আধুনিক গতিশীল যুগে মানুষ প্রয়োজনীয় সবকিছু একদম যথাযথ চার। রুটিন সময়ের বাহিরে সময় দেয়া শুধু বিরক্তিকরই নয়, অত্যন্ত দুরূহ হয়ে দাড়িয়েছে। ভেবে দেখেছ কি, কোন কারণে কার এসির কাজ বিঘ্নিত হলে কি করণীয়? মেইন্টেন্যান্সের পর অনেকটা নিশ্চিতভাবে কার নিয়ে চলতে পারফরমেন্স টেস্ট করা জরুরি। এই অধ্যারে আমরা কার এয়ার কন্ডিশনারের পারফরমেন্স টেস্ট সম্পর্কে শিখব।
এই অধ্যায় পাঠ শেষে আমরা-
উপযুক্ত শিখনফলগুলো অর্জনের লক্ষ্যে এই অধ্যায়ে আমরা দু'টি জব সম্পন্ন করব। এই জবের মাধ্যমে কার এয়ার কন্ডিশনারের পারফরমেন্স টেস্ট করার দক্ষতা অর্জন করব। জবগুলো সম্পন্ন করার আগে প্রথমেই প্রয়োজনীয় তাত্ত্বিক বিষয়গুলো জেনে নেই।
এই শিখনফল অর্জনের মাধ্যমে আমরা সুরক্ষা পোশাক, ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি ও নিরাপত্তা, কর্মক্ষমতা বাচাই এর জন্য বিশেষ টুলস ও ইকুইপমেন্টস সম্পর্কে জানব ।
তোমরা প্রথম অধ্যায়ে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি ও নিরাপত্তা বিষয়ে জেনেছ। প্রয়োজনে আবার দেখে নাও ।
কার এয়ার কন্ডিশনার সিস্টেমের কর্মক্ষমতা যাচাই করার জন্য ব্যবহৃত বিশেষ টুলস ও ইকুইপমেন্টস সম্পর্কে জেনে নেই।
এ্যাভো মিটার (AVO Meter) লাইন বা লোডের কারেন্ট, ভোল্টেজ ও রেজিস্ট্যান্স মাপার জন্য ব্যবহার করা হয় । | |
কুইক কাপলার কানেকটর (Quick Coupler Connector) কার এসির সার্ভিস পোর্ট এবং আর ১৩৪-এ এর হোস পাইপ সংযোগ করার জন্য কুইক কাপলার কানেকটর ব্যবহৃত হয় । | |
মেনিফোল্ড গেজ এ্যাডাপটার (Manifold Gauge Adapter) নির্দিষ্ট কোন রেফ্রিজারেন্টের জন্য বিশেষ ব্রান্ডের হোস পাইপ মেনিফোল্ডে লাগানোর জন্য এই মেনিফোল্ড পেজ এ্যাডাপটার ব্যবহার করা হয় । | |
ইনফ্রারেড টেম্পারেচার মিটার (Infrared Temperature Meter) ইনফ্রারেড টেম্পারেচার মিটার দূরবর্তী স্থান থেকে ডিজিটালি তাপমাত্রা মাপার জন্য ব্যবহার করা হয়। | |
গেজ মেনিফোল্ড সেট (Gauge Manifold Set) রেফ্রিজারেশন সিস্টেমের ভেতরের রেফ্রিজারেন্ট চাপ পরিমাপ করার জন্য গেজ মেনিফোল্ড সেট ব্যবহার করা হয়। | |
ম্যালেট (Malet) সূক্ষ্ণ যন্ত্রাংশ খোলা/ সেটিং কাজে আঘাত করতে ম্যালেট ব্যবহার করা হয় যাতে কোন ধরণের স্পট না পরে । | |
ট্রে (Tray) মেশিনের যন্ত্রাংশ রাখা এবং সার্ভিস অয়েল দিয়ে পরিষ্কার করার কাজ ট্রে ব্যবহার করা হয়। | |
স্পেনার সেট (Spanner Set) মেশিনের বিভিন্ন মাপের নাট বোল্ট খোলা এবং লাগানোর কাজে স্পেনার সেট ব্যবহার করা হয়। | |
স্ক্রু ড্রাইভার (Screw Driver) মেশিনের বিভিন্ন ধরনের স্ক্রু খোলা এবং লাগানোর কাজে স্ক্রু ড্রাইভার ব্যবহার করা হয় । | |
ক্লাচ হোল্ডিং টুলস (Clach Holding Tools) কার এসির কম্প্রেসর থেকে ক্লাচ প্লেট খোলার জন্য ক্লাচ হোল্ডিং টুলস ব্যবহার করা হয় । |
শ্রেণির তাত্ত্বিক কাজ ১
নিচের ছকের টুলস্ ইকুইপমেন্টের ছবিগুলির নাম ও ব্যবহার লিপিবদ্ধ করি।
কার এয়ার কন্ডিশনারের কর্মক্ষমতা যাচাই এর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ মেকানিক্যাল যন্ত্রাংশ
কিছু যন্ত্রাংশের সঠিক মেইটেন্যান্স ও মেরামত না হলে এসির কর্মক্ষমতার বেশ প্রভাব পড়ে। নিচে কার এসির কর্মক্ষমতা যাচাই এর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ মেকানিক্যাল যন্ত্রাংশগুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হল।
কার এয়ার কন্ডিশনার এর কম্প্রেসর (Compressor of Car Air Conditioner )
কম্প্রেসর ছাড়া অটো এয়ারকন্ডিশনিং ক্রিয়া সম্ভব নয়, তাই একে অটোমোবাইল এয়ারকন্ডিশনিং ( Automobile Air Conditioning) বা কার এয়ারকন্ডিশনিং (Car Air Conditioning) এর কেন্দ্রবিন্দু (Centre) বলা হয়। কখনও কখনও একে হিমায়নের হৃৎপিত (Heart) বলা হয়। কম্প্রেসর হিমায়ন ক্রিয়ায় (Refrigeration System)-এ হিমায়ক (Refrigerant) সঞ্চালন করে এবং ঘনীভবনে (Condensation) সহায়তা করে। এসব কম্প্রেরের গঠন প্রকৃতির যেমন বিভিন্নতা আছে তেমনি ছোটখাট কিছু ত্রুটি বিচ্যুতির জন্য কর্মক্ষমতায়ও প্রভাব পড়ে।
কম্প্রেসরের কাজ
কম্প্রেসরের প্রধান কাজ হল নিম্নচাপীয় বাষ্পীয় হিমারককে শোষণ করে উচ্চ চাপীয় বাষ্পীয় হিমারকে রূপান্তর করা, এতে চাপ ও তাপমাত্রা (Pressure and Temperature) বৃদ্ধি পায়। এটা উচ্চ চাপের মাধ্যমে হিমায়ক রেফ্রিজারেশন চক্রের সম্পুর্ণ অংশে সঞ্চালিত (Transrnited) হয় ফলে কন্ডেন্সারে তাপ সঞ্চালনের হার (Heat Transmission Rate) বৃদ্ধি করে। সংক্ষেপে বলা যায়- কার এয়ারকন্ডিশনিং-এর হিমায়ক চক্রে যে যন্ত্রের সাহায্যে নিম্নচাপীয় হিমায়ক (Vaporised Refrigerant )-কে সংকোচন (Compress) করে উচ্চ চাপীয় বাষ্পীয় হিমায়কে (High Pressure Vaporised Refrigerant) পরিণত করে, তাকে কম্প্রেসর (Compressor) বলে।
অটোমোবাইল বা কার এয়ারকন্ডিশনিং-এ বিভিন্ন প্রকার কম্প্রেসর ব্যবহৃত হয়। তবে কার এয়ারকন্ডিশনিং-এ ব্যবহৃত কম্প্রেসরসমূহ নিম্নরূপ:
ক) কনভেশনাল রেসিপ্রোকেটিং টাইপ কম্প্রেসর (Conventional Reciprocating Type Compressor)। এ ধরনের কম্প্রেসরকে আবার দু'টি ভাগে ভাগ করা যায়-
খ) সোয়াশ প্লেট বা ওবল প্লেট কম্প্রেসর (Swash Plate or Wobble Plate Compressor )
গ) স্কচ ইরক কম্প্রেসর (Scotch Yoke Compressor )
ঘ) ক্ষল কম্প্রেসর (Scroll Compressor )
(আধুনিক কার এসির প্রায় সব সিস্টেমেই সোয়াশ প্লেট বা ওবল প্লেট কম্প্রেসর ব্যবহৃত হয়।)
প্রযুক্তির আধুনিকতায় বহুল ব্যবহৃত অনেক কম্প্রেসরই অপ্রচলিত হয়ে গেছে। বর্তমানে ব্যবহৃত কিছু কম্প্রেসরের সংক্ষিপ্ত ধারণা দেয়া হল-
ভেরিয়েবল ডিসপ্লেসমেন্ট কম্প্রেসর
ভেরিয়েবল ডিসপ্লেসমেন্ট কম্প্রেসর হিমায়কের চাহিদার উপর ভিত্তি করে পিস্টনের ডিসপ্লেসমেন্ট পরিবর্তন করে। পিস্টনের স্ট্রোক দৈর্ঘ্য একটি ওবল প্লেট দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
কম্প্রেসরের গতি এই প্রবল প্লেট দিয়ে কৌনিক পরিবর্তনের মাধ্যমে পরিবর্তন করে। যদি কৌনিক পরিবর্তন বেশি হয় তবে অধিক পরিমাণ হিमারক সঞ্চালিত হয়। তখন একে সর্বোচ্চ ডিসপ্লেসমেন্ট বলে। আর যখন ওবল প্লেটের কৌণিক পরিবর্তন কম হয় অর্থাৎ কোণের মান ছোট হয় তখন হিমারক সরবারাহের পরিমানও কম হয়। একে সর্বনিম্ন ডিসপ্লেসমেন্ট বলে। এ ধরনের কম্প্রেসর হিমারকের চাহিদা অনুসারে চালু ও বন্ধ হয়। চালু ও বন্ধ বা সবসময়ই চালু ইত্যাদি সকল প্রক্রিয়া একটি অপারেডেট কন্ট্রোল ভালভ দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হয়। ভেরিয়েবল ডিসপ্লেসমেন্ট কম্প্রেসরে সর্বোচ্চ বা ম্যাক্সিমাম ডিসপ্লেমেন্টের সময় ম্যাক্সিমাম কুলিং এবং মিনিমাম বা সর্বনিম্ন ডিসপ্লেসমেন্টের সময় সর্বনিম্ন বা মিনিমাম কুলিং ক্রিয়া সংঘটিত হয়। এভাবে ফিক্সড বা ভেরিয়েবল ডিসপ্লেসমেন্ট কম্প্রেসর হিমায়ন সিস্টেমে অনবরত হিমায়ক সরবারহ করে থাকে।
ভি-টাইপ টু সিলিন্ডার কম্প্রেসর
সাধারণভাবে যে সকল কম্প্রেসর কার এয়ারকন্ডিশনিং-এ ব্যবহৃত হয়, ভি-টাইপ টু সিলিন্ডার কম্প্রেসর তাদের মধ্যে অন্যতম । এ কম্প্রেসরের কার্যপ্রণাদি সাধারণত রেসিপ্রোকেটিং হারমেটিক কম্প্রেসরের অনুরূপ। চিত্র ৩.১৪ এ ভি টাইপ টু সিলিন্ডার কম্প্রেসর দেখানো হয়েছে। তি টাইপ টু সিলিন্ডার কম্প্রেসর একটি ছোট আকৃতির কম্প্রেসর কিন্তু এর কুলিং ক্যাপসিটি অর্থাৎ হিমারক সঞ্চালনের হার অন্যান্য কম্প্রেসর হতে অনেক বেশি। এ ধরনের কম্প্রেসর অন্যান্য কম্প্রেসারের তুলনায় ঠাণ্ডা থাকে, চাপ সহ্য করতে পারে এবং বড় সুবিধা হল এর ভলিউমেট্রিক ইফিসিয়েন্সি গভির ভারতম্যে নিয়ন্ত্রিত থাকে। এছাড়া, কম্প্রেসরের সার্ভিস ভালভের কার্যকারিতা এতই সুস্থ যাতে অতি সহজে হাই-প্রেশার সাইড এবং লো-প্রেশার সাইড মাউন্টিং বা সার্ভিসিং করা যায়। এ সকল কম্প্রেসর দামি গাড়ি যেমন- ফোর্ড, আমেরিকান নিশান পেট্রোল গাড়িতেও ব্যবহৃত হয়।
সোরাশ প্লেট বা ওবল প্লেট কম্প্রেসর
কার এয়ারকন্ডিশনিং-এ সোরাশ গ্রেট কম্প্রেসর বিশেষ ধরনের কম্প্রেসর। এ কম্প্রেসরে সাধারণত ৫টি বা ৬টি পিস্টন এবং সমসংখ্যক সিলিন্ডার থাকে, যেগুলো শ্যাফটের সাথে সংযুক্ত সেরাশ প্লেটের আড়াআড়িতে অবস্থান করে। সোয়াশ প্লেটটি শ্যাফটের সাথে একীভূত করা থাকে। শ্যাফটের ঘূর্ণন গতিকে সোয়াশ প্লেট পিস্টনের রেসিপ্রোকেটিং গতি সৃষ্টি করে রেফ্রিজারেন্টকে টেনে এনে সংকুচিত করে স্থানান্তর করে।
এই কম্প্রেসর দুই প্রকার হয়ে থাকে-
ফাইভ সিলিন্ডার সোয়াশ গ্রেট কম্প্রেসর
এ ধরনের কম্প্রেসরের অভ্যন্তরীপ গঠনের পিস্টন, সোরশ প্লেট এবং পুলিং বিয়ারিং ইত্যাদি অংশসমূহ থাকে। চিত্র ৩.১৫ এ ফাইভ সিলিন্ডার সোয়ান প্লেট কম্প্রেসরের অভ্যন্তরীণ নকশা দেখানো হয়েছে। হিমায়ক সরবারাহে এই কম্প্রেসরে রোটো লক কানেকশন ব্যবহার করা হয়, ফলে কম্প্রেসর উভয় দিকেই ঘুরতে পারে। এতে প্রায় ৭ আউল ৫০০ ভিসকোসিটি কম্প্রেসর অয়েল ব্যবহার করা হয় যার ৪ আউন কম্প্রেসরের অভ্যন্তরে থাকে এবং বাকি ৩ আউন্স সম্পূর্ণ সিস্টেমে হিমায়কের সাথে সঞ্চালিত হয়। ফাইভ সিলিন্ডার সোয়াশ প্লেট কম্প্রেসরের বডি ডাই- কাস্ট অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে তৈরি হয় এবং এর শ্যাফট সিল কার্বন রিং এর মতো, যা কাস্ট আয়রন শিট এর সাথে ঘুরে।
সিক্স সিলিন্ডার সোয়াশ প্লেট কম্প্রেসর
কার্যকারিতার দিক থেকে সিক্স সিলিন্ডার সোয়াশ প্লেট কম্প্রেসর অনেকটা ফাইভ সিলিন্ডার সোয়াশ প্লেট কম্প্রেসরের সাভোই, তবে এর চাপীয় দক্ষতা তুলনামূলক বেশি হয়। এ কম্প্রেসরে দু'পার্শ্বে তিনটি করে মোট ছয়টি সিলিন্ডার এবং ডাবল ইন্ডেড পিস্টন থাকে। কম্প্রেসর যে প্রকারেরই হোক না কেন, এর প্রধান কাজ হল ইভাপোরেটর থেকে বাষ্পীয় হিমায়ক টেনে এনে উচ্চ চাপে ও তাপে কন্ডেসারে প্রেরণ করা। তবে উল্লেখ্য যে, সিক্স সিলিন্ডার সোয়াশ প্লেট কম্প্রেসর অতি দ্রুততার সাথে সাকশন লাইন থেকে হিমায়ক টেনে এনে কন্ডেন্সারে প্রেরণ করে কুলিং ক্রিয়া সম্পন্ন করে।
সোয়াশ প্লেট কম্প্রেসর নিম্নলিখিত অংশসমূহ নিয়ে গঠিত হয় -
১। বেয়ার ডিসচার্জ ভাল্ভ প্লেট
২। সাকশন রিড
৩। অয়েল পিক-আপ টিউব
৪। মেইন শ্যাফট বেয়ার বিয়ারিং
৫। সোয়াশ প্লেট
৬। মেইন শ্যাফট ফ্রন্ট বিয়ারিং
৭। ফ্রন্ড হেড
৮। ক্লাচ কোর
৯ । পুলি
১০। আরমেচার প্লেট অ্যান্ড হাব অ্যাসেম্বলি
১১। পুলি বিয়ারিং
১২। শ্যাফট সিল
১৩ । ফ্রন্ট ডিসচার্জ ভালভ প্লেট
১৪ । ড্রাইভিং বেল্ট
১৫ । বল সু
১৬। মেইন শ্যাফট থ্রাস্ট বিয়ারিং
১৭। পিস্টন
১৮। O-রিং সি
১৯। অয়েল পাম্প
২০। রিয়ার হেড
কার এয়ারকন্ডিশনিং ব্যবহৃত রোটারি রেসিপ্রোকেটিং কম্প্রেসর এবং সোয়শ প্লেট কম্প্রেসর উভয়ই হিমায়ক সরবরাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, তবুও রোটারি রেসিপ্রোকেটিং কম্প্রেসরের তুলনায় সোয়শ প্লেট কম্প্রেসর হিমায়ন সিস্টেমে অধিক কার্যকারী। নিচে রোটারি রেসিপ্রোকেটিং কম্প্রেসরের তুলনায় সোয়াশ প্লেট কম্প্রেসরের সুবিধাগুলো আলোচনা করা হল-
১) সোয়াশ প্লেট কম্প্রেসরের SAE ফ্লায়ার কানেকশন বা রোটো-লক কানেকশন (SAE Flaire Connection or Roto - Lock Connection) এবং পিস্টন, সোয়াশ প্লেট ও পুলি বিয়ারিং ইত্যাদি অভ্যন্তরে সাম্যবস্থায় থাকে বলে এ ধরনের কম্প্রেসরে রোটারি রেসিপ্রোকেটিং কম্প্রেসর হতে নিঃশব্দে (Soundless) এবং কম্পনমুক্ত (Vibrationless) ভাবে চলে ।
২) সোয়াশ প্লেট কম্প্রেসরে মুভিং পার্টসগুলো (Moving Parts) গতির তারতম্যে ( Speed Variation) ব্যালেন্স থাকে, তাই রোটারি রেসিপ্রোকেটিং কম্প্রেসর হতে এর তাপীয় দক্ষতা (Thermal Efficiency) আয়তনিক দক্ষতা (Volumetric Efficiency) এবং কুলিং ক্যাপাসিটি (Cooling Capacity) বেশি হয়।
৩) সোয়াশ প্লেট কম্প্রেসর সাকশন লাইনে হিমায়ক অপসারণের হার বেশি, যাতে সময় কম লাগে। কিন্তু রোটারি রেসিপ্রোকেটিং কম্প্রেসর হিমায়ক অপসারণের হার (Refrigerant Removing Rate) তুলনামূলক কম এবং সময় বেশি প্রয়োজন হয় ৷
৪) সোয়াশ প্লেট কম্প্রেসরে হিমায়ক প্রবাহের হ্রাস-বৃদ্ধি প্লেটের কৌণিক পরিমাণের (Anguler Measurement) উপর নির্ভর করে, যা রোটারি রেসিপ্রোকেটিং কম্প্রেসর হতে অতি সুক্ষ্ম হয় কিন্তু রোটারি কম্প্রেসরে সর্বদা একই পরিমাণ হিমায়ক সরবরাহ হয়ে থাকে।
৫)সোয়াশ প্লেট কম্প্রেসরে উচ্চ আপেক্ষিক আরতনে (High Specite Volume) হিমায়ককে নিম্ন সাকশন চাপে প্রবাহিত হতে পারে কিন্তু রোটারি রেসিপ্রোকেটিং কম্প্রেসরে এভাবে হিমায়ক প্রবাহ দুরূহ।
৬) সোয়াশ প্লেট কম্প্রেসরে নিম্ন তাপমাত্রারও (Low Temperature) কার্যকরি থাকে কিন্তু রোটারী রেসিপ্রোকেটিং কম্প্রেসরে নিম্ন তাপমাত্রার কার্যকারিতা থাকে না।
৭ ) ক্ষমতা অনুসারে সোয়াশ গ্রেট কম্প্রেসর (Installation) অল্প জায়গা বা স্থান প্রয়োজন হয় কিন্তু রেসিপ্রোকেটিং কম্প্রেসরে সম ক্ষমতায় অনেক বড় স্থানের প্রয়োজন পড়ে।
৮) সোয়াল প্লেট কম্প্রেসরে অয়েল পুরোপুরি বা সম্পূর্ণ অংশ হিমারকের সাথে ক্রিয়া করে না। তাই হিমায়নের তলের ঘাটতি কম হয় কিন্তু রোটারি রেসিপ্রোকেটিং কম্প্রেসর হিমায়ন তেলের ঘাটতি ( Losses of Refrigeration Oil or Compressor Oil) বেশি হয়।
স্কচ ইয়ক কম্প্রেসর (Scotch Yoke Compressor )
স্কচ ইয়ক কম্প্রেসর একটি বিশেষ প্রকৃতির কম্প্রেসর যা কার এয়ারকন্ডিশনিং এ ব্যবহৃত হয়। এ কম্প্রেসরের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল, এর কোন কানেক্টিং রড থাকে না। কারণ এর সিলিন্ডার এবং পিস্টনের দৈর্ঘ্য বেশি থাকে। সিলিন্ডার ও পিস্টনসমূহ সিলিন্ডার ওয়ালে পাইড করা থাকে। চিত্র ৩.১৭ এ স্কচ ইরক কম্প্রেসর দেখান হয়েছে-
ক্ষচ ইয়ক কম্প্রেসর নিম্নলিখিত অংশসমূহ নিয়ে গঠিত হয়-
১। ক্র্যাস্ক থ্রো অ্যান্ড স্কচ ইয়ক
২। হলো পিস্টন
৩। কম্বাইন্ড মোটর শ্যাফট অ্যান্ড ক্র্যাঙ্কশ্যাফট
৪। জাঙ্কশ্যাফট খ্রাস্ট বিয়ারিং
৫। ইনটারনাল মাউন্টিং স্প্রিং
৬। অরেল সেপারেটর
স্কচ ইয়ক কম্প্রেসর কার এয়ারকন্ডিশনিং-এ হাই-স্পিড কম্প্রেসর হিসেবে জনপ্রিয়। এর ফ্র্যাঙ্কশ্যাফট পিন ক্র্যাংক প্রো, ফ্লোট বিয়ারিং এর সাথে সরাসরি পিস্টনকে যুক্ত করে কম্প্রেসরকে নিয়ন্ত্রণ করে।
স্ক্রল কম্প্রেসর ( Scroll Compressor )
কার এয়ারকন্ডিশনিং-এ স্ক্রল কম্প্রেসরের ব্যবহার খুব বেশি পুরনো নয়, তবে ইদানিং এ কম্প্রেসরের ব্যবহার বাড়ছে। এই কম্প্রেসরে একজোড়া নেটিং ভলিউট থাকে, যার একটি ফিক্সড এবং অপরটি এসেনট্রিক মোশন দিয়ে চালিত হয়। এতে একটি সুপার চার্জার থাকে, যাতে হিমায়ক সঞ্চালনে কম্প্রেসর খুবই দক্ষতার সাথে কাজ করে। চিত্র ৩.১৮ এ স্ক্রল কম্প্রেসর দেখানো হয়েছে-
স্ক্রল কম্প্রেসর কার এয়ারকন্ডিশনিং-এর হিমায়ন সিস্টেমে চিত্র অনুযায়ী দু'টি ভলিউট টার্নে হিমায়ক সরবরাহ করে। প্রতিটি ডব্লিউট ওয়েল্ডড হারমেটিক শেষ বিদ্যমান থাকে, যা কম্প্রেসর মোটরকে চালনা করে। সাকশন গ্যাস পিস্টনের মাধ্যমে এ শেলের মধ্যে অবস্থান করে। চিত্রানুযায়ী- ডলিউট খোলা থাকায় সাকশন গ্যাস কম্প্রেসরের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে অতঃপর গ্যাসসমূহ সংকোচন করে তখন মুভিং ভলিউট বা পথ বন্ধ থাকে, ফলে চাপ বৃদ্ধি পায় এবং এখানে গ্যাসসমূহ অধিক চাপে ডিসচার্জ পোর্ট দিয়ে ডিসচার্জ লাইনে চলে যায়, অর্থাৎ কনোরে চলে যায়।
স্ক্রল কম্প্রেসরে অয়েলবিহীনভাবে সিস্টেম হিমায়ক সরবারহ করা যায়। এতে খ্রাস্ট বিয়ারিং থাকে বিধায় কম্পন কম হয়। এ কম্প্রেসরে হিমারক ধীরে ধীরে সংকুচিত হলেও দৃঢ়তার সাথে স্থির টর্কের মাধ্যমে হিমায়ক সঞ্চালন করা যায়। এর সিলিং ডিভাইস খুবই কার্যকরি বলে মডার্ন কার এয়ারকন্ডিশনিং সিস্টেমে সিএফসি ফ্রি হিমায়ক সরবরাহে অধিক কার্যকরি ভূমিকা পালন করে।
কার এসির কন্ডেন্সার (Condenser of Car AC )
কার এয়ারকন্ডিশনিং এ কন্ডেন্সার হিমায়ন চক্রের গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান (Components)। কন্ডেন্সারের যথাযথ মেইনটেন্যান্স ও ছোট খাট কিছু ত্রুটির জন্য কার এসির কর্মক্ষমতায় বেশ প্রভাব পড়ে।
কন্ডেন্সারের কাজ
কন্ডেন্সার কম্প্রেসর থেকে আগত উচ্চ চাপীয় বাষ্পীয় হিমারর্কের ভাগ অপসারণ করে ভরল হিমায়ককে Liquid Refrigerant) পরিণত করে। কন্ডেন্সর একটি হিট এক্সচেঞ্জার ( Heat Exchanger) যা উচ্চ তাপমাত্রা থেকে তাপ বিনিময় (Heat Transfer) করে নিম্ন তাপমাত্রায় আনয়ন করে। গঠন ও কুলিং মিডিয়ার উপর নির্ভর করে কন্ডেন্সার অনেক প্রকার হতে পারে তবে কার এসিতে ফিল ফোর্সড এয়ার কুন্ড টাইপ ব্যবহার করা হয় ।
কার এয়ারকন্ডিশনিং এর হিমায়ন চক্রের যে অংশ সুপ্ত তাপ অপসারণের মাধ্যমে উচ্চ চাপের বাষ্পীয় হিমায়ককে তরলে পরিণত করা হয়, তাকে কভেলার (Condenser) বলে।
কন্ডেন্সারের কার্য ক্ষমতার ফ্যাক্টর
সঠিকভাবে কাজের নিমিত্তে একটি কন্ডেন্সরের নিম্নলিখিত ফ্যাক্টরগুলো বিবেচনা করতে হয়। যথা-
কন্ডেন্সারের দক্ষতা দু'টি বিষয়ের উপর নির্ভর করে যেগুলো হল-
কন্ডেন্সারের অবস্থান
হিসারক চক্রে কন্ডেন্সার কম্প্রেসরের পরে এবং এক্সপানশন ডিভাইসের আগে বসানো হয়। তবে কারে কন্ডেন্সারটি রেডিয়েটরের সামনে বসানো হয়, তাতে ফোর্সড এক্সার (Forced Air) চলমান গাড়ি থেকে কন্ডেন্সরের বহিরাবরণে স্পর্শ করে। এক্ষেত্রে হিমায়ক ভরলিকরনে (Liquidification) প্রচুর বাতাস গ্রহণ করতে পারে। কন্ডেন্সারের ভেতর দিয়ে উচ্চ তাপীয় ও চাপীয় হিমায়ক প্রবাহিত হওয়ার সময় বাতাসের মাধ্যমে কন্ডেন্সারের অভ্যন্তরে ঠান্ডা হয়ে তরলে পরিণত হয়। চিত্র ৩.১৯ এ কার এয়ারকন্ডিশনিং এ ব্যবহৃত কভেলার দেখানো হয়েছে ।
কন্ডেলারের লক্ষনীয় সাধারণ ত্রুটি বা কর্মক্ষমতায় প্রভাব ফেলে
কন্ডেন্সারের লক্ষণীয় সাধারণ ত্রুটিগুলি হল-
কার এসির ইভাপোরেটর (Evaporator of Car AC)
এয়ারকন্ডিশনিং সিস্টেমের যে অংশে তরল রেফ্রিজারেন্ট সুপ্তভাগ গ্রহ করে বাষ্পীভূত হয় তাকে ইভাপোরেটর বলে। ইভাপোরেটরকে হিট এক্সচেঞ্জারও বলা হয়। কার এসিতে সাধারণত ফিল টাইপ ইভাপোরেটর ব্যবহার করা হয়।
কার এয়ারকন্ডিশনিং এ ইভাপোরেটরের প্লেনাম চেম্বার ড্যাশবোর্ডের সাথে যুক্ত থাকে। ইভাপোরেটর মেটালিক বা হার্ড প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি ভাঙে শীতল বাতাস সরবরাহ দিয়ে থাকে।
ইভাপোরেটরের মূল কাজগুলো হল:
১) ইভাপোরেটর লো প্রেসারের তরল রেফ্রিজারেন্টকে বাস্পীভূত করে।
২) ইভাপোরেটর নিজে তাপ গ্রহণ করে এয়ারকন্ডিশনিং সিস্টেমের অন্যান্য জায়গা তুলনামূলক নিম্ন তাপমাত্রায় আনতে পারে।
৩) এটি তাপ বহনকারী উপাদান হতে তাপ শোষণ করে।
৪) ইভাপোরেটর এয়ারকন্ডিশনিং সিস্টেমের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
কার এয়ারকন্ডিশনিং-এ সাধারণত ফিল্ড ফোর্সড কনভেকশন টাইপ ইভাপোরেটর ব্যবহৃত হয়। ইভাপোরেটরের সাধারণ ত্রুটিগুলি কন্ডেন্সারেরই মত এবং মেরামতও প্রায় একই রকম।
কার এসির ম্যাগনেটিক ক্লাচ (Magnatic Clutch of Car AC )
কার এয়ারকন্ডিশনিং-এ ম্যাগনেটিক ক্লাচ একটি গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইস। এটির সামান্য ত্রুটিও কার এসির পারফরমেন্সে বড় ধরণের প্রভাব পড়ে এনিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হল।
ম্যাগনেটিক ক্লাচ এর গঠন ও অবস্থান
যখন অটোমোবাইল এয়ার কন্ডিশনিং সিস্টেমে কম্প্রেসর পরিচালনা দরকার তখন ম্যাগনেটিক ক্লাচটি নিয়ন্ত্রণ করলে কম্প্রেসর চালু হয়। ইঞ্জিনের পুলি দিয়ে ক্লাচটি সংযোজিত থাকে। রেফ্রিজারেন্ট এর চাহিদা কম্প্রেসরকে চালু বা বন্ধ করে। এটি একটি স্থির কয়েল যা বৈদ্যুতিক চুম্বকীয় (Magnetized) সার্কিট দিয়ে আবিষ্ট হয়। এর ড্রাইভ শ্যাফটের সাথে আর্মেচার শ্যাফট থাকে, আর্মেচার শ্যাফটি চৌম্বকত্ব দিয়ে কম্প্রেসর শ্যাফটকে আটকে ফেলে এবং কম্প্রেসর চলতে শুরু করে। ম্যাগনেটিক ক্লাচ সংযোগ বা বিচ্ছিন্ন কোনটিতে ঘূর্ণায়মান (Rotating) কম্প্রেসর পুলির ঘুর্ণনে বাঁধা দেয় না । ম্যাগনেটিক ক্রিয়ার মাধ্যমে এই ক্লাচ কাজ করে বলে একে ম্যাগনেটিক ক্লাচ বলা হয়।
ম্যাগনেটিক ক্লাচ এর প্রকারভেদ
ডিজাইন অনুসারে ম্যাগনেটিক ক্লাচ দু'প্রকার -
ম্যাগনেটিক ক্রিয়া অনুসারে ম্যাগনেটিক ক্লাচ তিন প্রকার
এদের মধ্যে ইলেকট্রো লক প্লেইট টাইপ স্থির ম্যাগনেটিক কয়েল বিশিষ্ট ক্লাচই সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়।
ঘূর্ণায়মান ম্যাগনেটিক কয়েল বিশিষ্ট ক্লাচ
ঘূর্ণয়মান ম্যাগনেটিক কয়েল বিশিষ্ট ক্লাচে দু'টি কার্বন ব্রাশ কয়েলের সাথে সংযুক্ত কপারের তৈরি স্লিপ রিং এর সাথে যুক্ত থাকে। এ রিং দিয়েই ক্লাচ কয়েলে বিদ্যুৎ সরবরাহ দেয়া হয়। চিত্র ৩.২২ এ ঘূর্ণায়মান ম্যাগনেটিক কয়েল বিশিষ্ট ক্লাচের গঠন দেখানো হল।
স্থির ম্যাগনেটিক কয়েল বিশিষ্ট ক্লাচ
স্থির ম্যাগনেটিক কয়েন বিশিষ্ট ক্লাচ এ ক্লাচ কম্প্রেসরের সাথে সরাসরি যুক্ত থাকে। কয়েলটি স্থির থাকায় অতিরিক্ত স্লিপ রিং এবং ব্রাশের প্রয়োজন হয় না। স্থির ম্যাগনেটিক কয়েল বিশিষ্ট ক্লাচে দু'টি ইলেকট্রিক্যাল লিড থাকে, যার একটি কন্ট্রোল প্যানেলে এবং অন্যটি প্রাউন্ডিং করা থাকে। চিত্র- ৩.২৩ এ স্থির ম্যাগনেটিক করেন বিশিষ্ট ক্লাচের গঠন দেখানো হল।
কার এসির রিসিভার ড্রায়ার (Receiver Drier of Car AC)
কার এয়ারকন্ডিশনিং সিস্টেমের হিমায়ন চক্রে হিমারক সংরক্ষণাগার হিসাবে কভেলার ও এক্সপানশন ডিভাইসের মাঝখানে বসানো হয়, তাকে রিসিভার ড্রায়ার বলে। এয়ারকন্ডিশনিং সিস্টেমের অভ্যন্তরীন যন্ত্রপাতি পরিষ্কার- পরিচ্ছন্ন থাকা প্রয়োজন, যাতে কোন ধরণের মরলা, আর্দ্রতা বা ক্ষতিকরি পদার্থ যেন না থাকে। যদি অপদ্রব্য থাকে তাহলে এক্সপানশন ভাতের সরু পথে অটিকে গিয়ে রেফ্রিজারেন্ট সরবরাহে বাঁধার সৃষ্টি করতে পারে তাই স্ট্রেইনার বা ফিল্টার সম্বলিত জান্নার ব্যবহার করা হয়। রিসিভারের অভ্যন্তরে শুষ্ককারক পদার্থ চার্জ করা থাকে যা রেফ্রিজারেন্টের সাথে উপস্থিত জনীয় কণা শোষণ করে রেফ্রিজারেন্টকে শুল্ক রাখে।
রিসিভার ড্রায়ার সাধারণত নিচের অংশগুলো নিয়ে গঠিত হয় -
রিসিভারে অবস্থিত সাইট গ্লাস পর্যক্ষেণ করে কার এসির রেফ্রিজারেন্ট স্বল্পতা, রেফ্রিজারেন্টে অপদ্রব্যের উপস্থিতি ইত্যাদি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়।
কার এয়ার কন্ডিশনারের ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স কম্পোনেন্টস এর সামান্য ত্রুটি বিচ্যুতিতেও কর্মক্ষমতার অনেক প্রভাব ফেলে। প্রথম অধ্যায়ে ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স কম্পোনেন্টস এর বিস্তারিত বর্ণনা দেয়া হয়েছে।
কার এসির কর্মক্ষমতা যাচাই পদ্ধতি (Performance Tent of Car AC)
পারফরমেন্স টেষ্টের মাধ্যমে কার এয়ারকন্ডিশনারের পরিচালনা পদ্ধতি নিরীক্ষা করে। এ পরীক্ষা বা নিরীক্ষা বাতাসের স্বাভাবিক তাপমাত্রা এবং বাতাসের নির্গমন তাপমাত্রার সাথে সম্পৃক্ত। নিচে কর্মক্ষমতা যাচাই সম্পর্কে আলোচনা করা হল।
কার এসির কর্মক্ষমতা যাচাই পদ্ধতি (Procedure of Performance Test of Car AC )
কার এসির রেফ্রিজারেশন সিস্টেমের চাপের পার্থক্য বের করার জন্য ডাবল মেনিকোল্ড পেজ ব্যবহৃত হয়। পেডাগুলি হোস পাইপের মাধ্যমে সিস্টেমের সার্ভিস ভাতের সাথে যুক্ত করা হয়। অটোমোবাইল যানবাহন চলার সময় এর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং এর কক্ষ তাপমাত্রা সবসময়ই ২১° সে. বা তার বেশি হয় ।
পারফরমেন্স টেস্ট জানার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো লক্ষ রাখতে হবে, যথা-
১) ইঞ্জিনের গতি নির্ধারণের জন্য টেকো মিটার সংযোগ
২) হিমায়ন সিস্টেমের হাই-সাইডে চাপ পরিমাপক সংযোগ
৩) কন্ট্রোল প্যানেলে সর্বোচ্চ কুলিং এবং সর্বনিম্ন কুলিং সেট করা
৪) রোয়ার ফ্যান মোটরের স্পিড সর্বোচ্চ অবস্থানে সেট করা
৫) প্যানেল সেন্টার আউটলেটে থার্মোমিটার যুক্ত করা
৬) ভেহিক্যালের অভ্যন্তরে দরজা ও জানালা বন্ধ রাখা এবং অভ্যন্তরের তাপমাত্রা পরিমাপক থার্মোমিটার সংযোগ
কার এয়ারকন্ডিশনারের হিমায়ন চক্রে কম্প্রেসরকে চালু এবং বন্ধ করার জন্য সাইক্লিং ক্লাচ সিস্টেম থাকে। তবে কিছু উৎপাদনকারী ক্লাচ সাইকেলের হার নির্ধারণ করে দেয়। এটা প্রতি মিনিটে ক্লাচ সাইকেল কতবার অন-অফ হবে তা নির্ধারণ করে দেয়। যখন ক্লাচ- সংযোগবিহীন অবস্থায় থাকে তখন লো-লাইভের প্রেশার বাড়ে এবং হাই-সাইডের প্রেশার কম থাকে। কম্প্রেসর ক্লাচ সংযুক্ত হওয়ার ৫ মিনিট পর নির্গমন বাতাসের তাপমাত্রা থার্মোমিটার থেকে জানতে হবে। অতঃপর উক্ত মান ভেহিক্যাল সার্ভিস ম্যানুয়াল এর সাথে তুলনা করে দেখতে হবে।
কার এয়ারকন্ডিশনিং পদ্ধতিতে যে-কোন ধরনের যানবাহনে তথা অটো ভেহিক্যালসমূহের কম্প্রেসর হিমায়ন পদ্ধতির প্রাণ। কম্প্রেসর ত্রুটিপূর্ণ হলে সিস্টেমের অন্যান্য যন্ত্রাংশসমূহ সচল থেকেও এয়ারকন্ডিশনিং সিস্টেমকে কার্যকরি রাখা যায় না। সাধারণত দু'টি পদ্ধতিতে কম্প্রেসরসহ অন্যান্য যন্ত্রাংশসমূহ পর্যবেক্ষণ করা যায়। যথা-
(ক) দ্রুত পরীক্ষণ পদ্ধতি
(খ) চাক্ষুষ পরীক্ষণ পদ্ধতি
অটো ভেহিক্যালের এয়ারকন্ডিশনিং সিস্টেমের হিমায়ন পদ্ধতি সাধারণ নিয়মে পরিচালিত হলে হাই-প্রেশার সাইড গরম অনুভূত হয় এবং লো-প্রেশার সাইড ঠাণ্ডা অনুভূত হয়। এ ঠান্ডা বা গরম অনুভব করার জন হিমায়ক লাইনের হোস বা টিউব-কে হাত দিয়ে স্পর্শ করে দ্রুত নিরীক্ষণ করা যায়। হাই-প্রেশার লাইন কম্প্রেসরের ডিসচার্জ থেকে শুরু করে কভেলার হয়ে অরিফিস টিউব বা এক্সপানশন ডিভাইস পর্যন্ত, বা গরম অনুভূত হবে। যদি কম্প্রেসর সঠিকভাবে হিমায়ক সঞ্চালন করে, তবে হাই-প্রেশার লাইন হাত দিয়ে স্পর্শ করলে গরম অনুভূত হয়। আবার অরিফিস টিউব হতে শুরু করে ইভাপোরেটর হয়ে কম্প্রেসরের সাকশন লাইন পর্যন্ত লো প্রেশার সাইড, যা ঠান্ডা অনুভূত হবে। যদি হিমায়ন চক্রে কম্প্রেসর সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয় তবে এ লাইনে হাত দিয়ে স্পর্শ করলে ঠান্ডা অনুভূত হবে। হিমায়ক লাইনের দৈর্ঘ্য এবং অভ্যন্তরীণ গঠন কাঠামোর উপর ভিত্তি করে সিস্টেমের তাপমাত্রার পরিবর্তন হয়। যদি কোন সিস্টেমে কম্প্রেসর চালু অবস্থায় হাই প্রেশার সাইড এবং লো- প্রেশার সাইডে তাপমাত্রার উল্লেখযোগ্য কোন পরিবর্তন পরিলক্ষিত না হয় তবে বোঝা যায় যে, সিস্টেমে হিমায়কের ঘাটতি আছে অর্থাৎ কম্প্রেসর সঠিক মাত্রায় হিমায়ক সঞ্চালন করতে পারছে না । হিমায়নের কম্প্রেসর পর্যবেক্ষণে দু'টি শর্ত মেনে চলতে হয়-
নিম্নে সাধারণ তাপমাত্রায় ভেহিক্যাল ইন্সপেকশনের দ্রুত নিরীক্ষণের অবস্থান দেখানো হল-
যদি অটো এয়ারকন্ডিশনিং যন্ত্রাদি সঠিক নিয়মে পরিচালিত না হয়, তবে এটি চাক্ষুষ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে নির্ণয় করা যায়। অনুপযুক্ত এয়ারকন্ডিশনিং পরিচালনার বিভিন্ন কারণসমূহ ভিজুয়্যাল ইন্সপেকশন দিয়ে বের করা যায় । যেমন-
১। বেল্ট ছিড়ে যাওয়া বা বেল্টের লুজ সংযোগ
২। কন্ডেন্সার বাতাস প্রবাহে বাধা
৩। কম্প্রেসর ক্লাচের লুজ সংযোগ
৪ । কম্প্রেসর মাউন্টিং ব্রাকেট ভাঙ্গা
এ ছাড়াও অনুপযুক্ত পরিচালনার মধ্যে ভিজুয়্যাল ইন্সপেকশনগুলো হল-
১। বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন
২। সরবারহ পরিচালনার অনুপযুক্ত তার
৩। হিমায়ন লাইনে তেলের লিকেজ
৪। ইঞ্জিনের কুলিং সিস্টেমে কাজ না করা ।
অটো এয়ারকন্ডিশনারের হিমায়ন সিস্টেমে কম্প্রেসর পর্যবেক্ষণ একটি বিশেষ ডিভাইসের মাধ্যমেও বিভিন্ন সমস্যাসমূহ পর্যবেক্ষণ করা যায় একে স্ক্যান টুলস বলে, যা A/C Compressor, A/C Clutch, A/C Pressure, Coolent Temperature এবং ফ্যান ইত্যাদির বিভিন্ন সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে। এছাড়া ইলেকট্রনিক টেম্পারেচার কন্ট্রোলার হিমায়ন সিস্টেমে ভুলের সংকেত এবং সমস্যাগুলো চাক্ষুষ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে চিহ্নিত করতে পারে ।
অটোমোটিভ এয়ারকন্ডিশনিং সিস্টেমে ব্যবহৃত সকল কম্প্রেসরে শ্যাফট সিল বিদ্যমান। শ্যাফট সিলের প্রধান কাজ হল কম্প্রেসরের অভ্যন্তরে অবস্থিত হিমায়ন ভেল বা কম্প্রেসর অয়েলের লিক রোধ করা। কম্প্রেসরের শ্যাফট সিল সিনথেটিক রাবার, কার্বন ইত্যাদি দিয়ে তৈরি গোলাকার রিং আকৃতির বস্ত্র বিশেষ। সিলসমূহ মসৃণ রাবিং করা কার্বন রিং এর মধ্যে কম্প্রেসর বস্তিতে বোল্ডেড। সিল্ড স্থির কার্বন রিং এর পরিবর্তে ঘূর্ণায়মান কার্বন রিং-ব্যবহার অধিক লাভজনক। বিশেষ কিছু মডেলের কম্প্রেসরে টেফলন সিল ব্যবহার করা হয়।
অটোমোটিভ এয়ারকন্ডিশনিং-এ কম্প্রেসরের ক্র্যাঙ্কশ্যাফট কাস্ট আয়রন সারফেসে সিলিং আইটেম হিসেবে ঘূর্ণায়মান কার্বন রিং এবং মসৃন ও সমতল সারফেস রাবার সিল রাবিং করা থাকে। এভাবে সিল দিয়ে -510 সে থেকে 121° সে. পর্যন্ত তাপমাত্রায় হিমায়ন তেল লিক রোধ করা যায়। কম্প্রেসর চলার সময় ক্র্যাঙ্ক কেইস থেকে কম্প্রেসর অয়েল বেরিয়ে আসতে না পারে এবং বাইরের ফ্রেশ এয়ার কম্প্রেসরের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে না পারে তার জন্য শ্যাকট সিল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যদি কোন কম্প্রেসরে গ্যাস বা হিমায়ক লিক অনুভূত হয় বা চাপ ঘাটতি ঘটে তবে বোঝা যায় শ্যাফট সিল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই একে পরিবর্তন করা দরকার। দীর্ঘদিন কোন গাড়ি যদি চালানোর প্রয়োজন না হয় বা দীর্ঘদিন এয়ারকন্ডিশনিং ইউনিট বন্ধ রাখার দরকার হয়- তবে কম্প্রেসরের অয়েল সিন সারফেস দিয়ে অয়েল ড্রেন হওয়ার সম্ভাবন থাকে বলে দীর্ঘ সময় বন্ধের ক্ষেত্রে কম্প্রেসর অয়েল ড্রেন করা উত্তম।
কম্প্রেসর ড্রাইভিং বেল্ট টেনশন অ্যাডজাস্টমেন্ট কার এয়ারকন্ডিশনিং এর পারফরমেন্স টেস্টের সাথে জড়িত একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ । কম্প্রেসর চলার জন্য যে শক্তির প্রয়োজন হয় তা ইঞ্জিনের ক্র্যাঙ্ক শ্যাফট থেকে সরাসরি ভি-বেল্টের মাধ্যমে পুলিতে স্থানান্তরিত হয়। এখানে আইডলার পুলি কম্প্রেসরকে স্থির গতিতে রেখে স্বাধীনভাবে ক্র্যাঙ্কশ্যাফটের স্পিডের সাথে সামঞ্জস্য রেখে নিয়ন্ত্রণ করে। কম্প্রেসর নিজ পুলি থেকে প্রাপ্ত গতিকে বহুগুণে বৃদ্ধি করে উচ্চ গতিতে সংকোচন ক্রিয়া সম্পন্ন করে ।
বেল্ট ড্রাইভেন কম্প্রেসরকে এক্সটারনাল ড্রাইভ কম্প্রেসর বলা হয়ে থাকে। ভি-ভোল্টের মাধ্যমে সঞ্চালিত গতি ক্র্যাঙ্কশ্যাফট ও পুলির সাথে দৃঢ়ভাবে সংযুক্ত রাখতে হয়। অন্যথায় দেখা যায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কম্প্রেসর, ইঞ্জিন স্পিড থেকে কম গতিতে চলে। ইঞ্জিন বেল্ট পুলি কম্প্রেসর পুলি থেকে ছোট ডায়া মিটারের। ভি- বেল্টড্রাইভ দক্ষতা ও সাবধানতার সাথে ক্রিয়া করে। বড় প্ল্যান্ট অর্থাৎ বড় গাড়ির ক্ষেত্রে বেল্ট ড্রাইভে একাধিক বেল্ট ব্যবহার করতে হয়, যা স্পিড ট্রান্সমিশনে স্লিপ কম হয়। পুলিসমূহ একে অন্যের সাথে যথাযথ অ্যালাইনমেন্টে থাকতে হবে, না হলে বেল্টগুলো খুলে পড়বে অথবা ছিড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ড্রাইভ পুলির সাইজ মোটর এবং ফ্লাইহুইল (যদি থাকে) দিয়ে নির্বাচন করা হয়। সাধারণত পুলিগুলো কাস্ট আয়রন বা স্ট্যাম্প স্টিল দিয়ে তৈরি হয় ।
অনুসন্ধানমূলক কাজ
তোমার প্রতিষ্ঠানের কাছাকাছি যে কোন একটি কার এয়ার কন্ডিশনিং ওয়ার্কশপ পরিদর্শন করে।
পারফরমেন্স যাচাই/রিপেয়ার কর্মকান্ড বিষয়ে নিচের ছকে তোমার মতামত দাও ।
এই শিখন ফলে আমরা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার করণীয় কাজগুলো জানতে পারব এবং পরিষ্কারক উপাদান ও সরগ্রামগুলোর নাম চিত্রসহ জানতে পারব।
কাজ শুরু করার আগে এবং পরে কর্মক্ষেত্র পরিষ্কার করা একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার জন্য বিভিন্ন ধরণের ক্লিনিং ইকুইপমেন্ট পাওয়া যায়। ব্যয়বহুল হলেও কার্যকারী ইকুইপমেন্ট ব্যবহার করলে অতি অল্প সময়ে কাজটি সম্পন্ন করা সম্ভব।
৩.৫.১ বিভিন্ন পরিস্কারকারক উপাদান এর নামসহ চিত্র দেয়া হল-
পারদর্শিতার মানদণ্ড
ক) ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (PPE)
(খ) প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি (টুলস, ইকুইপমেন্টস ও মেশিন)
(গ) প্রয়োজনীয় মালামাল (Raw Materials)
(ঘ) কাজের ধারা
১. প্রথমে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও মালামাল স্টোর থেকে সংগ্রহ করো ।
২. তালিকা অনুসারে সুরক্ষা সরঞ্জামাদি (PPE) যথানিয়মে পরিধান করো ।
৩. গাড়ির বনেট খোল ।
৪. ক্লাচের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করো ।
৫. পুলি থেকে ড্রাইভ বেল্ট খোল ।
৬. ক্লাচ হোল্ডিং টুলস দিয়ে আটকিয়ে ক্লাচের নাট খোল ।
৭. সকল যন্ত্রাংশগুলো ক্লাচ এ্যাসেম্বলি থেকে বিচ্ছিন্ন করো।
৮. সকল যন্ত্রাংশগুলো একটি ট্রেতে রেখে সার্ভিসিং অয়েলে ভিজিয়ে রাখ ।
৯. কিছুক্ষণ পর সকল যন্ত্রাংশগুলো ব্রাশ ও কাপড় দিয়ে মুছে শুকাও ।
১০. ক্লাচ কয়েলের কন্টিনিউটি/রেজিস্ট্যান্স পরিমাপ করে দেখ।
১১. একে একে সংযোজন করে সকল যন্ত্রাংশগুলো পুনঃস্থাপন করো ।
১২. বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে কম্প্রেসর চালিয়ে ক্লাচের কার্যকারিতা পর্যবেক্ষণ করো।
১৩. যন্ত্রপাতি পরিষ্কার করে নির্দিষ্ট স্থানে রাখ ।
১৪. কাজের স্থান পরিষ্কার করো ।
সতর্কতা
আত্মপ্রতিফলন
কার এয়ার কান্ডিশনারের কম্প্রেসর ক্লাচ সার্ভিসিং করার দক্ষতা অর্জিত হয়েছে/হয় নাই/আবার অনুশীলন করতে হবে।
পারদর্শিতার মানদন্ড
(ক)ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (PPE)
(খ) প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি (টুলস্, ইকুইপমেন্টস ও মেশিন)
(গ) প্রয়োজনীয় মালামাল (Raw Materials)
(খ) কাজের ধারা
১) প্রথমে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও মালামাল স্টোর থেকে সংগ্রহ করে।
২) তালিকা অনুসারে সুরক্ষা সরঞ্জামাদি (PPE) যথানিয়মে পরিধান করো।
৩) গাফির বনেট খুলে এসি সিস্টেমের তেলের লিকেজ চিহ্ন বা দৃশ্যমান কোন ত্রুটি আছে কিনা পর্যবেক্ষণ করো।
৪) বৈদ্যুতিক ফেজ, ভোল্টেজ, পোলারিটি সঠিক আছে কিনা নিশ্চিত হও।
৫) সিস্টেমের প্রেশার পরীক্ষার জন্য মেনিফোল্ড গেজ যুক্ত করো।
৬) অ্যামিটার, ভোল্টমিটার যথাস্থানে সংযোগ করো ।
৭) সকল কন্ট্রোল ভাল্ভগুলো সঠিক অবস্থানে আছে কিনা পরীক্ষা করে এয়ারকন্ডিশনিং সিস্টেম চালু করো।
৮) এসি চালুর পরিবর্তী কিছু সময় ধরে প্ল্যান্টের তাপমাত্রা, ভোল্টেজ, কারেন্টসমূহের পাঠ পর্যবেক্ষণ করো।
৯) গেজ মেনিফোল্ডের চাপ সমন্বয় করে এসিকে ফুল-লোডে ১ ঘন্টা চালনা করো ।
১০) ইভাপোরেটর, অ্যাম্বিয়েন্ট ও এয়ার টেম্পারেচার এবং সাকশন ও ডিসচার্জ প্রেশার পরিমাপ করো
১১) তাপমাত্রা ও চাপের মান নিম্নের পারফরমেন্স চার্টে নোট করো।
১২) এসি বন্ধ কর এবং পরিমাপক ইকুইপমেন্টগুলি খোল।
১৩) প্রাপ্ত ক্যালকুলেটেড যান ও কোম্পানির ম্যানুয়ালের সাথে মিলিয়ে দেখে সার্ভিসিং বা মেরামত লাগবে কিনা সিদ্ধা নাও ।
১৪) যন্ত্রপাতি পরিষ্কার করে নির্দিষ্ট স্থানে রাখ ।
১৫) কাজের স্থান পরিষ্কার করো।
কাজের সতর্কতা
আত্মপ্রতিফলন
কার এয়ার কান্ডিশনারের পারফরমেন্স টেস্ট করার দক্ষতা অর্জিত হয়েছে/হয় নাই/আবার অনুশীলন করতে হবে।
আরও দেখুন...