অ্যাড (CAD) এর সম্প্রসারিত রূপ হলো কম্পিউটার এইডেড ডিজাইন বা ড্রাফটিং (Computer Aided Design or Drafting) অর্থাৎ কম্পিউটার ও সফটওয়্যারের সাহায্যে ড্রয়িং করা। এক সময় হাতে- কলমে যে ড্রয়িং করা হতো তা ছিল অনেকটা জটিল ও সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। প্রযুক্তির পরিবর্তনের সাথে সাথে উক্ত ড্রয়িংসমূহ হাতে-কলমে না করে কম্পিউটারের সাহায্যে করা হচ্ছে। ফলে কাজের নির্ভুলতা, সহজলভ্যতা, সঠিকতা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সময়ও আগের চেয়ে কম লাগছে। কম্পিউটারে এই ড্রয়িং ৰা ডিজাইনসমূহ সম্পাদনের জন্য যে সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয় তার মধ্যে অটোক্যাড তুলনামূলক সহজ বিধায় সর্বাধিক প্রচলিত। এ অধ্যায়ে কিভাবে অটোক্যাডে ২ডি ড্রয়িং সহজে করা যায় তার ব্যবহার কৌশল আলোচনা করা হয়েছে।
অধ্যায় শেষে আমরা
উপর্যুক্ত শিখনফলগুলো অর্জনের লক্ষ্যে এ অধ্যায়ে আমরা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি, টুলস ও ইকুপমেন্ট, প্রাইমারী সেটআপ, টেক্সট টুলস, অটোক্যাড লেয়ার, পরিমাপ, ২টি ড্রয়িং, মেকানিক্যাল ড্রয়িং, মেকানিক্যাল কম্পোনেন্ট ড্রয়িং, মেকানিক্যাল কম্পোনেন্ট ড্রয়িং মোডিফাই এবং যন্ত্রপাতি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ও সংরক্ষণ সম্পর্কে দক্ষতা অর্জন করব। উক্ত কাজগুলো সম্পাদন করতে পারলে আমরা সহজেই যে কোনো টুডি ওয়ার্কিং ড্রয়িং নিয়ে কাজ করতে পারব। নির্ধারিত জবসমূহ সম্পন্ন করার পূর্বে প্রয়োজনীয় বিষয়সমূহ জেনে নেয়া যাক।
স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি বলতে ৰুঝায় কোনো সংস্থা কর্তৃক ধাপে ধাপে প্রকাশিত নির্দেশাবলী বা এক গুচ্ছ নির্দেশনা যা ঐ সংস্থার কর্মীদের প্রতিদিনের কাজকরম করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতির মূল লক্ষ্য হলো মানসম্মত্ত উৎপাদন নিশ্চিত করা, পরস্পরের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি দুর করা এবং শিল্পক্ষেত্রে অনুসরণীয় নিয়মাবলী মেনে চলা। অন্য ভাবে বলা যায় যে, স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি (SOPS) এমন একটি পদ্ধতি যা 'সর্বোত্তম অনুশীলন' নথিভুক্ত করে তাই এটি সকলের জন্য স্পষ্টভাবে বোঝা যায়।
স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোকপাত করা প্রয়োজন। নিচে সেগুলো বর্ণনা করা হলো
অটোক্যাডে কাজ করার জন্য আমরা যে সকল টুলস ও ইকুইপমেন্ট ব্যবহার করে থাকি সেগুলো নিম্নরূপ:
অটোক্যাড সফটওয়ারে কার্যকরভাবে কাজ করার জন্য এর ইন্টারফেসের কিছু সেটআপ করতে হয়, ফলে কাজ করার সময় সুবিধা হয়। অটোক্যাড ওপেন করার পর নিম্নলিখিত প্রাইমারী সেটআপগুলো সম্পাদন করা হয়-
ইউনিট সেটআপ
অটোক্যাড ২০২৩ অথবা পূর্ববর্তী ভার্সনের যে কোনো একটি ভার্সনে ফাইল ওপেন করে কমান্ড লাইনে Units লিখে এন্টার দিলে একটি ইউনিট সেটআপ ডায়ালগ বক্স আসবে। উক্ত ডায়ালগ বক্স থেকে প্রয়োজনীয় ইউনিট টাইপ, প্রিসিশন, ইনসার্শন স্কেল সিলেক্ট করে OK বাটনে ক্লিক করতে হবে।
● এরিয়া বা Limits সেটআপ
অর্থো সেটআপ (Ortho Setup)
অটোক্যাডের অর্থো মোডটি নির্দিষ্ট দিকে কার্সার চলাচল সীমাবদ্ধ করতে ব্যবহৃত হয়। অর্থো অন বা অফ করতে ফাংশন কী (F8) ব্যবহার করা হয়। অর্থো অন থাকলে অংকনের রেখাগুলো শুধু আনুভূমিক বা উলম্ব ভাবে আঁকা যায় এবং অর্থ অফ থাকলে যে কোনো কোণে রেখা আঁকা যায়।
জুম সেটআপ
ড্রয়িং বা ডিজাইনকে কম্পিউটারের কার্য এরিয়ার মধ্যে রাখার জন্য জুম সেটআপ করা হয়। জুম অল (Zoom All) ব্যবহার করলে কম্পিউটার স্ক্রিনে/পর্দায় সকল কাজ একসাথে করা যায় ও একই সাথে দেখা যায়। এক্ষেত্রে কমান্ড লাইনে Zoom এর জন্য Z + (এন্টার) এবং Zoom All এর জন্য A দিয়ে ঘুম ফাংশন কার্যকর করা যায়।
অটোক্যাডে লিখিত শব্দমালাই হচ্ছে Text । ড্রইং-এ টেক্সট সংযুক্ত করে উক্ত ড্রইংকে পরিষ্কারভাবে উপস্থাপন করা হয়। যেমন- টেক্সট কমান্ডের সাহায্যে একটি মেকানিক্যাল ডিটেইল ড্রয়িং এর নোট উপস্থাপন করা হয়। ড্রইংটি ইঞ্জিনিয়ার/ক্যাড অপারেটর, অঙ্কন তারিখ, ড্রইং টাইটেল, কোম্পানীর নাম, ড্রইং শীট নং, অনুমোদনের তারিখ ইত্যাদি তথ্যসমূহ টেক্সট এর মাধ্যমে ড্রইং এ সংযুক্ত করেন। টেক্সট তৈরিতে প্রধানত দু'টি পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়।
নতুন Text Style করতে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করবো।
মাল্টিলাইন টেক্সট
এক বা একাধিক টেক্সট প্যারাগ্রাফ এর সমন্বয়ে গঠিত হয় মাল্টিলাইন টেক্সট অবজেক্ট। মাল্টিলাইন টেক্সট অবজেক্টেকে একটি একক অৰজেক্ট হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এক বা একাধিক টেক্সট প্যারাগ্রাফ একটি মাল্টিলাইন টেক্সট এডিটরে তৈরি করা যায়।
মাল্টিলাইন টেক্সট-এ প্রথমেই টেক্সটের জন্য সীমা ঠিক করে দিতে হয়। টেক্সট বাউন্ডিং বক্স এর দু'কর্ণার বিন্দু নির্দিষ্ট করতে হয় যা টেক্সট প্যারাগ্রাফের গ্রন্থ প্রকাশ করে। মাল্টিলাইন টেক্সট কমান্ড একাধিক উপায়ে কার্যকরী করা যায়।
লেয়ার মানে স্তর। অটোক্যাড দেয়ার মানে অটোক্যাড স্তর। একটি ড্রয়িং যেখানে অনেক অবজেক্ট বিদ্যমান সেখানে অবজেক্টসমূহকে বিভিন্ন স্তরে বিভক্ত করলে পুরো ড্রয়িং আঁকতে, দেখতে ও ছাপাতে সুবিধা হয়। যেমন ধর একটি গেইট ভাল এর এ্যাসেম্বলী ড্রয়িং। উক্ত এ্যাসেম্বলী ড্রয়িং এর মধ্যে বিভিন্ন অবজেক্ট যেমন- হ্যান্ডেল হুইল, পেকিং ম্যাটিরিয়াল, স্টাফিং বক্স, বনেট, গাসকেট, স্টেম, ফ্ল্যাঞ্জ, ডিক্স,ৰঙি, গেইট ও গেইট সীট ইত্যাদি থাকে এবং এদের প্রোপার্টিজ ভিন্ন। এক্ষেত্রে আমরা প্রতিটিকে এক এক লেয়ার বা স্তরে বিভক্ত করতে পারি। হ্যান্ডেল হুইল এর রং হলুদ, পেকিং রং সবুজ, বনেট রং বাদামী এভাবে ভিন্ন ভিন্ন কালার, ভিন্ন ভিন্ন লাইন টাইপ, ভিন্ন ভিন্ন লাইন ওয়েট নিয়ে লেয়ার তৈরি করতে পার। যখন ইচ্ছে তখন কোনো নেয়ার ফ্রিজ বা বন্ধ করে রাখতে পার।
লেয়ার প্রোপার্টিজ ম্যানেজারে নতুন লেয়ার তৈরি, পুরোনো লেয়ার মুছে ফেলা, লেয়ারের নাম পরিবর্তন করা, কোনো লেয়ার অন্যঅফ, ফ্রিজ/আনফ্রিজ করা, লেয়ার কালার পরিবর্তন করা, লাইন টাইপ/লাইন ওয়েট নির্দিষ্ট করা ইত্যাদি কাজগুলো সুন্দরভাবে সমাধা করা যায়।
ডাইমেনশন বা মাত্রা হচ্ছে ড্রইং এ কোনো অবজেক্টের বিভিন্ন পরিমাপ। অনেক রকমের ডাইমেনশন হতে পারে। যেমন: আনুভুমিক বা হরাইজন্টাল (Horizontal), লম্বিক বা ভার্টিকাল (Vertical), সজ্জিত বা অ্যালাইভ (Aligned), আৰষ্ঠিত বা রোটেট (Rotate), ব্যাসার্ধ বা রেডিয়াল (Radial), ব্যাস বা ডায়ামিটার (Diameter), কৌণিক বা অ্যম্পুলার (Angular) ডাইমেনশন ইত্যাদি।
ডাইমেনশনযুক্ত ড্রইং হচ্ছে একটি পুর্নাঙ্গ ড্রইং। ডাইমেনশনের মাধ্যমে জানা যায় একটি অবজেক্টের দৈর্ঘ্য প্রস্থ ও উচ্চতা, সিলিন্ডার বা পাইপের ব্যাসার্ধ, ফার্নিচারের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতা ইত্যাদি।
মাত্রাহীন কোনো ড্রইং পুর্ণাঙ্গ ড্রইং নয়। অটোক্যাডে নিখুঁতভাবে ডাইমেনশনভিত্তিক ড্রইং করা যায়। আবার যে কোনো অবজেক্টের সঠিক ডাইমেনশন নির্ধারণ করা যায়।
ডাইমেনশনের প্রকারভেদ
বিভিন্ন প্রকার অবজেক্টের বিভিন্ন প্রকার ডাইমেনশন রয়েছে।
Linear ডাইমেনশন
দু'বিন্দুর মধ্যবর্তী রৈখিক বা লিনিয়ার (Linear) দুরুত্ব পরিমাপ করতে Linear ডাইমেনশন ব্যবহৃত হয়। লিনিয়ার ডাইমেনশন আবার তিন ধরনের হয়- হরাইজন্টাল, ভার্টিক্যাল ও রোটেটেড।
পদ্ধতি
হোম রিবন থেকে এনোটেশন ( Annotation): Liner এনোটেট টুলবার:
কমান্ড লাইন: Dimlinear বা DLI
লিনিয়ার ডাইমেনশন প্রয়োগ করতে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করবো।
Aligned ভাইমেনশন
Aligned ডাইমেনশনকে True Length ডাইমেনশনও বলা হয়ে থাকে। এক্সটেনশন লাইনের বিন্দুদ্বয়ের সমান্তরাল রৈখিক দুরত্ব পরিবর্তন করে Aligned ডাইমেনশন। অ্যালাইড ডাইমেনশনের মাধ্যমে কোনো অবজেক্টের প্রকৃত মাপ পাওয়া যায়।
পদ্ধতি
এনোটেট রিবন থেকে ডাইমেনশন মেনু: Aligned
ডাইমেনশন টুলবার: Aligned
কমান্ড লাইন: Dimaligned or DAI
অ্যালাইড ডাইমেনশন প্রয়োগ করতে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করবো।
ANGULAR ডাইমেনশন
কোনো পরিমাপের জন্য Angular ডাইমেনশন ব্যবহৃত হয়। বৃত্তচাপ, বৃত্ত অথবা রেখা সৃষ্ট পরিমাণ করতে, অটোক্যাডে Dinangular কমান্ড কার্যকরী করতে হয়।
পদ্ধতি
এনোটেট রিবন থেকে ডাইমেনশন মেনু: Angular
ডাইমেনশন টুলবার: Angular
কমান্ড লাইন: DIMANGULAR অথবা DAN
এপ্সুলার ডাইমেনশন প্রয়োগ করতে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ কর।
উদাহরণ-১ -চিত্রের DIAMETER ডাইমেনশন কোনো বৃত্ত বা বৃত্তচাপের ব্যাস পরিমাপ করতে Diameter ডাইমেনশন ব্যবহৃত হয়। Diameter কমান্ড কার্যকরী করে আমরা যে কোনো ব্যাসার্ধের পরিমাপ পেতে পারি। পদ্ধতি এনোটেট রিবন থেকে ডাইমেনশন মেনু: Diameter ডাইমেনশন টুলবার: Diameter Ordinate কমান্ড লাইন: Dimdiameter অথবা DDI ডায়ামিটার ডাইমেনশন প্রয়োগ করতে নিচের ধাপ গুলো অনুসরণ কর। BASELINE ডাইমেনশন একটি কমন বেস লাইন থেকে একাধিক ডাইমেনশন পরিমাপ করতে বেস লাইন ডাইমেনশনের প্রয়োজন হয়। ডাইমেনশন কার্যকারী করার পূর্বে অবশ্যই লিনিয়ার ডায়মেনশন দিয়ে নিতে হবে। এছাড়া ডায়মেনশন স্টাইলের ভিতর লাইন অপশনে ৰেস লাইন স্পেসিং ঠিক করতে হবে। পদ্ধতি এনোটেট রিবন থেকে ডাইমেনশন মেনু: Base Line ডাইমেনশন টুলবার: Base Line কমান্ড লাইন: DIMBASE LINE বা DBA বেস লাইন ডাইমেনশন পেতে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ কর। CONTINUE ডাইমেনশন একটি ডাইমেনশন লাইন থেকে অপর একটি ডাইমেনশন পরিমাপ করতে কন্টিনিউ ডাইমেনশন ব্যবহৃত হয়। প্রতিটি কন্টিনিউ ডাইমেনশন শুরু হয় পূর্বের ডাইমেনশনের দ্বিতীয় এক্সটেনশন লাইন থেকে । এক্ষেত্রে অবশ্যই একটি লিনিয়ার ডায়মেনশন দিয়ে নিতে হবে। এনোটেট রিবন থেকে ডাইমেনশন মেনু: Continue ডায়মেনশন টুলসবার থেকে: Continue কমান্ড লাইন: Dimcontinue বা DCO কন্টিনিউ ডাইমেনশন পেতে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করবো। ৪ মোডিফাই (Modify) মোডিফাই অৰ্থ ৰদলানো বা রূপান্তর করা। অটোক্যাডে মোডিফাই নামে কোনো কমান্ড নেই। তবে টুলবারের অন্তর্গত মোডিফাই মেনু এবং এর শাখা মেনুতে অঙ্কিত বস্তুকে রূপান্তর করার অনেক পদ্ধতি আছে যার একটি তালিকা নিচে দেয়া হলো- ইরেজ (Erase) ইরেজ অর্থ মুছা। অঙ্কিত ড্রয়িং এর অংশ বিশেষ বা সম্পূর্ণ ড্রয়িং মুহুতে চাইলে ইরেজ কমাঙ্ক ব্যবহার করা হয় । Modify toolbar Modify menu: Erase Command line: erase Modify টুলবার এ Erase কমান্ডের অবস্থান সবার উপরে থাকায় Erase করা বা অঙ্কিত বহু মুছা সম্বন্ধে প্রথমে আলোচনা করা হল- (ক) Erase কমান্ড লিখে এন্টার অথবা Modify টুলবার-এর Erase বাটন ক্লিক করলে কমান্ড লাইনে নির্দেশ আসবে- (খ) ( Select object) : অর্থাৎ বস্তু বাছাই কর। এখন, বস্তুটি বর্গাকৃতির কার্সরের সাহায্যে সিলেক্ট করে এন্টার করলে বস্তুটি মুছে যাবে অথবা (গ) সকল বস্তু (entities) সিলেক্ট করতে চাইলে ALL লিখে দু'বার এন্টার করলে সকল বস্তু পর্দা থেকে মুছে যাবে। মিরর করা (Mirror) মিরর অর্থ আয়না। আয়নায় কোনো বস্তুর প্রতিবিম্ব বা প্রতিলিপির অবস্থান উল্টে যায় বা উল্টা ছবি দেখা যায় বস্তুর হুবহু উল্টা ছবি পেতে হলে মিরর কমান্ড ব্যবহার করতে হয়। কমান্ড প্রায়োগ পদ্ধতি: Modify toolbar Command line: mirror (MI) ১। মোডিফাই Toolbar এর Mirror বাটন ক্লিক করলে নির্দেশ আসবে- Select objects: বর্গাকৃতির কার্সর দ্বারা বস্তুটি বা বস্তুগুলি সিলেক্টপূর্বক এন্টার করলে নির্দেশ আসবে- Specify first point of mirror line: ১ম বিন্দু নিলে আয়না স্থাপনের জন্য ২য় বিন্দু চাইবে। Delete source objects? [Yes/No] অ্যারে অব এনটিটিজ (Array of entities) অ্যারে অর্থ সাজানো বা বিন্যাস করা। অটোক্যাডে বস্তুকে দু'ভাবে সাজানো যায়। যেমন- আয়তকারভাবে এবং কৌণিকভাবে। অ্যারে কমান্ড নিয়ে এই কাজ সহজে করা যায়। কমান্ড প্রয়োগ পদ্ধতি: Modify toolbar Modify menu: Array Command: array ১। মোডিফাই টুলবারে array আইকন ক্লিক করলে array ডায়ালগ বক্স আসবে- ২। ডায়ালগ বক্সে array করার দুটি অপশন আছে। যথা- Rectangular Array এবং Polar Array উপরোক্ত অপশনের যে কোনো একটি অপশন নিয়ে কাজ করতে হলে ডায়ালগ বক্সে অপশনের বাম পাশে রেডিও বাটন ক্লিক করে সক্রিয় করতে হবে। Rectangular Array প্রথমে Rectangular Array রেডিও ৰাটন ক্লিক করে সক্রিয় কর। ডায়ালগ বক্সে Select objects বাটন ক্লিক করে বস্তু সিলেক্ট করতে হবে। রোটেট (Rotate) রোটেট অর্থ ঘুরানো। অঙ্কিত বন্ধু ঘুরানোর কাজে এই কমান্ড ব্যবহার করা হয়। কমান্ত প্রয়োগ পদ্ধতি: Modify toolbar Modify menu: Rotate Command line: rotate(ro) ১। Rotate কমান্ড দিনে নির্দেশ আসবে- ২। Select objects: বস্তু সিলেক্ট করে এন্টার করলে যা চাইবে তা হল- ৩। Specify base point (বেস পয়েন্ট নির্দিষ্ট কর) বিন্দুর মান লিখে এন্টার করলে নির্দেশ আসবে ৪। Specify rotation angle ( কোণের মান দাও) কোণের মান লিখে এন্টার করলে বস্তু নির্দেশ অনুযায়ী ঘুরে নতুন অবস্থান গ্রহণ করবে। চিত্র অনুরূপ একটি বস্তু অঙ্কন করে এবং একই বস্তু জন্য কোনো স্কেলে ছোট বা বড় আকারে আঁকতে হলে Scale কমান্ড নিতে হবে। ১। Scale কমান্ড নিজে নির্দেশ আসবে- ২। Select objects: কার্সরের সাহায্যে বস্তুটি সিলেক্ট করে এন্টার করলে নিৰ্দেশ আসবে- ৩। Specify base point: বেস পয়েন্ট নিলে নির্দেশ আসবে- ৪। Specify scale factor or Reference: স্কেল ফ্যাক্টর উল্লেখ করতে হবে। এ অবস্থায় ০.৫ লিখে এন্টার দিলে বন্ধুটি পূর্বের অঙ্কিত বস্তুর অর্ধেক আকার পাবে। স্ট্রেচ (stretch) স্ট্রেচ অর্থ টেনে বাড়ানো। অটোক্যাডে অঙ্কিত বস্তুকে টেনে বাড়ানোর জন্য Stretch কমান্ড ব্যবহার করা হয়। কমান্ড প্রয়োগ পদ্ধতি: Moify toolbar; Modify menu: Stretch Command line: stretch(str) ১। Stretch কমান্ড নিয়ে এন্টার করলে নির্দেশ আসবে- Rotate Mirror Trim Fillet Stretch Scale Modify Array ২। Select object to stretch by crossing window: ক্রসিং উইন্ডোর মাধ্যমে বস্তুটি সিলেক্ট করতে হবে। অর্থাৎ বস্তুটি বর্গাকার Cursor এর সাহায্যে সিলেক্ট না করে Crossing window- এর মাধ্যমে চিত্রে যেভাবে দেখান হয়েছে সেভাবে সিলেক্ট করতে হবে। এখানে উল্লেখ্য যে, সমগ্র বস্তুটি সিলেক্ট না করে বন্ধুটি যে দিকে বাড়াতে ইচ্ছুক সে দিকের সম্মুখ ভাগ crossing window-এর মাধ্যমে সিলেক্ট করে এন্টার করলে নির্দেশ আসবে- চ্যাম্ফার করা (Chamfering) চ্যাম্ফার অর্থ কোশা বর্তন করা। দুটি ফেস অথবা দুটি এজ এক বিন্দুতে মিলিত হয়ে যে তীক্ষ্ণ কোণ উৎপন্ন হয় তা কৰ্ত্তন করার প্রক্রিয়াকে চ্যাম্পারিং বলে। অটোক্যাড chamfer ব্যবহার করে এ কাজ করা হয়।
২ডি বা টু ডাইমেনশনাল ড্রয়িং হল এক প্রকার ওয়ার্কিং ড্রয়িং। সাধারনত শিল্পকারখানায় কোনো একটি যন্ত্র বা যন্ত্রাংশ তৈরির জন্য ২ডি ড্রয়িং ব্যবহার করা হয়। ড্র, মোডিফাই ও ডায়মেনশন এর সাহায্যে ২ডি ড্রয়িং করা হয়। নিচে অনুশীলনের জন্য কয়েকটি ২ডি ড্রয়িং দেয়া হল-
মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রকার যন্ত্র বা যন্ত্রাংশ সঠিকভাবে মাপ ও নোট সহকারে বিভিন্ন ভিউ অংকনের মাধ্যমে উপস্থাপনের জন্য মেকানিক্যাল কম্পোনেন্ট ড্রয়িং করা হয়। মেকানিক্যাল কম্পোনেন্ট ড্রয়িং বা ড্রাফটিং এর সাহায্যে ভী ব্লক, মোড, বোল্ট, নাট, শ্যাফট, পুলি, রিভেট, পিয়ার, স্প্রিং ইত্যাদি অংকন করা যায়। উক্ত কম্পোনেন্ট গুলো দেখার জন্য সেকশন ভিউ ও অক্সিলারি ভিউ অংকন করার প্রয়োজন হয়।
ভী ব্লক (V-Block)
V-Block অংকনের জন্য নিম্নের ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে-
১। প্রথমেই ভী ব্লকটির দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতার মাপ অনুসারে Rectangle command নিয়ে ফ্রন্ট ভিউ, টপ ভিউ, সাইড ভিউ সেট করতে হবে। (চিত্র-১)
২। ভিউগুলো Explode command এর সাহায্যে Explode কর।
৩। প্রয়োজনীয় যাগ অনুসারে offset command ব্যবহার করে চিত্রানুসারে অফসেট করতে হবে। (চিত্র-২)
৪। অপ্রয়োজনীয় অংশগুলো Trim command ব্যবহার করে ট্রিম করতে হবে। (চিত্র-৩)
৫। লাইন টাইপ চেইঞ্জ করে হিডেন লাইন অংকন করতে হবে। (চিত্র-8)
৬। ডায়মেনশন দিয়ে জবটি সম্পন্ন করতে হবে। (চিত্র-৫)
মেট্ৰিক থ্রেড (Metric Thread): ইউনিফায়েড থ্রেডকেই মেট্রিক থ্রেড নামে অভিহিত করা হয়। মেট্রিক থ্রেড দুই প্রকার যথা- কোর্স পিচ প্লেড এবং ফাইন পিচ ব্লেড। কোর্স পিচ শেডই সচরাচর ব্যবহার করা হয়।
- মেট্রিক থ্রেডের তালিকা-
মেট্রিক থ্রেড (Metric Thread) অংকন
উদাহরণ : এমন একটি মেট্রিক রেড অংকন কর যাহার বোল্টের ডায়ামেটার M24 ৰোন্টের দৈর্ঘ্য ৭৫ মিমি। আমরা জানি বোল্টের ডায়ানেটার M24 হলে পিচ কোর্স গ্রেডের জন্য ও মিথি িতিরাং প্রতি ইঞ্চি বা ২৫.৪ মিমি দৈর্ঘ্যে থ্রেড হবে ৮টি।
নাট ও বোল্ট
দুইটি অংশকে অস্থায়ীভাবে যুক্ত করতে বোল্ট ও নাট ব্যবহার করা হয়। ইহার সুবিধা এই যে, যখন প্রয়োজন তখনই অংশ দুইটিকে সহজে পৃথক বা যুক্ত করা যায় । একই নাট এবং বোল্টকে পুনঃ পুনঃ ব্যবহার করা যায়। নিচে প্রথমে নাট এবং পরে বোল্ট অংকন সম্পর্কে আলোচনা করা হল-
নাটঃ সাধারণতঃ ইহা নাই ষ্টীল দ্বারা তৈরি করা হয়। ইহা ষষ্টকোণ (Hexagonal) ও চতুষ্কোণ (Square) প্রিজমের ন্যায় গঠন বিশিষ্ট হয়। স্প্যানার দ্বারা ধারণ করে অগ্ন কোণে ঘুরাইতে সুবিধা হয় বলে ষটকোণ নাটই সাধারণ কাজে বেশী ব্যবহৃত হয়।
স্টেপ ১। ১৮ মিমি ব্যাসার্ধ বিশিষ্ট একটি বৃত্ত অংকন করে এর মধ্যে একটি ষড়ভুজাকৃতি একটি পলিগন অংকন কর। বোল্টের ডায়া ২৪ মিমি: একটি বৃত্ত অংকন কর।
স্টেপ ২। Across Corner to Corner এর প্রজেকশন অনুসারে ফ্রন্ট ভিউ অংকন কর যার উচ্চতা ২১ সিমি। এক্ষেত্রে সেন্টার দেখানোর জন্য সেন্টার লাইন অংকন কর।
স্টেপ ৩। ঢালের বৃত্ত-চাপ অংকনের ব্যাসার্ধ = 1.2 D বা 1.5 D এর সমান পরিমাপ নিয়ে ঢাল অংকন কর।
গীয়ার
এটার পরিধিতে দাঁত থাকে এবং পুলীর ন্যায় এটাকে কী এর সাহায্যে শ্যাফট বা স্পিডলের সাথে দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ করে ব্যবহার করা হয়। গুনী ও বেল্ট ব্যবস্থায় যেমন একটি শ্যাফট হতে অপর শ্যাফটে যান্ত্রিক শক্তি পরিবহণ করা যায়, দুটি গীয়ারের মাধ্যমেও তা পারা যায়। গীয়ার বিভিন্ন শ্রেণীর হয়ে থাকে। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশী ব্যবহৃত গীয়ার সমূহ নিম্নরুপ-
১। স্পার গীয়ার
২। বিভেল গীয়ার
৩। র্যাক ও গিনিয়ন গীয়ার
৪। ওয়ার্ম ও হুইল গীয়ার।
পার গীয়ার
যেখানে দুটি শ্যাফটের অক্ষ একই তলে এবং সমান্তরালভাবে থাকে ঐ স্থানে এটা ব্যবহার করা হয়। মোটর গাড়ী, লেদ মেশিন, সিলিং মেশিন, ক্রেন ইত্যাদির গীয়ার বক্সে এবং অনেক মন্ত্রাদিতে এটা ব্যবহার করা হয়।
কেন্দ্র O থেকে প্রেসার এ্যাংগেল এর স্পর্শক এ পর্যন্ত নিয়ে একটি বৃত্ত অংকন কর। যাহা কী-বোর্ডে shift চেপে মাউস রাইট ক্লিক করে tangent (স্পর্শক) ক্লিক করে প্রেসার এ্যাংগের এর স্পর্শক A এর মধ্যে ক্লিক কর
স্টেপ ৪। টুথ থিকনেচ তৈরি - Draw > Arc > Strat, Center, Length ব্যবহার করে টুথ থিকনেচ তৈরি কর।
পিচ সার্কেল ডায়ামেটারের B কে Start বিন্দু কেন্দ্র O কে Center ধরে Length – ১৫.৭০ মিমি দিয়ে একটি Arc তৈরি কর। (এক্ষেত্রে লাইনের কালার চেইঞ্জ করে নেওয়া ভাল)
স্টেপ ৫। ট্রিম কমান্ড ব্যবহার করে অপ্রয়োজনীয় অংশ বাদ দিয়ে দাঁত তৈরি-
প্রথমে টুথ থিকনেসকে মিরর কর
টুথ থিকনেচ এর উভয় অংশ বেইস সার্কেল এ কপি কর। (C এবং D)
বেইস সার্কেল এর প্রেসার এ্যাংলেন এর স্পর্শক A থেকে পিচ সার্কেলের ডায়ামেটারের B পর্যন্ত নিয়ে একটি বৃত্ত অংকন কর। বেইস সার্কেলের D থেকে পিচ সার্কেলের ডায়ামেটারের E পর্যন্ত্র নিয়ে একটি বৃত্ত অংকন কর।
প্রতিটি কাজ শেষে যন্ত্রপাতি পরিস্কার কাজের একটা অংশ। অটোক্যাডে কাজের সময় যে সকল যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয় তা কাজ শেষে পরিস্কার করা, সংরক্ষণ করা ও কাজের এলাকা পরিস্কার করা একান্ত প্রয়োজন। আমরা জানি অটোক্যাডে কাজ করার জন্য অত্যন্ত সংবেদনশীল যন্ত্রপাতি যেমন: কম্পিউটার/ ল্যাপটপ, কী-বোর্ড, মাউস, প্লটার বা প্রিন্টার ইত্যাদির মত সরঞ্জাম ব্যবহার করা হয়। তাই এসকল যন্ত্রপাতি দীর্ঘদিন ব্যবহারের জন্য এগুলোকে যথাযথভাবে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। এক্ষেত্রে 55 হাউজকিপিং নিয়মাবলী অনুসরন করতে পারো।
একটি প্রতিষ্ঠানে সুসংগঠিত পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন এবং সুন্দর কাজের পরিবেশ তৈরি ও বজায় রাখতে ৫টি বিষয় মনে রাখা জরুরী। এই ৫টি বিষয়কে মনে রাখার সুবিধার্তে একসাথে 5S বলা হয়।
উদ্দেশ্য
উপকারিতা :
বাছাই করা (Sort):
কর্মস্থলে আমরা বিভিন্ন যন্ত্রপাতি, মেশিন কিংবা উপকরণ ব্যবহার করে কাজ করি। এগুলোর মধ্যে যে সকল যন্ত্রপাতি, মেশিন, কিংবা উপকরণগুলো বর্তমানে বা পরবর্তীতে কাজে লাগবে ঐ সকল যন্ত্রপাতি, মেশিন, কিংবা উপকরণগুলো আমরা বাছাই করি, এর মাধ্যমে জায়গা, সময়, টাকা, মানবশক্তি ও অন্যান্য সম্পদের অপচয় কমানো যায় এবং এগুলোর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা যায়।
সাজানো (Set in order):
কর্মস্থলে আমরা বিভিন্ন যন্ত্রপাতি, মেশিন কিংবা উপকরণ ব্যবহার করে কাজ করি। এগুলো যদি সুন্দরভাবে সাজানো-গোছানো থাকে তাহলে প্রয়োজনের সময় খুব সহজে সঠিক জিনিসটি খুঁজে পাওয়া যায়
ঝকঝকে তকতকে রাখা ( Shine):
আদর্শ স্থাপন করা (Standardize):
কাজগুলো কিভাবে করতে হবে, কে করবে এবং দিনে কয়বার করতে হবে তা নির্ধারন করে দেওয়া।
টেকসই করা (Sustain):
পারদর্শিতার মানদন্ড :
১. স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা (পিপিই) পরিধান করা;
২. প্রয়োজন অনুযায়ী কাজের স্থান প্রস্তুত করা;
৩. কাজের প্রয়োজন অনুযায়ী টুলস, ম্যাটেরিয়াল ও ইকুইপমেন্ট নির্বাচন ও সংগ্রহ করা;
৪. প্রয়োজন অনুযায়ী ড্রইং করার মালামাল সংগ্রহ করা;
৫. কাজ করার নিমিত্ত কম্পিউটার বুটআপ করা;
৬. প্রদত্ত ড্রইং অনুযায়ী ২ডি ইন্টারফেস এর ব্যবহার করা;
৭. প্রদত্ত ড্রইং অনুসারে কাজের ধাপ অনুসরণ করে টেক্সট স্টাইল সেট করা;
৮. কাজ শেষে কম্পিউটার শাটডাউন করা;
৯. কাজ শেষে ল্যাব এর নিয়ম অনুযায়ী কাজের স্থান পরিস্কার করা;
১০. অব্যবহৃত মালামাল নির্ধারিত স্থানে সংরক্ষণ করা;
১১. কাজ শেষে চেক লিষ্ট অনুযায়ী মালামাল জমাদান করা;
প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, মালামাল ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জাম :
কাজের ধাপ (Working Procedure ) :
সতর্কতা (Precausion) :
অর্জিত দক্ষতা: টেক্সট স্টাইল নিয়ে কাজ করার দক্ষতা অর্জন করেছে।
পারদর্শিতার মানদন্ড :
১. স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা (পিপিই) পরিধান করা;
২. প্রয়োজন অনুযায়ী কাজের স্থান প্রস্তুত করা;
৩. কাজের প্রয়োজন অনুযায়ী টুলস, ম্যাটেরিয়াল ও ইকুইপমেন্ট নির্বাচন ও সংগ্রহ করা;
৪. প্রয়োজন অনুযায়ী ড্রইং করার মালামাল সংগ্রহ করা;
৫. কাজ করার নিমিত্ত কম্পিউটার বুটআপ করা;
৬. প্রদত্ত ড্রইং অনুযায়ী ২ডি ইন্টারফেস এর ব্যবহার করা;
৭. প্রদত্ত ড্রইং এ ডায়মেনশন দেওয়া;
৮. কাজ শেষে কম্পিউটার শাটডাউন করা; ।
৯. কাজ শেষে ল্যাব এর নিয়ম অনুযায়ী কাজের স্থান পরিস্কার করা;
১০. অব্যবহৃত মালামাল নির্ধারিত স্থানে সংরক্ষণ করা;
১১. কাজ শেষে চেক লিষ্ট অনুযায়ী মালামাল জমাদান করা;
প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, মালামাল ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জাম :
কাজের ধাপ (Working Procedure ) :
সতর্কতা (Precausion):
অর্জিত দক্ষতা: ডায়মেনশন নিয়ে কাজ করার দক্ষতা অর্জন হয়েছে।
পারদর্শিতার মানদন্ড :
১. স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা (পিপিই) পরিধান করা;
২. প্রয়োজন অনুযায়ী কাজের স্থান প্রস্তুত করা;
৩. কাজের প্রয়োজন অনুযায়ী টুলস, ম্যাটেরিয়াল ও ইকুইপমেন্ট নির্বাচন ও সংগ্রহ করা;
৪. প্রয়োজন অনুযায়ী ড্রইং করার মালামাল সংগ্রহ করা;
৫. কাজ করার নিমিত্ত কম্পিউটার বুটআপ করা;
৬. প্রদত্ত ড্রইং অনুযায়ী ২ডি ইন্টারফেস এর ব্যবহার করা;
৭. প্রদত্ত ড্রইং অনুসারে কাজের ধাপ অনুসরণ করে মেকানিক্যাল কম্পোনেন্ট মোডিফাই করা;
৮. কাজ শেষে কম্পিউটার শাটডাউন করা;
৯. কাজ শেষে ল্যাব এর নিয়ম অনুযায়ী কাজের স্থান পরিস্কার করা;
১০. অব্যবহৃত মালামাল নির্ধারিত স্থানে সংরক্ষণ করা;
১১. কাজ শেষে চেক লিষ্ট অনুযায়ী মালামাল জমাদান করা;
প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, মালামাল ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জাম :
কাজের ধাপ (Working Procedure ) :
সতর্কতা (Precausion) :
অর্জিত দক্ষতা: মেকানিক্যার কম্পোনেন্ট মোডিফাই করার দক্ষতা অর্জন হয়েছে।
পারদর্শিতার মানদন্ড :
১. স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা (পিপিই) পরিধান করা;
২. প্রয়োজন অনুযায়ী কাজের স্থান প্রস্তুত করা;
৩. কাজের প্রয়োজন অনুযায়ী টুলস, ম্যাটেরিয়াল ও ইকুইপমেন্ট নির্বাচন ও সংগ্রহ করা;
৪. প্রয়োজন অনুযায়ী ড্রইং করার মালামাল সংগ্রহ করা;
৫. কাজ করার নিমিত্ত কম্পিউটার বুটআপ করা;
৬. প্রদত্ত ড্রইং অনুযায়ী ২ডি ইন্টারফেস এর ব্যবহার করা;
৭. প্রদত্ত ড্রইং অনুসারে কাজের ধাপ অনুসরণ করে লেয়ার তৈরি করা;
৮. কাজ শেষে কম্পিউটার শাটডাউন করা;
৯. কাজ শেষে ল্যাব এর নিয়ম অনুযায়ী কাজের স্থান পরিস্কার করা;
১০. অব্যবহৃত মালামাল নির্ধারিত স্থানে সংরক্ষণ করা;
১১. কাজ শেষে চেক লিষ্ট অনুযায়ী মালামাল জমাদান করা;
প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, মালামাল ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জাম :
কাজের ধাপ (Working Procedure):
ডায়াগ্রামে প্রদত্ত চিত্রানুসারে লেয়ার তৈরি করবো।
সতর্কতা (Precausion) :
অর্জিত দক্ষতা: লেয়ার নিয়ে কাজ করার মত অর্জন হয়েছে।
পারদর্শিতার মানদন্ড :
১. স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা (পিপিই) পরিধান করা;
২. প্রয়োজন অনুযায়ী কাজের স্থান প্রস্তুত করা;
৩. কাজের প্রয়োজন অনুযায়ী টুলস, ম্যাটেরিয়াল ও ইকুইপমেন্ট নির্বাচন ও সংগ্রহ করা;
৪. প্রয়োজন অনুযায়ী ড্রইং করার মালামাল সংগ্রহ করা;
৫. কাজ করার নিমিত্ত কম্পিউটার বুটআপ করা;
৬. প্রদত্ত ড্রইং অনুযায়ী ২ডি ইন্টারফেস এর ব্যবহার করা;
৭. প্রদত্ত ড্রইং অনুসারে কাজের ধাপ অনুসরণ করে থ্রেড তৈরি করা;
৮. কাজ শেষে কম্পিউটার শাটডাউন করা;
৯. কাজ শেষে ল্যাব এর নিয়ম অনুযায়ী কাজের স্থান পরিস্কার করা;
১০. অব্যবহৃত মালামাল নির্ধারিত স্থানে সংরক্ষণ করা;
১১. কাজ শেষে চেক লিষ্ট অনুযায়ী মালামাল জমাদান করা;
প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, মালামাল ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জাম :
কাজের ধাপ (Working Procedure ) :
ডায়াগ্রামে প্রদত্ত চিত্রানুসারে লেয়ার তৈরি করবো ।
স্টেপ ১। প্রথমে ৭৫×২৪ মিমি: দৈর্ঘ্য একটি Rectangle অংকন করবো ।
স্টেপ ২। Rectangle টি কে Explode কর।
স্টেপ ৩। ভার্টিক্যাল রেখা A কে ১.৫মিমি: দুরুত্বে এ্যারে অথবা কপি এর সাহায্যে কপি করবো।
স্টেপ ৪। হরিজনটাল রেখা C ও D কে ১.৮৩ মিমি: অফসেট করবো।
স্টেপ ৫। হরিজনটাল রেখা C কে ক্রেষ্ট ও রুট মিলিয়ে ভী আকৃতি তৈরি কর। অনুরুপভাবে হরিজনটাল রেখা D কে ক্রেষ্ট ও রুট মিলিয়ে ভী আকৃতি তৈরি কর। (এক্ষেত্রে হেলিক্স এ্যাংগেলের জন্য হরিজনটাল রেখা C থেকে হাফপিচ সামনে অথবা পিছন থেকে শুরু করতে হবে।
স্টেপ ৬। ভী আকৃতির স্থান থেকে ট্রিম কর এবং ভার্টিক্যাল রেখা সমুহ ইরেজ করবো।
স্টেপ ৭। হরিজনটাল রেখা C ও D এর ক্রেষ্ট টু ক্রেষ্ট এবং রুট টু রুট যুক্ত করবো।
স্টেপ ৮। নাট সহজে প্রবেশের জন্য থ্রেডের পিছনের দিকটি ভী আকৃতি অথবা রেডিয়াস করে দাও ।
সতর্কতা (Precausion) :
অর্জিত দক্ষতা: থ্রেড তৈরি করার দক্ষতা অর্জন হয়েছে।
পারদর্শিতার মানদন্ড :
১. স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা (পিপিই) পরিধান করা;
২. প্রয়োজন অনুযায়ী কাজের স্থান প্রস্তুত করা;
৩. কাজের প্রয়োজন অনুযায়ী টুলস, ম্যাটেরিয়াল ও ইকুইপমেন্ট নির্বাচন ও সংগ্রহ করা;
৪. প্রয়োজন অনুযায়ী ড্রইং করার মালামাল সংগ্রহ করা; ৫. কাজ করার নিমিত্ত কম্পিউটার বুটআপ করা;
৬. প্রদত্ত ড্রইং অনুযায়ী ২ডি ইন্টারফেস এর ব্যবহার করা;
৭. প্রদত্ত ড্রইং অনুসারে কাজের ধাপ অনুসরণ করে হেক্সাগোনাল বোল্ট তৈরি করা;
৮. কাজ শেষে কম্পিউটার শাটডাউন করা;
৯. কাজ শেষে ল্যাব এর নিয়ম অনুযায়ী কাজের স্থান পরিস্কার করা;
১০. অব্যবহৃত মালামাল নির্ধারিত স্থানে সংরক্ষণ করা;
১১. কাজ শেষে চেক লিষ্ট অনুযায়ী মালামাল জমাদান করা;
প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, মালামাল ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জাম :
কাজের ধাপ (Working Procedure ) :
ডায়াগ্রামে প্রদত্ত চিত্রানুসারে হেক্সাগোনাল বোল্ট তৈরি করবো।
স্টেপ ১। প্রথমে ১৮ মিমি ব্যাসার্ধ বিশিষ্ট একটি বৃত্ত অংকন করে এর মধ্যে একটি ষড়ভুজাকৃতি একটি গলিগন অংকন করবো। বোল্টের ডায়া ২৪ মিমি: একটি বৃত্ত অংকন করবো।
স্টেপ ২। Across Corner to Corner এর প্রজেকশন অনুসারে বোল্টের হেডের ফ্রন্ট ভিউ অংকন কর যার উচ্চতা ১৬মিমি।
স্টেপ ৩। ঢালের বৃত্ত-চাগ অংকনের ব্যাসার্ধ = ১.২ বা ১.৫ D এর সমান পরিমাপ নিয়ে ঢাল অংকন কর।
স্টেপ ৪। ঢালসূচক রেখার কোণ = ৩০° অথবা B দাও।
স্টেপ ৫। বোল্টের দৈর্ঘ্য ৭৫ মিমি: অংকন করবো।
স্টেপ ৬। বোল্টের থ্রেডের দৈর্ঘ্য ৫০ মিমি: অংকন করবো।
স্টেপ ৭। বোল্টের নীচের অংশে সহজে নাট প্রবেশ করানোর জন্য ২ মিমি চেম্ফার করবো।
সতর্কতা (Precausion):
অর্জিত দক্ষতা: হেক্সাগোনাল বোল্ট তৈরি করার দক্ষতা অর্জন হয়েছে।
আরও দেখুন...