এই শিখনফল অর্জনের মাধ্যমে আমরা বিদ্যুৎ, চাপ ও তাপমাত্রা পরিমাপ করার জন্য মেজারিং ইন্সট্রুমেন্ট ব্যবহার করতে পারব।
যে সমস্ত যন্ত্র মেজারিং বা পরিমাণ করার জন্য ব্যবহার করা হয় তাকে মেজারিং ইন্সট্রুমেন্ট বলা হয়। মেজারিং ইন্সট্রুমেন্টকে নির্দিষ্ট রেঞ্জে সেটিং করে পরিমাণ করার উপযুক্ত করাই হলো ক্যালিব্রেটিং ।
মেজারিং ইন্সট্রুমেন্ট
কার এয়ার কন্ডিশনারের ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স কাজে মেজারিং ইন্সট্রুমেন্টগুলো হল-
ক) AVO মিটার
গ) ক্ল্যাম্প মিটার
গ) ভোল্ট মিটার
এ্যাভো মিটার দিয়ে বৈদ্যুতিক সার্কিটের ভিসি/এসি কারেন্ট, বৈদ্যুতিক ভোল্টেজ ও ওহম বা রোধ পরিমাপ করা হয়। কারেন্ট ও ডোন্টেজ পরিমাপের সময় লোডের চেয়ে বেশি রেজে রেখে পরিমাণ করতে হয়, এতে মিটার সহজে নষ্ট হয় ।
AVO মিটার ক্যালিব্রেটিং
এভোমিটার ক্যালিব্রেট করার পদ্ধতি-
ক) কারেন্ট ও ভোল্টেজ পরিমাপের সময়
খ) রোধ পরিমাপের সময়
(ডিজিটাল মিটার অন করলে রিডিং জন্য দেখার কিনা দেখতে হবে, তাছাড়া অন্য কোন ক্যালিব্রেটিং এর প্রয়োজন হয় না)
ক্ল্যাম্প মিটার (Clamp meter)
ক্ল্যাম্প মিটার দিয়ে এ্যাভো মিটারের মতই বৈদ্যুতিক সার্কিটের ভিসি/এসি কারেন্ট, বৈদ্যুতিক ভোন্টেজ ও ওহম বা রোধ পরিমাপ করা হয়। ভোল্টেজ পরিমাপের সময় লোডের চেয়ে বেশি রেঞ্জে রেখে পরিমাণ করতে হয়, এতে মিটার সহজে নষ্ট হয় না।
ক্ল্যাম্প মিটার ক্যালিব্রেটিং
ক) কারেন্ট পরিমাপের সময় ক্ল্যাম্প মিটারে প্রোব লাগানোর প্রয়োজন হয় না। এসি/ডিসি যে কারেন্ট মাপা প্রয়োজন সিলেক্টর নবটি সে অনুসারে এসি অথবা ডিসি কারেন্ট পয়েন্টে সেট করতে হবে।
খ) এবার অন বাটন চাপ দিয়ে মিটারটিকে চালু করতে হবে।
গ) তারপর হাত দিয়ে চেপে ধরে ক্ল্যাম্পটিকে ফাঁকা করে চিত্র-১.১৭ এর মত আটকে দিলেই প্রবাহিত রিডিং পাওয়া যাবে।
ঘ) হোল্ড বাটনে চাপদিয়ে রিডিংটি স্থির করে বাইরে এনে দেখা যাবে।
ঙ) এনালগ মিটারে রোধ এবং ভোল্টেজ ক্যালিব্রেটিং এ্যাডোমিটারের অনুরূপ । (ডিজিটাল মিটার অন করলে রিডিং জন্য দেখায় কিনা দেখতে হবে, তাছাড়া অন্য কোন ক্যালিব্রেটিং এর প্রয়োজন হয় না)
ক) ভোল্ট মিটারকে লাইনের সাথে প্যারালালে যুক্ত করে দিতে হয়।
খ) এসি অথবা ডিসি সরবরাহ ভোল্টেজের চেরে বেশি মানের এসি অথবা ডিসি ভোল্ট মিটার লাগাতে হবে।