রেজিস্টর, ডায়োড ও ক্যাপাসিটরের কার্যকারিতা পরীক্ষা করণ

এসএসসি(ভোকেশনাল) - রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশনিং-১ - দ্বিতীয় পত্র (দশম শ্রেণি) | NCTB BOOK

পারদর্শিতার মানদন্ড

  • কম্পোনেন্টসমূহ বিচ্ছিন্ন করার জন্য বিধিগত সতর্কতা অবলম্বন করা 
  • সিষ্টেম হতে কম্পোনেন্টসমূহ বিচিছন্ন করার জন্য ধারাবাহিকভাবে কাজ করা
  • কম্পোনেন্ট সমূহ ইউনিট হতে বিচ্ছিন্ন করার পর প্রয়োজনীয় টেষ্ট করা 
  • ইলেকট্রিক্যাল কম্পোনেন্ট সমূহ পরীক্ষা ও প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন করে কাজের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে যথাস্থানে পুনঃস্থাপন করা

(ক) ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (PPE)

 

(খ) প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি (টুলস, ইকুইপমেন্ট ও মেশিন)

 

(গ) প্রয়োজনীয় মালামাল (Raw Materials )

 

(ঘ) কাজের ধারা 

রেজিস্টরের কার্যকারিতা পরীক্ষা -

১. প্রথমে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জামসমূহ, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, মালামাল স্টোর হতে সংগ্রহ করো । 

২. তালিকা অনুসারে সুরক্ষা সরছামাদি (PPE) যথানিয়মে পরিধান করো। 

৩. সার্কিট থেকে সোল্ডারিং আয়রন দিয়ে হিট দিয়ে একটি রেজিস্টর বের করে আন। 

৪. রেজিস্টরের কালার কোড থেকে হিসাব করে মান বের করে নাও। 

৫. যে মানের রেজিস্টর তার চেয়ে বেশি মানের রেঞ্জে ওহাস মিটার এর সিলেক্টর মন সেট করো। 

৬. তারপর মিটারের প্রোবষয় রেজিস্টরের দু'প্রান্তে ধরে ডায়াল স্কেল হতে মান দেখে নাও। (রেজিস্টরের মান নির্দিষ্ট মানের চেয়ে বেশি বা কম হলে রেজিস্টরটি নষ্ট বলে ধরে নিবে অন্যথায় ঠিক আছে।) 

৭. রেজিস্টরটি ঠিক হলে সোল্ডারিং আয়রন দিয়ে হিট দিয়ে পুনঃস্থাপন করো। 

৮. যন্ত্রপাতি পরিষ্কার করে নির্দিষ্ট স্থানে রাখ । 

৯. কাজের স্থান পরিষ্কার করো।

ডায়োডের কার্যকারিতা পরীক্ষা- 

১. প্রথমে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জামসমূহ, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, মালামাল স্টোর হতে সংগ্রহ করো। 

২. তালিকা অনুসারে সুরক্ষা সরঞ্জামাদি (PPE) যথানিয়মে পরিধান করো । 

৩. সার্কিট থেকে সোল্ডারিং আয়রন দিয়ে হিট দিয়ে একটি ডায়োড বের করে আন। 

৪. লাল থোৰটি এ্যানোড (পজেটিভ) ধর এবং কাল প্রোবটি ক্যাথোডে (নেগেটিভ) ধর। (ফরোয়ার্ড বায়াস) রেজিস্ট্যান্স প্রদর্শন করলে ডায়োডটি ভাল আছে অন্যথায় নষ্ট। 

৫. লাল প্রোবটি ক্যাথোডে (নেগেটিভ) ধর এবং কাল প্রোবটি এ্যানোড (পজেটিভ) ধর। (রিভার্স বায়াস) রেজিস্ট্যান্স জন্য প্রদর্শন করলে ডায়োভটি ভাল আছে অন্যথায় নষ্ট। 

৬. ডায়োডটি ঠিক হলে সোল্ডারিং আয়রন দিয়ে হিট দিয়ে পুনঃস্থাপন করো। 

৭. যন্ত্রপাতি পরিষ্কার করে নির্দিষ্ট স্থানে রাখ। 

৮. কাজের স্থান পরিষ্কার করো।

 

ক্যাপাসিটরের কার্যকারিতা পরীক্ষা- 

প্রথমে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জামসমূহ, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, মালামাল স্টোর হতে সংগ্রহ করো।

১. তালিকা অনুসারে সুরক্ষা সরঞ্জামাদি (PPE) যথানিয়মে পরিধান করো। 

২. সার্কিট থেকে সোল্ডারিং আয়রন দিয়ে হিট দিয়ে একটি ক্যাপাসিটর বের করে আন।

৩. ক্যাপাসিটর কম মানের হলে ওহমস মিটারের সিলেক্টর নবটি উচ্চ রেঞ্জে সেট করো। 

৪. লাল প্রোবটি পজেটিভ লেগে ধর এবং কালো একটি নেগেটিভ লেগে ধর। (ওহম মিটারের কাটা দ্রুত ডিক্লেকশন দেয়ার পর যদি আস্তে করে অসীম স্থানে আসে, তাহলে ক্যাপাসিটর ভাগ আছে। আর যদি অল্প আসে তাহলে লিকেজ আছে। আর যদি একেবারে না আসে তাহলে শর্ট সার্কিট বুঝাবে) 

৫. ক্যাপাসিটরটি ঠিক হলে সোল্ডারিং আয়রন দিয়ে হিট দিয়ে পুনঃস্থাপন করো। 

৬. যন্ত্রপাতি পরিষ্কার করে নির্দিষ্ট স্থানে রাখ । 

৭. কাজের স্থান পরিষ্কার করো।

কাজের সতর্কতা

  • সঠিক নিয়মে সকল প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সরঞ্জাম পরিধান করা আবশ্যক 
  • সঠিক ভাবে টুলসের ব্যবহার নিশ্চিত হতে হবে
  • কাজের সময় অমনোযোগী হওয়া যাবে না 
  • সার্কিট থেকে পার্টস খোলার আগে সকল পাওয়ার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হবে এবং ক্যাপাসিটর থাকলে ডিসচার্জ করতে হবে
  • যদি বুঝতে সমস্যা হয় তবে শিক্ষকের সহায়তা নিতে হবে 
  • শিক্ষকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোন কাজ করা যাবে না

আত্মপ্রতিফলন 

রেজিস্টর, ডায়োড ও ক্যাপাসিটরের কার্যকারিতা পরীক্ষা করার দক্ষতা অর্জিত হয়েছে/হয় নাই/আবার অনুশীলন করতে হবে।

 

 

Content added By
Promotion