On This Page

অজৈব সার

এসএসসি(ভোকেশনাল) - শ্রিম্প কালচার এন্ড ব্রিডিং-২ - প্রথম পত্র (নবম শ্রেণি) | NCTB BOOK

কলকারখানায় কৃত্রিম উপায়ে যে সার তৈরি করা হয় তাকে অজৈব বা রাসায়নিক সার বলে। যথা- ইউরিয়া, টিএসপি, এমপি ইত্যাদি। এই রাসায়নিক সার প্রয়োগের ফলে অল্প সময়ের মধ্যেই পুকুরে নানা ধরনের উদ্ভিদ কণা বা ফাইটোপ্লাংকটন জন্মায় ও পুকুরের উর্বরতা বৃদ্ধি পায়।

ক) নাইট্রোজেনজাতীয় সার: নাইট্রোজেনজাতীয় সার বাজারে ইউরিয়া হিসেবে পাওয়া যায়। এই সার অল্প মাত্রায় প্রয়োগ করলে পুকুরে নাইট্রোজেনের ঘাটতি দূর হয় ও পুকুরের উৎপাদন শক্তি বৃদ্ধি পায়। এবং পানিতে দ্রবীভূত হতে সময় কম লাগে।

খ) ফসফেট জাতীয় সার: ফসফরাসজাতীয় সার বাজারে সিঙ্গেল সুপার ফসফেট (এসএসপি), ট্রিপল সুপার ফসফেট (টিএসপি), রক ফসফেট প্রভৃতি হিসেবে পাওয়া যায়। এই সার অল্প মাত্রায় প্রয়োগ করলে পুকুরে ফসফেটের ঘাটতি দূর হয় ও পুকুরের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পায়। এই সার দেখতে ছাই রঙের এবং পানিতে দ্রবীভূত হতে একটু সময় লাগে। এজন্য ফসফেট জাতীয় সার পানিতে গুলিয়ে তারপরে পুকুরে প্রয়োগ করতে হয়।

গ) পটাশ জাতীয় সার পটাশ জাতীয় সার হিসেবে পটাসিয়াম অক্সাইড, পটাসিয়াম সালফেট, পটাসিয়াম নাইট্রেট প্রভৃতি বাজারে পাওয়া যায়। এসব সারের মধ্যে পটাসিয়াম অক্সাইড বা মিউরেট অব পটাশ (এমপি) সার পুকুর প্রস্তুতকালে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয়। এই সার দেখতে দানাদার এবং লাল রঙের।

ঘ) অন্যান্য রাসায়নিক উপাদান : কিছু গুরুত্বপূর্ণ রাসায়নিক উপাদান যেমন-জিংক, ম্যাঙ্গানিজ, তামা, লোহা, বোরন, মলিবডেনাম, আয়োডিন প্রভৃতি মাটিতে খুব অল্প মাত্রায় থাকা প্রয়োজন। এদের যে কোনো একটির অভাব দেখা দিলে মাটি তথা পুকুরের উর্বরতা শক্তি কমে যায়। পুকুরে উদ্ভিদকণা ও প্রাণিকণা উৎপাদনে এসব ট্রেস উপাদান এর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

 

সার রোগের মাত্রাঃ স্বাভাবিক ব্যবস্থাপনায় মাছ চাষের ক্ষেত্রে পুকুর প্রতুতকালীন এবং মজুদ পরবর্তী প্রয়োগের মাত্রা নিয়ে উল্লেখ করা হল।

পুকুর প্রস্তুতকালীন সার প্রয়োগ মজুদ পরবর্তী সার প্রয়োগ 
সারের নামপরিমান পরিমান পরিমান
প্রতি শতাংশে শতাংশ/দিন শতাংশ/ সপ্তাহ 
কম্পোস্ট ১০ কেজি ২০০ গ্রাম ৭ কেজি 
ইউরিয়া ১৫০ গ্রাম ৫ গ্রাম ২০০ গ্রাম 
টিএনপি ৭৫ গ্রাম ৩ গ্রাম ১০০ গ্রাম 

চিত্র ২.১৪: বিভিন্ন প্রকারের সার

সার প্রয়োগে সতর্কত

  • পুকুরে আগাছা থাকলে সারের কার্যকারীতা কমে যায়,
  • পুকুরে পানির স্থায়িত্ব কম হলেও সারের কার্যকারীতা কমে যাবে,
  • মেঘলা দিনে অথবা বৃষ্টির মধ্যে সারের ব্যবহার খুব কার্যকর নয়, ও 
  •  চুন প্রয়োগের ৫-৭ দিন পর সার প্রয়োগ করা উচিত।
Content added || updated By

আরও দেখুন...

Promotion

Promotion