ইউরোপে ২৮ জুলাই, ১৯১৪ থেকে ১১ নভেম্বর, ১৯১৮ পর্যন্ত সংঘটিত হওয়া ভয়াবহ যুদ্ধটি 'মহাযুদ্ধ বা Great Har' নামে পরিচিত। এটি মূলত Great Economic Powers এর মধ্যে ক্ষমতার মনের প্রতিফলন ছিল Great War'। শেষ হয় ১১ নভেম্বর ১৯১৮ সালে জার্মানির আত্মসমর্পণের মাধ্যমে।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পক্ষসমূহ | ||||||
---|---|---|---|---|---|---|
অক্ষশক্তি | জার্মানি | অস্ট্রিয়া | হাঙ্গেরি | উসমানীয় সাম্রাজ্য | বুলগেরিয়া | * |
মিত্রশক্তি | যুক্তরাজ্য | যুক্তরাষ্ট্র | ফ্রান্স | রাশিয়া | ইতালি | জাপান |
জেনে নিই
১৯০৪ সালে
১৯১৪ সালে
১৯১৫ সালে
১৯১৬ সালে
অস্ট্রিয়ার হবু সম্রাট ও সম্রাজ্ঞী, আর্কডিউক ফার্ডিনান্ড এবং সোফিয়া, বসনিয়া সফরে যান। ২৮শে জুন, ১৯১৪ বসনিয়া-হার্জেগোভিনার সারায়েভো শহরে অস্ট্রিয়ার যুবরাজকে হত্যা করে সার্বিয়ার গ্যাবরিয়েল নামে এক নাগরিক জাতি হিসেবে সার্ব হওয়ায় অস্ট্রিয়া সার্বিয়ার থেকে বিচার চায়, সেই সাথে ক্ষতিপূরণ সার্বিয়া কিছু শর্ত মানলো, কিছু মানলো না। অস্ট্রিয়া ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিলো এবং সময় ফুরিয়ে গেলে অস্ট্রো-হাঙ্গেরি ২৮শে জুলাই সার্বিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। অস্ট্রিয়াকে সরাসরি সাহায্য করে জার্মানি।
বিশ্বযুদ্ধের অন্যান্য কারণ
বেলফোর ঘোষণা (তারিখ ২ নভেম্বর ১৯১৭) হল ব্রিটিশ ইহুদি সম্প্রদায়ের একজন নেতা ব্যারন রথচাইল্ডের কাছে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র সচিব আর্থার জেমস বেলফোরের লেখা একটি চিঠি। জায়নিস্ট ফেডারেশন অব গ্রেট ব্রিটেন এন্ড আয়ারল্যান্ড নামক সংগঠনের কাছে পাঠানোর জন্য চিঠিটি তাকে দেয়া হয়। সেটাই ইতিহাসে বেলফোরের ঘোষ নামে পরিচিত।
১৯২১
১৯২২
১৯২৩
১৯২৪
জাতিপুঞ্জে জার্মানিকে নিয়ে আসা।
ফ্রান্সের সাথে জার্মানির বিরোধের মীমাংসা।
প্রেক্ষাপট। মানবসভ্যতার ইতিহাসে সবচেয়ে বিধ্বংসী যুদ্ধ ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। এ যুদ্ধে বিশ্বের সব বড় দেশগুলো জড়িয়ে পড়ে। আধুনিক সামরিক অস্ত্রের নির্বিচারে ব্যবহারের ফলে এ যুদ্ধে সামরিক ও বেসামরিক মিলিয়ে পার কোটি মানুষ প্রাণ হারায়। যুদ্ধের প্রধান কারণ ছিল ১ম বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানি, ইতালি এবং জাপানে ফ্যাসিবাদের উত্থান। ১ম বিশ্বযুদ্ধোত্তর জার্মানির ওপর চাপিয়ে দেয়া অপমানজনক ভার্সাই চুক্তি জার্মানিতে উগ্র নাৎসিবাদের জন দেয়। অবশেষে, ১ সেপ্টেম্বর ১৯৩৯ সালে জার্মানির পোল্যান্ড আক্রমণের মধ্য দিয়ে ২য় বিশ্বযুদ্ধের আনুষ্ঠানিকতা সূচিত হয়। ৭ ডিসেম্বর, ১৯৪১ সালে জাপান পার্ল হার্বার আক্রমণ করলে ২য় বিশ্বযুদ্ধ ইউরোপ ছাপিয়ে সারাবিশ্ব ছড়িয়ে পরে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটে ২ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৫ সালে।
জেনে নিই
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পক্ষসমূহ | |||||
---|---|---|---|---|---|
মিত্রশক্তি | যুক্তরাজ্য | যুক্তরাষ্ট্র | রাশিয়া | ফ্রান্স | বেলজিয়াম |
অক্ষশক্তি | জাপান | জার্মানি | ইতালি | * | * |
মিত্রশক্তির রাষ্ট্রনায়ক | |
---|---|
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | ফ্রাঙ্কলিন ডি. রুজভেল্ট এবং হ্যারি ট্রুম্যান |
যুক্তরাজ্য | চেম্বারলিন, উইনস্টন চার্চিল, এবং ক্লিমেন এটলি
|
সোভিয়েত ইউনিয়ন | যোসেফ স্ট্যালিন |
অক্ষশক্তির রাষ্ট্রনায়ক | |
---|---|
জার্মানি | এডলফ হিটলার |
জাপান | সম্রাট হিরোহিতা |
ইতালি | বেনিত মুসোলিনী |
পক্ষসমূহের সামরিক বাহিনীর প্রধান |
---|
দেশের নাম | সামরিক বাহিনীর প্রধান | বিশেষ্য তথ্য |
---|---|---|
ব্রিটেন | বার্নার্ড ল মন্টেগোমারী | ডেজার্ট ব্যাট নামে পরিচিত ছিলেন। |
যুক্তরাষ্ট্র | জর্জ মার্শাল | তিনি পরবর্তীতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হন। [যুদ্ধ পরিচালনার দায়িত্ব ছিল আইজেনহাওয়ায়] |
জার্মানি | ফিল্ড মার্শাল রোমেল | ডেজার্ট ফক্স নামে পরিচিত ছিলেন |
১৯৪৩ সালে ৩ সেপ্টেম্বর, মিত্রশক্তি সিসিলি আক্রমণ করে ইতালিকে পরাজিত করে এবং ১৯৪৩ সালের ২৫ জুলাই মুসোলিনী পদত্যাগে বাধ্য হন। ১৯৪৫ সালের ২৯ জুলাই মুসোলিনীকে পিটিয়ে হত্যা করে ইতালীয় পার্টিশন গ্রুপ ।
জার্মানি আত্মসমর্পণ করে ৭ মে, ১৯৪৫ আত্মসমর্পণ চুক্তি হয় ফ্রান্সের বিমস শহরে। জার্মানির পক্ষে আত্মসমর্পণ পরে স্বাক্ষর করে-ফিল্ড মার্শাল উইলহেম কেইটেল। মিত্রপক্ষের হয়ে স্বাক্ষর করে জেনারেল আইজেনহাওয়ার । ইউরোপে বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়- ৮ মে, ১৯৪৫ খ্রি. Victory in Europe Day (VE Day)
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রম্যানের আদেশে পারমানবিক বোমা নিক্ষেপের পর ১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট জাপান আত্মসমর্পণ করে । চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়- ২ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৫ সালে। আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান হয় মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস মিসৌরিতে । ১৫ আগস্ট, ১৯৪৫ থেকে ২রা সেপ্টেম্বর ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত মিত্রশক্তি উৎযাপন করে Victory Over Japan (VJ-day) নামে।
২য় বিশ্বযুদ্ধের Big Three হিসেবে পরিচিত যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়ন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রসঙ্গে একমত পোষণ করলে জার্মানীর ন্যুরেমবার্গে একটি সামরিক আদালত প্রতিষ্ঠা করা হয় যা ন্যুরেমবার্গ ট্রাইব্যুনাল নামে। পরিচিত। এই ট্রাইব্যুনালে প্রায় ২০০ জার্মান যোদ্ধাপরাধীর বিচার করা হয়। মোট অভিযুক্ত হয় ২৪ জন আর মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা হয় ১২ জন আসামিকে।
আরও দেখুন...