স্মথ সকল গ্রেডের ফ্লাট ফাইল বাজারে পাওয়া যায়।
হ্যান্ড ফাইল
এটির পৃষ্ঠাদেশ সমতল এবং আয়তাকার, দেখতে ফ্লাট ফাইলের মত হলেও একপার্ধে দাঁত থাকে না, অর্থাৎ এক পাশ সমতল থাকে ফলে ৯০ ডিগ্রী কোলে খৃষ্ট ক্ষয় করার সময় একটি পার্শ্ব কে অক্ষুন্ন রাখা প্রয়োজন হলে এই প্রকারের ফাইল দরকার হয়।
পিলার ফাইল
এই শ্রেণির ফাইল হ্যান্ড ফাইলের অনুরূপ হয়ে থাকে, তবে এদের পুরুত্ব হ্যান্স ফাইলের চেয়ে বেশি হয়ে থাকে । এই ধরনের ফাইল ২০ সেন্টিমিটার হতে ৩০ হ্যান্ড ফাইলের চেয়ে বেশী হয়। এই ধরনের ফাইল ২০ সেন্টিমিটার হতে ৩০ সেন্টিমিটার (৮ ইঞ্চি হতে ১২ ইঞ্চি) পর্যন্ত লম্বা কোনো আয়তাকার খাচে অধিক পরিমাণ খাতু ক্ষয় করার কাজে এই ফাইল অতি উপযুক্ত।
মিল ফাইল
এই প্রকারের ফাইলের পৃষ্ঠদেশও চ্যাপটা বা সমতল তবে বিশেষত্ব এই যে, এই শ্রেণীর ফাইল সিংগেল কার্ট বিশিষ্ট হয়। অধিক পরিমাণ ধাতু ক্ষয় করতে এটি ব্যবহৃত হয়।
হাফ রাউন্ড ফাইন
নাম হতে বোঝা যায় যে, এই ধরনের ফাইল এর উপরিভাগ অর্থ গোলাকার হবে তবে প্রকৃত পক্ষে এটি সম্পূর্ণরূপে অর্থ গোলাকার নহে, খানিকটা অর্থ গোলাকারে এবং ইহার একটি পৃষ্ট সমস্তল থাকে ফলে সমতল পৃষ্ঠটি দিয়ে অনায়াসে ফ্লাট ফাইলের কাজও চালানো যায় এবং বক্রপৃষ্ঠ দিয়ে কোন পৃষ্ঠকে অবতল আকৃতি দেওয়া যায়। এই শ্রেণির ফাইলের দৈর্ঘ্য ১০ সেন্টিমিটার হতে ৪৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়।
স্লাইট ফাইল
এই শ্রেণির ফাইল গোলাকার এবং টেপার হয় অর্থাৎ ফাইলের ব্যাস সুষমহারে ক্রমশঃ কমে যায়। রাউন্ড ফাইলের দৈর্ঘ্য সাধারণত ১০ সেন্টিমিটার হতে ৪৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়। কোনো গোলকার ছিদ্রকে বড় করতে, অসম আকৃতির ছোলের আকৃতি ঠিক করতে এই শ্রেণির ফাইল অতি উপযুক্ত বলে বিবেচিত হয়।
টাংগুলার ফাইল বা থ্রি স্কয়্যার ফাইল
ভিন কোন বিশিষ্ট এই ফাইল টেগার হয়, অর্থাৎ ক্রমশ চিকন হয়। তিন কোণা এই ফাইলের প্রতিটি কোশের মান ৬০ ডিগ্রী। এই প্রকারের ফাইল ১০ সেন্টিমিটার হতে ৪০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত দীর্ঘ হয়। ইহা সিঙ্গেল কাট এবং ডবল কাট উভয় প্রকারের হয়। যে সমস্ত কৌণিক স্থানের মান ১০ ডিগ্রী অপেক্ষা কম সেই সকল স্থানে ফাইলিং করতে এই প্রকারের ফাইল অধিক উপযুক্ত। করাতের দাঁত, ট্যাপ, কার্টার ইত্যাদি ধার দিতে এই ফাইল খুব উপযুক্ত।
স্কয়্যার ফাইল
এই ফাইল বর্গাকার অর্থাৎ ইহার চারটি কোণ থাকে, প্রতিটি কোণের মান ৯০ ডিগ্রী। ইহা ডবল কাট বিশিষ্ট হয়। এই শ্রেণীর ফাইন অধিকাংশ ক্ষেত্রে ১০ সেন্টিমিটার হতে ৪০ সেন্টিমিটার (প্রায় ৪ ইঞ্চি হতে ১৬ ইঞ্চি) পর্যন্ত লম্বা হয়। কোন নালীর বা গ্রুপের তলা পরিষ্কার করতে অথবা গোলাকার গর্তকে চৌকোনা করতে এই শ্রেপির ফাইল ব্যবহৃত হয়।
চিজেল
এটি কটি ধাতু কর্তনকারী টুল বাংলায় একে হেনি বলে। একটি চিজেলের প্রধান প্রধান অংশগুলি হল:-
(ক) হেড
(গ) শ্যা
(গ) কাটিং এজ
হেড অংশে হাতুড়ির আঘাত দিয়ে ধাতু কাটা হয়, চিজেল টুল-স্টিল দিয়ে তৈরি করা হয়। বিভিন্ন রকম কাজের জন্য চিজেলের মুখের আকৃতি ভিন্ন হয় এবং এদের নামও ভিন্ন ভিন্ন হয়।
(ক) ফ্লাট চিজেল
(খ) ক্রস কাট চিজেল
(গ) রাউন্ড নোজ চিজেল
(ঘ) ডায়মন্ড পয়েন্ট চিজেল এবং
(ঙ) সাইড চিজেল।
কোনো চিজেলের মাপ বলতে ইহার কাটিং এজের দৈর্ঘ্যকে বোঝায়। এই যান ৬ মিলিমিটার হতে ৩২ মিলিমিটার পর্যন্ত হয় এবং সমগ্র চিজেল এর দৈর্ঘ্য সাধারণত ১০ সেন্টিমিটার হতে ৪০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে।
(১) প্রয়োজনের অতিরিক্ত মেটাল কোনো বস্তুর উপর হতে দ্রুত সরিয়ে ফেলতে,
(২) কোনো অসমতল স্থান তাড়াতাড়ি মোটামোটি সমান করতে,
(৩) কোনো বস্তুর উপরিভাগে নালী বা ঘাট কাটতে,
(৪) কোনো মেটালকে দ্বিখন্ডিত করতে,
(৫) রিভেটকে কেটে কোনো জোড় খুলতে,
(৬) ওয়েন্ড জোড়া প্রস্তুত করার সময় এবং
(৭) ওয়েল্ড মেটালের মাঝে আটকে পড়া ধাতুমল বা গাদ সরাতে।
ওয়েল্ডিং কাজে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হ্যান্ড টপস এর মধ্যে বল পিন হ্যামার একটি। ইহার হেডটি বলের মত অর্থাৎ গোল ভাই এই প্রেপির হাতুড়ির নাম হয়েছে বলপিন হ্যামার।
একটি বলপিন হ্যামারে বিভিন্ন অংশের নাম হল:
ক) হেড বা পিন
খ) ফেস
গ) আই
ঘ) হেড বা পিন
ঙ) হাতল
বলপিন হ্যামার সাধারণত ০.১১ হতে ০.১১ কিলোগ্রাম ওজনের হয়। ওয়ার্কশপে সাধারণত নিম্নোক্ত বিভিন্ন ধরনের কাজে এই হ্যামার ব্যবহার করা হয়-
১। চিজেন দিয়ে চিপিং করে ধাতু কাটার সময় চিত্রেলের হেডে আঘাত করতে,
২। জবে লে-আউট করার সময় সেন্টার পাঞ্চের মাথায় আঘাত করতে
৩। কোন ক্ষরকে পিটিয়ে সোজা বা বাঁকা করতে।
এটি ওয়েন্ডিং শপে এবং কামারশালায় ফোর্জ ওয়েল্ডিং কাজে বয়হৃত হয়। অধিক ভারী এবং দুই হাতে ব্যবহার করার উপযোগী। এই হ্যামার সাধারণত ০৩ হতে ০৫ কিলোগ্রাম ওজনের হয় এবং হাতলের দৈর্ঘ্য ২৪ থেকে ৩২ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়।
এই ধরনের হাতুড়ির এক মাথা ফ্লাট বা সমতল এবং অন্য মাথা বাটালি বা ছেনির মত হয়ে থাকে। এই হাতুড়ি কজন ওয়েন্ডারের জন্য অতি প্রয়োজনীয় একটি হ্যান্ড টুল।
ক) ওয়েন্ডিং করার পর ওয়েন্ড মেটালের উপর যে সকল স্লাগের আবরণ থাকে সেইগুলি পরিষ্কার করতে এই হাতুড়ি প্রয়োজন হয়।
খ) স্প্যাটার ত্রুটির কারনে ছিটকে পড়া ধাতু কলাগুলি পরিষ্কার করতেও ইহা ব্যবহৃত হয় ।
গ) যেস্থানে সমতল অংশ দিয়ে পরিষ্কার হয় না, ময়লা শক্তভাবে লেগে থাকে সেখানে চিজেলের মত অংশ ব্যবহৃত হয়।
ঘ) সমতল অংশকে সাধারণ হাতুড়ির মত ব্যবহার করে কোন কিছুকে পেটাতে ব্যবহার করা হয়।
মাথাটি হাডেনিং করে শক্ত করা এবং বডি হাত হতে যেন পিছলির না যায় তাই নারলিং করা থাকে। ইহা লম্বায় প্রায় ১০০ মিলিমিটার হয়।
পেন্সিল দিয়ে যেমন কাগজের উপর দাগ টানা হয় অনুরুপভাবে জবের উপর দাগ দেওয়ার জন্য ফাইবার নব্যবহৃত হয়। ওয়েল্ডিং জোড়ার পার্শ্বদেশ তৈরি করার সময় এটি ব্যবহৃত হয়।
এটি মিডিয়াম কার্বন স্টিলের হাতন অংশে গোলাকার তবে চোয়ান গোলাকার এবং চ্যাপটা উভয় রকমই হয়।
গরম অথকে ধরতে ও নাড়াচাড়া করতে জবকে সঠিক অবস্থানে ধরে ওয়েন্ডিং করতে এটি অতি প্রয়োজনীয়।
কাঠের হাতলের উপর শক্ত চিকন চিকন তার বসায়ে এই হ্রাস তৈরি করা হয়। চিপিং হাতুড়ির সাহায্যে জোড়া স্থানের স্লাগের আবরণ ভোলার পর উক্ত স্থানকে ভালভাবে পরিষ্কার করার জন্য ইহা ব্যবহৃত হয়। তাছাড়াও বেস মেটাল বা প্যারেন্ট মেটাল যখন অপরিষ্কার থাকে তখনও এ ব্রাসের সাহায্যে উহা পরিষ্কার করা যায়।
সি ফ্ল্যাম্প: ইহা দেখতে ইংরেজি সি অক্ষরের মত তাই এর এরূপ নাম হয়েছে। ভারী এবং হালকা উভয় ধরনের কাজের আবস্থান অনুযায়ী ধরে রাখার কাজে এটি ব্যবহার করা হয়।
এ ধরনের ক্ল্যাম্প দুইটি জব চোয়াল সমান্তরাল বা প্যারালাল অবস্থায় থাকে তাই এর নাম প্যারালাল ক্যাম্প হয়েছে। জবকে সঠিক স্থানে ধরে রেখে ওয়েন্ডিং করতে এটি ব্যবহার করা হয়।
এটি একটি জনপ্রিয় ও বহুল ব্যবহৃত রেফ। এটির ওয়ার্স স্কুকে ঘুরিয়ে যে কোনো নাটে বা বোল্টে অ্যাডজাস্ট করা যায়৷ একজন ওয়েল্ডারের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও ইকুইপমেন্ট (Equipment) এর বিভিন্ন মাগের নাট টাইট ও লুজ দিতে এটি সবসময় প্রয়োজন হয়। এ রেঞ্চ ১১০ মিমি হতে ৬৯০ মিমি মাপের হয়ে থাকে। সাধারণ কাজে ২৫০ মিমি মাপের রেঞ্চই বেশি ব্যবহৃত হয়।
ওপেন এন্ডেড রেঞ্জ (Open Ended Wrench) এ রেঞ্চের প্রাঙ্ক বা এন্ড খোলা থাকে। এ ব্রেঞ্চের সুবিধা হলো প্রতিটি মাপের নাট বা বোশের জন্য আলাদা আলাদা রেঞ্চ আছে। এ ব্রেক ব্যবহার করলে নাটের মধ্যে এটি টাইট হয়ে লেগে থাকে, ফলে পিছলিয়ে যায় না। চিত্র-১.৫৩ এ দেখানো রেফটির একমাত্রা ১৬ মিমি এবং অন্য মাথা ১৭ মিমি নাট বা বোল্ট এর জন্য নির্ধারিত। এ রেঞ্চ একমাথা খোলা ( Single Ended) ও দু'মাথা খোলা (Double Ended) উভয় প্রকারের হয়ে যাকে।
এটি দেখতে L আকৃতির (চিত্র-১.৫৪) হয়ে থাকে। ষড়ভূজ আকৃতি (Hexagonal) বিশিষ্ট 'অ্যালেন লেন কী বোল্ট' (চিত্র-১.৫৫), অ্যালেন স্ক্রু, 'কাউন্টার শ্যাংক মেশিন স্ক্রু ইত্যাদি লুজ ও টাইট দিতে এই রেঞ্চ বা কী ব্যবহৃত হয় (চিত্র-১.৫৬)।
১) অ্যান্জেল গ্রাইন্ডার (Angle Grinder) এই প্রাইভারকে সাইড (Ride Grinder) গ্রাইন্ডারও বলে এবং এটি দিয়ে ধাতব খন্ডের উপরিতল ঘর্ষণ করে মসৃণ এবং পলিশ (Polish) করা যায়। অ্যাঙ্গেল গ্রাইন্ডার বৈদ্যুতিক মটর চালিত। ধাতু ক্ষয় করার জন্য এতে একটি ধর্ষণকারী ডিঙ্ক (Abrasive Disc), একটি এডজাস্টেবল পার্ট (Adjustable Guard) এবং একটি প্রধান হাতল ছাড়াও ধরার সুবিধার জন্য আরও একটি পার্শ্ব হাতল (Side Handle) চ্ছ। ফলে দু'হাতে ধরে সুবিধাজনকভাবে কাজ করা যায়।
বিভিন্ন ধাতুতে বিভিন্ন প্রকার কাজের জন্য বাজারে অনেক রকম ঘর্ষণকারী ভিঙ্ক পাওয়া যায়। এ প্লাইভার এ 'কাটিং ডিস্ক' সেট করে ধাতু কাটার কাজও করা যায়। চিত্র-১.৫৮ তে সাধারণ কাজে ব্যবহৃত ১১৫ সিমি ব্যাসের একটি কাটিং ডিস্ক দেখানো হলো।
ধাতুর জলে বিভিন্ন প্রকার অপারেশন যেমন- প্রাইভিং, স্যান্ডিং, ব্রাশিং এবং পলিশিং অপারেশন সম্পন্ন করার জন্য বিভিন্ন প্রকার ডিস্ক ও হুইল ব্যবহৃত হয়। চিত্র-১.৫৯ তে বহুল ব্যবহৃত কিছু প্রাইভিং হুইল, ডিস্ক ও এটাচমেন্ট দেখানো হলো। গ্রাইন্ডিং হুইলগুলো সাধারণত ১১৫ মিমি., ১২৫ মিমি, এবং ২৩০ মিমি ব্যাসের হয়। গুড ওয়েন্ডিং এ গুড কাটার জন্য এ প্রাইন্ডার বিশেষ উপযোগী।
২) বেঞ্চ গ্রাইন্ডার (Bench Grinder)
টেবিল বা ওয়ার্কিং বেঞ্চের উপর স্থাপন করে এ গ্রাইন্ডার দিয়ে বিভিন্ন অপারেশন সম্পন্ন করা হয় বলে এর এরূপ নামকরণ (চিত্র-১.৬১/ বেঞ্চ প্রাইভারে দু'টি গ্রাইন্ডিং হুইল সেট করার ব্যবস্থা আছে। বিভিন্ন ধাতু এবং বিভিন্ন গ্রেডের মসৃণতা পেতে এখানে বিভিন্ন প্রকার হইল সেট করা যায়। এটি দিয়ে টুল বিট, ড্রিল বিট, চিজেল ইত্যাদি ধার দেওয়া যায়। নিরাপত্তার জন্য হইল গার্ড, স্পার্ক জ্যারেস্টার ও জবকে সাপোর্ট দিতে টুম রেস্ট আছে। ওয়েন্ডিং ফিটিং কাজের পূর্বে রাফ আকৃতি প্রদান করতে এটি অধিক উপযোগী।
৩) হ্যান্ড ড্রিল মেশিন (Hand Drill Machine)
যখন কোনো জবকে পেডেন্টাল ড্রিল এ ছিল করার সুযোগ থাকে না তখন এই ড্রিল অধিক উপযোগী (চিত্র-২.৬২)। এ ড্রিল বৈদ্যুতিক মোটর চানিত ও অপেক্ষাকৃত হালকা হওয়ায় এটিকে সহজেই স্থানান্তর করে বিভিন্ন স্থানে বহন করে প্রয়োজনে ব্যবহার করা যায়। এর তিন চাক (Drill Chuck) এ বিভিন্ন ধরনের मি বিচ (Drill bit) সেট করে মাতু, প্লাস্টিক কংক্রিটের উপর সহজেই ছিন্ন করা যায়।
এটি একটি ঘূর্ণায়মান ও চোখা ৰিট সংযুক্ত যন্ত্র হওয়ায় এর ব্যবহারে যথেষ্ট সতর্কতা লম্ব করা প্রয়োজন। ঘরের দেওয়ালে বা অন্য কোন অজানা স্থানে ড্রিল করার সময় উক্ত স্থানের নিচে কোনো কনসিদ্ধ বিদ্যুৎ লাইন আছে কি না তা নিশ্চিত হতে হবে। না হলে বৈদ্যুতিক শক লেগে মূর্ঘটনা ঘটতে পারে, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
৪) সার্কুলার 'স' মেশিন (Circular Saw Machine)
বিভিন্ন ধরনের রেড ব্যবহার করে এ 'স' দিয়ে (চিত্র-২.৬৩) কাঠ, ধাতু, প্লাস্টিক এর স্ট্রেইট কাট, ক্রস কাট ও বিলে কাট সম্পন্ন করা যায়। চিত্র-২.৬৪ অনুযায়ী 'ডেপথ্ অ্যাডজাস্টমেন্ট ডিভাইস' এ 'কাটিং ডেপথ্ অ্যাডজাস্ট করে বেজ প্লেটেটি কার্যবস্তুর উপর রেখে ট্রিগার সুইচ অন করতে হবে। এবার হাতল দু'টি ধরে নিচের দিকে চাপ দিয়ে সামনে চালনা করলে কাটা সম্পন্ন হবে। 'বিকেল অ্যাডজাস্টমেন্ট অ্যাডজাস্ট করে এ 'স' দিয়ে ৰিতেল কৰ্তনও করা যায়।
কোনো ধাতৰ ৰঘুকে কাটতে (Cut Across A মেশিন ব্যবহৃত হয়। বৈদ্যুতিক মটর চালিত হওয়ায় মেশিনটির সাহায্যে যে সকল খাতব খণ্ডের ন্যাস বা পুরুত্ব অনেক বেশি এবং ধাতু অনেক শক্ত এ সব ধাতুগুলোকে স্লাইস (Slice) আকারে সহজে কাটতে পারা যায়। টাংস্টেন স্টিল বা হাই স্পিড লি ধাতু দিয়ে তৈরি একটি ব্রেড ধাতু কর্তনের কাজটি সম্পন্ন করে। উক্ত গ্রেডের ধার নষ্ট হলে বা ভেঙে গেলে নতুন ব্ৰেড প্রতিস্থাপন করা যায়।
৬) পেডেস্টাল গ্রাইন্ডার (Pedestal Grinder) :
এটির কাজও বেঞ্চ গ্রাইন্ডারের অনুরূপ, পার্থক্য শুধু বেঞ্চ গ্রাইন্ডার ওয়ার্কিং বেঞ্চের উপর আর পেডেন্টাল গ্রাইন্ডার এর ফুটিং ( Footing) ওয়ার্কশপের মেঝেতে নাট বোল্টের মাধ্যমে আটকানো থাকে। পেডেস্টাল গ্রাইন্ডার সাধারণত ভারি কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এটি দিয়েও টুল বিট, ড্রিল বিট, চিজেল ইত্যাদি যার দেওয়া যায়। নিরাপত্তার জন্য হুইল গার্ড (Wheel Cruard), স্পার্ক অ্যারেস্টার (Spark Arrester) ও ক্ষাকে সাপোর্ট দিতে টুল রেস্ট (Tool Rest) বা ওয়ার্ক টেবিল আছে (Work Table )। ওয়েন্ডিং ও ফিটিং কাজের পূর্বে রাফ আকৃতি প্রদান করতে এটিও অধিক উপযোগী।
(৭) পেডেস্টাল ড্রিল (Pedestal Drill)
পেডেন্টাল ড্রিল প্রধানত বিভিন্ন ধাতু, প্লাস্টিক, কাঠ ইত্যাদি এর উপর ফিল হোল করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও সিলিন্ডিক্যান হোলকে অপেক্ষাকৃত বড় (Enlarge) করতে এবং কাউন্টার বোরিং (Counter Baring), কাউন্টার সিংকিং (Counter Sinking) অথবা রিমিং (Reaming) করতে এ ছিল বিশেষ উপযোগী। এ ড্রিলকে পিলার চিল (Piller Drill) বা কলাম ডিন (Colum Drill) ও বলা হয়ে থাকে, কারণ এর একটি পিলার আছে যেটি বরাবর এর জন বাঁধার জন্য নির্ধারিত টেবিলকে উপরে নিচে উঠানামা করিয়ে বিভিন্ন মাপের জবকে ড্রিল করা যায় |
৮) কাট অফ 'স' (Cut off Saw)
এ 'স' দিয়ে বিভিন্ন রত (Rod), ফ্লাট ৰাৱ (Flat Bar), অ্যাঙ্গেলবার (Angle Bar), চ্যানেল বার (Channel Bar), (Square Bar), কম ্যাসের পাইপ ইত্যাদি করা যায় (চিত্র-২.৬৭)। এ মেশিনে একটি সার্কুলার শ্রেষ থাকে যেটি একটি বৈদ্যুতিক মোটরের সাহাে চাণিত হয়। জনকে ডাইসে রেখে মোটর চালু করলে সার্কুলার রেডটি ঘুরতে থাকে। এ অবস্থার হাতনকে ধরে নিচের দিকে এনে জনের উপর আে আতে চাপ প্রদান করলে পুরষ ব্রেডের বর্ষণে বটি দ্বিখন্ধিত হয়।
আরও দেখুন...